Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পূর্বসূরিদের কলঙ্ক মুছতে প্রয়াসী বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

বেলাগাম হয়ে ছুটছে মূল্যবৃদ্ধির অশ্বমেধের ঘোড়া। মানুষকে দলিত করে, আহত করে সে ছুটছে আপন খেয়ালে। তাকে রোখার ক্ষমতা নেই রাজাধিরাজের। হিন্দুরাজ্যের স্বপ্ন দেখানোর ভোজবাজিটুকুই তাঁর একমাত্র সম্বল। তাই অর্থনৈতিক এক ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে তোড়জোড় চলছে স্বাধীনতার অমৃতকাল মহোৎসব পালনের। 
ইতিহাসের নিরিখে সত্যিই আমরা এক মহাসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই পালিত হবে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ। এখন থেকেই চারিদিকে তার উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আনন্দের মধ্যেও যেন লেগে রয়েছে কিছুটা মালিন্য। তার কারণ, এখন যারা দেশের সরকারে, যাদের নেতৃত্বে এই স্বাধীনতার অমৃতকাল পালিত হচ্ছে, দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের পূর্বসূরি হিন্দু মহাসভা, আরএসএস কোনওদিন স্বাধীনতার মহান লড়াইয়ের অংশীদার ছিল না। আজ যে মানুষটি ভারতীয়দের নয়নের মণি, সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে একদিন কংগ্রেস, কমিউনিস্ট এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তি বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আজ অনেকেই নিজেদের বিপ্লবী বানিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের ভুয়ো গল্প ফেঁদে বসেছে। নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে কল্পকথা লেখা হচ্ছে। স্বাধীনতাকালে নিজেদের কলঙ্ক মুছে সঙ্ঘ পরিবারের অনুগতদের দিয়ে নতুন ইতিহাস লেখানো হচ্ছে! লেখা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের ‘উজ্জ্বল’ ভূমিকার কথা। সম্প্রতি এনিয়ে গাদা গাদা বই বেরচ্ছে। সেখানে থাকছে শুধুই হিন্দুত্ববাদী শক্তির জয়জয়কার। 
পিছন থেকে একদিন যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনকে ভণ্ডুল করে ইংরেজ বাহাদুরদের অনুগ্রহ লাভ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই আজ প্রথম সারিতে এসে বসেছেন। তাঁদের মূর্তিতে মালা দিয়ে ইতিহাসকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবারের কেউ কেউ। অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ঠিক হল, স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের অবদানকে বড় করে তুলে ধরতে হবে। সব কলঙ্ক মুছতে তখন থেকেই শুরু হল ইতিহাস বুননের অন্য ধারা। এতদিন কংগ্রেস তার আন্দোলনকে তুলে ধরে দেখিয়েছে এদেশে স্বাধীনতা এনেছে তারাই। তার পাল্টা তরজা শুরু করেছিল আরএসএস। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেই তরজা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে মোদিজির অনুপ্রেরণায় এরকম প্রচুর ইতিহাসের বই লেখা হয়েছে, যেখানে সাভারকর, হেডগেওয়ার, হোলওয়ালকর, শ্যামাপ্রসাদ, নাথুরামরা আন্দোলনের পুরোভাগে ঠাঁই পেয়েছেন। এসবের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছেন সূর্য সেন, সত্যেন বোস, কানাই দত্ত, ভগৎ সিং, বসন্ত বিশ্বাস, অনন্তহরি মিত্ররা। এইসব বিরুদ্ধ শক্তিকে নেতাজি ভালো করেই চিনতেন। তিনি জানতেন, এই দেশে থাকলে তাঁর পক্ষে স্বাধীনতার লড়াই করা কঠিন। এমনকী অশুভ শক্তিরা তাঁকে বিপ্লবের পথ থেকে সরিয়েও দিতে পারে। তাই তিনি বিদেশ থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন চালাতে প্রয়াসী হন। তা সত্ত্বেও অপপ্রচার এবং ভুয়ো সংবাদ ছড়িয়ে তাঁর অন্তর্ধান রহস্যকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠা করার কুনাট্য জারি ছিল। ইংরেজদের সঙ্গে গোপনে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কেউই নেতাজিকে সহ্য করতে পারতেন না। কারণ নেতাজি জানতেন, কংগ্রেসের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইংরেজকে সহজে তাড়ানো যাবে না আর হিন্দুত্ববাদী শক্তি এবং মুসলিম লিগ ব্রিটিশদের হাতে তামাক খাচ্ছে। সাভারকরের বক্তৃতা প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক কাগজে লেখা হল, সাম্প্রদায়িক বিভেদকে বড় করে তুলে ধরে হিন্দু মহাসভা ভারতের জাতীয়তাবাদী ধারণার অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছে। 
তাই হিন্দুত্ববাদী নেতারা নেতাজিকে সহ্য করতে পারতেন না। সাভারকার বলেছিলেন, হিন্দুত্বের উত্থানের জন্য ব্রিটিশ শক্তিকে ব্যবহার করা দরকার। ব্রিটিশদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য হিন্দুদের দলে দলে ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগদান করা জরুরি। বিশেষ করে বাংলা এবং অসম থেকে। 
কেন তিনি এমন কথা বললেন? কাদের বিরুদ্ধে লড়বে সেই ব্রিটিশ শক্তি? সবাই জানেন, নেতাজির আইএনএ’র বিরুদ্ধে। ভারত স্বাধীন করার যে প্রচেষ্টা লড়াই ও আত্মত্যাগ নেতাজি করছিলেন, তাকে সেদিন সাভারকররা দমিত করার চেষ্টা করেছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যাঁরা সশস্ত্র সংগ্রাম করতেন, সাভারকর তাঁদের ঘৃণা করতেন। তিনি বলেছিলেন, যে সশস্ত্র প্রতিরোধ ইংরেজদের বিব্রত করতে পারে, তেমন কোনও প্রতিরোধের সঙ্গে হিন্দু মহাসভা নিজেদের জড়াবে না। অথচ আজ সঙ্ঘ পরিবার সব ভুলিয়ে দিয়ে নেতাজি প্রেমে মেতে উঠতে চাইছে। এ যুগে তারাই এসেছে ভক্ত সাজি। 
১৯০৯ সালের ১ জুলাই মদনলাল ধিংড়ার গুলিতে প্রাণ গেল ইংরেজ কার্জন উইলির। ধিংড়াকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন দামোদর সাভারকর। ধিংড়া ধরা পড়ার পর সাভারকরেরও হয়তো ভয় ছিল তদন্তে ধিংড়ার সঙ্গে তাঁর যোগ ফাঁস হয়ে যেতে পারে। সাভারকর অবশ্য ধরা পড়ে যান অন্য কেসে। সাভারকরের ভাই গণেশ সাভারকরকে আন্দামানে দ্বীপান্তরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার বদলা নিতে ১৯০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর খুন হন নাসিকের কালেক্টর জ্যাকসন সাহেব। তদন্তে দেখা যায়, সেই খুনে যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি লন্ডন থেকে পঠিয়েছিলেন সাভারকর। ধরা পড়ার ভয়ে সাভারকার প্যারিসে গিয়ে আত্মগোপন করলেন। দু’মাস পরে লন্ডনে ফিরে এসে ধরা পড়ে গেলেন। তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচার হল। পাঠানো হল সেলুলার জেলে। সেখানে বিপ্লবীদের উপর অমানুষিক অত্যাচার হতো। সেই অত্যাচার সহ্য করা সাভারকরের ধাতে ছিল না। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই তাঁকে সেলুলারে পাঠানো হয় এবং ৩০ আগস্টের মধ্যে তিনি মার্সি পিটিশন দাখিল করেন। তা বাতিল হয়ে যায়। বারবার বাতিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি আবেদন করেই যাচ্ছিলেন। বাংলার আর এক বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীকে সেই সময় সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। তাঁর লেখা থেকেই জানা যায়, দুই সাভারকর ভাই-ই ব্রিটিশদের অনুগত হয়ে থাকার চেষ্টা করতেন। বন্দিদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করার প্রতিবাদে যখন জেলে বিপ্লবীরা আন্দোলন করেন, তখনও দুই ভাই সেই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখে নাকি ইংরেজদের খুশি করার চেষ্টা করেছিলেন। জেলে সাভারকরের ভূমিকা নিয়ে আমরা অনেক কথা ত্রৈলোক্যনাথের লেখা থেকে জানতে পারি। ‘জেলে ভালো আচরণের জন্য’ ছাড়া পেয়ে গেলেন সাভারকর ভাইরা। বিনায়ক সাভারকর ছাড়া পেলেন ১৯২৪-এর ৫ জানুয়ারি। এই পর্যন্ত একরকম ছিল। কিন্তু সাভারকরের বিপ্লবী মানসিকতা জেল থেকে বের হওয়ার পর একেবারে বদলে গেল। যেন পুরো মগজ ধোলাই হল তাঁর। বিপ্লবের ময়দান থেকে তিনি বিদায় নিলেন এবং তাঁর একমাত্র কাজ হল ভারতকে ব্রিটিশ শক্তির আশীর্বাদপুষ্ট করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের এককাট্টা করা। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের নীতিতে ব্রিটিশরা এভাবেই সাভারকরকে ব্যবহার করেছিলেন। তাঁরই অন্যতম শিষ্য হয়ে উঠেছিলেন নাথুরাম গডসে।   
পাশাপাশি দেখি, ১৯৪০ সালে মৃত্যুর আগে আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেডগেওয়ার বললেন, তিনি আজ স্বপ্ন দেখছেন এক হিন্দুরাষ্ট্রের। সেদিন তিনি কিন্তু স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলেননি। 
তাঁরই শিষ্য এম এস গোলওয়ালকর বললেন, শোনো হিন্দু ভাইরা, ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই 
করে তোমরা তোমাদের এনার্জি নষ্ট কোরো না। ওটা জমিয়ে রাখতে হবে। কেননা আমাদের লড়াই করতে হবে অভ্যন্তরীণ শত্রু মুসলিম, খ্রিস্টান এবং কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে।
আসলে ব্রিটিশদের দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতেই এবং তাদেরই অনুপ্রেরণায় জন্ম হয়েছিল হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগের। গান্ধীজি যখন ’৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলেন, তখন সেই আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করার কথা জানিয়ে ইংরেজদের চিঠি লিখলেন শ্যামাপ্রসাদ সহ হিন্দুত্ববাদী নেতারা। যখন দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গাইছেন বিপ্লবীরা, তখন হেডগেওয়ার, গোলওয়ালকররা দেশের হিন্দুদের বলছেন, খবরদার, ওসব আবেগে জড়িও না। আমাদের মূল লক্ষ্য হল ইংরেজদের সাহায্য ও অনুপ্রেরণায় হিন্দুরাজ্য প্রতিষ্ঠা। 
স্বাধীনতার অমৃতকালে সেই সব বিষাক্ত মন্তব্যের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। মনে রাখতে হবে, আজ বিজেপি যেভাবে নেতাজি ভজনায় নেমেছে, তার মধ্যে সত্যতা আদৌ কতটা আছে। বরং সত্যকে চাপা দেওয়ার সে এক করুণ প্রয়াস। নেতাজির বিশাল মূর্তি স্থাপন করলেও সেই পাপস্খালন সম্ভব নয়। ইতিহাস মুছে ফেলার এই নির্লজ্জতাকে স্বীকৃতি দেওয়া মানেই, ‘এ আমার এ তোমার পাপ।’ সুতরাং এ অমৃতপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা, দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা।
10th  August, 2022
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM