Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

কী শিক্ষা দিয়ে গেল একটি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত? নিছক অনড় অবস্থান থেকে পিছু হটে সরকারের সিদ্ধান্ত বদল? না। এই বার্তা শুধুই বহিরঙ্গে। কিন্তু আদতে অন্তর্নিহিত মেসেজটি অনেক গভীরে। সেটি হল, ২০২১ সালের ভারতে আজও অহিংস গণ আন্দোলনে রাষ্ট্র ভয় পায়। রাষ্ট্র নত হয়। রাষ্ট্র ক্ষমা প্রার্থনা করে। অর্থাৎ রাষ্ট্র যতই নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতার শক্তিতে এক ইগো সর্বস্ব অতি আত্মবিশ্বাসের উঁচু পাহাড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা করুক, তাকে বাস্তবের জল কাদা রোদের মাটিতে টেনে নামানো সম্ভব হয়। 
রাষ্ট্র ও শাসক আজকের এই  অবিশ্বাস্য টেকনোলজি, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন আর ইনফরমেশন বিস্ফোরণের যুগে পুরনো সব প্রথাকে অতীত ও পরিত্যাজ্য হিসেবে তাচ্ছিল্য করেছিল। ভেবেছিল, আমরা যদি পাত্তা না দিই, আমরা যদি গুরুত্ব না দিই, আমরা যদি অগ্রাহ্য করি, তাহ঩লেই একদিন এই রাস্তায় বসে থাকা কৃষকের দল নিজেরাই চলে যাবে মাথা নিচু করে। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অবাধ অপপ্রচার, অসম্মান, অপমান। কৃষকদের বলা হয়েছিল অ্যান্টি ন্যাশনাল। খলিস্তানি। আন্দোলনজীবী। কৃষি আইন খুব ভালো। একথা রাষ্ট্র বলেছিল। প্রচার করেছিল। কিন্তু তার থেকে বেশি সেই রাষ্ট্র ও শাসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল নাগরিক সমাজের বিপুল অংশ। তারাও দোহারের মতো বলে গিয়েছে অবিরত যে, হ্যাঁ, কৃষি আইন ভালো। কৃষকদের নিয়ে হাসাহাসি হয়েছে। কেন? কারণ তাদের মধ্যে শিক্ষিত ইংরেজি জানা যুবক যুবতীদের দেখা গিয়েছে পিৎজা খেতে আন্দোলনস্থলে। অর্থাৎ কৃষকদের পিৎজা খাওয়া বারণ। ইংরেজি জানা বারণ। রাষ্ট্র ও তার এই অনুগামীদের প্রবল এক ঝাঁকুনি দিলেন কৃষকরা। 
রাষ্ট্র এটা দেখতে পায়নি যে, দিল্লির সীমানায় রোদে ঝড়ে বৃষ্টিতে, শীতে খোলা আকাশের নীচে বসে এক বৃদ্ধ জানুয়ারির অপরাহ্নে জোরে জোরে পড়ছিলেন জন রিডের বিখ্যাত বই ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিন’। গুরমুখী ভাষায় অনুবাদ। আর তাঁকে ঘিরে একঝাঁক সাধারণ কৃষক শুনছেন সেই কাহিনি। রাষ্ট্র অবজ্ঞা করেছে তাঁদের, আন্দোলনস্থলের মাদুরে শুয়ে যাঁদের হাতে হাতে ঘুরেছে রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’। কৃষকরা যতটা নরেন্দ্র মোদিকে ধাক্কা দিয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি ধাক্কা দিয়েছেন সেই নাগরিক সমাজকে, যারা এতদিন ধরে কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছে। কেন? কারণ, এই নাগরিক সমাজ হুজুগে ভেসে থাকে। 
নাগরিক সমাজের সিংহভাগকে সস্তার ইন্টারনেট ডেটা উপহার দিয়ে রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট প্রত্যেককে প্রাইভেট এক সমাজের বাসিন্দা করে দিয়েছে। একজনের সমাজ। একটি করে মোবাইল। অন্তহীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। পোর্টাল। এভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন অথবা জনস্বার্থে দলমতনির্বিশেষে আন্দোলনে শামিল হওয়া থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রমেই। যে কোনও প্রতিবাদে প্রথমেই ফেসবুক খুলে লিখতে ইচ্ছে করে! তাই এই সমাজের কাছে কখনও মিডিয়া ভিলেন। কখনও রাজনীতি ভিলেন। কখনও কর্পোরেট ভিলেন। মনোভাবটি খুব সহজ। আমি ভালো। অন্য সবাই খারাপ। আমাকে মিডিয়া, কর্পোরেট, রাজনীতি খারাপ করে দিচ্ছে। এই ধারণা থেকেই নাগরিক সমাজের বৃহৎ অংশ অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলে গণ আন্দোলনের শক্তির মর্ম তারা বুঝতেই পারেনি। 
কৃষকরা প্রথম থেকেই বুঝেছিলেন যে, কৃষি আইন নিয়ে সবথেকে বেশি কথা বলছে এই দেশে তারাই, যারা কৃষিটাই বোঝে না। কতটা মাটিতে কতটা সার, কতটা বীজে কতটা জমিতে ফসল হবে, এই দুরূহ সমীকরণের পিছনে যে এক নিবিড় অনুশীলন, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর অভিনিবেশ থাকে, সেটা ক’জন মনে রাখে? তাই নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল, আইন আদালত কারও উপর একান্ত ভরসা করে না থেকে কৃষকরা একটাই কাজ করে গিয়েছেন। দাঁত দাঁত চেপে রাস্তায় বসে থাকা। নাগরিক সমাজের সকলেই কি দূরে সরে থেকেছেন? একেবারেই নয়। লাগাতার কৃষকদের এই অনড় আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু যুবক যুবতী মধ্যবয়সি এসে হাজির হয়েছেন আন্দোলনের তাঁবু ও মঞ্চের সামনে।  
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম প্রথম কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। যখন বৈঠক করেছে, তখন কৃষকদের সঙ্গে একসঙ্গে লাঞ্চ করার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রীরা সৌহার্দ্য  দেখিয়েছেন। যাতে প্রমাণ হয়, তাঁরা কৃষকদরদি। কিন্তু তিন কৃষি আইনে সবথেকে লাভ হবে কর্পোরেটের। আর সেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় হয়ে রইলেন কৃষকরা। একদিন সেটা বুঝে গেল সরকার। আর তারপর থেকেই কৃষক দরদি মুখোশটা খুলে গেল। আধুনিক রাষ্ট্র কৃষক দরদি, শ্রমিক দরদি হতেই পারে না। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সর্বদাই ঩বিশ্ববাণিজ্যে প্রমাণ করা যে, এই রাষ্ট্র প্রাইভেটাইজেশনের পূজারি। আর সেটা করতে হলে সবার আগে কর্পোরেট এবং কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থের মধ্যে যে কোনও একটি দিক বেছে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাশিতভাবেই বেছে নিয়েছে কর্পোরেটের দিকটি। তাই দ্রুত কৃষকদের গায়ে তকমা দেওয়া হয়েছে অ্যান্টি ন্যাশনাল। 
নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে। ১৯২৮ সালে গুজরাতের বরদোলিতে (তখন গুজরাত নামক রাজ্য ছিল না) প্রবল কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের কালা কানুনের বিরুদ্ধে। কৃষকদের উপর প্রভূত অত্যাচার হয়। বিপুল ট্যাক্স আরোপ করা হয়। কারারুদ্ধ করা হয় আন্দোলনরতদের। কিন্তু কৃষকদের দমানো যায়নি। এবং কৃষকদের ওই লাগাতার বিদ্রোহ ও আন্দোলনের চাপে পিছু হটে ব্রিটিশ সরকার। ২২ শতাংশ করবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হয় ৬ শতাংশে। জয় হয় কৃষকদের।  ওই কৃষক সত্যাগ্রহের অন্যতম নেতা ছিলেন এক কৃষকসন্তান। তিনি ১৯৩১ সালে করাচিতে আয়োজিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আপ্লুত সেই নতুন কংগ্রেস সভাপতি ভাষণে বলেছিলেন, আজ আপনারা সামান্য এক কৃষকসন্তানকে ভারতের এই সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করলেন। এ আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আমি নিশ্চিত যে এই সম্মান আসলে গুজরাতের কৃষকদের। এই নতুন সভাপতির নাম ছিল বল্লভভাই প্যাটেল। বরদোলি সত্যাগ্রহের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় থেকেই তাঁকে অভিহিত করা হয়েছিল ‘সর্দার’ নামে। সর্দার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন সাধারণ মহিলাদের। যাঁরা খাদি পরে, চরকা কেটে, গান গেয়ে, প্রতিদিন রান্না করে, খাবার বিলি করে কৃষক আন্দোলনকে সজীব রেখেছেন দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। 
ঠিক এই চিত্রই দেখা যায় ২০২০ থেকে ২০২১ সালের গত এক বছরে। কৃষক আন্দোলনে। এই এক বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। একবারও কৃষকদের আন্দোলনস্থলে আসেননি। এলে দেখতে পেতেন, ১৯২৮ সালের বরদোলি আন্দোলনেরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে দিল্লির সীমান্তে। রাষ্ট্র যখন নিজের দেশের ইতিহাস ভুলে গিয়ে নিজের ঐতিহ্যকেই অস্বীকার করে, তখনই সেই রাষ্ট্রের আসে দুঃসময়। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোদিজির কাছে রোল মডেল।  তাহলে তাঁর একটি অমোঘ বাক্য মোদি রাখলেন না কেন? সর্দার বলেছিলেন, ‘কৃষক প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, গোটা বিশ্বের মুখে খাদ্য জোগায়। আর সবথেকে বেশি পীড়নের শিকার হয় এই কৃষকই। তাই কৃষকের শক্তিকে অবহেলা করা সবথেকে বড় ভুল শাসকের।’ মোদি একই ভুল করেছেন প্যাটেলের অনুগামী হয়েও। 
আমরা সাধারণ নাগরিক সমাজ বিগত কয়েকমাস ধরে ক্রমেই আগ্রহ ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা আর অত বেশি বেশি আলোচনা করতাম না কৃষক আন্দোলন নিয়ে। তাঁরা যে এখনও ওই একইভাবে অহিংস আন্দোলনে বসে আছেন, এটা আমরা ধীরে ধীরে ভোট, দুর্গাপুজো, আইপিএলের স্রোতে ভুলেই যাচ্ছিলাম। কম কম আলোচনা হতো আজকাল। আচমকা জিতে গিয়ে আমাদের সজোরে ধাক্কা দিলেন কৃষকরা। আমরা হতচকিত হয়ে দেখলাম, আত্মবিশ্বাসী আন্দোলনের কী বিপুল শক্তি! 
কৃষকরা জানতেন, এই লড়াই তাঁদের আগামীতে বাঁচার লড়াই। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তাই তাঁরা অনড় রইলেন। ভারতবর্ষকে আবার উদ্বুদ্ধ করে বার্তা দিলেন যে, যত বড় শক্তিশালীই হোক, কোনও শাসকই লার্জার দ্যান লাইফ নয়। কেউ সুপারম্যান নয়। কেউ অপরাজেয় নয়। জনগণমনঅধিনায়ক হতে হলে মাটিতে নামতে হবে। নামতে রাজি না হলে? বাধ্য করতে হবে। কৃষকরা পারলেন! তাঁরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেও আজীবনের মন্ত্র দিলেন যে, ধৈর্য আর সহনশীলতা বজায় রেখে, কঠোর আত্মত্যাগেও লক্ষ্য অবিচল থাকলে, জয় একদিন আসবেই! আমাদের যেন ভরসা হল, আমরাও তাহলে জীবনের ছোট ছোট লড়াইগুলো জিততে পারি! হাল ছাড়তে নেই!
26th  November, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেঙ্গল কেমিক্যালের সামনে পথ দুর্ঘটনায় জখম শিশুর মৃত্যু

02:07:57 PM

পোলবা-দাদপুরের বিডিও অফিসে আগুন
হুগলির পোলবা-দাদপুর বিডিও অফিসে ভয়াবহ আগুন। আজ, শনিবার দুপুর ১২টা ...বিশদ

01:07:01 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপায় রোড শোর মাধ্যমে প্রচার সারলেন কংগ্রেস প্রার্থী ওয়াইএস শর্মিলা

12:56:37 PM

অসমে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে নদীর জলে ডুবল ইভিএম
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই নদীর জলে ডুবে নষ্ট হল ইভিএম ...বিশদ

12:19:14 PM

ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যাকে ঘিরে ...বিশদ

11:56:50 AM

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM