Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বামীজি ধর্মের নামে কারবার ঘৃণা করতেন
মৃণালকান্তি দাস

 

ছেলেবেলায় বাবার বৈঠকখানায় সব গড়গড়ার নল মুখে নিয়ে জাত যায় কী করে, পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
বাবা বিশ্বনাথ দত্তের রসুইখানার বাবুর্চিও ছিলেন মুসলিম। শ্রীরামকৃষ্ণও জানতেন, তাঁর প্রিয় শিষ্যের খাদ্যতালিকা থেকে মুরগি-পাঁঠা-মাছ-পোলাও কিচ্ছু বাদ যায় না। খাওয়াদাওয়ায় যে জাতপাতের ভাগাভাগি, তা ভেঙে দেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি লিখেছেন, ‘যাঁর উদ্দেশ্য কেবল মাত্র ধর্মজীবন, তাঁর পক্ষে নিরামিষ, আর যাকে খেটে খুটে... জীবনতরি চালাতে হবে তাকে মাংস খেতে হবে বৈ কি।’ একবার এক শিষ্য নরেনের নামে নালিশ জানান রামকৃষ্ণকে। জবাবে ঠাকুর বলেন, ‘‌খেয়েছে বেশ করেছে। তুই যদি হবিষ্যিও খাস আর নরেন যদি হোটেলে খায়, তাহলেও তুই নরেনের সমান হতে পারবি না।’‌ ঠাকুর নিজে অবশ্য সাত্ত্বিক আহার করতেন। মাছ–মাংস ছুঁয়েও দেখতেন না।
সে সময়টা ছিল আষাঢ় মাস। বৃষ্টির দমকে গঙ্গার উপরে কুয়াশার মতো মায়া। বেলুড় আশ্রমের ঘর থেকে দেখা যায় শত শত মাছ ধরার নৌকো। স্বামীজি তাকিয়ে দেখছেন জেলেদের ইলিশ ধরার আনন্দ। সে বার একটা প্রমাণ মাপের গঙ্গার ইলিশ কেনা হল। সেই মাছ দেখে স্বামীজি তো শিশুর মতো হয়ে গেলেন। পূর্ববঙ্গীয় শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে ডেকে বললেন, ‘তোরা নতুন ইলিশ পেলে নাকি পূজা করিস, কি দিয়ে পূজা করতে হয় কর।’ স্বামী প্রেমানন্দ লিখেছেন, ‘...আহারের সময় অতি তৃপ্তির সহিত সেই ইলিশ মাছের ঝোল, অম্বল, ভাজা দিয়া ভোজন করিলেন।’ দ্বিপ্রাহরিক সেই তৃপ্ত ভোজন ছিল স্বামী বিবেকানন্দের অন্তিম আহার।
আক্ষরিক অর্থেই তিনি এক ছকভাঙা সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসী ও গৃহী, উভয়ের জন্যই ছিল তাঁর কর্মযোগ। দেশ যখন শ্মশানপ্রায় তখন সন্ন্যাসীর মোক্ষবাসনা অনুচিত বলেই মনে করেন তিনি। সন্ন্যাসীর ধ্যানে নয়, দেশ ও সমাজের জন্য অবিরাম নিষ্কাম কর্মেই ভারত জেগে উঠবে, একথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন এই স্বদেশপ্রেমিক সন্ন্যাসী। বিবেকানন্দের গুরুভাইরা এই কাজের দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছিলেন। দেশের মানুষকে শিক্ষা-স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করেছেন, অনাথ আশ্রম চালিয়েছেন, মহামারী দেখা দিলে পথে নেমেছেন। সে এক অন্য রকম সন্ন্যাসজীবন। স্বামীজি বুঝেছিলেন ‘ধর্ম’কে বনে আর পরমার্থে আটকে রাখলে চলবে না। শত শত বুদ্ধের কারুণ্য-নিষিক্ত হৃদয়বান মানুষই ছিল তাঁর কাঙ্ক্ষিত। অজ্ঞ, কাতর, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে, তাদের স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যে তিনি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তাঁর ধর্ম-দর্শন-অধ্যাত্মচিন্তার সবটাই জুড়ে আছে মানুষের কথা।
বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘অতীতে যত ধর্মসম্প্রদায় ছিল, আমি সবগুলিই সত্য বলিয়া মানি এবং তাহাদের সকলের সহিতই উপাসনায় যোগদান করি। প্রত্যেক সম্প্রদায় যেভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করে, আমি তাহাদের প্রত্যেকের সহিত ঠিক সেই ভাবে তাঁহার আরাধনা করি। আমি মুসলমানদিগের মসজিদে যাইব, খ্রিস্টানদিগের গির্জায় প্রবেশ করিয়া ক্রুশবিদ্ধ ঈশার সম্মুখে নতজানু হইব, বৌদ্ধদিগের বিহারে প্রবেশ করিয়া বুদ্ধের ও তাঁহার ধর্মের শরণ লইব, এবং অরণ্যে গমন করিয়া সেই–সব হিন্দুর পার্শ্বে ধ্যানে মগ্ন হইব, যাঁহারা সকলের হৃদয়–কন্দর–উদ্ভাষণকারী জ্যোতির দর্শনে সচেষ্ট।’ শিষ্যদের সবসময় বলতেন, হিন্দুরা সব ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করেন, হিন্দুত্ববাদীরা অহিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। একটি প্রীতির কথা বলে, অন্যটি ঘৃণার কথা। হিন্দুধর্ম বনাম রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদ, কিংবা ইসলাম বনাম রাজনৈতিক ইসলামের দ্বৈততাটি না বুঝিলে ভারতের মতো দেশে পদে পদে সঙ্কট...।
যার সার কথা, হিন্দুত্ববাদ ক্ষমতালোভীদের কারবার, এর সঙ্গে ধর্মের সংযোগ বড়ই ক্ষীণ। আসলে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের বিকারগ্রস্ত একটা দিক আছে। যেখান থেকে হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির উৎপত্তি। এদের কাজ হল বিবেকানন্দের মতো এক ব্যক্তিত্বের উদার শব্দগুলি নিজের মতো করে ব্যবহার করা। তাদেরই দরকার পড়ে বিবেকানন্দের হিন্দুবোধকে নিজের প্রয়োজনে আত্মসাৎ করার। এ এক ভয়ঙ্কর  হন্তারক সময়, যেখানে জাতি, জাতীয়তাবাদ এবং সংস্কৃতি এক দল রাজনীতিকের ব্যক্তি ব্যবহারের যান্ত্রিকতায় পরিণত হয়েছে।
স্বামীজি বলেছিলেন, ‘আমরা মানবজাতিকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে চাই-যেখানে বেদও নাই, বাইবেলও নাই, কোরানও নাই অথচ বেদ, বাইবেল ও কোরানের সমন্বয় দ্বারাই ইহা করিতে হইবে। মানবকে শিখাইতে হইবে যে, সকল ধর্ম ‘একত্বরূপ সেই এক ধর্মে’রই বিবিধ প্রকাশ মাত্র, সুতরাং যাহার যেটি সর্বাপেক্ষা উপযোগী সেটিকেই বাছিয়া লইতে পারে।’ আর মন্দির প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কোটি টাকা খরচা করে, কাশী-বৃন্দাবনের ঠাকুর ঘরের দরজা খুলছে আর পড়ছে। এই ঠাকুর কাপড় ছাড়ছেন তো ওই ঠাকুর ভাত খাচ্ছেন তো ঠাকুর আঁটকুড়ির ব্যাটাদের গুষ্টির পিণ্ডি করছেন। এদিকে আসল জ্যান্ত ঠাকুর অন্ন বিনা, বস্ত্র বিনা মরছে।’ বিবেকানন্দ বলছেন, ‘সো লং অ্যাজ ইভন আ সিঙ্গল ডগ ইন মাই কান্ট্রি হ্যাজ নো ফুড, মাই হোল রিলিজিয়ন উইল বি টু ফিড দেম।’ এই বিবেকানন্দকে সম্ভবত নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের খুব অচেনা লাগছে। এই স্বামীজির সঙ্গে বর্তমানে ধর্মের ধ্বজাধারীদের দূরত্ব বেশ কয়েক যোজন। তাই এ দেশে এখন ভোট এলেই ধর্মের বাড়বাড়ন্ত হয়। ভোট এলেই কোনটি হিন্দু সভ্যতা, আর কোনটি বর্বর অহিন্দু, তার তালিকা পেশ করা শুরু হয়। প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্রের মঞ্চে হয়তো এটাই অবশ্যম্ভাবী— যেখানে গণতন্ত্র মানে ভোট, ভোট মানে সংখ্যার খেলা, সংখ্যা মানে সংখ্যাগুরুর আবেগ, আর আবেগ উস্কে দেওয়ার সোজা রাস্তা ধর্মের ধুয়ো। 
তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারাণসীতে গিয়ে মন্দির প্রসঙ্গে ঔরঙ্গজেবকে স্মরণ করতে হয়, এবং ঔরঙ্গজেব প্রসঙ্গে শিবাজিকে টেনে আনেন। গঙ্গাস্নানে জপের মালা হাতে কোমর-সমান জলে দাঁড়িয়ে পোজ দিতে হয়। সেই ছবি আলোকচিত্রের দৌলতে দেশের সর্বত্র ভাইরাল হয়। উত্তরপ্রদে‌শজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিন্দুত্ববাদী কার্যক্রমের পারদ-উচ্চতা, মন্দির নির্মাণ কিংবা প্রসারণের প্রতিশ্রুতি বর্ষণ, সাধুসন্ন্যাসীদের অতিসক্রিয়তা! ধর্মকে হাতিয়ার করে বিজেপি রাম মন্দির, কাশী-মথুরায় মন্দির তৈরি, তাজমহল ভেঙে শিবমন্দির তৈরির জিগির তোলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোটকে সংহত করার উদ্দেশ্যে। দেশ ও রাজ্যের মানুষের সমস্যা— দারিদ্র, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সমস্যা, পানীয় জল, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই বিজেপি নেতৃত্বের। বস্তুত বিজেপির সাধারণ মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া, অর্থনীতি এবং রাজনীতিগতভাবে দেওয়ার মতো কিছু নেই। পরিষ্কার বোঝা যায়, সামনেই উত্তরপ্রদেশের ভোট! ধর্মের আফিম খাইয়ে জিততেই হবে। আমরা অবাক হয়ে যাই— ভারতের চেহারা সুস্থতার দিকে, না কি অসুস্থতার দিকে— কোন দিকে এগচ্ছে? সাধারণ মানুষ ধর্মীয় মাদক-জড়িবুটি কত দিন ধরে সেবন করে যাবেন? এই শিক্ষা অন্তত বিবেকানন্দের নয়...।
স্বামীজি এই সমস্যা প্রসঙ্গে আগেই সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ধর্মের সংহতি-স্থাপনই ভবিষ্যৎ ভারত গড়িবার প্রথম সোপান। সেই মূল ঐক্যের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া নিজেদের এবং জাতির কল্যাণের জন্য পরস্পরের সর্ববিধ মতভেদ ও অকিঞ্চিৎকর কলহ আমাদের বর্জন করিবার সময় আসিয়াছে। বহু দিকে বিকীর্ণ আধ্যাত্মিক শক্তিসমূহের সম্মিলন দ্বারাই ভারতে জাতীয় ঐক্যের প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে।’ বিবেকানন্দ কথিত এই ধর্মের সঙ্গে প্রচলিত সম্প্রদায়গত ধর্মের কোনও যোগ নেই। যোগ একমাত্র হৃদয়ে। অনেকেই আবার বিবেকানন্দের এই ‘জাতি’ শব্দটিকে সঙ্কীর্ণ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তিনি নিজেই বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশের সমস্যাসমূহ অপেক্ষা এদেশের সমস্যা জটিলতর, গুরুতর। জাতির অবান্তর বিভাগ, ধর্ম, ভাষা, শাসনপ্রণালী—এই সমুদয় লইয়াই একটি জাতি গঠিত।’ 
এই বিবেকানন্দই বলছেন, ‘আমার যদি একটা সন্তান থাকত, তাকে মনঃসংযোগের অভ্যাস এবং সেই সঙ্গে এক পংক্তির প্রার্থনা ছাড়া আর কোনও প্রকার ধর্মের কথা আমি শিখতে দিতাম না। তার পর সে বড় হয়ে খ্রিস্ট, বুদ্ধ বা মহম্মদ যাকে ইচ্ছা উপাসনা করতে পারবে। সুতরাং এটা খুবই স্বাভাবিক যে একই সঙ্গে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে এবং নির্বিরোধে আমার ছেলে বৌদ্ধ, আমার স্ত্রী খ্রিস্টান এবং আমি নিজে মুসলমান হতে পারি।’
বিবেকানন্দ বুঝেছিলেন যে, দেবতা আকাশ থেকে নামেন না বা মাটি ফুঁড়েও ওঠেন না। বিবেকানন্দ চান জীবন্ত মানুষের পুজো। শিষ্যবর্গ এবং সতীর্থদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, ‘মানুষের জন্য কাজ করে করে তোরা শেষ হয়ে যা, এটাই আমার আশীর্বাদ।’ বিশ্ববিজয় করে দেশে ফেরার পর একদিন সশিষ্য খুব শাস্ত্রচর্চা হচ্ছে, নাট্যকার গিরিশ ঘোষ বললেন, ‘বেদবেদান্ত তো ঢের পড়লে, এই যে দেশে ঘোর হাহাকার, অন্নাভাব... এর উপায় তোমার বেদে কিছু বলেছে?... এককালে যার বাড়িতে রোজ পঞ্চাশখানি পাতা পড়ত, সে আজ তিন দিন হাঁড়ি চাপায়নি— এ সকল রহিত করবার কোন উপায় বেদে আছে কি?’ নির্বাক বিবেকানন্দের চোখে জল। শাস্ত্রচর্চার আড্ডা ছেড়ে উঠে চলে গিয়েছিলেন। পিছন থেকে গিরিশচন্দ্র চেঁচিয়ে বলেছিলেন, ‘তোর স্বামীজিকে কেবল বেদজ্ঞ পণ্ডিত বলে মানি না। কিন্তু ওই যে জীবের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল, এই মহাপ্রাণতার জন্য মানি।’ এটাই বিবেকানন্দের বীক্ষা। তাঁর ধর্ম-দর্শন-অধ্যাত্মচিন্তার সবটাই জুড়ে আছে মানুষের কথা।
সেই দর্শনের সঙ্গে মোদিজির গেরুয়া শিবিরের ভাবনার আকাশ-পাতাল ফারাক। সংকীর্ণ হিন্দুত্ব তাঁকে দলে টানার চেষ্টা করলে বিপদে পড়বে!
13th  January, 2022
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দেউলটির পানিত্রাসে নিবার্চনী প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ, সঙ্গে রয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল

10:38:07 AM

অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অকুস্থলে দমকল

10:34:37 AM

মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা

10:32:12 AM

চাঁচলে রক্তাক্ত তৃণমূল সমর্থক
সরকারি সাব মার্সিবলকে নিজের সম্পত্তি বলে দাবি কংগ্রেস পরিবারের। তৃণমূল ...বিশদ

10:31:41 AM

বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ
জামুরিয়া থানার বাগদিহা সিদ্ধপুর গ্রামে বিজেপি নেতা কাজল গড়ায়ের বাড়িতে ...বিশদ

10:25:07 AM

জামুড়িয়ায় রামনবমীর র‌্যালিতে সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া

10:22:23 AM