Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপির খিচুড়ি রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ঘটনাটা লকডাউন শুরুর ঠিক পরের। ২০২০ সালের এপ্রিলের ১০ তারিখ। উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। রান্নার লোক আসেনি বলে গ্রামপ্রধান লীলাবতী দেবী নিজেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন। ভেবেছিলেন, জনা পাঁচেকের রান্না... একাই সামলে দিতে পারব। বাধ সেধেছিলেন সিরাজ আহমেদ। লীলাবতী দেবীর রান্না পরিবেশন করা হলে তিনি মুখের উপর বলে দিলেন, ও খাবার আমি খাব না। কেন? একজন দলিতের রান্না করা খাবার আমাকে খেতে হবে? সত্যি তাঁকে সেদিন ওই রান্না খাওয়ানো যায়নি। ক্ষুব্ধ লীলাবতী দেবী নালিশ করেছিলেন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট দেশদীপক সিংয়ের কাছে। আর তারপর বিডিও রমা কান্তকে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সিরাজ আহমেদের বিরুদ্ধে। 
জেলার নাম কুশীনগর। এখানে প্রায় ৪০ শতাংশ দলিতের বাস। সিরাজ আহমেদ উচ্চবর্ণের মুসলমান হয়ে একজন দলিতকে অপমান করবেন, এটা প্রশাসন মেনে নেয়নি। আবার উল্টো যুক্তি সাজালে, লীলাবতী দেবী গ্রামপ্রধান এবং একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বলেই যোগী প্রশাসন এহেন পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখানেই শেষ নয়... বিজেপি বিধায়ক বিজয় দুবে তাঁর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আপনার রান্না খাব। দলিতদের প্রতি এই অনাচার বন্ধ হওয়া দরকার।’ 
এই হল বিজেপির খিচুড়ি রাজনীতি। আজকের নয়। দীর্ঘদিনের। বেগতিক দেখলেই ঢাক-ঢোল-মিডিয়া পিটিয়ে দলিত বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া। নেতার পিছনে প্রচ্ছন্নে সেঁটে থাকা প্ল্যাকার্ড—ভোট চাই। কারণ, এই সব খিচুড়ি রাজনীতিই ভোটের সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আবার ঘটে দলিত-বঞ্চনা, হেনস্তা। এর উদাহরণ উত্তরপ্রদেশে ভূরি ভূরি। পিছড়ে বর্গের এই রাজনীতিকে হাতিয়ার করেই উঠে এসেছিলেন কাঁসিরাম। আর তারপর মায়াবতী। মায়া বুঝেছিলেন, মসনদের চৌকাঠে পা রাখতে হলে উচ্চবর্ণ এবং নিম্নবর্ণের মধ্যে আড়াআড়ি একটা লাইন টানতে হবে। দেখাতে হবে, উচ্চবর্ণের কর্তাব্যক্তিরা দলিতদের কীভাবে বঞ্চিত করে। বোঝাতে হবে, দলিত নেত্রীর সরকার ক্ষমতায় এলেই পিছড়ে বর্গের উন্নতি হবে। এই লড়াইয়ে তাঁর অন্যতম সেনাপতি কে ছিলেন? স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি মায়াবতীর সঙ্গে। টানা বিশ বছর চলেছিল এই সফর। মায়ার ক্ষমতায় আসা, আইনি যুদ্ধ, রাজনীতির যুক্তি-তর্ক... সবেতেই সঙ্গ দিয়েছিলেন স্বামীপ্রসাদ। ২০১৬ পর্যন্ত। মায়াবতীর ডানহাত ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ভোট রাজনীতিতে নিজেকে নির্ণায়ক ফ্যাক্টর বলে দাবি করেন তিনি। অনেকটাই ঠিক। কারণ, কুশীনগরের পডরোনা থেকে শেষ তিনবার জিতেছেন স্বামী মৌর্য। প্রমাণ করেছেন, তাঁর কথা দলিত-ওবিসিরা শোনে। ২০১৭ সালে বিজেপির হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন তিনি। এবার বলবেন সমাজবাদী পার্টির হয়ে। 
