Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুয়ারে রেশন: দীর্ঘ
দুর্ভোগের অবসান
তন্ময় মল্লিক

রেশন তোলার দিন হলেই অযোধ্যা পাহাড়ের বাঁধঘুট গ্রামের ববিতা মুর্মু, লক্ষ্মীমণি মুর্মুদের গায়ে জ্বর আসে। সাতসকালে উঠে একমুঠো পান্তা নাকেমুখে গুঁজেই বেরিয়ে পড়া। তাড়াতাড়ি পা চালায়। পাহাড়ি পথ ভেঙে যেতে হবে সেই পাথরডিহি। পাক্কা ১১কিলোমিটার। রেশন দোকান সেখানেই। দেরি হলেই পড়তে হয় লম্বা লাইনের মুখে। তারপর রেশনের চাল, গমের বস্তা কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফেরা। পাহাড়ি পথ। তাই একটানা হাঁটা যায় না। একটু একটু করে ওঠা আর জিরিয়ে নেওয়া। এভাবে বাড়ি পৌঁছতে সন্ধে পেরিয়ে হয়ে যায় রাত। তখন শরীর আর বয় না। তবুও নিস্তার নেই। সারাদিন বাপ মাকে ছেড়ে ঘরে থাকা ছেলে দু’টো তখনও জেগে। অপেক্ষা গরম ভাতের। তাই রাত যত গভীরই হোক না কেন, শুকনো মুখে হাসি দেখার জন্য ফোটাতে  হয় রেশন থেকে আনা চাল। 
ববিতা বলেন, গাড়িতে চেপে রেশন নিয়ে আসার পয়সা আমাদের নেই। তাই স্বামী স্ত্রী মাথায় করে রেশন আনি। ছেলে দু’টো সারাদিন কী করে, কোথায় যায়, কিছুই জানি না। চিন্তায় থাকি। সেই রেশনের চাল, গম, আটা বাড়িতে বসে পাব, তা স্বপ্নেও কেউ ভাবিনি।
বাড়িতে বসে রেশন পাবে শুনে লক্ষ্মীমণি মুর্মুর উচ্ছ্বাস আর ধরে না। তাঁর কথায়, সন্ধে নামলেই নির্জন পাহাড়ি রাস্তায় প্রতি পদে পদে লুকিয়ে থাকে বিপদ। বন্য জন্তু, হাতির উৎপাত। মাঝেমধ্যেই ড্রেনে ঢুকে হাতির হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে হয়। দিদি আমাদের কষ্টটা বুঝেছেন।
হ্যাঁ, এই সব ববিতা, লক্ষ্মীমণির মতো প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের জন্যই ‘দুয়ারে রেশন’। তাই শহরে বসে যাঁরা ‘পাড়ায় রেশন’ বলে কটাক্ষ করেন তাঁরা এই প্রকল্পের মর্ম কিছুতেই বুঝবেন না। কিন্তু ববিতা, লক্ষ্মীমণির মতো হাজার হাজার মানুষ বুঝতে পারছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন শুধু অভাবনীয়ই নয়, যুগান্তকারী। যুগ-যন্ত্রণার অবসানের লক্ষ্যে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।
ঝালদার সারজুমাতু গ্রামের ভগীরথ কালিন্দি, ইন্দিরা কালিন্দিদের মনে আছে? হ্যাঁ, এঁরা রেশন কার্ড বন্ধক রেখে কেউ নিয়েছিলেন বাবার শ্রাদ্ধের টাকা, কেউ টাকা নিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ের বিয়ে। টাকা ধার নেওয়ার জন্য গচ্ছিত রাখতে হয়েছিল পরিবারের রেশন কার্ড। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো শোধ দিতে পারেননি ধারের টাকা। তাই তাঁদের রেশন কার্ড ছিল কারবারির ঘরেই। বছরের পর বছর। করোনার সময় কাজ হারানোয় তাঁদের দিন কাটছিল অনাহারে, অর্ধাহারে। ফাঁস হয়েছিল রেশন কার্ড বন্ধকের অভিনব ঘটনা। রেশনের চাল, গমও ‘সুদ’ হতে পারে, জানা গিয়েছিল তখনই।
এখন রেশন নিতে গেলে লাগবে কার্ডের মালিকের আঙুলের ছাপ। এমন এক ব্যবস্থায় বেজায় খুশি ভগীরথ। তাঁর কথায়, ‘অভাবের সুযোগ নিয়ে গরিবের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার দিন এবার শেষ।’
বাম শাসনের ২৭ বছরের মাথায় ২০০৪ সালে ঘটেছিল আমলাশোলে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা। তার কারণ? রেশন ব্যবস্থায় সীমাহীন দুর্নীতি। রেশনে বরাদ্দ চাল, গম অশিক্ষিত, গরিব মানুষরা পেতেন কালেভাদ্রে। তার বেশিরভাগটাই চলে যেত খোলাবাজারে। বিক্রি হতো চড়া দামে। সেই টাকা ভাগ হতো ডিলার ও নেতাদের মধ্যে। বছরের পর বছর চলা এই অনাচার অর্ধাহারে জীর্ণ মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। 
২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে ফের রেশন কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। কারণ? রেশন ব্যবস্থায় সীমাহীন দুর্নীতি। প্রতিবাদ দমিয়ে রেখেছিল নেতাদের লালচোখ। ফলে ওজনে কম দেওয়া ও বেশি দাম নেওয়া অধিকাংশ ডিলারের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিবাদে প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিল বাঁকুড়ার ইন্দাস। তারপর জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিবাদের আগুন। তাতেই জ্বলেছিল রেশন ডিলার ও সিপিএম নেতাদের বাড়ি। এমনকী, রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল শান্ত নিরীহ ঝাড়গ্রামও। জনরোষে ঘরছাড়া হয়েছিলেন হার্মাদ নেতা অনুজ পাণ্ডে। অশান্ত হয়েছিল জঙ্গলমহল। জাঁকিয়ে বসেছিল মাওবাদীরা।
জঙ্গলমহল এখন শান্ত। কারণ কী? এর উত্তরে প্রায় সকল গবেষক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দু’ টাকা কেজির চাল প্রকল্পকেই এক নম্বরে রেখেছিলেন। মমতা বুঝেছিলেন, মানুষের পেটের খিদে মেটাতে পারলেই শান্ত হবে জঙ্গলমহল। তারপর তৃণমূল সরকারের বয়স যত বেড়েছে, রেশনের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার প্রয়াস ততই জোরদার হয়েছে। করোনা থাবা বসানো মাত্র শুরু করেছিলেন ফ্রি রেশন। সরকারে ফিরলে ফের বিনা পয়সায় রেশন। তাও মিলবে বাড়িতে বসে। নির্বাচনে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন মমতা।
উদ্দেশ্য ছিল, ডিলারের চুরি রুখে দিয়ে সেই টাকায় সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে খুলেছে কর্মসংস্থানের দরজা। প্রত্যেক ডিলার দু’জন কর্মীকে রাখতে পারবেন। মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা। অর্ধেকটা দেবে সরকার, বাকিটা ডিলার। বাড়ির খেয়ে গ্রাম বাংলায় মাসে ১০ হাজার টাকা উপায়ের সুযোগ, যে কোনও বেকারের জন্য হাতে চাঁদ পাওয়া। এই সুযোগ পাবেন প্রায় ৪২ হাজার যুবক। এছাড়াও ডিলারদের কমিশন দ্বিগুণ হয়েছে। গাড়ি কিনলে মিলবে এক লক্ষ টাকা অনুদান। আর সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে অন্য জেলায় বসেও রেশন তোলার সুযোগ।
এরপরেও ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পকে বানচাল করার চেষ্টা হবে। কারণ ই-পস মেশিন। এই মেশিনের মাধ্যমে রেশন দেওয়া বাধ্যতামূলক হলে বন্ধ হয়ে যাবে চুরির রাস্তা। এতদিন নিজের রেশন দোকানে বসে ওজনে মাল কম দেওয়ার পর চোখ রাঙিয়েও পার পাওয়া যেত। সেই সুযোগ আর থাকবে না। বন্ধ হবে নিরক্ষর মানুষের কাছ থেকে বেশি দাম নেওয়া।
মমতার স্বপ্নের প্রকল্প ঘেঁটে দেওয়ার নানান চেষ্টা যে হবে, তা বুঝেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাই প্রকল্প উদ্বোধনের দিনেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘এরপর কোনও কিন্তু কিন্তু করবেন না। কাজটা করতেই হবে। কাজ করতে বাধা দেবেন না।’ কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা দ্বিগুণ করা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর দুয়ারে রেশন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে মমতার হুঙ্কার, ‘কাজটা আমি করবই।’ খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কথায়, ‘প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা হবে, সেটা আমরা জানি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প জনস্বার্থে বাস্তবায়িত করা হবেই। বাধা দিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে রেশন কার্ড রয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। এর মধ্যে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের নামে রেশন উঠছিল। খাদ্যদপ্তরের উপরতলার কর্তারা একটু কড়া হতেই ২লক্ষ ৮৪ হাজার মৃত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। এছাড়া ডি-অ্যাক্টিভেটেড গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ ৫৪ হাজার। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১৮ লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যক নাম বাদ যাবে। চলছে আরও ঝাড়াই বাছাই। তাতে প্রতিটি জেলা থেকেই হাজার হাজার ভুয়ো রেশন কার্ডের সন্ধান মিলছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে খাদ্যদপ্তরের কর্তাদের অনুমান। এথেকেই বোঝা যাচ্ছে, বছরের পর বছর কী বিপুল সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে। দুয়ারে রেশন চালু করে দুর্নীতির মৌচাক ভাঙতে চেয়েছেন মমতা।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে এককাপ চা হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মানুষকে ভিখারি বানানো হচ্ছে। এমন চোখা চোখা ডায়ালগে বাজার কাঁপাতেন বিজেপি নেতারা। ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়ে সেই সব নেতার মুখে টু শব্দ নেই। কারণ আগে তাঁরা মমতার যতগুলি প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন, প্রতিটিই ‘ব্যাক ফায়ার’ করেছে। তাই মুখ খোলার আগে নেতারা জল মাপতে চাইছিলেন। কিন্তু গুরুপূর্ণিমার সকালে তাঁদের গুরু নরেন্দ্র মোদি পথে বসিয়ে দিয়েছেন। এতদিন যে কৃষি আইন চাষিদের জন্য ভালো বলে তাঁরা গলা ফাটিয়েছিলেন, আজ সেটাই মোদি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন। তাও কার্যত নাকখত দিয়ে ভুল স্বীকার করে। কারণ সাধারণ মানুষও বুঝেছে, কৃষি আইন আসলে চাষিদের জন্য নয়, করা হয়েছে কতিপয় শিল্পপতির স্বার্থে। এরপর বঙ্গ বিজেপির নেতারা কোন মুখে গলার শিরা ফুলিয়ে মমতার সমালোচনা করবেন? এখন তাঁদের একটাই কাজ, মুখ লুকানোর জায়গা খোঁজা। 
পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়, নাকি প্রধানমন্ত্রীও বুঝেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কালাকানুন পাশ করানো যায়, কিন্তু মানুষের মন পাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী যাই বুঝুন না কেন, দেশের মানুষ বুঝেছেন, শুরু হয়েছে মোদির পিছু হটা।
20th  November, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM