Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উচ্চশিক্ষা কি গরিবের
হাতের বাইরে যাচ্ছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না। কলকাতা অথবা জেলার ব্র্যান্ডেড নামজাদা সরকারি অথবা স্পনসর্ড স্কুল বাদ দিলে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির চিত্রটি খুব উজ্জ্বল নয়। মুখে বাংলার জয়গান গাইলেও আমরা ক্রমেই ইংরেজি মাধ্যমের দিকে অগ্রসর হয়ে গিয়েছি, সেটা অত্যন্ত পুরনো ইস্যু। সকলেই জানে। কিন্তু নতুন যে প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে সেটি বেশ উদ্বেগজনক। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাজ্য শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব জাতীয়স্তরে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করা অথবা চাকরি পাওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে যে পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হতে হবে, সেগুলি ক্রমশ চলে যাচ্ছে দিল্লির হাতে। 
দ্বাদশ পর্যন্ত বাংলা বোর্ডে পড়াশোনা করার পর স্বচ্ছন্দে উচ্চশিক্ষার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার ইতিহাস আমাদের ছিল। চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার উদাহরণও অন্তহীন। কিন্তু এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষায় এবং উচ্চমানের চাকরি পেতে হলে, শুধুই 
প্রথাগত শিক্ষা যথেষ্ট হচ্ছে না। সমান বিপজ্জনক প্রবণতা হল, যে কোনও উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা ভারত সরকারের আওতায় থাকা কোনও পরীক্ষা পরিচালন সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। অথবা বেসরকারি হাতে। যা নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভও হয়েছে। মামলা মোকদ্দমা চলছে। পরিস্থিতিটি এমন করা হচ্ছে যে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্তরের বোর্ড যারা ছোট থেকেই অনুসরণ করেছে, তাদের উত্তীর্ণ হওয়া ও সুযোগ পাওয়ার সুবিধা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। সিবিএসই স্কুলের সংখ্যা নগণ্য গোটা দেশের রাজ্য বোর্ডের তুলনায়। অথচ আইআইটিতে সবথেকে বেশি চান্স পাওয়া ছাত্রছাত্রীই আসে কেন্দ্রীয় বোর্ড থেকেই। প্রধানত সিবিএসই। এটা এক আশ্চর্য প্রবণতা। এই প্রবণতার কারণ অনেক গভীরে। সিবিএসই স্কুল সাধারণত বেসরকারি হয়। সরকারি খুব কম। আর এই স্কুলগুলিতে পড়তে হলে অভিভাবকদের আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে। 
এই ছাত্রছাত্রীরা সচরাচর একটা সময় পর পৃথক কোর্সে ভর্তি হয় উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ার জন্য। সেই আর্থিক ব্যয়ও অনেক। আর ঘটনাচক্রে সুযোগও পায় তারা অনেক বেশি। এর পাশাপাশি আছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ও চাকরি পাওয়ার একটি বিস্ময়কর প্রবণতা। অতীতে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পাওয়ার পর একটা চাকরি পাওয়া যেত। এখন কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাশ করার পর আবার একটা ম্যানেজমেন্ট কোর্স করা হয়। যার খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা। সকলেই কি ম্যানেজমেন্ট কোর্স করে দুর্দান্ত উচ্চমানের চাকরি পাচ্ছে? না পাচ্ছে না। যত টাকা ব্যয় করে ম্যানেজমেন্ট পড়ছে, সেই তুলনায় তাদের বেতন হচ্ছে হতাশজনক। আবার এর সঙ্গেই প্রশ্ন, দেশ এবং বিদেশ থেকে এই যে এত ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার প্রতিষ্ঠান এবং লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে ম্যানেজমেন্ট পড়ে যোগ দিচ্ছে নানাবিধ সংস্থায়, তাহলে আর্থিক মন্দায় সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া, অবাধে কর্মী ছাঁটাই, বিভিন্ন ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া—এসব ঘটছে কেন? 
ভারতে ১৫ লক্ষাধিক স্কুল আছে। এর মধ্যে  দ্বাদশ ক্লাস পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। এই দেড় লক্ষ হাইস্কুলের মধ্যে দেশে সিবিএসই স্কুলের সংখ্যা ২৪ হাজার। বাকি ১ লক্ষ ২৫ হাজার মতো স্কুল রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্গত। আর বাকি রয়ে যাওয়া স্কুলগুলি আইসিএসই, আইবি কিংবা অনুমোদনহীন। সিবিএসই স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লক্ষাধিক। কিন্তু শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য উচ্চ শিক্ষা সংসদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই হল সাড়ে ৮ লক্ষ।  সব রাজ্য মিলিয়ে রা঩জ্যের শিক্ষা বোর্ড যোগ করলে সংখ্যাটি কোথায় যাবে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু ‘কেরিয়ার সিক্সটি’ নামক একটি সংস্থা সমীক্ষা করে এক আশ্চর্য তথ্য পেয়েছে। আইআইটি, ট্রিপল আইটি, এনআইটি, সিএফটিআই ইত্যাদি উচ্চশিক্ষার পরীক্ষায় যারা চান্স পেয়েছে, তাদের মধ্যে  ৫৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই  এসেছে সিবিএসই বোর্ড থেকে। মাত্র ৩৫ শতাংশ এসেছে রাজ্য বোর্ডগুলি থেকে। অর্থাৎ দেশজুড়ে কম স্কুল থাকা সত্ত্বেও সিবিএসই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরাই বেশি সুযোগ পাচ্ছে। উচ্চশিক্ষায়। কারিগরি শিক্ষায়। এর পিছনে কারণ কী? রাজ্য বোর্ডে খারাপ মেধা আর কেন্দ্রীয় বোর্ডে ভালো মেধার পড়ুয়ারাই থাকে, এটা তো হতে পারে না! তাই সমস্যাটি চিহ্নিত করা দরকার। 
২০১৮ সালে আইআইটি কানপুর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল আইআইটির ১১৯৬১ আসনের মধ্যে ৬৬০০ ছাত্রছাত্রীই এসেছে সিবিএসই স্কুল থেকে। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি সিবিএসই। বাকি সব রাজ্যের বোর্ড মিলিয়ে অর্ধেক। এই প্রবণতার এখানেই শেষ হচ্ছে না। আরও বেশি করে ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যে চলে যাচ্ছে একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা, উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা। ক্যাট, জয়েন্ট, নিট, এইমস এসব তো ছিলই। এখন আবার নতুন করে স্থির হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট।  বিশেষ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর শুধুই রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডে পড়াশোনা করে উচ্চমানের নম্বর নিয়ে এসে কলেজগুলিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের ধাঁচ কেন্দ্রীয় বোর্ডের মতোই হবে। যা সিবিএসই, আইসিএসইর ছাঁদে 
তৈরি হবে। অর্থাৎ ওই বোর্ডগুলিতে পড়া পড়ুয়াদের সুবিধা হবে কিছুটা। আর এভাবে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটিকেও তাৎপর্যহীন করে দেওয়া হচ্ছে। সকলেই তো প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতেই মন দেবে। 
এই গোটা প্রক্রিয়ায় এতক্ষণ যে বিষয়টি আলোচনার বাইরে রয়ে গেল, তা হল, সূক্ষ্মভাবে দেখলে বোঝা যাবে, উচ্চশিক্ষার অঙ্গনটি ক্রমেই গরিব মানুষের আওতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। সিবিএসই চালিত বেসরকারি স্কুলে পড়ার ক্ষমতা সকলের নেই। সেই স্কুলে পড়ার পাশাপাশি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার যে বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি আছে, সেখানেও ভর্তি হয়ে কয়েক বছর ধরে পড়ার আর্থিক সক্ষমতাও সকলের নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর আবার নামজাদা ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার অর্থনৈতিক জোর এই গরিব মানুষের দেশে কতজনের আছে? সর্বোপরি রাজ্য স্তরের শিক্ষা বোর্ডের গুরুত্ব কমিয়ে আনা হচ্ছে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা অথবা চাকরি উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে। 
এটা কি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে? এই ফর্মুলার পিছনে প্রকৃত লক্ষ্য কী? শিক্ষাব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে রাজ্যের হাত থেকে বের করে আনা? কিন্তু যত বেশি রাজ্যের হাতে শিক্ষাপ্রদানের অধিকার কমতে থাকবে, ততই গরিবের পক্ষে শিক্ষার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ কমবে। 
উচ্চশিক্ষার সুযোগ শুধু নয়, যে কোনও কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরিকাঠামো প্রধানত গ্রামীণ গরিবের কাছে নেই। শহুরে ছাত্রছাত্রী যে কোনও এক্সট্রা লার্নিং সেন্টার তাদের শহরে একাধিক পেয়ে যায়। গ্রাম সেটা পায় না। গ্রামের গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীর কাছে তাই রাজ্য সরকারের পরিচালিত স্কুল কলেজই একমাত্র ভরসা। আর্থিক সঙ্কট তো সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা। করোনকালে অনলাইন ক্লাস করাই ছিল নিয়ম। কেমন ছিল গ্রামীণ ভারতের করোনাকালের পড়াশোনা? অ্যানুয়াল স্টেট অফ এডুকেশন রিপোর্ট ২০২০ সমীক্ষা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গ্রামীণ ভারতের ৬৬ শতাংশ ছেলেমেয়ে ওই গোটা করোনাকালে স্কুল থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। পড়াশোনা হয়নি। কেন? কারণ ঘরে একটা‌ও স্মার্টফোন নেই! 
20th  May, 2022
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM