Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপি কি ধোয়া তুলসী পাতা!
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর কর্ণাটকের স্টেট কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে যে কোনও নির্মাণকাজ শুরু করতে গেলে আগে টেন্ডারের মূল্যের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিতে হয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিল ক্লিয়ার করার জন্য উপরি ৫ শতাংশ। গোয়ার এক বিজেপি বিধায়ক নিজেরই দলের পিডব্লিউডি বিভাগের মন্ত্রী সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর দপ্তরে প্রতিটি নিয়োগের জন্য তিনি ২৫-৩০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নেন। ঘটনা হল, কর্ণাটক আর গোয়া এই দুই রাজ্যই বিজেপি-শাসিত।
মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, তিনি জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বভার নেওয়ার পরে দেশের একটি প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠী (যেটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে বিরোধীদের অভিযোগ) এবং আরএসএস-ঘনিষ্ঠ এক নেতার দু’টি ফাইল পাশ করানোর জন্য তাঁর কাছে পেশ করা হয়। বলা হয়, ওই দু’টি ফাইল পাশ করালে তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ‘ঘুষ’ দেওয়া হবে। যদিও সত্যপাল দু’টি ফাইলই ফেরত পাঠান। সত্যপাল মালিক বরাবর ঠোঁটকাটা মানুষ। তাঁর কথায়, গোয়ার গভর্নর থাকাকালীন, বিজেপি সরকার কোভিড ত্রাণ তহবিলেও বড়সড় দুর্নীতি করেছিল এবং এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগপত্রও পাঠিয়েছিলেন। তারপর? সত্যপালের জবাব, ‘ওয়েল, কী আর, আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে শিলংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল!’ এতেই স্পষ্ট, মোদি জমানায় রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রয়েছে বহাল তবিয়তে। এসব শুনতে শুনতে একসময় মনে হতেই পারে, নীতি আবার কী? মঙ্গলবারে যেটা নীতি, বুধবারে সেটাই দুর্নীতি। পরের সোমবার ফের সুনীতি...।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জাতির উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদি বার্তা দিয়েছিলেন- ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’, অর্থাৎ, নিজেও ঘুষ খাব না, কাউকে ঘুষ খেতে দেবও না। পরের বছর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতাতেই বলেছিলেন, পনেরো মাসে এক পয়সার দুর্নীতি নেই। অথচ, সেই সময়ই ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে উত্তাল বিজেপি শাসিত রাজ্য। মধ্যপ্রদেশের ব্যবসায়িক পরীক্ষা মণ্ডল বা ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার আগে ভারতের মানুষ বড় মাপের দুর্নীতি দেখেনি, এমনটা নয়। প্রতাপশালী রাজনীতিক, প্রভাবশালী আমলা আর মহাকোটিপতি ব্যবসায়ীদের দুষ্টচক্র আমাদের চেনা। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত বা সাক্ষী খুন? তা-ও বহু বার দেখেছে ভারত। কিন্তু ব্যাপম কেলেঙ্কারি বিভিন্ন সরকারি চাকরি এবং উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিশেষত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দুর্নীতির এক জটিল আবর্ত। বলতেই পারেন, এ আর নতুন কী! দেশটার নাম যখন ভারত!
এ দেশ ক্ষমতার যত রকম অপব্যবহার দেখেছে, সরকারি চাকরিতে বা ডাক্তারির মতো উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ঘুষ নিয়ে ভর্তির যত উদাহরণ দেখেছে, সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিল ব্যাপম। ব্যাপম কেলেঙ্কারির তদন্তের রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন অন্তত ৪৩ জনের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ হয়েছে। কারও মতে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসেবের দ্বিগুণ। কারও মতে তিনগুণ, কারও মতে ছয়গুণের বেশি। অভিযোগ, মৃতের তালিকায় যাঁরা, তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অথবা নিচুতলার সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতা ও আমলাদের দালালদের হাতে মোটা টাকা তুলে দিয়েছিলেন। মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী, বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুধাংশু মিত্তল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সুরেশ সোনি ও প্রভাত ঝার নাম। এ ছাড়াও নাম জড়িয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রী ও সাংসদের। সুপ্রিম কোর্ট পেনের এক খোঁচায় ৬৩৪ জন ডাক্তারের ডিগ্রি বাতিল করে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ব্যাপম কাণ্ডের সেই রহস্যের পর্দা আজও খোলেনি। কেন খোলেনি? এতো বড় দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের অগোচরে ছিল। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? ক’জন বিজেপি নেতাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে? আসলে, বিজেপির আদি বা নব্য, কোনও গোত্রের নেতার দুর্নীতিই সিবিআই বা ইডি খুঁজে পায় না। গেরুয়া শিবিরের তরফে অবধারিতভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়, দেশে সব দুর্নীতি করে বিজেপি বিরোধীরা। বিজেপি ‘ধোয়া তুলসী পাতা’!
