Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উচ্চশিক্ষা কি গরিবের
হাতের বাইরে যাচ্ছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না। কলকাতা অথবা জেলার ব্র্যান্ডেড নামজাদা সরকারি অথবা স্পনসর্ড স্কুল বাদ দিলে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির চিত্রটি খুব উজ্জ্বল নয়। মুখে বাংলার জয়গান গাইলেও আমরা ক্রমেই ইংরেজি মাধ্যমের দিকে অগ্রসর হয়ে গিয়েছি, সেটা অত্যন্ত পুরনো ইস্যু। সকলেই জানে। কিন্তু নতুন যে প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে সেটি বেশ উদ্বেগজনক। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাজ্য শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব জাতীয়স্তরে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করা অথবা চাকরি পাওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে যে পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হতে হবে, সেগুলি ক্রমশ চলে যাচ্ছে দিল্লির হাতে। 
দ্বাদশ পর্যন্ত বাংলা বোর্ডে পড়াশোনা করার পর স্বচ্ছন্দে উচ্চশিক্ষার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার ইতিহাস আমাদের ছিল। চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার উদাহরণও অন্তহীন। কিন্তু এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষায় এবং উচ্চমানের চাকরি পেতে হলে, শুধুই 
প্রথাগত শিক্ষা যথেষ্ট হচ্ছে না। সমান বিপজ্জনক প্রবণতা হল, যে কোনও উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা ভারত সরকারের আওতায় থাকা কোনও পরীক্ষা পরিচালন সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। অথবা বেসরকারি হাতে। যা নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভও হয়েছে। মামলা মোকদ্দমা চলছে। পরিস্থিতিটি এমন করা হচ্ছে যে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্তরের বোর্ড যারা ছোট থেকেই অনুসরণ করেছে, তাদের উত্তীর্ণ হওয়া ও সুযোগ পাওয়ার সুবিধা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। সিবিএসই স্কুলের সংখ্যা নগণ্য গোটা দেশের রাজ্য বোর্ডের তুলনায়। অথচ আইআইটিতে সবথেকে বেশি চান্স পাওয়া ছাত্রছাত্রীই আসে কেন্দ্রীয় বোর্ড থেকেই। প্রধানত সিবিএসই। এটা এক আশ্চর্য প্রবণতা। এই প্রবণতার কারণ অনেক গভীরে। সিবিএসই স্কুল সাধারণত বেসরকারি হয়। সরকারি খুব কম। আর এই স্কুলগুলিতে পড়তে হলে অভিভাবকদের আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে। 
এই ছাত্রছাত্রীরা সচরাচর একটা সময় পর পৃথক কোর্সে ভর্তি হয় উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ার জন্য। সেই আর্থিক ব্যয়ও অনেক। আর ঘটনাচক্রে সুযোগও পায় তারা অনেক বেশি। এর পাশাপাশি আছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ও চাকরি পাওয়ার একটি বিস্ময়কর প্রবণতা। অতীতে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পাওয়ার পর একটা চাকরি পাওয়া যেত। এখন কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাশ করার পর আবার একটা ম্যানেজমেন্ট কোর্স করা হয়। যার খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা। সকলেই কি ম্যানেজমেন্ট কোর্স করে দুর্দান্ত উচ্চমানের চাকরি পাচ্ছে? না পাচ্ছে না। যত টাকা ব্যয় করে ম্যানেজমেন্ট পড়ছে, সেই তুলনায় তাদের বেতন হচ্ছে হতাশজনক। আবার এর সঙ্গেই প্রশ্ন, দেশ এবং বিদেশ থেকে এই যে এত ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার প্রতিষ্ঠান এবং লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে ম্যানেজমেন্ট পড়ে যোগ দিচ্ছে নানাবিধ সংস্থায়, তাহলে আর্থিক মন্দায় সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া, অবাধে কর্মী ছাঁটাই, বিভিন্ন ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া—এসব ঘটছে কেন? 
ভারতে ১৫ লক্ষাধিক স্কুল আছে। এর মধ্যে  দ্বাদশ ক্লাস পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। এই দেড় লক্ষ হাইস্কুলের মধ্যে দেশে সিবিএসই স্কুলের সংখ্যা ২৪ হাজার। বাকি ১ লক্ষ ২৫ হাজার মতো স্কুল রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্গত। আর বাকি রয়ে যাওয়া স্কুলগুলি আইসিএসই, আইবি কিংবা অনুমোদনহীন। সিবিএসই স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লক্ষাধিক। কিন্তু শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য উচ্চ শিক্ষা সংসদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই হল সাড়ে ৮ লক্ষ।  সব রাজ্য মিলিয়ে রা঩জ্যের শিক্ষা বোর্ড যোগ করলে সংখ্যাটি কোথায় যাবে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু ‘কেরিয়ার সিক্সটি’ নামক একটি সংস্থা সমীক্ষা করে এক আশ্চর্য তথ্য পেয়েছে। আইআইটি, ট্রিপল আইটি, এনআইটি, সিএফটিআই ইত্যাদি উচ্চশিক্ষার পরীক্ষায় যারা চান্স পেয়েছে, তাদের মধ্যে  ৫৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই  এসেছে সিবিএসই বোর্ড থেকে। মাত্র ৩৫ শতাংশ এসেছে রাজ্য বোর্ডগুলি থেকে। অর্থাৎ দেশজুড়ে কম স্কুল থাকা সত্ত্বেও সিবিএসই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরাই বেশি সুযোগ পাচ্ছে। উচ্চশিক্ষায়। কারিগরি শিক্ষায়। এর পিছনে কারণ কী? রাজ্য বোর্ডে খারাপ মেধা আর কেন্দ্রীয় বোর্ডে ভালো মেধার পড়ুয়ারাই থাকে, এটা তো হতে পারে না! তাই সমস্যাটি চিহ্নিত করা দরকার। 
২০১৮ সালে আইআইটি কানপুর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল আইআইটির ১১৯৬১ আসনের মধ্যে ৬৬০০ ছাত্রছাত্রীই এসেছে সিবিএসই স্কুল থেকে। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি সিবিএসই। বাকি সব রাজ্যের বোর্ড মিলিয়ে অর্ধেক। এই প্রবণতার এখানেই শেষ হচ্ছে না। আরও বেশি করে ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যে চলে যাচ্ছে একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা, উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা। ক্যাট, জয়েন্ট, নিট, এইমস এসব তো ছিলই। এখন আবার নতুন করে স্থির হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট।  বিশেষ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর শুধুই রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডে পড়াশোনা করে উচ্চমানের নম্বর নিয়ে এসে কলেজগুলিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের ধাঁচ কেন্দ্রীয় বোর্ডের মতোই হবে। যা সিবিএসই, আইসিএসইর ছাঁদে 
তৈরি হবে। অর্থাৎ ওই বোর্ডগুলিতে পড়া পড়ুয়াদের সুবিধা হবে কিছুটা। আর এভাবে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটিকেও তাৎপর্যহীন করে দেওয়া হচ্ছে। সকলেই তো প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতেই মন দেবে। 
এই গোটা প্রক্রিয়ায় এতক্ষণ যে বিষয়টি আলোচনার বাইরে রয়ে গেল, তা হল, সূক্ষ্মভাবে দেখলে বোঝা যাবে, উচ্চশিক্ষার অঙ্গনটি ক্রমেই গরিব মানুষের আওতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। সিবিএসই চালিত বেসরকারি স্কুলে পড়ার ক্ষমতা সকলের নেই। সেই স্কুলে পড়ার পাশাপাশি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার যে বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি আছে, সেখানেও ভর্তি হয়ে কয়েক বছর ধরে পড়ার আর্থিক সক্ষমতাও সকলের নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর আবার নামজাদা ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার অর্থনৈতিক জোর এই গরিব মানুষের দেশে কতজনের আছে? সর্বোপরি রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডের গুরুত্ব কমিয়ে আনা হচ্ছে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা অথবা চাকরি উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে। 
এটা কি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে? এই ফর্মুলার পিছনে প্রকৃত লক্ষ্য কী? শিক্ষাব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে রাজ্যের হাত থেকে বের করে আনা? কিন্তু যত বেশি রাজ্যের হাতে শিক্ষাপ্রদানের অধিকার কমতে থাকবে, ততই গরিবের পক্ষে শিক্ষার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ কমবে। 
উচ্চশিক্ষার সুযোগ শুধু নয়, যে কোনও কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরিকাঠামো প্রধানত গ্রামীণ গরিবের কাছে নেই। শহুরে ছাত্রছাত্রী যে কোনও এক্সট্রা লার্নিং সেন্টার তাদের শহরে একাধিক পেয়ে যায়। গ্রাম সেটা পায় না। গ্রামের গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীর কাছে তাই রাজ্য সরকারের পরিচালিত স্কুল কলেজই একমাত্র ভরসা। আর্থিক সঙ্কট তো সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা। করোনকালে অনলাইন ক্লাস করাই ছিল নিয়ম। কেমন ছিল গ্রামীণ ভারতের করোনাকালের পড়াশোনা? অ্যানুয়াল স্টেট অফ এডুকেশন রিপোর্ট ২০২০ সমীক্ষা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গ্রামীণ ভারতের ৬৬ শতাংশ ছেলেমেয়ে ওই গোটা করোনাকালে স্কুল থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। পড়াশোনা হয়নি। কেন? কারণ ঘরে একটা‌ও স্মার্টফোন নেই! 
20th  May, 2022
চাকরির আকাল ঘোচাবে
মমতার সাইকেল শিল্প
হারাধন চৌধুরী

আমরা আশা রাখব, খড়্গপুরের প্রস্তাবিত সাইকেল পার্ক বাংলার সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেরই এক সোনালি অধ্যায় হয়ে উঠবে। রাজ্যের বিপুল চাহিদাকে পাথেয় করে সাইকেল কারখানার সংখ্যাও বাড়বে ধীরে ধীরে। সাইকেল শিল্পের পথ ধরেই গড়ে উঠবে যন্ত্রাংশ ও টায়ার শিল্প। জোয়ার আসবে বাংলার চাকরির বাজারে।
বিশদ

চাকরির ভরসা... দায় সরকারের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকারও আট বছরের ‘সাফল্য কাহিনি’ প্রচারের জন্য কোমর বাঁধছে। দেশজুড়ে বোঝাতে হবে, এটাই আচ্ছে দিন। আগে কিছুই ছিল না। যা করেছে, মোদি সরকার। সেই ঢক্কানিনাদে চাপা পড়ে যাবে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত ছেলেমেয়েদের কণ্ঠ। কেউ পাগল হয়ে যাবে, কেউ মানবতার আদর্শ হারিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
বিশদ

24th  May, 2022
চাই নয়া নীতি, সাহস, স্বচ্ছতা ও গতি
পি চিদম্বরম

যেসব পরিশ্রমী পরিবার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য তাদের যথাসর্বস্ব ব্যয় করে দেখছে চাকরিই নেই—মোদি সরকার তাদের হতাশ করেছে। হিন্দুত্বের আবেগে ভাসিয়ে দিয়ে মোদি সরকার হয়তো সাময়িকভাবে পিঠ বাঁচাতে পারবে, কিন্তু  তরুণরা অচিরেই বুঝতে পারবেন যে হিন্দুত্ব (এবং একটি মেরুকৃত ও বিভক্ত সমাজ) কাউকে চাকরি দেবে না—তিনি নারী/পুরুষ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, অন্যকোনও ধর্মবিশ্বাসী কিংবা নাস্তিক যেটাই হোন না কেন। বিশদ

23rd  May, 2022
ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার
ট্র্যাডিশন সমানে চলছে ...
হিমাংশু সিংহ

সব ফেলে একটা মসজিদ নিয়ে দেশ উত্তাল কেন? এতে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে, না বাড়ির বেকার ছেলেটা চাকরি পাবে! না, কিছুই হবে না। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার কোনও চেষ্টাই সফল হবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে ধর্মের এই আফিম বিতরণের পথে এগচ্ছেন মোদি সরকারের বাজনদাররা।
বিশদ

22nd  May, 2022
অনলাইন পরীক্ষায় ফিরতে
পারে নকশাল আমলের লজ্জা
তন্ময় মল্লিক

‘ভারতরত্ন’ এপিজে আব্দুল কালামের কথায়, ‘ফেল (FAIL) মানে ফার্স্ট অ্যাটেম্পট ইন লার্নিং। অর্থাৎ শেখার প্রথম ধাপ। বিফলতাই সফল হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে।’ অনলাইনে বই দেখে লিখে পাশ করলে সেই রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অনলাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দায়িত্ব শুধু শিক্ষক, অধ্যাপকদের ঘাড়ে চাপালেই চলবে না, সন্তানদের অন্যায় আবদারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে অভিভাবকদেরও। বিশদ

21st  May, 2022
তাজমহলের নিয়তি!
মৃণালকান্তি দাস

রামমন্দির আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়! বলেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। তাঁর দাবি, এই পথেই রামরাজ্যের দিকে দেশ যাত্রা শুরু করেছে।
বিশদ

19th  May, 2022
বিদ্বেষের এই পাশাখেলা...
সন্দীপন বিশ্বাস

মিথ্যা প্রচার কিংবা বিদ্বেষ যে কোনও সরকারের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে, মোদি অ্যান্ড কোম্পানিকে না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। সরকার এই দু’টো ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিদিন ভারতের গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে।
বিশদ

18th  May, 2022
কানে ‘কান্ট্রি অব অনার’-এর মর্যাদা পেল ভারত
অনুরাগ সিং ঠাকুর

ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার নিস্তব্ধ উপকূলে এখন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫ তম সংস্করণ আয়োজনের ব্যস্ততা। এবছর ‘মার্শে ডু ফিল্মস’-এর উদ্বোধনী সন্ধ্যার মূল ভাবনার দেশ হিসেবে ভারত বিশ্বের দর্শকদের সামনে দেশীয় চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং গল্প বলার অসামান্য ঐতিহ্য তুলে ধরতে চায়।
বিশদ

18th  May, 2022
কামরাজ প্ল্যানেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মোদি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছুতেই বিরোধী শক্তির সামনের সারিতে আসতে না পারেন—এটাই লক্ষ্য বিজেপির। বরং এলেবেলের স্তরে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস যত খুশি গুরুত্ব পাক, ক্ষতি নেই। কিছুতেই যেন জোটের জমি শক্ত না হয়। তাহলেই মানুষ বিকল্প না খুঁজে মোদিজিতে ফের আস্থা রাখবেন। চব্বিশেও পদ্ম ফুটবে সংসদে। বিশদ

17th  May, 2022
ভালো, খারাপ ও সন্দেহজনক
পি চিদম্বরম

যদি মহিলাদের একটি বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন এবং শিশুদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ কম ওজনের কিংবা রক্তাল্পতার শিকার হয়, পাশাপাশি অনেক শিশু স্টান্টেড অথবা ওয়েস্টেড হয়, তবে তার কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। আমার মনে হয় যে খাদ্যের অভাব হল, দারিদ্র্যের একটি নির্ধারক সূচক। একজন খুদে ভগবানের সন্তান হিসেবে ওই গরিব মানুষগুলিকে এই সরকার ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বিশদ

16th  May, 2022
মোদির শাসনে শিক্ষা
ক্রমেই ধনীর পণ্য!
হিমাংশু সিংহ

কোভিডে কত পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তার হিসেব কে রাখে। তাদের এখন স্কুলে পাঠাবে কে? এই ব্যাপক ড্রপ আউট সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। অথচ আর পাঁচটা ব্যর্থতা নিয়ে নির্লিপ্ত থাকার মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে কুলুপ। সরকার বাহাদুর এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত। গরিবের ঘরে পড়াশোনার আলো জ্বেলে তো আর চব্বিশে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হবে না। তাই সেই দিকে নজর নেই কারও। বিশদ

15th  May, 2022
দিশা দেখাতে এসে ডুবিয়ে গেলেন ‘চাণক্য’
তন্ময় মল্লিক

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দলের কোন্দল মেটানো এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের পথ বাতলানো।
বিশদ

14th  May, 2022
একনজরে
আশা জাগিয়েও এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে থামল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলামের দৌড়। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে পরাজিত করে কেরলের দলকে। ...

অনলাইন নাকি অফলাইন? গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের একাধিক পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে তা চলতি মাসেই ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ। ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদেরও একই দাবি।  ...

মাস দু’য়েক আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ভেস্তে যায়। পুতিনের স্বাস্থ্য ঘিরে জল্পনার মধ্যে এমনই স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের এক সামরিক কর্তার। তাঁর দাবি, ইউক্রেনে মস্কোর অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই এই চেষ্টা হয়েছিল। ...

কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বাগানপাড়ায় পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ভাই-বোনের। মৃতদের নাম দেবিকা টুডু(৫) ও দীপ টুডু(৩)। দুই শিশুর আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৬.৭৩ টাকা ৭৮.৪৭ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৯৯ টাকা ৯৯.৩৮ টাকা
ইউরো ৮১.৬৪ টাকা ৮৪.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী ১৪/০ দিবা ১০/৩৩। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৫/৫৭ রাত্রি ১১/২০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী দিবা ১/৩৮। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৩ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ১৪ রানে জিতল আরসিবি
 

12:23:11 AM

আইপিএল: লখনউ ১৫৩-৩ (১৬ ওভার)
 

11:51:43 PM

আইপিএল: লখনউ ৮৯-২ (১০ ওভার)
 

11:17:05 PM

আইপিএল: লখনউ ৪৫-২ (৫ ওভার)
 

10:48:59 PM

আইপিএল: লখনউকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল আরসিবি
 

10:07:23 PM

আইপিএল: আরসিবি ১২৩-৪ (১৫ ওভার)

 

09:37:03 PM