Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তাজমহলের নিয়তি!
মৃণালকান্তি দাস

রামমন্দির আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়! বলেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। তাঁর দাবি, এই পথেই রামরাজ্যের দিকে দেশ যাত্রা শুরু করেছে।
১৯৮৪ সালের লোকসভা ভোটে গোটা দেশে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। দেশের সংখ্যাগুরু মন টলিয়ে দেওয়ার ইস্যুর খোঁজ চলছিল গেরুয়া শিবিরে। বেছে নেওয়া হয়েছিল মহাকাব্যের নায়ককেই। বাবরি নিয়ে মহন্ত রঘুবীর দাস প্রথম মামলা করেছিলেন ফৈজাবাদ জেলা আদালতে। মসজিদের বাইরে রামচবুতরার উপরে একটি চন্দ্রাতপ বা ছাউনি তৈরির জন্য আদালতের সম্মতি চান তিনি। ফৈজাবাদ আদালত কিন্তু সম্মতি দেয়নি। আবেদন বাতিল করে। সেটা ১৯৮৫ সাল। বিজেপি বুঝতে পারে, এই ইস্যুতেই টলিয়ে দেওয়া যায় গোবলয়— গোটা দেশকেও। অতএব, রামকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে টেনে আনা হয় ১৯৮৯ সালে। হিমাচলপ্রদেশের পালমপুর কনভেনশনে বিজেপি সরাসরি প্রস্তাব আনে অযোধ্যায় রামমন্দির স্থাপনের। ৫০০ বছরের বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের কথা বলে প্রস্তাব দেওয়া হয় নির্বাচনী ইস্তাহারে। সেই শুরু।
১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় করসেবকদের হাতে। তারপর থেকে চলেছে শুধু মন্দির নিয়ে রাজনীতি আর অন্ধ ভক্তিবাদ। ১৯৯৬-এর ভোটে বিজেপি লোকসভায় জিতেছিল ১৬১টি আসন। মন্দির ইস্যুকে আঁকড়ে ধরেই ২৩ বছর পরে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সেই বিজেপি ৩০৩টি আসনে জিতে আসে। বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, শরিকদের ছাড়াই। সেই বছরই সর্বোচ্চ আদালত মন্দিরের পক্ষে রায় দেয়। বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির অনুমতি মেলে।
অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম-রাজ্যের স্বপ্ন দেখিয়ে বলেছিলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই রামমন্দির আন্দোলনে দেশের বহু মানুষ দীর্ঘসময় আত্মত্যাগ করেছেন। রামমন্দিরের শিলান্যাস সেই আত্মত্যাগেরই পরিণতি। দেশের উন্নয়নযজ্ঞে অনেককেই আত্মত্যাগ করতে হবে। সেই আত্মত্যাগেই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ হবে। ভয় বিনু হোই ন প্রীতি’, অর্থাৎ ভীতি জাগাতে না পারলে প্রীতিও পাওয়া যায় না, বলেছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভয়ের আয়ুধে প্রীতি আদায়ের কৌশল এখন প্রতিদিন টের পাচ্ছে দেশবাসী। অযোধ্যা সূচনামাত্র, কাশী-মথুরা এখনও বাকি— এই স্লোগান ধীর লয়ে এখন গোটা দেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এর সঙ্গে কখনও শোনা যাচ্ছে কুতুব মিনারকে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ঘোষণা করার দাবি, কখনও তাজমহলের নাম পরিবর্তনের স্লোগান। মোদির জমানার অন্যতম অভিজ্ঞান হিন্দুত্ববাদী কার্যকলাপগুলিকে রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে পরিণত করা।
সমালোচকরা বলছেন, রামরাজ্য নয়। অযোধ্যা থেকে নরেন্দ্র মোদি আসলে হিন্দুরাষ্ট্রের পথে যাত্রা শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা রজনীশ সিং-রা সেই যাত্রাপথের কুশীলব। তাঁদের লক্ষ্য এবার তাজমহল! ওই সৌধের ‘প্রকৃত’ ইতিহাস খুঁজে বের করার ছকে তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিং। একই সঙ্গে ওই স্মৃতিসৌধের ২২টি বন্ধ ঘর খুলে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। রজনীশ সিংরা মনে করেন, তাজমহলের বাইশটি বন্ধ ঘরেই লুকানো আছে তার ‘আসল ইতিহাস’। তাঁর মতে, ওই বন্ধ ঘরগুলি খুললেই নাকি বেরিয়ে আসবে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি, আর তাতেই বোঝা যাবে ‘তেজো মহালয়’ (‘তাজমহল’ নয়) আদতে ছিল শিবমন্দির। যা ১২১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা পরমর্দি দেব।
প্রিয় বেগম মমতাজের স্মৃতি রক্ষার্থে সম্রাট শাহজাহান ১৬৩১ সালে যে কাজে হাত দিয়েছিলেন, ২২ বছর ধরে ২২ হাজার শ্রমিকের উদয়াস্ত পরিশ্রম শেষে তা শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। সেই বিস্ময়-স্থাপত্য তাজমহলকে ঘিরে বিতর্ক অবশ্য এই প্রথম নয়। মাঝেমধ্যেই তা মাথাচাড়া দেয়। ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের একদল আইনজীবীও এ নিয়ে মামলা করেছিলেন। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের কট্টরবাদী বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, তাজমহলের অভ্যন্তরে কোনও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে। ২০১৯ সালে কর্ণাটকের বিজেপি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ে দাবি করেন, শাহজাহান নাকি আদৌ তাজমহল তৈরি করেননি। ওটা তিনি কিনেছিলেন রাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে। ১৯৮৯ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে নানা হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। রামমন্দিরের সাফল্য সেই মতকে আরও গতি দিয়েছে।
বাজার গরম করতে তাজমহল নিয়ে মন্তব্য করেন রাজস্থানের জয়পুর রাজপরিবারের রানি দীয়া কুমারীও। বিজেপির লোকসভা সদস্য জয়পুরের শেষ মহারাজা মান সিংয়ের এই নাতনির দাবি, যে জমিতে তাজমহল তৈরি, একসময় তা ছিল জয়পুর রাজপরিবারের। এই সংক্রান্ত কাগজপত্রও তাঁদের রাজ পরিবারে রয়েছে। প্রয়োজনে তা দাখিলও করতে পারবেন। দীয়া কুমারী বলেন, ‘আমি বলছি না তাজমহল ভেঙে ফেলা হোক। কিন্তু সত্য উদ্‌ঘাটনে বন্ধ দরজা খোলা দরকার। সব রহস্য ওখানেই।’ কিন্তু গত ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় ও সুভাষ বিদ্যার্থী মামলাকারীকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘জনস্বার্থ মামলাকে এভাবে উপহাসে পরিণত করবেন না। এরপর তো আমাদের চেম্বার খুলে দেখতে চাওয়া হবে, কী রয়েছে!’ ১৬ মে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর তরফে সেই ‘গোপন’ কুঠুরিগুলির ছবি প্রকাশ করা হয়। তাজমহল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই-এর ‘আগরা সেল’ জানিয়ে দেয়, ওই কুঠুরিগুলিতে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলি মূল কাঠামোর অংশমাত্র। ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যমুনা নদীখাত লাগোয়া ওই ভূগর্ভস্থ ঘরগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। সেই সময়ই ছবিগুলি তোলা হয়। প্রকাশিত চারটি ছবি গত ডিসেম্বরে তোলা। তাহলে কি তাজমহল নিয়ে যাবতীয় শোরগোলের ইতি এখানেই? গেরুয়া শিবিরের ইতিহাস সেকথা বলে না। এলাহাবাদ হাইকোর্ট রজনীশ সিংয়ের আর্জিকে অযৌক্তিক অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিলেও ভয়ঙ্কর বিপদের ইঙ্গিত টের পাওয়া যায়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শা-জাহান কবিতায় তাজমহল সম্পর্কে লিখেছেন, ‘একবিন্দু নয়নের জল, কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল, এ তাজমহল।’ দুনিয়ার সপ্তম আশ্চর্য। তিন দশক আগে তাজমহলের টানে এসেছিলেন যুবরানি ডায়ানা। ছবি তুলেছিলেন মার্বেলের বেঞ্চে বসে। সেই থেকে বেঞ্চটির নামই হয়ে যায় ‘ডায়ানা বেঞ্চ’। চার্লসের সঙ্গে তখনও বিবাহবিচ্ছেদ না হলেও তাজ-সফরে ডায়ানার সঙ্গী হননি তিনি। তারিখটা ছিল ১৯৯২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। দু’যুগ পরে সেই তাজেই এসেছিলেন ডায়ানার পুত্র-পুত্রবধূ। ‘ডায়ানা বেঞ্চে’ বসেই ছবি তুলেছিলেন উইলিয়াম-কেট। তবে রাজদম্পতি বসার আগে ভিজে তোয়ালে জড়িয়ে ঠান্ডা করতে হয় ৪০ ডিগ্রি গরমে তেতে ওঠা বেঞ্চটিকে। এমন কোনও রাষ্ট্রনেতা নেই, যিনি ভারত সফরে এসে তাজমহলের মাটিতে পা দেননি। অথচ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয় এবং বিদেশি পর্যটকদের তাজমহলের প্রতিকৃতি উপহার দেওয়ার প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত। পরিবর্তে বিশেষ অতিথিদের গীতা কিংবা রামায়ণ উপহার দেওয়া যেতে পারে। যোগীর কথা অনুযায়ী, এই দু’টি বই ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক।
ক্ষমতায় আসার ছ’মাস পূর্তি উপলক্ষে যোগী সরকারের তরফে রাজ্যের পর্যটন সংক্রান্ত একটি বই প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই বইয়ের শিরোনাম ‘উত্তর প্রদেশ পর্যটন-অসীম সম্ভাবনা’। এই বইয়ে রাজ্যের যে সমস্ত পর্যটনস্থলের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গোরখনাথ পীঠ। যার প্রধান খোদ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। এই বইতে দর্শনীয় স্থান হিসেবে ঠাঁই পায়নি তাজমহল। আসলে ছলে-বলে তাজমহলকে ভারতীয় ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার মরিয়া চেষ্টা।
লোকসভা নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। হিন্দুত্ব যে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হবে বিজেপির কাছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে তার জন্য হিন্দুত্বর হাওয়া নতুন করে তুলতে হবে দেশে। আচমকা তাজমহল বিরোধী জিগির দেখে আশঙ্কা হচ্ছে, হাওয়া তোলার পরিকল্পনা নয় তো এ সব? রক্ষণশীলতার বিভিন্ন বিন্দুতে বিভিন্ন অবস্থান গড়ে ভোট আকর্ষণ, এটাই বিজেপির স্ট্র্যাটেজি। এটাই হয়তো তাজমহলের নিয়তি! তাহাই ইতিহাস যা রচিবে সঙ্ঘ...।
19th  May, 2022
চাকরির আকাল ঘোচাবে
মমতার সাইকেল শিল্প
হারাধন চৌধুরী

আমরা আশা রাখব, খড়্গপুরের প্রস্তাবিত সাইকেল পার্ক বাংলার সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেরই এক সোনালি অধ্যায় হয়ে উঠবে। রাজ্যের বিপুল চাহিদাকে পাথেয় করে সাইকেল কারখানার সংখ্যাও বাড়বে ধীরে ধীরে। সাইকেল শিল্পের পথ ধরেই গড়ে উঠবে যন্ত্রাংশ ও টায়ার শিল্প। জোয়ার আসবে বাংলার চাকরির বাজারে।
বিশদ

চাকরির ভরসা... দায় সরকারের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকারও আট বছরের ‘সাফল্য কাহিনি’ প্রচারের জন্য কোমর বাঁধছে। দেশজুড়ে বোঝাতে হবে, এটাই আচ্ছে দিন। আগে কিছুই ছিল না। যা করেছে, মোদি সরকার। সেই ঢক্কানিনাদে চাপা পড়ে যাবে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত ছেলেমেয়েদের কণ্ঠ। কেউ পাগল হয়ে যাবে, কেউ মানবতার আদর্শ হারিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
বিশদ

24th  May, 2022
চাই নয়া নীতি, সাহস, স্বচ্ছতা ও গতি
পি চিদম্বরম

যেসব পরিশ্রমী পরিবার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য তাদের যথাসর্বস্ব ব্যয় করে দেখছে চাকরিই নেই—মোদি সরকার তাদের হতাশ করেছে। হিন্দুত্বের আবেগে ভাসিয়ে দিয়ে মোদি সরকার হয়তো সাময়িকভাবে পিঠ বাঁচাতে পারবে, কিন্তু  তরুণরা অচিরেই বুঝতে পারবেন যে হিন্দুত্ব (এবং একটি মেরুকৃত ও বিভক্ত সমাজ) কাউকে চাকরি দেবে না—তিনি নারী/পুরুষ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, অন্যকোনও ধর্মবিশ্বাসী কিংবা নাস্তিক যেটাই হোন না কেন। বিশদ

23rd  May, 2022
ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার
ট্র্যাডিশন সমানে চলছে ...
হিমাংশু সিংহ

সব ফেলে একটা মসজিদ নিয়ে দেশ উত্তাল কেন? এতে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে, না বাড়ির বেকার ছেলেটা চাকরি পাবে! না, কিছুই হবে না। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার কোনও চেষ্টাই সফল হবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে ধর্মের এই আফিম বিতরণের পথে এগচ্ছেন মোদি সরকারের বাজনদাররা।
বিশদ

22nd  May, 2022
অনলাইন পরীক্ষায় ফিরতে
পারে নকশাল আমলের লজ্জা
তন্ময় মল্লিক

‘ভারতরত্ন’ এপিজে আব্দুল কালামের কথায়, ‘ফেল (FAIL) মানে ফার্স্ট অ্যাটেম্পট ইন লার্নিং। অর্থাৎ শেখার প্রথম ধাপ। বিফলতাই সফল হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে।’ অনলাইনে বই দেখে লিখে পাশ করলে সেই রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অনলাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দায়িত্ব শুধু শিক্ষক, অধ্যাপকদের ঘাড়ে চাপালেই চলবে না, সন্তানদের অন্যায় আবদারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে অভিভাবকদেরও। বিশদ

21st  May, 2022
উচ্চশিক্ষা কি গরিবের
হাতের বাইরে যাচ্ছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না। কলকাতা অথবা জেলার ব্র্যান্ডেড নামজাদা সরকারি অথবা স্পনসর্ড স্কুল বাদ দিলে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির চিত্রটি খুব উজ্জ্বল নয়।
বিশদ

20th  May, 2022
বিদ্বেষের এই পাশাখেলা...
সন্দীপন বিশ্বাস

মিথ্যা প্রচার কিংবা বিদ্বেষ যে কোনও সরকারের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে, মোদি অ্যান্ড কোম্পানিকে না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। সরকার এই দু’টো ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিদিন ভারতের গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে।
বিশদ

18th  May, 2022
কানে ‘কান্ট্রি অব অনার’-এর মর্যাদা পেল ভারত
অনুরাগ সিং ঠাকুর

ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার নিস্তব্ধ উপকূলে এখন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫ তম সংস্করণ আয়োজনের ব্যস্ততা। এবছর ‘মার্শে ডু ফিল্মস’-এর উদ্বোধনী সন্ধ্যার মূল ভাবনার দেশ হিসেবে ভারত বিশ্বের দর্শকদের সামনে দেশীয় চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং গল্প বলার অসামান্য ঐতিহ্য তুলে ধরতে চায়।
বিশদ

18th  May, 2022
কামরাজ প্ল্যানেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মোদি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছুতেই বিরোধী শক্তির সামনের সারিতে আসতে না পারেন—এটাই লক্ষ্য বিজেপির। বরং এলেবেলের স্তরে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস যত খুশি গুরুত্ব পাক, ক্ষতি নেই। কিছুতেই যেন জোটের জমি শক্ত না হয়। তাহলেই মানুষ বিকল্প না খুঁজে মোদিজিতে ফের আস্থা রাখবেন। চব্বিশেও পদ্ম ফুটবে সংসদে। বিশদ

17th  May, 2022
ভালো, খারাপ ও সন্দেহজনক
পি চিদম্বরম

যদি মহিলাদের একটি বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন এবং শিশুদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ কম ওজনের কিংবা রক্তাল্পতার শিকার হয়, পাশাপাশি অনেক শিশু স্টান্টেড অথবা ওয়েস্টেড হয়, তবে তার কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। আমার মনে হয় যে খাদ্যের অভাব হল, দারিদ্র্যের একটি নির্ধারক সূচক। একজন খুদে ভগবানের সন্তান হিসেবে ওই গরিব মানুষগুলিকে এই সরকার ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বিশদ

16th  May, 2022
মোদির শাসনে শিক্ষা
ক্রমেই ধনীর পণ্য!
হিমাংশু সিংহ

কোভিডে কত পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তার হিসেব কে রাখে। তাদের এখন স্কুলে পাঠাবে কে? এই ব্যাপক ড্রপ আউট সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। অথচ আর পাঁচটা ব্যর্থতা নিয়ে নির্লিপ্ত থাকার মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে কুলুপ। সরকার বাহাদুর এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত। গরিবের ঘরে পড়াশোনার আলো জ্বেলে তো আর চব্বিশে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হবে না। তাই সেই দিকে নজর নেই কারও। বিশদ

15th  May, 2022
দিশা দেখাতে এসে ডুবিয়ে গেলেন ‘চাণক্য’
তন্ময় মল্লিক

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দলের কোন্দল মেটানো এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের পথ বাতলানো।
বিশদ

14th  May, 2022
একনজরে
কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বাগানপাড়ায় পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ভাই-বোনের। মৃতদের নাম দেবিকা টুডু(৫) ও দীপ টুডু(৩)। দুই শিশুর আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবার ...

পাঞ্জাবে আপ সরকারের বয়স মেরেকেটে দু’-আড়াই মাস। এরমধ্যেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার গুরুতর অভিযোগ। মুখরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বরখাস্ত করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। শুধু ...

আশা জাগিয়েও এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে থামল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলামের দৌড়। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে পরাজিত করে কেরলের দলকে। ...

২৪ বছর অপেক্ষার পরেও বকেয়া পেনশন না পেয়ে তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রী আরও চারবছর অপেক্ষার পরেও তা না পেয়ে মারা গিয়েছিলেন। ছেলে সঞ্জীব দাশ অগত্যা আসেন হাইকোর্টে। তিনমাসের মধ্যে সেই পাওনা বহরমপুর পুরসভাকে মিটিয়ে দিতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৬.৭৩ টাকা ৭৮.৪৭ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৯৯ টাকা ৯৯.৩৮ টাকা
ইউরো ৮১.৬৪ টাকা ৮৪.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী ১৪/০ দিবা ১০/৩৩। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৫/৫৭ রাত্রি ১১/২০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী দিবা ১/৩৮। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৩ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ১৪ রানে জিতল আরসিবি
 

12:23:11 AM

আইপিএল: লখনউ ১৫৩-৩ (১৬ ওভার)
 

11:51:43 PM

আইপিএল: লখনউ ৮৯-২ (১০ ওভার)
 

11:17:05 PM

আইপিএল: লখনউ ৪৫-২ (৫ ওভার)
 

10:48:59 PM

আইপিএল: লখনউকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল আরসিবি
 

10:07:23 PM

আইপিএল: আরসিবি ১২৩-৪ (১৫ ওভার)

 

09:37:03 PM