উত্তরপ্রদেশের ভোট রাজনীতি চলে দু’টি সমীকরণে। প্রথমটি, জাতপাত। উচ্চবর্ণ এবং দলিত সমীকরণ। যেমন এলাকা, যেমন নেতা, ঠিক তেমনই জোর আসে প্রচারে। প্রত্যেকের নিজস্ব এজেন্ডা আছে। সেই মতো এখানে প্রার্থী ঠিক হয়। সেই মতো ঝড় ওঠে প্রচারে। দ্বিতীয় সমীকরণ হল, হিন্দু-মুসলিম। বিজেপি দ্রুতগতিতে দেশজুড়ে এই সমীকরণকে প্রাথমিক করে তুলেছে। হিন্দুত্ববাদী সমাজ, গো-রক্ষক, ঘর ওয়াপসি, লাভ জেহাদ—একের পর এক শব্দবন্ধ বাজার মাত করেছে। আর শক্তিশালী হয়ে উঠেছে অন্ধ ভক্তরা। বিজেপি সাংসদ আর এক স্বামী... অর্থাৎ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, এবি এবং জিবি। এবি কথার অর্থ, অন্ধ ভক্ত। আর জিবি, গন্ধ ভক্ত (কেউ কেউ অবশ্য এর অন্য মানেও করেন)। যাই হোক, গত কয়েক বছরে এই শব্দবন্ধগুলোই ছিল বিজেপির ইউএসপি। ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন। এগুলি ভাঙিয়েই বিজেপির ধর্ম ও ক্ষমতার ব্যবসা চলেছে রমরমিয়ে। এখন সময় বদলেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদের ক্লিশে রং এবং একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারি ফ্লপ শো আজ হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির সমীকরণকে ব্যাক বেঞ্চে ঠেলেছে। অখিলেশ এটাই চাইছিলেন। তাঁর পার্টির রাজনীতি হিন্দু-মুসলিম নয়। উত্তরপ্রদেশে তাঁর ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ মুসলিম। অথচ, দলিত এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে ভাগ্যের সূর্যোদয় কিছুতে হবে না। উত্তরপ্রদেশে দলিত ভোট যদি ২১ শতাংশ হয়, ওবিসি ভোট তাহলে ৪৪ শতাংশ। তাই মোক্ষম চাল দিলেন তিনি। পরপর সাইকেলে চড়ে বসা কয়েকটি নাম... উল্লেখযোগ্য অবশ্যই স্বামীপ্রসাদ মৌর্য এবং দারা সিং চৌহান। যোগী আদিত্যনাথ দেখলেন, বড্ড বিপদ। কী করা যায়? চেনা অস্ত্র তো আছেই! চলো কোনও দলিত-বাড়ি। সেখানে ফটোগ্রাফার থাকবে। যোগী দাওয়ায় বসবেন দলিতের পাশে। একসঙ্গে খিচুড়ি খাবেন। আর সেই ছবি ছড়িয়ে যাবে ফেসবুক থেকে টুইটারে। কিন্তু যোগীজি ভুলে গিয়েছেন, এই অস্ত্রটাও এখন ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। এই তো সেদিন ভোট গেল বাংলার। তার আগে আপনারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাঘা বাঘা সব নাম এসেছিলেন বাংলায়। এর বাড়ি, তার বাড়ি গিয়ে পাত পেড়ে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের শেষে ৭৭। অর্থাৎ, বাংলার ভোটে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডাদের এই খিচুড়ি রাজনীতি মোটেও কাজে আসেনি। উত্তরপ্রদেশেও আসবে না। বাংলার ক্ষেত্রে ছিল কেন্দ্রের শাসক। তাও বাংলার মানুষ ডবল ইঞ্জিনের ধোঁকা খায়নি। আর উত্তরপ্রদেশ? এখানকার ভোটাররা তো বছরের পর বছর দেখছেন এই ফাঁকা কলসির অধিক বাজনা। মানুষ এখন আর বোকা নয়। তারা ধাপ্পাটা বোঝে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ বা জে পি নাড্ডারা যে এই সবই ‘পেটের দায়ে’ করছেন, তা বিলক্ষণ বোঝে মানুষ। তারা জানে, বছরের ৩৬৫ দিন ওই দাওয়ায় বসে, মোটা চালের খিচুড়ি খাওয়া তাঁদের পোষাবে না। তাঁরা ওই এক-দু’দিন আসবেন। লোক দেখাবেন। আর চলে যাবেন। এবার অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের একটু ভাবতে হবে... অন্য প্ল্যানিং। খিচুড়ি খাওয়ার রাজনীতি দিয়ে উত্তরপ্রদেশ ধরে রাখতে পারবেন না তাঁরা। আর অমিত শাহ ৪০৩টি কেন্দ্রে প্রচারে গিয়েও লাভের লাভ কিছু হবে না। যোগী সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। সেইগুলিকে সাফল্যে বদলে ফেলার মতো পি সি সরকার আর যেই হোক না কেন, অমিত শাহ নন। আর সত্যপাল মালিকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বুঝিয়েছে, সমস্যা বিদ্যমান। নরেন্দ্র মোদি এখন কার্যত গ্যালারি শোয়ে পরিণত হয়েছেন। তাই তিনি সত্যপাল মালিককে বলেছিলেন, এখন থেকে আপনি বরং আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। মালিক মহাশয় পরে এই মন্তব্য থেকে পিঠটান দিলেও বিতর্কের আগুন জিইয়ে রয়েছে। তাই অমিত শাহের কাজ ভীষণ কঠিন উত্তরপ্রদেশে। লাইন লেগেছে। বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেওয়ার লাইন। নেতা-মন্ত্রীরা গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁরা আন্দাজ করছেন, ক্ষমতার ব্যাটনের হাতবদল হতে চলেছে। বাংলার সঙ্গে আজ উত্তরপ্রদেশের ভীষণ মিল—সবার দম বন্ধ লাগছে। প্রতিদিন কোনও না কোনও নেতা, বিধায়ক বা এমএলএ শ্বাস নেওয়ার জন্য ছুট্টে চলে যাচ্ছেন সমাজবাদী ছাউনিতে। বলছেন, এই বাঁচলাম। বিজেপি সরকার কোনও কাজের নয়। তারা দলিতদের জন্য, অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কিচ্ছুটি করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। তাই বিজেপি বর্জন করতে হবে। একের পর এক এমন ঘটনায় কোণঠাসা হচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি সেই গোরক্ষপুর মঠের আশ্রয়ে ফিরছেন। আর শক্তিশালী হচ্ছে বিরোধী শিবির। 
বিজেপির রাজনীতি? সে এখন বাস্তবিকই খিচুড়িতে পরিণত। যেখান থেকে যা পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা। হিন্দু-মুসলিম চলবে, জাতপাত বা দলিত রাজনীতিও চলবে। সঙ্গে থাকবে কিছুটা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে খোঁচাখুঁচি, কিছুটা সিএএ, বাকিটা মহামারী ও ভ্যাকসিন। আর অখিলেশ? খুব অঙ্কে কষে এগিয়েছেন যাদব কুলপতি। দলের যেখানে যেখানে ফাঁক রয়েছে, দ্রুত ভরাট করছেন তিনি। কাকার সঙ্গে রাজনৈতিক সমস্যাও মেটাচ্ছেন। অথচ, আলপটকা মন্তব্য করে বিজেপির হাতে অস্ত্র কিছুতেই তুলে দিচ্ছেন না। কারণ, তামাম দেশবাসীর মতো তিনিও জানেন, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার। আসন্ন ভোটে যে পার্টি ক্ষমতায় আসবে, দু’বছর পর লোকসভা ভোটের পাল্লাও ঝুঁকবে তার দিকে।  বাকি রইল কংগ্রেস! নেতৃত্বহীনতার অভিশাপে ধুঁকতে থাকা একটা দলকে সঙ্গে নিলে লাভের লাভ তো কিছু হবেই না, মাঝখান থেকে বেশি কিছু আসন হাতছাড়া হবে। তার থেকে একা লড়ে নেওয়াই ভালো। যা থাকবে, সেটাই নিজস্ব। তাতে কারও ভাগ থাকবে না। অনধিকার চর্চাও নয়। সমাজবাদী পার্টির এবার মসনদ দখল মানে একটা বিষয় জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে—বিজেপিতে আর ভক্তি, শ্রদ্ধা বা আস্থা, কোনওটাই নেই। বরং আঞ্চলিক শক্তিগুলির যুগ ফের শুরু হতে চলেছে। এর প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বেই। 
খেলা শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যোগী সাবধান!
18th  January, 2022
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:30:08 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM