Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে ‘আন্না হাজারের মুহূর্ত’ বহু বছর আগে এসেছে এবং চলেও গিয়েছে! আন্না হাজারের আন্দোলন ছিল ‘ইউপিএ ২’ সরকারের অবক্ষয় এবং পতনের অনুঘটক। এই আন্দোলন দুর্নীতির ইস্যুকে সামনে এনে নরেন্দ্র মোদির মতো নেতার জন্য রাস্তা পরিষ্কার করেছিল। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’—এই স্লোগান তুলে একজোট করার যে প্রক্রিয়া চলেছিল, তা বাম-ডান সবদিকের বিশিষ্টজনদের এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছিল। পরের পর আর্থিক কেলেঙ্কারি, টুজি থেকে শুরু করে কোল, কমনওয়েলথ— এই সবকিছুই তীব্র গণবিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছিল। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ হয়ে উঠেছিল লক্ষ লক্ষ হুজুগে ভারতীয়র স্লোগান। ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের সরকার। আর সেই একই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে দেশের কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে। ২০১১-তে যদি লড়াইটা হয়ে থাকে আন্নার আন্দোলন এবং মনমোহন সিং সরকারের মধ্যে, তাহলে এই লড়াইটা ‘বিরোধী শক্তি বনাম নরেন্দ্র মোদি’-র। আর সেই লড়াইয়ের নেতৃত্বে দেশের কৃষকরা।
যে লড়াই শিখিয়েছে শাসকের চোখে চোখ রাখতে। ভয়ডরহীন প্রশ্ন ছুড়তে। যে লড়াই আঙুল তুলেছে সদর্পে। চেয়েছে উত্তর। দিল্লিতে শীত নেমে এসেছে রাতে। গোটা দিনরাত জবুথবু বসে। সঙ্গে কম্বল। দু’চারটে মোটা জামা। আর ছিল ওম। মানুষের। সংগ্রামের। জেদের। কৃষক স্বার্থের পক্ষে হানিকর তিনটি কৃষি বিল সংসদে কার্যত জবরদস্তি করে পাশ করিয়ে মোদি সরকার যে অন্যায়ের সূচনা করেছিলেন, পরবর্তী প্রায় দেড় বছর তারা সেই ট্র্যাডিশন সমানে চালিয়ে গিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কয়েকশো কৃষকের মৃত্যুও তাঁদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। গেরুয়া শিবির স্বভাবসিদ্ধ ছল, বল ও কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে ক্রমাগত পর্যুদস্ত হয়েছে, প্রতিবাদী কৃষকদের তীক্ষ্ণ ও সচেতন প্রশ্নবাণ তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করেছে। নিশ্চিত এই সমবেত প্রতিস্পর্ধা ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঠিক তার বিপরীতে, এবং তার সমান অনুপাতে, গভীর কলঙ্কের অক্ষরে লিখিত থাকবে মোদি সরকারের ভূমিকা। কৃষক আন্দোলনের মোকাবিলায় তাঁদের দম্ভ এবং নির্বুদ্ধিতা নিজেদের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছে।

নির্মম নিষ্ঠুরতার নিদর্শন, অথচ...
মোদি বাহিনী একটা বিষয়ে কৃষক আন্দোলনের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ। তাঁরা কৃষকদের প্রতিবাদের ক্ষমতাকে বুঝতে পারেননি। কৃষকদের মনোবল, আন্দোলনের প্রতি তাঁদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানসিকতা, আত্মনিবেদনের দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বোঝার ক্ষমতা মোদি সরকারের নেই। নিজেদের অহমিকা ও আত্মম্ভরিতা, দর্প ও আত্মবিশ্বাস এমন পর্যায়ে যে, তাঁরা ভাবতেই পারেন না যে তাঁদের শক্তির কাছে মাথা নোয়াতে অস্বীকার করার সমান আত্মবিশ্বাস কৃষকদেরও আছে। সরকারের উচিত ছিল, আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে না দেখে তাঁদের কথা শোনা। এটা তো জয়-পরাজয়ের লড়াই নয়, গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরীক্ষা। গত সাত বছরে মোদি সরকারের চালকরা সেই পরীক্ষায় ডাহা ফেল। নিখাদ নিরঙ্কুশ অহমিকা মোদি সরকারের স্বধর্ম হয়ে উঠেছে।
আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল এই কৃষকরা ‘সন্ত্রাসবাদী’, এঁরা পাঞ্জাবের ধনী চাষি, জোতদার। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা দেখিয়েছিলেন, এই চাষিদের শিবিরে এসি মেশিন লাগানো, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউ গাড়ি আসছে, ট্রাক্টরে করে বহু পাঞ্জাবি পরিবার দিল্লি সীমান্তে এসে পিকনিক করছে, অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন— কানাডা থেকে খলিস্তানিরা টাকা পাঠাচ্ছে। মোদি দেখলেন, ধনী-জোতদার জাতীয় তকমা দিয়েও কৃষক আন্দোলন ভাঙা যায়নি। উল্টে পাঞ্জাব-হরিয়ানার ধনী কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গোটা দেশের ভাগচাষি, প্রান্তিক চাষিরা। দলের নেতা-মন্ত্রীরা যখন দেশের অন্নদাতাদের অপমানকর আখ্যা দিয়েছেন, তখন রাজধর্ম পালন করে তাঁদের শাসন না করে মোদিজি স্বয়ং ‘আন্দোলনজীবী’ বলে কৃষকদের ব্যঙ্গ করেছেন।
শুধু তাই-ই নয়, তাঁর সরকার প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ কৃষকদের মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও ধর্নাস্থলগুলির উপর প্রকাশ্যে ও গোপনে অন্তর্ঘাতমূলক দমন-পীড়ন চালিয়ে গিয়েছে। প্রথমে দিল্লিমুখী কৃষক মিছিলগুলিতে লাঠিচার্জ, প্রচণ্ড ঠান্ডায় অমানবিকভাবে যথেচ্ছ জলকামানের ব্যবহার। প্রধান জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে সরকারি লোক নিযুক্ত করে আড়াআড়ি ভাবে দশ ফুট গভীর ও পাঁচ ফুট চওড়া পরিখার মতো গর্ত খুঁড়ে রাখা। এর পাশাপাশি দিল্লির চারটি সীমানা আটকে দেওয়া হয়েছে নৃশংস কাঁটাতারে। ভারী ভারী কংক্রিটের আড়াল। ৮ থেকে ১০ সারির লোহার খাঁচার ঝালাই করা দেওয়াল। এমনকী, সামনের রাস্তায় অজস্র প্রাণঘাতী ছুঁচলো লোহার শলাকা পুঁতে দেওয়া, যাতে কৃষকরা এগতে না পারে। সঙ্গে পানীয় জলের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো নির্মম নিষ্ঠুরতা। সর্বশেষ সংযোজন, লখিমপুরে আট চাষিকে হত্যা। সরকার ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে জমায়েত ভাঙবে। না, ভাঙা যায়নি। যাকে ইংরেজিতে বলে ‘পয়েন্টস অব নো রিটার্নস’। কৃষক আন্দোলনকে সেই অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছে মোদি সরকারই।
ভারতের ইতিহাসের পাতায় জয়ী হতে চাওয়ার এমন শান্ত সুদৃঢ় প্রত্যয় আর কখনও কি এভাবে দেখেছে দেশবাসী? কৃষকজনতা বিস্ময়কর এক শান্ত জনসমুদ্র, সমস্ত উত্তাপকে ভিতরে সংহত করে বাইরে কী অদ্ভুত রকমের নিস্তরঙ্গ। যে পুলিস একটু আগেই তাদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ করেছে, তাদেরই রাজপথে পাত পেড়ে খাইয়েছে হাসিমুখে। অহিংস কৃষকসংগ্রামের চেতনায় রাজপথে জন্ম নিয়েছে সভ্যতার নতুন ব্যাকরণ।

ভোট, বুঝলেন ভোট...
৫৬ ইঞ্চি ছাতি মোদির এইভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা যে গত সাত বছরে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেনি, তা বলাই বাহুল্য। কৃষি আন্দোলন মোকাবিলায় গোড়া থেকেই যেরকম রণং দেহি মূর্তিতে সরকার ছিল, তাতে এইভাবে পিছু হটা যে দেশবাসীর কাছে বড় চমক, সে ব্যাপারেও কোনও সন্দেহ নেই। কেন সাত বছরে এই প্রথমবার মোদিকে পিছু হটতে হল, তার রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর মতো খবরের কাগজ লিখেছে, হিন্দুত্ব-নির্ভর জাতীয়তাবাদের প্রভাব যে শিথিল হয়ে গিয়েছে, তা মোদির এই পিছু হটা থেকে স্পষ্ট। রাজনীতিতে যখন এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, অর্থাৎ কোনও দলের প্রধান মতাদর্শটি ভোঁতা হয়ে যায়, তখন তা মেরামত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্বের কার্ড খেলেও বিজেপি সুবিধা করতে পারেনি। সম্প্রতি রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশের উপনির্বাচনেও হিন্দুত্ব-নির্ভর প্রচার কোনও কাজই দেয়নি। ফলে ২০২২-এর গোড়ায় বিজেপির কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ উত্তরপ্রদেশে জয়। নিন্দুকেরা বলছেন, মানুষ যে মোদি সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, তা মাত্র ছ’মাস আগের উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের ফল থেকেই স্পষ্ট। গ্রামীণ উত্তর প্রদেশের তিন হাজার আসনের মধ্যে মোদির দল পেয়েছে কোনওরকমে হাজারের কাছাকাছি আসন। বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট আছে, কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।  
তাই দেশবাসীর উদ্দেশে নত মস্তকে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন। এটা ভোট-রাজনীতির দাওয়াই। পিছু হঠার রাজনৈতিক রণকৌশল। কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বুদ্ধবাবুর ওই পিছু হটা বামফ্রন্টের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতেছিল। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।

না আঁচালে বিশ্বাস নেই...
এ দেশের মানুষ বিলক্ষণ জানেন, সব রত্নাকর বাল্মীকি হন না! মোদি তো নন-ই। কৃষি আইন প্রত্যাহারে মোদির নাটকে অভ্যস্ত পোড়খাওয়া কৃষক আন্দোলনের সচেতন নেতারা তাই স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সংসদের দুই কক্ষে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। দাবি তো শুধু নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি কোথায়? নয়া বিদ্যুৎ বিলের কী হবে? চার লক্ষ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। তা নয়া কৃষি আইনের জন্য নয়, ফসলের দাম না পেয়ে। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না পেলে কৃষক বাঁচবে না, সেইসঙ্গে অপঘাতে মৃত্যু হবে ভারতীয় কৃষিরও। তাই আন্দোলন চলবে। কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কথার ওপর ন্যূনতম আস্থা রাখতে নারাজ।
কেউ কেউ বলছেন, এটাই মোদির শেষের শুরু! ২০২০-র করোনা সংক্রামিত দুনিয়ায় মৃত্যুযাত্রার পাশাপাশি ভারত এক আশ্চর্য রকমের বাঁচার, বাঁচতে চাওয়ার ছবিও দেখছে, ছবিটা ২০২৪-এ আরও উজ্জ্বল হবে। নিশ্চিত। সেই ছবি জুড়ে কাস্তে। ট্র্যাক্টর। লাঙল। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। কাঁধে কাঁধ। ব্যারিকেড। লড়াই। বিদ্রোহ। দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ। শাশ্বত। ঐতিহাসিক...।
ওরা জিতবে, জয়ী হয়েই ফিরবে কৃষকভারত।
25th  November, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বড় করে মালদহে বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করছি: মমতা

02:52:26 PM

মালদহের আম যাতে ইউরোপে যায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

02:50:04 PM

গাজোলের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

02:48:15 PM

দেশের কৃতী মেয়েরা তাঁদের পদক ফেরত দিয়েছে: মমতা

02:46:00 PM

দলিতদের উপর অত্যাচার হলে আপনারা কোথায় থাকেন: মমতা

02:44:00 PM

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করার সময় খগেন বাবু কোথায় ছিলেন?: মমতা

02:43:51 PM