Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার
ট্র্যাডিশন সমানে চলছে ...
হিমাংশু সিংহ

জওহরলাল নেহরু থেকে হালের নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ইতিহাসকে নিজের মতো করে তুলে ধরার চেষ্টায় খামতি নেই কোথাও। নেহরু-গান্ধী পরিবারের আখ্যানে দেশের শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান নেতাজি সুভাষের ভূমিকাকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর করার প্রয়াস আজও অব্যাহত। বারে বারে যা নিয়ে গর্জে উঠেছেন ইতিহাসবিদরা। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করেই যত আলো আর গৌরব বর্ষিত হয়েছে মহাত্মা গান্ধীর আশীর্বাদধন্য একটি বিশেষ পরিবার ও তার বশংবদদের উপর। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সিংহভাগই ছিল ওই পরিবারেরই নিয়ন্ত্রণে। আর আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছরের অমৃত মহোৎসব পালনের ঠিক প্রাক্কালেও সেই একই ঘটনার আশ্চর্য পুনরাবৃত্তি। সমাপতনও বলা যায়। এবার পরিবার নয়, একটি সাম্প্রদায়িক দলের হাতে বন্দি দেশের ইতিহাস। অতীত বিচ্যুতি সংশোধনের নামে শুরু হয়েছে বিভাজনের তাস খেলার আরও সঙ্কীর্ণ প্রয়াস। রাষ্ট্রক্ষমতা একটি দল, একটি পরিবার কিংবা একক ব্যক্তিত্বের হাতে বন্দি হলে ক্ষমতার অহঙ্কারে ইতিহাসকে নিজের মতো করে চালিত করার নেশা শাসককে পেয়ে বসে বারেবারে। ইতিহাসই তার সাক্ষী! আজ একবিংশ শতাব্দীতেও তার নগ্ন চেহারা দেখা যাচ্ছে আরএসএস ও বিজেপির হাত ধরে। ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, ভারতের সনাতন সহাবস্থান ও ‘মিলাবে মিলিবে’-র মহান আদর্শ। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভাবনাই তাই আজ বড় বিপন্ন। 
কাশী বিশ্বনাথ ও জ্ঞানবাপীর পাশাপাশি থাকার ইতিবৃত্ত তো আজকের নয়। কয়েকশো বছরের পুরনো। মোঘল আমলের। তা নিয়ে বিতর্কও নতুন নয়। হঠাৎ আজ মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক সঙ্কট আর কাজ হারিয়ে বেকার হওয়া মানুষের দুঃসময়ে আওরঙ্গজেবের তাণ্ডবকে খুঁচিয়ে তুলে কোন স্বার্থসিদ্ধি হবে? কার লাভ এতে? জ্ঞানবাপীর ইতিহাস নতুন করে লিখে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রে বাহবা কুড়বে হিন্দুত্ববাদীরা। ভোটের বাক্স ভরে উঠবে হিন্দি বলয়ে। তাই সব ভুলিয়ে মন্দিরের পরিধি বিস্তারের লক্ষ্যেই কি এই ‘মামলা মামলা’ খেলার সুচিন্তিত স্ক্রিপ্টের অবতারণা। 
মথুরার কৃষ্ণ জন্মস্থানের পাশেই ঈদগার উপস্থিতি নিয়েও বিতর্ক বড় কম হয়নি। শেষে ১৯৬৮ সালে একটা সমঝোতা হয়। তারপর দীর্ঘদিন সব শান্তই ছিল। কিন্তু ওই যে সেদিন মোদিজি বলেছেন, এখনও অনেক কাজ তাঁর বাকি। কাজ বলতে তো দারিদ্র্য দূর করার কথা বলেননি তিনি। কর্মসংস্থানের অভীষ্ট লক্ষ্যপূরণও নয়। পরিযায়ী শ্রমিকের দুঃখমোচনও টার্গেট নয়। এজেন্ডা একটাই হিন্দুরাষ্ট্র গড়া। তাই মথুরাতেও সমঝোতা ভেঙে নতুন করে নিজেদের খেলায় মেতেছে হিন্দুত্ববাদীরা। মহামান্য আদালত চোর পুলিস ঠগ বাটপাড় ছেড়ে মন্দির মসজিদ বিরোধ মেটাতেই আজ হিমশিম। নির্বাচনী বৈতরণী পেরতে ওটাই আজ শাসকের প্রধান মূলধন যে!
মোদি জমানায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ বলেই অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে নবরূপে গড়ে ওঠা রামমন্দিরের উদ্বোধন কবে, তা এখনও ঘোষণা হয়নি। সেই প্রহর গুনছে অযোধ্যা। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগেই চোখ ধাঁধানো মন্দিরের যে আত্মপ্রকাশ ঘটবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। তিন দশক পর সেখানে রামমন্দির গড়ে নয়া ইতিহাস তৈরির পথে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার চেয়েও বড় লক্ষ্য, চব্বিশের আগেই কাশী বিশ্বনাথ ও মথুরার কৃষ্ণ জন্মস্থানের শুদ্ধিকরণ। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কারের সঙ্গেই যুগ যুগ ধরে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা জ্ঞানবাপী মসজিদেরও অস্তিত্ব প্রায় বিলোপ করে মন্দির সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। সবমিলিয়ে হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ। ঘটা করে আইনি সক্রিয়তা বাড়ানো তারই অঙ্গ। প্রাচীন পুষ্করিণী থেকে কখনও মিলছে শিবলিঙ্গ, কখনও ত্রিশূল। ঘিরে রাখা হয়েছে বিতর্কিত গোটা এলাকা। মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার কোর্টে সিল করা খামে গোপনে পেশ করা সমীক্ষক সংস্থার সেইসব রিপোর্টও নিমেষে চলে আসছে মিডিয়ার হাতে। সবই হিন্দুত্ববাদীদের কৃপায়। যখন এমনটা হয়, তখন কেন্দ্রের শাসক দলের মনের ইচ্ছেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। ঠিক সেই দেখানো পথেই অগ্রসর হয় প্রশাসন। ফলে বিজেপি ও আরএসএসের এজেন্ডা অনুসরণ করেই কাজ চলছে। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনছেন মহামান্য বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর ঐতিহাসিক রায়ই অযোধ্যায় মন্দির তৈরির পথ প্রশস্ত করেছে। এবার জ্ঞানবাপী নিয়েও তাঁর সাড়া জাগানো রায় শোনার অপেক্ষায় দেশ। তারপর কৃষ্ণজন্মস্থান মথুরা। আরও কত আছে! ওই জন্যই তো একান্তে মোদিজি বলেছেন, বহু কাজ বাকি! সমঝদারদের জন্য ওই ইশারাটুকই যথেষ্ট। তার থেকেই নিন্দুকেরা বলছেন, জিতে এলে চব্বিশ থেকে ঊনত্রিশ তিনিই প্রধানমন্ত্রী। টানা ১৫ বছর। নেহরুকে ছুঁয়ে ফেলার মাহেন্দ্রক্ষণ। একইসঙ্গে মুছে ফেলারও। ২০২৬ সালে তাঁর বয়স ৭৫ অতিক্রম করলেও আপাতত অমিত শাহ কিংবা যোগী আদিত্যনাথের ভাগ্যে শিকে ছিড়বে না। আদবানি-যোশির মতো তাঁকে বানপ্রস্থেও যেতে হবে না। হিন্দুত্বের যাবতীয় এজেন্ডা পূরণ করে তবেই তিনি থামবেন। তার আগে নয়। 
কিন্তু হঠাৎ এই তাড়াহুড়োটা কেন? সব ফেলে একটা মসজিদ নিয়ে দেশ উত্তাল কেন? এতে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে, না বাড়ির বেকার ছেলেটা চাকরি পাবে! না, কিছুই হবে না। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার কোনও চেষ্টাই সফল হবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে ধর্মের এই আফিম বিতরণের পথে এগচ্ছেন মোদি সরকারের বাজনদাররা। যুক্তিবাদী বিজ্ঞান শিক্ষায় পারদর্শী এই দেশে এখনও যে শেষ কথা বলে ধর্ম, কুসংস্কার আর অদৃষ্টের দোহাই! ধুরন্ধর রাজনীতিকদের তা জানতে বাকি নেই!
শুধু হিন্দুত্ববাদের প্রসারই নয় সামরিক সাফল্যের নিরিখেও অতীত ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে মরিয়া চেষ্টা চলছে বর্তমান গেরুয়া জমানায়। ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ২০০১ ভারতের সামরিক ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী ও বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অটলবিহারী বাজপেয়ির যুদ্ধজয়ের সেই গৌরব গাথাও মুছে দিতেও তৎপরতা তুঙ্গে। সদর্পে বলা হচ্ছে, আগে কোনও সুস্পষ্ট সামরিক নীতিই ছিল না দেশটার। ২০১৪ সালে সরকারে এসে নরেন্দ্র মোদিই প্রথম সুস্পষ্ট প্রতিরক্ষা নীতি ও কৌশল তৈরি করেন। অথচ চীন ও রাশিয়ার যে চোখ রাঙাচ্ছে। আমেরিকা যেমন ইচ্ছা নাচাচ্ছে, সেকথা বলা মানা। কিন্তু এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো কোনও সার্বিক বিরোধী জোট যেমন নেই, তেমনি সম্মিলিত প্রতিবাদও শোনা যাচ্ছে না। এটাই এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য!
উল্টে জোট যাতে না হয় সেজন্য একদল সক্রিয়। কংগ্রেসের ‘পাপ্পু’ রাহুল গান্ধী তো বলেই দিয়েছেন, আঞ্চলিক দলের জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, কংগ্রেসকেই নেতৃত্বে মেনে নিতে হবে। এই অবস্থায় বিরোধী জোটও সোনার পাথরবাটি ছাড়া এখনও কিছুই নয়। রাহুল গান্ধী নিজের নাক কেটে অন্য বিরোধী শক্তির যাত্রাভঙ্গের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন উদয়পুরের পাঁচতারা রিসর্টে। সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর তাঁর দল শক্তিশালী হওয়ার বদলে আরও ভাঙছে। আর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর রাগে হোক কিংবা অভিমানে সাফ বলে দিয়েছেন, হিমাচল ও গুজরাতেও ভরাডুবির জন্য তৈরি থাকুক কংগ্রেস। বলা বাহুল্য, উত্তর ভারতে হঠাৎ বিরোধী ভোট ভাঙতে নতুন শক্তির উদয় হচ্ছে। রাজ্যে রাজ্যে ভোট কেটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ আখেরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছে। আরও দেবে। এতে শুধু ভোট ভাগই হবে না, বিরোধী জোটের পথে কাঁটা ছড়িয়ে বিজেপির সুবিধাও করে দেবে বিভিন্ন দল।
আর পশ্চিমবঙ্গে যথারীতি চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুঘলকি আচরণ। দুর্নীতি কেউ সহ্য করে না। তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থাই সময়ের দাবি। কিন্তু সিবিআইকে দেখে মনে হচ্ছে, আর সব রাজ্য সরকার আর তার মন্ত্রীরা বুঝি ধোয়া তুলসিপাতা। তাই সব কেন্দ্রীয় এজেন্সির একমাত্র গন্তব্য বাংলা। রাজ্যের এই বদনামও মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দুর্নীতির সমর্থক নই। দুর্নীতিপরায়ণদের পক্ষেও নেই। অপরাধ করলে তার কঠোরতম শাস্তি হওয়াই উচিত। এক্ষেত্রে কোনও দল-রং দেখা চলবে না। কিন্তু একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রয়োজনে শুধু একটা রাজ্যে সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নামিয়ে দেওয়ার এই কুনাট্যও বন্ধ হওয়া উচিত।
22nd  May, 2022
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM