Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির শাসনে শিক্ষা
ক্রমেই ধনীর পণ্য!
হিমাংশু সিংহ

এক ভারতের মধ্যেই দু’টো সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দেশ বাস করে। একটা গরিবের, আর দ্বিতীয়টা উচ্ছল ধনীর। কিন্তু প্রতিবারই এই মে-জুন মাসে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার ফল বেরলে আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকতাম গরিব ঘর থেকে ঠিকরে বেরনো মেধাবী মণিমুক্তো খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায়। কাগজের পাতায় তাঁদের অসামান্য সাফল্যের কাহিনি পড়ে সংবাদপত্র অফিসে সারাদিন দেশবিদেশ থেকে ফোন আসত। প্রশ্ন একটাই, ‘একটু যোগাযোগের নম্বরটা পাওয়া যাবে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।’ ডিজিটাল এডিশনের দৌলতে সুদূর ইউরোপ, আমেরিকাও আজ আর খুব দূরের নয়। সেখান থেকেও ফোন আসত। হয়তো নিজের উত্তরণের ইতিহাস মনে রেখেই হাজার হাজার মাইল দূর থেকে কোনও বঙ্গ সন্তানের প্রাণ হঠাৎ কেঁদে উঠত পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। নিজের লড়াইকে স্মরণ করেই হাত বাড়িয়ে দিতেন সাহায্যের। এক আলো থেকে জ্বলে উঠত আর একটা প্রদীপ। গ্রাম বাংলার মেঠো ঘরে ছড়িয়ে যেত যুদ্ধজয়ের আনন্দ। আমরাও অতি উৎসাহে বেশ কয়েক সপ্তাহ সেই সব সাফল্যের কাহিনি ছাপতাম। রাজনীতির দৈনন্দিন কূটকচালির বাইরে একটু নতুন হাওয়া বইত যেন। অজ পাড়াগাঁয়ের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের থেকে বেরিয়ে আসা সেইসব প্রতিভার আলোয় উদ্ভাসিত হতো চারদিক। কারুর মা দিনে আট ঘণ্টা রুটি বানিয়ে তাঁর ছেলেকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। আবার কারও বাবা সামান্য অটোচালক। রাত জেগে পরিশ্রম করে ছেলেকে পৌঁছে দিয়েছেন আইএএস পরীক্ষার সাফল্যের দরজায়। আবার কোথাও ছেলেই ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে সবকটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে জয়েন্ট কিংবা আইআইটির। এইসব ঘুরে দাঁড়ানোর অদ্ভুত উপাখ্যানে একটা আশার ঝিলিক খেলে যেত সমাজে। মন বলত, আছে আছে, এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি।
গত দু’বছর সেই বাৎসরিক প্রতিভার অনুসন্ধানে অনেকটাই ছেদ পড়ে গিয়েছে। মহামারীর আঘাতে অফলাইন পরীক্ষার দফারফা হতেই  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ঘর থেকে উঠে আসা সেইসব আশ্চর্য লড়াইয়ের কাহিনিতেও কেমন যেন ভাটার টান। অনলাইন শিক্ষার বহুল প্রসারে যেমন স্কুলশিক্ষার ভূমিকা কমছে, তেমনি প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিভা অন্বেষণের কাজও ধাক্কা খাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের অজুহাতে অনলাইন শিক্ষার বাড়বাড়ন্ত ক্রমেই তাকে গ্রামের গরিব পরিবারের সন্তানের থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরে সারা দেশে ৫১ হাজার সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটা নিঃসন্দেহে বিরাট। বলাবাহুল্য, এর অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামের। আর এই স্কুল বন্ধের দৌড়েও ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি এগিয়ে। শুধু যোগীরাজ্যেই বন্ধ হয়েছে ২৬ হাজার স্কুল। আর মধ্যপ্রদেশে বন্ধ হয়েছে ২২ হাজার। সরকারি স্কুল বন্ধ করে শিক্ষার ঢালাও বেসরকারিকরণ ও অনলাইন আ্যাপ নির্ভর পড়াশোনার প্রবর্তন কি গ্রামের গরিব ঘরের সন্তানকে প্রথমেই এক হাজার মাইল পিছনে ফেলে দিচ্ছে না? প্রান্তিক যে মানুষটার ঘরে সামান্য উনুন জ্বালানোর লড়াই চলে সকাল থেকে সেই ঘরে কোনও রকমে একটা খাতা আর পেনের ব্যবস্থা হলেও অনলাইন শিক্ষার দামি হরেক কিসিমের সরঞ্জাম কেনা কি সোজা ব্যাপার। আগে তো ভাতের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামের একচিলতে বাড়িতে ছেলেমেয়ের জন্য আলাদা স্টাডি রুম ক’টা পরিবারে আছে। শহরেও খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেখানে টেবিল চেয়ার, ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম, নিয়মিত ভালো ইন্টারনেট সংযোগ তো আকাশের চাঁদ ধরে আনার মতো ব্যাপার। ছোট একটা নোটবুক আর পেন-পেন্সিলের দিন যে শেষ তা তো এতদিনে কারও জানতে বাকি নেই। খাতা আর পেনের বিক্রিও কমছে হু হু করে। এখন জীবনটাই চলে শুধু এক ক্লিকে। পরীক্ষাও তথৈবচ। তাহলে প্রথমেই সমাজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাপু, উচ্চশিক্ষা তোমার জন্য নয়। মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতিও সেই বিভাজনেরই অস্ত্র হিসেবেই কাজ করছে। তার উপর দোসর মহামারীর ধাক্কা। সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দূরত্ব তৈরির মতোই আজ শিক্ষাও তাই বিভেদের গ্রাসে। তাহলে বারবার এই সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা যে ‘ইনক্লুসিভ গ্রোথ’-এর কথা বলেন তা কি শুধু কথার কথা! গরিবকে দূরে সরিয়ে ভারতের সার্বিক উন্নয়ন যে এক অবাস্তব কল্পনা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা সবাই জানি, গত দু’বছরে অন্তত ১২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হয়তো সংখ্যাটা বাস্তবে আরও অনেক বেশি। সব হিসেব সরকারের কাছে নথিভুক্ত হয় না। হলেও প্রকাশ করা হয় না। পাল্লা দিয়ে ব্যবসাও হারিয়েছেন বহু মানুষ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আর সংসারে রোজগার কমলে শিক্ষার উপরই প্রথম কোপটা পড়ে। আমাদের মতো দেশে এটাই দস্তুর। ছোট বয়সের ছেলেমেয়েকেও পড়তে না পাঠিয়ে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার ঝোঁক বেড়েছে সেই তাগিদ থেকেই। বাড়ির সামনে আলু পটলের দোকান সাজিয়ে বসলে তো কিছু আসবে। এই চিন্তা থেকেই পড়াশোনা ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে গরিব ঘরে। দীর্ঘদিন একটানা স্কুল কলেজ বন্ধ সেই প্রবণতায় দ্বিগুণ শক্তিশালী অনুঘটকের কাজ করেছে। এখন মহামারীর আঘাত কিছুটা কমলেও দেশের কয়েক কোটি ছেলেমেয়ে স্কুলের পড়াশোনার বাইরে চলে গিয়েছে দারিদ্র্যের তাড়নায়। কোভিডে কত পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তার হিসেব কে রাখে। তাদের এখন স্কুলে পাঠাবে কে? এই ব্যাপক ড্রপ আউট সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। অথচ আর পাঁচটা ব্যর্থতা নিয়ে নির্লিপ্ত থাকার মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে কুলুপ। সরকার বাহাদুর এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত। গরিবের ঘরে পড়াশোনার আলো জ্বেলে তো আর চব্বিশে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হবে না। তাই সেই দিকে নজর নেই কারও। 
কিন্তু এই সরকারি উদাসীনতার সুযোগেই শিক্ষা এক বৃহৎ ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতাকে শিখণ্ডি করে মুনাফার দৌড়ে আজ শামিল বৃহৎ কর্পোরেট জগৎ। তাকে ঘিরে ক্রমাগত দুষ্টচক্র গড়ে ওঠা এই কুনাট্যেরই অনিবার্য পরিণতি। স্কুলশিক্ষার উপর নির্ভরতা যত কমছে, ততই এই ব্যাপারটা প্রকট হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন, যার টাকা আছে তার যেমন সাতমহলা বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি আর পাঁচটা বিনোদন, আরাম কেনার সামর্থ্য আছে, তেমনি শিক্ষাকেও সে অনায়াসে রঙিন ব্যাগে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ছেলেমেয়ের জন্য। শিক্ষা সেখানে নিতান্তই আর পাঁচটা পণ্যের মতো খোলা বাজারে বিকচ্ছে। প্রতিভার দাম দেওয়ার কেউ নেই। 
কোভিডের পর স্কুল খুলে প্রথমে দেখা যায়, কিছু ছাত্রছাত্রী অক্ষর জ্ঞান পর্যন্ত হারিয়েছে। এবিসিডি পর্যন্ত চিনতে পারছে না অনেকে। সিলেবাসের সঙ্গে যোগ নেই এক বিরাট অংশের। স্মার্ট ফোনই যে গ্রামে পৌঁছয়নি, সেখানে স্কুল বন্ধ থাকার অর্থ একটা প্রজন্মকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা। অনলাইন ক্লাসের গালভরা প্রচার সেখানে প্রকাণ্ড ঠাট্টা মাত্র। আমরা নিরাপদে থাকা মানুষ নীরব দর্শক মাত্র। এর মিলিত ফল, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষীর উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল।
আসলে দূর ও অনলাইন শিক্ষার জন্য আমাদের দেশ কতটা প্রস্তুত সেটা প্রথম দেখতে হবে। নাহলে যাঁদের সাধ্য আছে, মোটা টাকা দিয়ে প্রাইভেট টিউটর রেখে ক্যালকুলাস থেকে কম্পিউটার শিক্ষার সব বাড়িতে বসে আয়ত্ত করবে। আর প্রান্তিক মানুষ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। রাজনৈতিক বিভাজনের মতোই আমরা শিক্ষাক্ষেত্রেও নতুন করে ধনী দরিদ্র পার্থক্য আরও বাড়ানোর পথে। সৌজন্যে ভারতের সবচেয়ে সাহসী নেতা নরেন্দ্র মোদি! মহাধুমধামে তাঁর সরকারের আট বছর পূর্তির ঢাক পেটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। সাফল্যের দুশো ফিরিস্তির সেই উচ্চকিত উদযাপনে শিক্ষার এই সঙ্কট বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। 
15th  May, 2022
চাকরির আকাল ঘোচাবে
মমতার সাইকেল শিল্প
হারাধন চৌধুরী

আমরা আশা রাখব, খড়্গপুরের প্রস্তাবিত সাইকেল পার্ক বাংলার সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেরই এক সোনালি অধ্যায় হয়ে উঠবে। রাজ্যের বিপুল চাহিদাকে পাথেয় করে সাইকেল কারখানার সংখ্যাও বাড়বে ধীরে ধীরে। সাইকেল শিল্পের পথ ধরেই গড়ে উঠবে যন্ত্রাংশ ও টায়ার শিল্প। জোয়ার আসবে বাংলার চাকরির বাজারে।
বিশদ

চাকরির ভরসা... দায় সরকারের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকারও আট বছরের ‘সাফল্য কাহিনি’ প্রচারের জন্য কোমর বাঁধছে। দেশজুড়ে বোঝাতে হবে, এটাই আচ্ছে দিন। আগে কিছুই ছিল না। যা করেছে, মোদি সরকার। সেই ঢক্কানিনাদে চাপা পড়ে যাবে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত ছেলেমেয়েদের কণ্ঠ। কেউ পাগল হয়ে যাবে, কেউ মানবতার আদর্শ হারিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
বিশদ

24th  May, 2022
চাই নয়া নীতি, সাহস, স্বচ্ছতা ও গতি
পি চিদম্বরম

যেসব পরিশ্রমী পরিবার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য তাদের যথাসর্বস্ব ব্যয় করে দেখছে চাকরিই নেই—মোদি সরকার তাদের হতাশ করেছে। হিন্দুত্বের আবেগে ভাসিয়ে দিয়ে মোদি সরকার হয়তো সাময়িকভাবে পিঠ বাঁচাতে পারবে, কিন্তু  তরুণরা অচিরেই বুঝতে পারবেন যে হিন্দুত্ব (এবং একটি মেরুকৃত ও বিভক্ত সমাজ) কাউকে চাকরি দেবে না—তিনি নারী/পুরুষ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, অন্যকোনও ধর্মবিশ্বাসী কিংবা নাস্তিক যেটাই হোন না কেন। বিশদ

23rd  May, 2022
ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার
ট্র্যাডিশন সমানে চলছে ...
হিমাংশু সিংহ

সব ফেলে একটা মসজিদ নিয়ে দেশ উত্তাল কেন? এতে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে, না বাড়ির বেকার ছেলেটা চাকরি পাবে! না, কিছুই হবে না। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার কোনও চেষ্টাই সফল হবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে ধর্মের এই আফিম বিতরণের পথে এগচ্ছেন মোদি সরকারের বাজনদাররা।
বিশদ

22nd  May, 2022
অনলাইন পরীক্ষায় ফিরতে
পারে নকশাল আমলের লজ্জা
তন্ময় মল্লিক

‘ভারতরত্ন’ এপিজে আব্দুল কালামের কথায়, ‘ফেল (FAIL) মানে ফার্স্ট অ্যাটেম্পট ইন লার্নিং। অর্থাৎ শেখার প্রথম ধাপ। বিফলতাই সফল হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে।’ অনলাইনে বই দেখে লিখে পাশ করলে সেই রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অনলাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দায়িত্ব শুধু শিক্ষক, অধ্যাপকদের ঘাড়ে চাপালেই চলবে না, সন্তানদের অন্যায় আবদারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে অভিভাবকদেরও। বিশদ

21st  May, 2022
উচ্চশিক্ষা কি গরিবের
হাতের বাইরে যাচ্ছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না। কলকাতা অথবা জেলার ব্র্যান্ডেড নামজাদা সরকারি অথবা স্পনসর্ড স্কুল বাদ দিলে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির চিত্রটি খুব উজ্জ্বল নয়।
বিশদ

20th  May, 2022
তাজমহলের নিয়তি!
মৃণালকান্তি দাস

রামমন্দির আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়! বলেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। তাঁর দাবি, এই পথেই রামরাজ্যের দিকে দেশ যাত্রা শুরু করেছে।
বিশদ

19th  May, 2022
বিদ্বেষের এই পাশাখেলা...
সন্দীপন বিশ্বাস

মিথ্যা প্রচার কিংবা বিদ্বেষ যে কোনও সরকারের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে, মোদি অ্যান্ড কোম্পানিকে না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। সরকার এই দু’টো ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিদিন ভারতের গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে।
বিশদ

18th  May, 2022
কানে ‘কান্ট্রি অব অনার’-এর মর্যাদা পেল ভারত
অনুরাগ সিং ঠাকুর

ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার নিস্তব্ধ উপকূলে এখন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫ তম সংস্করণ আয়োজনের ব্যস্ততা। এবছর ‘মার্শে ডু ফিল্মস’-এর উদ্বোধনী সন্ধ্যার মূল ভাবনার দেশ হিসেবে ভারত বিশ্বের দর্শকদের সামনে দেশীয় চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং গল্প বলার অসামান্য ঐতিহ্য তুলে ধরতে চায়।
বিশদ

18th  May, 2022
কামরাজ প্ল্যানেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মোদি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছুতেই বিরোধী শক্তির সামনের সারিতে আসতে না পারেন—এটাই লক্ষ্য বিজেপির। বরং এলেবেলের স্তরে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস যত খুশি গুরুত্ব পাক, ক্ষতি নেই। কিছুতেই যেন জোটের জমি শক্ত না হয়। তাহলেই মানুষ বিকল্প না খুঁজে মোদিজিতে ফের আস্থা রাখবেন। চব্বিশেও পদ্ম ফুটবে সংসদে। বিশদ

17th  May, 2022
ভালো, খারাপ ও সন্দেহজনক
পি চিদম্বরম

যদি মহিলাদের একটি বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন এবং শিশুদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ কম ওজনের কিংবা রক্তাল্পতার শিকার হয়, পাশাপাশি অনেক শিশু স্টান্টেড অথবা ওয়েস্টেড হয়, তবে তার কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। আমার মনে হয় যে খাদ্যের অভাব হল, দারিদ্র্যের একটি নির্ধারক সূচক। একজন খুদে ভগবানের সন্তান হিসেবে ওই গরিব মানুষগুলিকে এই সরকার ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বিশদ

16th  May, 2022
দিশা দেখাতে এসে ডুবিয়ে গেলেন ‘চাণক্য’
তন্ময় মল্লিক

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দলের কোন্দল মেটানো এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের পথ বাতলানো।
বিশদ

14th  May, 2022
একনজরে
পাঞ্জাবে আপ সরকারের বয়স মেরেকেটে দু’-আড়াই মাস। এরমধ্যেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার গুরুতর অভিযোগ। মুখরক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বরখাস্ত করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। শুধু ...

বাংলা প্রবাদ বলে, ‘ভাগের মা গঙ্গা পায় না’। জিটি রোড থেকে বেনারস রোড সংযোগকারী চকপাড়া রোড যেন সেই ‘অভাগা’ মা। দুই পুরসভা, দুই বিধানসভা, এক পঞ্চায়েত এবং এক লোকসভার মধ্যে থেকেও রাস্তাটিতে পিচের প্রলেপ পড়েনি চার বছরেরও বেশি সময়। ...

কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বাগানপাড়ায় পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ভাই-বোনের। মৃতদের নাম দেবিকা টুডু(৫) ও দীপ টুডু(৩)। দুই শিশুর আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবার ...

আশা জাগিয়েও এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে থামল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলামের দৌড়। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে পরাজিত করে কেরলের দলকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৬.৭৩ টাকা ৭৮.৪৭ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৯৯ টাকা ৯৯.৩৮ টাকা
ইউরো ৮১.৬৪ টাকা ৮৪.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী ১৪/০ দিবা ১০/৩৩। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৫/৫৭ রাত্রি ১১/২০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, বুধবার, ২৫ মে ২০২২। দশমী দিবা ১/৩৮। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৩ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ১৪ রানে জিতল আরসিবি
 

12:23:11 AM

আইপিএল: লখনউ ১৫৩-৩ (১৬ ওভার)
 

11:51:43 PM

আইপিএল: লখনউ ৮৯-২ (১০ ওভার)
 

11:17:05 PM

আইপিএল: লখনউ ৪৫-২ (৫ ওভার)
 

10:48:59 PM

আইপিএল: লখনউকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল আরসিবি
 

10:07:23 PM

আইপিএল: আরসিবি ১২৩-৪ (১৫ ওভার)

 

09:37:03 PM