Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

পুরভোটে জোড়াফুল ফুটুক বা না ফুটুক ২০২৩ সাল ত্রিপুরা তৃণমূলের জন্য ‘বসন্ত’। মাত্র চার মাসেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই দেখে রক্তস্নাত ত্রিপুরা বুঝেছে, বিজেপিকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা আছে তৃণমূলেরই। ত্রিপুরাবাসীর এই মনোভাব টের পেয়েছে বিজেপিও। তাই প্রথম থেকেই তৃণমূলকে আটকাতে তারা এত মরিয়া। মারধর, গাড়ি ভাঙচুরের মতো দমনের চিরাচরিত দাওয়াই কাজ না করায় ‘খেলা হবে’ স্লোগানেই দেওয়া হয়েছে খুনের চেষ্টার মতো মারাত্মক কেস। ভয় থেকেই জন্মায় আক্রমণের প্রবৃত্তি। আর এব্যাপারে সাপ থেকে মানুষ, সকলের প্রকৃতিই এক। সেই ভয় থেকেই কি ত্রিপুরায় বিজেপির পাল্টা ভীতি প্রদর্শন! নাকি কংসের মতো ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশেও আকাশ থেকে বর্ষিত হয়েছে সতর্কবাণী, তোমারে বধিবে যে বাংলায় বাড়িছে সে।
আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই জানা যাবে আগরতলা সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন পুরসভা ও নগর পরিষদের ২২২টি আসনের ফলাফল। পুরসভা নির্বাচনটা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এর জন্য ছিল রাজনীতির ‘ইউনিট টেস্ট’। সিলেবাস অতি সামান্য। প্রশ্নও জানা। তার উপর হোম সেন্টারে বসে পরীক্ষা। গার্ডও ঘরের লোক। তাই বিপ্লববাবুর দল পরিস্থিতির পুরো সুযোগ নিয়েছে। 
ভোটের আগের রাতে বিরোধীদের তো বটেই, বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনের অনুগামীদের বাড়িতে গিয়েও পাইকারি হারে চমকানো হয়েছে। জারি করা হয়েছিল, ভোট দিতে না যাওয়ার ফতোয়া। তারপরেও যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের ভরসায় বৃহস্পতিবার ভোট দিতে বেরিয়েছিলেন তাঁদের বেশিরভাগই বুথ পর্যন্ত যেতে পারেননি। বুথে যাওয়ার আগেই ধমকে বাড়ি পাঠিয়েছে। আর যাঁরা অবাধ্য হয়েছিলেন তাঁদের পিটিয়ে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। শুধু সাধারণ ভোটার নয়, ভোট দিতে যাওয়ায় ফেলে পেটানো হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকেও। 
বিজেপির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লোভের আগুন থেকে রেহাই পায়নি কেউই। সাতসকালে শুরু হয়ে যায় সিপিএমের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, তৃণমূল প্রার্থীর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া, প্রার্থীর ছেলেকে মারধর। সময় যত গড়িয়েছে মেরে বুথ থেকে এজেন্ট বের করা, ছাপ্পা, রিগিং, সন্ত্রাসের অভিযোগ ততই লম্বা হয়েছে। সুতরাং ‘ইউনিট টেস্টে’ বিপ্লববাবুর দলের ফুল মার্কস একপ্রকার নিশ্চিত। এরপরেও আগরতলার ৫১টি আসনই বিজেপি যদি না পায় তাহলে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা বিপ্লব দেবের জন্য হয়ে যাবে অনিশ্চিত। অনেকে বলছেন, অপসারণের আশঙ্কা থেকেই বিপ্লববাবুর অনুগামীরা পুরভোটে অলআউট খেলেছেন। 
দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তদের দিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি তৈরির কাজ শুরু। তারপর সুস্মিতা দেব, সায়নী ঘোষরা। মাঝে বার তিনেক গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় থরহরি কম্প ত্রিপুরা বিজেপি। তাও এখনও পা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই পরাজয়ের ভূত তাড়া করেছে গোটা গেরুয়া শিবিরকে। 
বিজেপি বিধায়ক অরুণচন্দ্র ভৌমিকের ভাষণে মিলেছে তারই ইঙ্গিত। অরুণবাবুর নিদান, ‘তৃণমূল কংগ্রেস দেখলেই তাড়া করুন। আপনাদের জন্য আমি করি। আমার জন্যও আপনাদের করতে হবে।’ কোনও গোপন বৈঠকে নয়, একেবারে প্রকাশ্যে। দলের মস্তান বাহিনীর কাছে একজন প্রবীণ বিধায়কের এমন আবদার! ভাবা যায়? 
সমঝদারোকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়। অরুণবাবু যখন এসব বলছিলেন তখন মঞ্চে ছিলেন স্বয়ং বিপ্লব দেব। তাই বিজেপি কর্মীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, নির্দেশটা আসলে কার! অতএব যতই মারো, যতই গুলি চালাও পুলিস টিকি ছোঁবে না। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে, ফ্রি হিট। তার পরিণতি? ত্রিপুরার পুরভোটে মাত্রা ছাড়িয়েছে সন্ত্রাস। সুপ্রিম কোর্টের শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর নির্দেশ সত্ত্বেও রক্ত ঝরেছে ত্রিপুরায়। 
সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রিপুরায় বামেদের আগেই কোণঠাসা করে ফেলেছে বিজেপি। তবুও মানিক সরকারের জন্য বামেরা লড়াইয়ে আছে। তা সত্ত্বেও বিজেপি বুঝেছে, ২০২৩ সালে তৃণমূলই হবে মাথাব্যথার কারণ। সিপিএমের অতীত দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেলেও তৃণমূলকে দমানো কঠিন। সেটা চার মাসেই বুঝে গিয়েছে বিজেপি। তাই পুরভোটে তৃণমূলকেই দুরমুশ করেছে বেশি। 
‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। কেন্দ্রীয় বাহিনী বা কমিশনের কোনও ভয় নেই। তাই বিরোধীদের পাত্তা দেওয়া তো দূরের কথা, তাদের শায়েস্তা করাই বিপ্লববাবুর পুলিসের লক্ষ্য। সেই জন্য গাড়ির মধ্যে বসে ‘খেলা হবে’ বলায় সায়নী ঘোষকে ‘খুনের চেষ্টার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করতেও পুলিসের হাত কাঁপেনি। একজন অল্পবয়সি মহিলা নেত্রীকে সারা রাত থানায় আটকে রেখে বিপ্লব দেবের পুলিস প্রমাণ করে দিয়েছে, ত্রিপুরা আছে ত্রিপুরাতেই।
পুরসভা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন ও আশিস সাহা নির্বাচনে গন্ডগোলের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ত্রিপুরায় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তাঁর সাফ কথা, উন্নয়ন হলে মারধরের দরকার হতো না। ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে হতো না। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে ত্রিপুরার বুকে এমন সংস্কৃতি আমদানি করছেন ‘প্যারাট্রুপড লিডার’ (পড়ুন বিপ্লব দেব)। সিপিএমের কিছু লোক জার্সি বদলে বিজেপি হয়েছে। তারাই ত্রিপুরার পুরভোটকে প্রহসনে পরিণত করছে। 
সুদীপবাবুর আশঙ্কা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ সত্ত্বেও ত্রিপুরার পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়নি। ভোটের দিনে অশান্তি শুরু হতেই আরও দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ প্রমাণ করেছে, বিপ্লব দেবের পুলিস পুরোপুরি ব্যর্থ। 
বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এমনকী কোন্দল থামাতে কয়েকটি রা঩জ্যে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বদল করতে হয়েছে। তবে, যে সব রাজ্যে স্রেফ হাওয়া ও ভাষণের জোরে বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে, সেখানে দ্বন্দ্ব চরম। ত্রিপুরা তারই একটা। এখানে বিপ্লব দেবের আর সুদীপ রায়বর্মনের সম্পর্ক সাপে নেউলের চেয়েও খারাপ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার চেষ্টা করেও মেটাতে পারেনি। উল্টে লড়াই তীব্র হয়েছে। পুরভোটের প্রচারের শেষদিনে সুদীপবাবু সাংবাদিক সম্মেলন করে বিপ্লববাবুকে ধুইয়ে কাপড় পরিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি বিজেপি। 
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি সুদীপবাবুর তোলা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করলেও তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস দেখাননি।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী বা শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলের কেউ তোপ দাগলে তাঁর বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়াটাই দস্তুর। বিজেপির হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির ক্ষেত্রে তেমনটাই দেখা গিয়েছে। বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু সুদীপবাবুর ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটল না। কারণ বিজেপি নেতৃত্ব স্টেপ নিতে ভয় পাচ্ছে। সিপিএম বিরোধী ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করলেও ত্রিপুরায় বিজেপির মাটি এখনও জমাট বাঁধেনি। উল্টে প্রায় কোনও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় ত্রিপুরায় বিজেপি কাযর্ত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় বিদ্রোহীদের শাস্তি  না দিয়ে তোয়াজ করার রাস্তায় কি বিজেপি হাঁটতে চাইছে?
ত্রিপুরায় যদি কেবল সিপিএম বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকত তাহলে বিজেপি নেতৃত্ব সুদীপবাবুকে কিছুতেই রেয়াত করত না। কিন্তু বঙ্গ জয়ের পর তৃণমূল ত্রিপুরায় পা রাখতেই বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় হ্যাটট্রিক করার পর মমতাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি। বিভিন্ন রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা মোদি বিরোধী লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গী ও সহযোদ্ধা হতে চাইছেন। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও সেই একই প্রবণতা। সেখানে শাসক দলের বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। কারণ সম্ভাবনা জাগিয়েছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দুই বিধায়কের বিদ্রোহ গেরুয়া শিবিরে নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলে যাবে তৃণমূলে। আবার স্টেপ না নিলে বিপ্লব দেবের অনুগামীরা ছেড়ে কথা বলবে না। তাই পুরসভা ভোটের ফলের নয়, চর্চার বিষয় হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের বিদ্রোহ। অনেকেই বলছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকলি করে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় না। সেটা বাংলায় পরীক্ষা দিতে এসে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মোদি-অমিত শাহ জুটি। বুঝবেন বিপ্লব দেবও।
27th  November, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM