Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই ভারত কতটা সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক? 
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক এই শব্দ তিনটি পাঠকরা স্মরণ করবেন। একটি আধুনিক সাধারণতন্ত্রের সংজ্ঞা এই গুণাবলির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এমন একটি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়েছিল।
আজ জাতি স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। আমি নিশ্চিত যে শততম বার্ষিকী এবং আরও অনেক বার্ষিকী উদযাপন করতে জাতি বেঁচে থাকবে। তবে আমি ভীতিবিহ্বল হয়ে এই প্রশ্ন রাখছি যে, আমাদের সাধারণতন্ত্র কি ২০৪৭ সালেও সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক থাকবে?
সার্বভৌমত্ব কোথায় যাচ্ছে?
শত শত বছর ধরে, ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল সার্বভৌম ছিল শুধুমাত্র এই অর্থে যে সেগুলি বিদেশি রাজা ও রানিরা শাসন করতেন না। রাষ্ট্র ‘সার্বভৌম’ থাকলেও জনগণ তা ছিল না। অনেক শাসক ছিলেন স্বৈরাচারী ও অযোগ্য। জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য বিশেষ কিছুই করেননি তাঁরা।
একটি সাধারণতন্ত্রের সংবিধানের অধীনে, কেবল রাষ্ট্রই সার্বভৌম নয়, সার্বভৌম তার জনগণও। শাসক পরিবর্তনের ক্ষমতাটি সার্বভৌম জনগণের বৈশিষ্ট্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণের সার্বভৌম অধিকার। যাই হোক, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, জনগণের এই অধিকার মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে। মনে হয়, ইদানীন্তন নির্বাচনের বেশিরভাগেরই ফয়সালা অর্থবলের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে। এবং, বিজেপি হল 
সেই দল যাদের কাছে সবচেয়ে বেশি টাকা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, রাজনৈতিক দলগুলির জন্য যে দান সংগৃহীত হয় তার প্রায় ৯৫ শতাংশ কুক্ষিগত 
হওয়ার মতো একটি ধুরন্ধর এবং গোলমেলে কল (ইলেক্টোরাল বন্ড) আবিষ্কার করেছে বিজেপি সরকার। ভোটে জেতার জন্য বিজেপির কাছে 
অন্যান্য হাতিয়ারও রয়েছে: বশংবদ মিডিয়া, তাঁবে এনে ফেলা সংস্থাগুলি, অস্ত্র করে তোলা আইনগুলি এবং পক্ষভুক্ত করে ফেলা এজেন্সিগুলি। আরও 
একটি বিষয় এই যে, বিজেপি কোনও নির্বাচনে হেরেও দমে যায় না। তখন তারা তাদের চূড়ান্ত অস্ত্র ‘অপারেশন লোটাস’ প্রয়োগ করে। ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র তারা নির্লজ্জভাবেই প্রয়োগ করেছে গোয়া, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশে। রাজস্থানেও অপারেশন লোটাস ব্যবহারের অপচেষ্টা হয়েছিল।
অবাধ বা সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ হওয়ার মতো এমন এক পর্যায়ে কি আমরা পৌঁছব? আমি আন্তরিকভাবে তেমনটা আশা করি না। তবে বিপদটিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ‘কংগ্রেস-মুক্ত ভারত’ বুলেটের তাক শুধু কংগ্রেস নয়। ‘কেবলমাত্র বিজেপিকেই জাতীয় দল হিসেবে রেখে ছোট দলগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাবে’—জে পি নাড্ডার সাম্প্রতিক এই বিবৃতি চেনা রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর মাত্র নয়, আরও বেশি। এটি এমন একটি ‘আইডিয়া’ যেটি বিজেপির নার্সারিতে যত্নসহকারে লালন-পালন করা হয়।
জনগণ এক ঝলকায় তাদের সার্বভৌমত্ব হারাবে না। এটা স্লো পয়জন ছড়ানোর মতো কাজ করবে। ভাঙনটা শুরু হবে বঞ্চনার মধ্য দিয়ে। একটু একটু করে। কোন কোন বিষয়ে? ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, লেখালিখির স্বাধীনতা, ভিন্নমতের অধিকার, প্রতিবাদের অধিকার, গোপনীয়তা, ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং শেষাবধি নির্ভয় থাকার স্বাধীনতা। নিজেকে প্রশ্ন করুন, ভারত কোন দিকে যাচ্ছে?
ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ কী?
ভারত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে এবং জনসংখ্যা পৌঁছে যাবে ১৬০ কোটিতে। উর্বরতার হার যেহেতু সবার মধ্যেই একরকম, তাই জনসংখ্যার ধর্মভিত্তিক অনুপাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন কিছু হবে না। বর্তমান অনুপাতটি এইরকম: হিন্দু ৭৮.৪ শতাংশ, মুসলিম ১৪.৪ শতাংশ, খ্রিস্টান ২.২ শতাংশ, শিখ ১.৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ৩.৩ শতাংশ। দু’হাজার বছর ধরে ভারত একটি বহুত্ববাদী দেশ ছিল। ভারত আজও একটি বহুত্ববাদী দেশ। কিন্তু আমাদের বহুত্ববাদকে নস্যাৎ করার জন্য আমরা বাড়াবাড়ি রকমের আচরণ করছি বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, অন্যদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড তাদের বহুত্ববাদী সমাজের প্রভূত সুবিধাগুলির কথা গর্বভরে স্বীকার করে। আদালত, মিডিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উচ্চতায় অবস্থান করেই সক্রিয়ভাবে বৈচিত্র্যের সন্ধান এবং প্রোমোট করে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে একজন করে সম্মানিত বিচারক রয়েছেন এবং শিখদের তরফে কেউ নেই। বর্তমান পদাধিকারীরা অবসর গ্রহণ করার আগে নতুনভাবে একজন মুসলিম বা খ্রিস্টান বিচারক নিয়োগ নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিজেকে প্রশ্ন করুন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ ছাড়া আর কিছু হতে পারে কি? মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বাদ দিলে আমাদের সঙ্গীত, সাহিত্য, সিনেমা, খেলাধুলো, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, আইন, শিক্ষকতা এবং নাগরিক পরিষেবার মান আরও নেমে যাবে। বিজেপি এবং আরএসএসের নেতারাই ধর্মনিরপেক্ষতার বদনাম করেছেন। তাঁরা এটিকে অভিহিত করেছেন ‘তোষণ’ নামে। এটাই জম্মু ও কাশ্মীর, নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব, সংরক্ষণ, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক এবং ব্যক্তিগত আইন সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিকে 
বিকৃত করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার মৃত্যু এবং একটি হিন্দু ‘রাষ্ট্র’ (জাতি) ঘোষণা ভারতের ধারণার পক্ষে একটি বিরাট আঘাত হয়ে উঠবে। তাতে 
গণতন্ত্রের মৃত্যুও ত্বরান্বিত হতে পারে। বেশিরভাগ ভারতীয় এই পরিণতি চায় না। কিন্তু বিজেপি সমর্থকদের অধিকাংশই হিন্দু ‘রাষ্ট্র’ চায় বলে মনে হয়। যখন একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি (হিন্দুত্ব বিশ্বাসীরা) একটি অনড় শ্রেণির (মধ্যপন্থী এবং সহনশীল ভারতীয়দের) সঙ্গে মিলিত হয়, আমি জানি না, বিজয়ী হবে কোনটি।
গণতন্ত্র কোন পথে?
গণতন্ত্র মানে প্রতি পাঁচবছরে একবার করে ভোটদান নয়। নিত্যদিন কথোপকথন, আলোচনা, বিতর্ক ও ভিন্নমত প্রকাশের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। সেই মানদণ্ড অনুসারে, ভারতে গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। প্রতিবছর কম দিনই সংসদ ও বিধানসভার অধিবেশন চলে। সুইডেন-ভিত্তিক ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে একটি ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ বলে অভিহিত করেছে। গণতন্ত্র সূচক ২০২১-এ ভারতের র‌্যাঙ্কও তারা নামিয়ে এনেছে ৫৩-তে। রাজ্যভিত্তিক প্রতিটি দল নিজ রাজ্যে তার জায়গা ঠিক রাখার জন্য লড়াই করে, কিন্তু অন্য রাজ্য দলগুলিকে সুরক্ষার প্রদানে সাহায্য করতে কিংবা বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের শামিল হতে নারাজ হয়। দুঃস্বপ্নের মতো মনে হলেও, ওয়ান-পার্টি সিস্টেম বা একদলীয় ব্যবস্থার উত্থানকে উড়িয়ে দিতে পারি না (যেমন জে পি নাড্ডা মনেপ্রাণে চান) আমরা। তাঁর দল দাবি করবে যে, আমাদের এটি একটি গণতন্ত্র, তবে ভারতীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ!
আজ আপনি যখন তেরঙাকে অভিবাদন জানাবেন, অবশ্যই দুটি জিনিস মনে রাখবেন—এর ডিজাইনার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকে এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেই ত্রিবর্ণকে—যেটি সার্বভৌমত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
15th  August, 2022
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলায় আমি যতদিন আছি, এসব করতে দেব না: মমতা

03:11:14 PM

কে কী খাবে তাঁর নিজের ব্যাপার, আপনারা কেন ধমকাবেন: মমতা

03:10:41 PM

রামনবমীতে পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

দেশের কৃতী মেয়েরা তাঁদের পদক ফেরত দিয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করার সময় খগেন বাবু কোথায় ছিলেন?: মমতা

02:55:00 PM

এর আগে জেলার কংগ্রেস ও বিজেপি সাংসদরা বাংলার কথা দিল্লিতে গিয়ে বলেনি: মমতা

02:54:16 PM