যতদিন বিজেপি বিরোধী, ততদিন কেন্দ্রীয় সংস্থার দপ্তরে নিয়মিত ডাক। দল পাল্টে গৈরিকবর্ণ ধারণের পর সেই নেতাই আইনরক্ষকদের চোখে অদৃশ্য হয়ে যান। সমস্ত অপরাধ সাফ হয়ে যায় বিজেপিতে যোগ দিলেই। এমন নজির রয়েছে ভূরিভূরি। কে না জানে, মোদির লৌহপুরুষ সত্তার নির্মাণ হয়েছিল তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী যোদ্ধার পরিচিতির উপর নির্ভর করে। আর সেই মোদি জমানায় চলতি বছরে প্রকাশিত বিশ্ব দুর্নীতি সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৮৫। কী বলবেন, সূচকে গরমিল রয়েছে? আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এর ২০১৩ সালের এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, পরিকাঠামো, বিশেষ করে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় ঘুষের রমরমা অত্যধিক। কেন না, এই ব্যবসায় 
ঘুষের ফল পাওয়া যায় দ্রুত, এক হাত টাকা দেয়, অন্য হাতে চলে আসে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোর ছাড়পত্র। অর্থনীতির ভাষায় ‘পলিটিকাল রেন্ট সিকিং’, অর্থাৎ নেতানেত্রীরা তাঁদের ক্ষমতা ‘ভাড়া’ দেন বেআইনি কাজ করতে আর কব্জি ডুবিয়ে বুঝে নেন টাকা বা অন্য কিছু।
সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই লিখছেন, ‘বড় মাপের কোনও দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয় সাধারণত প্রভাবশালী কোনও নজরদার প্রতিষ্ঠান বা স্বাধীন মিডিয়া হাউসের তদন্তের ফলে। বিগত কয়েক বছরে যেভাবে প্রতিষ্ঠানগুলি অকেজো হয়ে গিয়েছে, মিডিয়া যেভাবে আপস করেছে, তাতে একটি সর্বশক্তিমান সরকারের পক্ষে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার উপর অস্বচ্ছতার পরত চাপিয়ে দেওয়া কোনও বিষয়ই নয় এখন আর। ‘রাইট টু ইনফরমেশন’-এর অল্প কিছু আবেদনেরই সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়। ‘সিএজি’ বা ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’-এর কোনও রিপোর্টই আর জনপরিসরে তর্কের বিষয় হয়ে নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাবতীয় জেহাদ, লোকপাল ইত্যাদি কার্যত উবে গিয়েছে আলোচনার পরিসর থেকে। মাঝেমধ্যে যদিও বা মিডিয়ার তরফে কোনও দুর্নীতির ঘটনার একটি শক্তিশালী তদন্তের আভাস পাওয়া যায়, তা নিয়ে সচরাচর ঠিকঠাক প্রচার চোখে পড়ে না।’ এটাই মোদি সরকারের খেলা। গেরুয়া শিবির জানে, কীভাবে খবর ধামাচাপা দিতে হয়। কীভাবে একটা খবর মুছে ফেলতে আরও একটা খবর তৈরি করতে হয়।
নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় প্রায়ই নিজের চৌকিদারিত্বের মহিমা বর্ণনা করতে করতে বলেন, আগে যে দুর্নীতিগ্রস্তরা দাপিয়ে বেড়াত, তাঁর জমানায় তাঁদের কেউ আদালতের চক্কর কাটছেন, কেউ জামিনে মুক্ত। কিন্তু, কর্ণাটকের বি এস ইয়েদুরাপ্পা? জমি এবং খনি, দুইটি বড় কেলেঙ্কারিতে জড়িত ইয়েদুরাপ্পা চতুর্থ বার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকে বিপজ্জনক নথি উদ্ধার হয়েছিল। অথচ, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসা ইস্তক সিবিআই সে বিষয়ে নীরব। যেমন, শিবরাজ সিং চৌহান। ব্যাপম কেলেঙ্কারির ঘটনায় সিবিআই তাঁরও দোষ খুঁজে পায়নি। যেমন, হেমন্ত বিশ্বশর্মা। গুয়াহাটিতে জল সরবরাহ কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত ছিলেন হেমন্ত। অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এমনকী এই অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরে বুকলেটও ছাপায়। অভিযোগ করা হয়, প্রকল্পটির কাজ পেতে আমেরিকান একটি ব্যবস্থাপক কোম্পানির থেকে তিনি ঘুষ নিয়েছেন। এমনকী মার্কিন বিচার বিভাগের বৈদেশিক দুর্নীতি নিরোধ আইন- ফরেন করাপ্ট প্র্যাক্টিসেস অ্যাক্টের আওতায় অসমের অজ্ঞাত একজন মন্ত্রীকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। এতকিছুর পরও যেই মাত্র হেমন্ত বিজেপিতে যোগ দিলেন, তখনই মামলাটির ভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসে বিজেপি। বর্তমানে সেই হেমন্ত বিশ্বশর্মাই অসমে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। যেমন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও জমি কেলেঙ্কারির মামলার এখন কী হাল, তা কেউই জানে না। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাত্র তাঁকে রাজ্যসভায় দলের এমপি বানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ নাই তুললাম। তাহলে উদাহরণের তালিকাটি দীর্ঘতর হবে। এতেই স্পষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে ভরবার মোদির শপথটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেউ প্রশ্ন করার নেই, দুর্নীতিতে বিজেপির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি’ কি শুধুমাত্র বিরোধীদের ক্ষেত্রেই? মোদির দুর্নীতি-বিরোধী স্লোগানকে এখন আরও বেশি করে রাজনৈতিক ভাষ্য ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।
এ এমন একটি দেশ, অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের মতে যেখানে ‘কালিমালিপ্ত পুঁজি’-র কোনও অভাব নেই। এ দেশ মানে, ‘তুমি তো প্রহর গোনো, তারা মুদ্রা গোনে কোটি কোটি।’ ফলে রাজ্যের সদ্য অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে অবাক হওয়ার কী আছে!
04th  August, 2022
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

৫ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) এবার সরাসরি হুমকি চিঠি দিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM