Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চোপ! গণতন্ত্র নয়,
স্বৈরতন্ত্র চলছে
সন্দীপন বিশ্বাস

রাবণ মারীচকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, বৎস্য, তুমি মায়ার ছলনে স্বর্ণমৃগের ছদ্মরূপ ধারণ করে রামচন্দ্রের আশ্রমে গিয়ে বিচরণ কর। ‘ক্ষণেন রাক্ষসো জাতো মৃগঃ পরমশোভনঃ’। প্রভু রাবণের আদেশে রাক্ষস-মারীচ পরম শোভাময় মৃগরপ ধারণ করলেন। এই ঘৃণ্য কৌশলে রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণকে দূরে সরিয়ে রাবণ সাধুবেশে তস্করের মতো সীতাকে হরণ করেছিলেন। আজকের ভারতের দিকে তাকালে সেই ছবিটাই ভেসে ওঠে। আরএসএস, সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশে মোদিজি গণতন্ত্রের মোহনরূপ ধারণ করে এসেছেন। তারপর দেশের মানুষকে ভুলিয়ে গণতন্ত্রের আত্মাকে অর্থাৎ দেশের মূল অন্তর্নিহিত শক্তি, শান্তি, সুস্থিতি তথা লক্ষ্মীরূপী সীতাকে হরণ করলেন। ধ্বংস করে দিলেন দেশের অর্থনীতি, সুশাসন ও বিভেদের মাঝে মহামিলনের শক্তিকে। 
আজ ভারতের সার্বভৌমত্ব তিলে তিলে নিঃশেষিত হচ্ছে। এর জন্য বাইরের কোনও শক্তি দায়ী নয়। দায়ী দেশের ভিতরের রাজনৈতিক শক্তি। আজ প্রতি মুহূর্তে প্রমাণিত হচ্ছে, সেই শক্তি কতটা বিপজ্জনক। ভারতের সংবিধানে যে ঐক্যমন্ত্রের সুর আছে, শাসক শক্তিই সেটাকে প্রতি মুহূর্তে ভেঙে নতুন এক হিংসুটে ভারতের জন্ম দিচ্ছে। দেশের মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিষ। তাকে বারবার শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তুমি আসলে একজন ভারতীয় নও। প্রথমে তুমি একজন হিন্দু। 
আর ওই যে তোমার প্রতিবেশী, ও একজন মুসলমান। ও আমাদের কেউ নয়, ও আমাদের শত্রু। ওকে ঘৃণা কর। 
এই ঘৃণার বীজ আজ ক্রমেই ভারতের আত্মার গভীরে পৌঁছে যাচ্ছে, আর তার সংবিধানের ভিতকে দুর্বল করে দিচ্ছে। দেশের মানুষের স্বাধিকার রক্ষার পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে এই দুষ্টু ভাবনা। তার মানবাধিকারকে খর্বও করছে। এই অপশাসনে তার জীবন পর্যুদস্ত। অথচ মহা আহ্লাদে সরকার সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করার ভণ্ডামি করে চলেছে। এই সংবিধানকে এদেশের সরকার প্রতি মুহূর্তে তাদের কাজের মধ্য দিয়ে অস্বীকার করে চলেছে। তারা সংবিধানের শক্তিকে খর্ব করে নিজেদের তত্ত্বকে জোর করে প্রচার করতে চাইছে, যে তত্ত্ব ভারতের সনাতন ধ্যান-ধারণা ও চরিত্রের সঙ্গে মেলে না। এটা অবশ্য ঠিক যে, বিগত কংগ্রেস সরকারও দেশের সংবিধানকে সার্বিক অর্থে মানেনি। কিন্তু তাদের এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সংবিধানকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলার মানসিকতাও দেখা যায়নি। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার জমানা গণতন্ত্রকে বিপন্ন করলেও দেশকে আজকের শাসকদের মতো এতটা দুর্বল করে দেয়নি। আজকের শাসকের মুখে গণতন্ত্রের এক পেল্লায় মুখোশ, আড়ালে তার স্বৈরতন্ত্র হাসে। সংবিধানের রূপকার আম্বেদকর বলেছিলেন, ‘আমি সেই ধর্মই মানি, যা মানুষের মনকে মুক্ত করে, আলো দেখায় এবং অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে এবং সেই ধর্মের মানুষকে ভাই বলে বুকে টেনে নিতে শেখায়।’ আজ তাঁর তৈরি সংবিধান, তাঁর ভাবনা ও ধারণা ভুলুণ্ঠিত।  আজ দেশটা উল্টোদিকে ছুটছে। সংবিধানের আত্মাকে জখম করে হিংসা-বিলাসে নেমেছে দেশের হিন্দুত্ববাদী শক্তি। তার মানে কিন্তু হিন্দুধর্মের মধ্যে হিংসা নেই। এই হিন্দুধর্মের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের সাধুসন্ত, মহাপুরুষরা প্রেম বিলিয়ে গিয়েছেন, মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। আদ্বিজ চণ্ডালকে বুকে আঁকড়ে ধরতে শিখিয়েছেন। কিন্তু আজকের রাজনীতির পাণ্ডারা, অ-সাধুরা সেই ছদ্ম-হিন্দুধর্মকে কেন্দ্র করে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন। এর একমাত্র উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল। ধর্ম আজ কারবারিদের কাছে একটা অস্ত্র মাত্র। সেই অস্ত্রে লেগে রয়েছে স্বার্থের রক্ত আর ক্ষমতার বিষ লালা। তাই দেখা যায়, গেরুয়াধারী নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধেও চলছে খুনের মামলা। 
সংবিধান রচনার পর একজন একবার আম্বেদকরকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার বিচারে সংবিধান কেমন হয়েছে মনে হয়?’ উত্তরে আম্বেদকর বলেছিলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে প্রয়োগের উপর। কেউ ভালো কাজ করলে মনে হবে ভালো সংবিধান। খারাপ কাজ করলে তখন মনে হবে খারাপ সংবিধান।’ অর্থাৎ দুষ্টের যেমন ছলনার অভাব হয় না, তেমনই ব্যর্থ শাসকও ভালো সংবিধানের মধ্য দিয়ে তার বদ মানসিকতার প্রয়োগ ঘটাতে পারেন। এটা সব দেশে সব কালেই দেখা গিয়েছে। আমাদের দেশে ইদানীং মানুষ সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, মোদিজি কীভাবে দিনের পর দিন মুখে গণতন্ত্রের মুখোশ এঁটে একের পর এক স্বৈরতান্ত্রিক কাজের মধ্য দিয়ে দেশটাকে রসাতলে পাঠাচ্ছেন। একটা অস্থির, দুর্বল ভারত গড়ে তুলছেন। ক্রমশ স্লো পয়জনিংয়ের মতো দেশের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন সমস্যা, অভাব, দারিদ্র, হিংসা, ঘৃণা, পাপাচার। একের পর এক সমীক্ষায় মোদি শাসনের কুফল প্রকাশিত হয়ে চলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এদেশের গরিবের আয় কমে গিয়েছে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ তাঁর যা আয় ছিল, মোদি জমানায় সেই আয় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। পাশাপাশি দেশের ধনী সম্প্রদায়ের আয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সুতরাং এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অপকর্মের ফলে কারা লাভবান হচ্ছেন, এটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। তার চাকরির নিশ্চয়তা নেই। মোদি জমানায় কোটি কোটি মানুষের চাকরি গিয়েছে। তার খাদ্য নিরাপত্তার শৃঙ্খল ভেঙে গিয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ক্রমেই কমছে। কেননা মোদিজির আমলেই হয়েছে অর্থনীতির গঙ্গাযাত্রা। এখন তিনি গঙ্গায় ডুব দিয়ে নিজের কর্মের শোধন করতে চাইছেন ভাবলে ভুল হবে। ওটা একটা ড্রামা। কিন্তু বুঝছেন না যে, নিজেরই তৈরি এক কলুষিত গঙ্গায় ডুব দিলে পাপস্খালন হয় না।  
দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ করে এখন আবার তাঁদের নেতাজি-প্রেম উথলে উঠেছে। দেখাতে চাইছেন, তাঁদের মতো নেতাজি-প্রেমী এই দেশে জন্মাননি। একটা কথা মনে রাখা দরকার, নেহরু-গান্ধীর কংগ্রেসের থেকে সুভাষচন্দ্রের যে দূরত্ব ছিল, তার থেকে নেতাজির অনেক বেশি দূরত্ব ছিল নাথুরাম-সাভারকারদের সঙ্ঘ পরিবারের। নেতাজি সেদিন গান্ধী-জওহরলালকে যতটা চিনেছিলেন, ততটাই চিনেছিলেন সাভারকর, শ্যামাপ্রসাদদের। সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে নেতাজি ঘৃণা করতেন। সুতরাং আজ তাঁদের মুখে নেতাজির স্তুতি বেমানান। বুঝতে হবে, এই ভণ্ডামির কোনও উদ্দেশ্য আছে। সেদিন কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভা উভয় শক্তিই পিছন থেকে সুভাষচন্দ্রকে ছুরি মারার চেষ্টা করেছিল। আজ সেই কলঙ্কিত ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। যখন নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে দেশের উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়ে ঢুকে দেশকে স্বাধীন করার তীব্র লড়াই চালাচ্ছেন, তখন সাভারকররা তাঁকে পর্যুদস্ত করার জন্য ইংরেজদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেনাশক্তি দিয়ে সাহায্যের কথা বলেছিলেন। সেই সাভারকরকে আপনারা দেশভক্ত বানান, কিন্তু তাঁকে নেতাজির মতো মহান মানুষের সঙ্গে একাসনে বসাবেন না। এ এক ভয়ানক পাপ।   
এই দেশের এমনই দুর্ভাগ্য যে, তাঁদের হাতেই পালিত হচ্ছে দেশের সাধারণতন্ত্র দিবস, পালিত হবে স্বাধীনতার প্লাটিনাম জুবিলি। কোন দেশপ্রেম আজ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই সরকার? আমাদের ছেলেবেলায় মানুষের মধ্যে যে দেশাত্মবোধ দেখেছি, তার সঙ্গে আজকের দেশাত্মবোধের কোনও মিল নেই। আজ দেখছি, দেশপ্রেম মানে দেশকে ভালোবাসা নয়। আজ নিজেকে আগমার্কা দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে গেলে শত্রুদেশকে ঘৃণা করতে হয়, দেশের মুসলিম নাগরিকদের দেশান্তরী করার কথা ভাবতে হয়, গোমাংস বহন করতে দেখলে তাকে পিটিয়ে খুন করতে হয়, বেনারস-হরিদ্বারে দেশের মুসলিমদের ঢোকার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করতে হয়। আজ বারবার খুঁজে দেখতে হয়, এঁরা কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন আম্বেদকরের সংবিধানকে!
আজ ভারতে যেটা মোদি শাসনে চলছে, সেটা স্বৈরতন্ত্র ছাড়া যে আর কিছুই নয়, তা সারা বিশ্ব জেনে গিয়েছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সমীক্ষায় কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে মোদির স্বৈরতান্ত্রিক ভূমিকার কথা। সেখানে বিভিন্ন দেশের সম্পর্কে নানা কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে এ দেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এখন ভারতের সামনে সব থেকে বড় বিপদ পাঁচটি। অর্থনীতিক বিপন্নতার কথা তো বলা হয়েছেই, তাছাড়া বলা হয়েছে দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় মৌলবাদের বিষ ঢুকিয়ে দেওয়ার কথাও। এটা খুব সচেতনভাবেই করা 
হয়েছে। তাদের সামনে শিক্ষা, কেরিয়ার, পরিবার রক্ষার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোরক্ষা, মুসলিমদের শত্রু ভাবা। সরকার চাকরি দেবে কী! উল্টে মানুষের চাকরি খেয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। তাই ধর্মীয় বিদ্বেষের আফিমের নেশায় তরুণদের বুঁদ করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তাই এত মন্দিরের আদিখ্যেতা, এত সুবিশাল মূর্তি তৈরির রাজনীতি। 
আজকের ভারত প্রসঙ্গে এক অর্থনীতিবিদের কথা উদ্ধৃত করা যায়।  এই সময় সেটা আমাদের দেশের পক্ষে সুপ্রযুক্ত। সেই অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে চেল্লামেল্লি বেশি, সমস্যা কম। আর স্বৈরতন্ত্রে থাকে স্তব্ধতা, কিন্তু যন্ত্রণা থাকে অনেক বেশি।’ মোদিজির নীরবতা এবং আমাদের দৈনন্দিন যন্ত্রণা কিন্তু স্বৈরতন্ত্রের সেই পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।   
26th  January, 2022
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও: মমতা

02:45:58 PM

পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:45:44 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:39:36 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:37:39 PM

১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেয়নি কেন্দ্র, ভোটের পর আমরা বাড়ির টাকা দেব: মমতা

02:37:39 PM

ওরা আবাসের টাকা বন্ধ করেছে: মমতা

02:33:29 PM