Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রোলব্যাক, টানটান রাজনৈতিক চিত্রনাট্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘পিটার... তুম মুঝে বাহার ঢুন্ড রহে হো, অওর ম্যায় তুমহারা ইঁয়াহা ইন্তোজর কর রাহা হুঁ’। ১৯৭৫ সাল। এই একটি ডায়লগ এবং তার সঙ্গে জন্ম লার্জার দ্যান লাইফ এক ইমেজের—অমিতাভ বচ্চন। হিন্দি ছবির চলন বদলে দিয়েছিল ‘দিওয়ার’। তারপর শুরু হল ট্রেন্ড... একজন হিরো, আর সে একাই একশো। মারছে, ভাঙছে, জয় করছে। পাবলিক সেটাই খেয়েছে। কিন্তু সময়ের নিয়মে ধীরে ধীরে তা থিতিয়েও গিয়েছে।
২০১৪ সাল। সেই লার্জার দ্যান ইমেজ আরও একবার ফিরল। এবার সংসদীয় রাজনীতিতে। নরেন্দ্র মোদি দেখালেন, তিনিই শেষ কথা। যা বলবেন, সেটাই হবে। যা করবেন, সেটাই মানবে ভারত। অনেকটা সলমন খানের সেই ডায়লগের মতো, ‘একবার অগর ম্যায় কমিটমেন্ট কর দি, তো ম্যায় খুদকি ভি নেহি সুনতা’। ঠিক তার চার বছরের মাথায় দিল্লির দেহাত কিষান মজদুরদের মহাপঞ্চায়েতে ভাষণ দিচ্ছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। সবে তখন ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করেছেন নরেন্দ্র মোদি। রাত আটটায় তাঁর জাতির উদ্দেশে ভাষণ মানেই দেশবাসীর কাছে আতঙ্ক। চর্চা তখন শুধু নোট নিয়ে। আর তার সঙ্গে ভোগান্তি। বেঙ্কাইয়া তাঁর বক্তব্যে টানলেন নোট বাতিলের প্রসঙ্গ। গর্বের সঙ্গে বললেন, ‘ওয়াপস লেনা মোদিজিকে খুন মে নেহি হ্যায়’। সিদ্ধান্ত ফেরান না নরেন্দ্র মোদি। ফেরাবেনও না। দেশবাসীর চোখে তখনও ‘আচ্ছে দিনে’র ধাঁধা। আম আদমি 
ভাবছে, মোদিজি যখন করেছেন, তখন তাতে 
ভালোই হবে। এখন খেতে পাচ্ছি না তো কী! সবুরে মেওয়া ফলে। ক’দিন পর ঠিক ভালো ভালো খেতে পাব। কালো টাকা সব সাদা হবে। ১৫ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট হবে। 
রোলব্যাক। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠা একটি শব্দ। আর সেটাই এখন প্রাসঙ্গিক ভারতে। মোদি জমানায়। আচ্ছে দিন আসেনি। বরং নরেন্দ্র মোদি পিছু হটেছেন। একের পর এক সিদ্ধান্তে। রাজনৈতিক অভিধান অনুযায়ী, রোলব্যাক। নোট বাতিলের পর দু’সপ্তাহে অন্তত চার ডজন সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছিল মোদি সরকার। কখনও বলা হয়েছিল, ব্যাঙ্কে গিয়ে যত খুশি পুরনো নোট বদলে আনুন। তারপরই আবার মোদি সরকার জানাল, ৪ হাজার টাকা সিলিং। এর বেশি একজন একবারে বদলাতে পারবে না। সেটাই আবার হঠাৎ নেমে এল দু’হাজারে। মানুষের তখন খাবি খাওয়ার মতো অবস্থা। রাতে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, পরদিন সকালে তাঁরা দেখছেন, সেটা আর নেই। নতুন ফরমান। নতুন নিয়ম। দেশ ভাবল, সংস্কার করতে গেলে এমন একটু হতেই পারে। কিন্তু জিএসটি? কত ছোট কোম্পানি সেই ধাক্কায় বন্ধ হয়েছে? মোদি সরকার নিশ্চয়ই হিসেবটা জানে। রাজ্যগুলিতে তার জন্য ক্ষতিপূরণ আজও দিয়ে চলেছে কেন্দ্র। পিএফের বিল আনলেন, বিতর্কের পর আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেও এলেন। জমি অধিগ্রহণ আইন এল... তা ফিরিয়েও নিলেন মোদিজি। ফেরানো অবশ্য তাঁর রক্তে নেই। তাও নিলেন। হয়তো জনস্বার্থে। লকডাউন ঘোষণা করে মোদিজি বললেন, যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু কীভাবে? খাবেন কী তাঁরা? থাকবেন কোথায়? রাস্তায়? উপায় মিলল না। শুরু হল হাঁটা। তারপর এল কৃষি আইন। অবরুদ্ধ দিল্লি সীমানা। বছর ঘুরল। কৃষকরা নড়লেন না। আর শেষে মোদিজি কী করলেন? রোলব্যাক। ক্ষমা চাইলেন। বললেন, আমরাই কৃষকদের একাংশকে বোঝাতে পারিনি। তাই বাতিল হচ্ছে তিন কৃষি আইন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের রুল এখন নির্ধারিত হয়নি। শ্রম কোড কার্যকর... সেও ঝুলে। আর তার মাঝেই ‘অগ্নিপথ’। আগুন জ্বলেছে দেশের সব প্রান্তে। যুব সমাজ গর্জে উঠেছে, সেনাবাহিনীতে ভর্তির নামে এই ধ্যাষ্টামো চলবে না। চার বছরের চাকরি! সেও কি হয়? ধরা যাক ৫০ হাজার নিয়োগ হল। চার বছর পর তাদের মধ্যে থাকবে মাত্র ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, সাড়ে ১২ হাজার। বাকিদের চাকরি নট। কেন? দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত বলেই না তারা বাহিনীর কঠিন জীবন বেছে নিয়েছে! কঠোর ট্রেনিংয়ে শরীরকে রোবটের মতো খাটিয়েছে তারা। সেই পরিশ্রমের, আবেগের মূল্য মাত্র চার বছরের চাকরি? ওই ব্যাচের ৪৫ হাজার যুবক-যুবতী যদি দক্ষ হয়, তাহলেও? সেই বিচার নিরপেক্ষ হবে তো? কিন্তু সিদ্ধান্ত সরকার নিয়ে ফেলেছে। পিছু তো হটা যাবে না! সেটা তো আবার রক্তে নেই! তাই মাঝের বছরগুলিতে আরও ছেলেমেয়ে যোগ দেবে বাহিনীতে। দাবি থাকবে তাদেরও। আরও একটা প্রশ্নের উত্তর কিন্তু মিলছে না... চার বছরই কেন? কোন অঙ্কে? এভাবেই কি মিলবে কর্মসংস্থানের সমীকরণ? প্রত্যেক বছর কোনও না কোনও বিধানসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী বলবেন, এই দেখুন, এক বছরে আমরা এত লক্ষ চাকরি দিয়েছি। হোক না চুক্তি-নিয়োগ। সরকারি চাকরি তো! মানতেই হবে, মোদি জমানায় কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির সংজ্ঞাটাই বদলে যাচ্ছে। চাকরি থাকবে, কিন্তু পেনশন নয়। চুক্তি শেষ হলেই একটা থোক টাকা হাতে ধরিয়ে বিদেয় দেওয়া যাবে। তারপর কেউ ধোপার কাজ করবে, কেউ নাপিত, কেউ নিরাপত্তারক্ষী। সরকারের দায়বদ্ধতা থাকছে না। অর্থনীতির ভাষায় লায়াবিলিটি। একজন স্থায়ী কর্মী মানে তাঁর বেতন, বছর বছর ইনক্রিমেন্ট, পেনশন, গ্র্যাচুইটি, অবসরের পরও চিকিৎসা খাতে টাকা জুগিয়ে যাওয়া... এক ধাক্কায় সব শেষ। সরকারি সংস্থাই যদি না থাকে, কর্মী থাকবে কীভাবে? তাই তো বেসরকারিকরণ! তেল, গ্যাসে ভর্তুকি—সে আরও একটা ভয়ানক লায়াবিলিটি। তার থেকেও মুক্তির দিশা খুঁজে নিয়েছে সরকার। দেশের অর্থনীতি যতই টালমাটাল করুক না কেন, দায় ঝেড়ে ফেলায় জুড়ি নেই এই সরকারের। বাকি ছিল দেশের নিরাপত্তা বুক দিয়ে আগলে রাখা সৈনিকরা। তার সঙ্গেও সমঝোতা শুরু হয়েছে। তাই জ্বলছে আগুন। এক্ষেত্রেও কি সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেনি কেন্দ্র? আপস কি করেনি? সেও করেছে। চলতি বছরের জন্য নিয়োগের বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে। এসেছে সংরক্ষণের ঘোষণাও। তাও মোদিজি নীরব। ট্রেন-বাসে আগুন লাগানো হয়েছে, যুব সম্প্রদায় উন্মত্তের মতো ‘অগ্নিপথে’র থেকে মুক্তি চেয়েছে, আত্মহত্যার খবর এসেছে... তাও মোদিজি একটি শব্দও এই ক’দিনে উচ্চারণ করেননি। একবার শুধু বলেছেন, অনেক ভালো কাজ রাজনীতির আড়ালে নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্লেষকরা টিভিতে আসর বসিয়েছেন—মোদিজি আসলে এটা অগ্নিপথ নিয়েই বলতে চেয়েছেন। কে গ্যারান্টি দেবে? নাম তো উনি করেননি! রবিবার থেকে আবার শোনা গেল নয়া তত্ত্ব—আন্দোলন নাকি আসলে পুরোটাই পরিকল্পিত। ২১ তারিখ পর্যন্ত বিহারকে উত্তপ্ত রাখার ছক কষা হয়েছিল। সত্যিই কি তাই? এটা একটু কাঁচা খেলা হয়ে গেল না? আসলে একটা প্রকল্পের ঘোষণায় এমন দক্ষযজ্ঞ হবে, তা মোদি সরকার ঠাহর করতে পারেনি। তাই এখন এসকেপ রুটের খোঁজ চলছে। যদি একবার বিক্ষোভ-আন্দোলনের ব্যাপারটাকে বিরোধী বা কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর পরিকল্পনা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়, তাহলেই তো কেল্লাফতে! আবার নজর ঘুরে যাবে মানুষের। দেশবাসী আরও একবার বিশ্বাস করবে, মোদিজি ভালো করতে চান। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল করতে দেয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী এখনও চুপ। এই মৌনব্রত চলবে। কারণ তিনি জানেন, কিছু বলা মানেই তাঁকে এসপার বা ওসপার বেছে নিতে হবে। হয় বলতে হবে, অগ্নিপথ মিশন ঘোষণা করেছি, বেশ করেছি। এটা থাকবে। আর না হলে রোলব্যাক। দুই ক্ষেত্রেই ইমেজে ধস নামার সমূল সম্ভাবনা। কারণ, পিছু হটা তাঁর রক্তে নেই।
লার্জার দ্যান লাইফ... এই ইমেজ সত্যিই কি আর বেঁচেবর্তে আছে? থাকলে তিনি কি সিদ্ধান্তের ইগোয় আটকে থাকতেন? দাঁড়াতেন মানুষের সামনে। বলতেন, আপনারা মহাত্মা গান্ধীর দেশের মানুষ। হিংসা আপনাদের পথ নয়। বোঝাতেন তিনি 
প্রকল্পের সুফল। দাঁড়াতেন নতুন প্রজন্মের পাশে। কিন্তু তিনি মায়ের শতবর্ষ পালন করছেন। লিখছেন আব্বাসের কথা। নরেন্দ্র, আর আব্বাস এই দুই ছেলে হিরাবেনের। একসঙ্গে বড় হয়েছেন তাঁরা। এর আগেও বহুবার অতীত হাতড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন মায়ের কথা, বাবার চায়ের দোকান, কষ্টের ছেলেবেলার কথা। আব্বাস? মনে পড়ে না। তাহলে হঠাৎ এখন কেন? এবার কি তাহলে বিভাজনের রাজনীতি থেকে রোলব্যাক?
পুনশ্চ: নরেন্দ্র মোদির মা হিরাবেনের নামে রাস্তার নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত।
21st  June, 2022
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM