Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 কারা ব্যবহার করে পেট্রল-ডিজেল? সব্জি বাজারে তো আমরা সাইকেলে চেপে যেতেই পারি। যাই না কেন? সাইকেল চেপে বাজারে গেলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তেমনি দূষণ কমবে। পেট্রল-ডিজেল আমাদের স্বাস্থ্যের কী কাজে লাগে? আর যে টাকা ইনকাম হচ্ছে, তা তো আর বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীর ঘরে যাচ্ছে না! বরং গরিব মানুষের দরকারে লাগছে।—প্রদ্যুম্ন সিং তোমার (বিদ্যুৎমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশ)

 সাধারণ মানুষ বাসে চড়ে... ক’জনের নিজের গাড়ি আছে? সবাই দেখতে দেখতে এই দামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।—নারায়ণ প্রসাদ (বিহারের মন্ত্রী)

 কোভিডে ত্রাণের জন্য অনেক খরচ হচ্ছে। তেলের শুল্কের টাকা সামাজিক প্রকল্পের জন্য বাঁচাচ্ছে কেন্দ্র।—ধর্মেন্দ্র প্রধান (প্রাক্তন পেট্রলিয়ামমন্ত্রী)

পেট্রল অনেক আগেই শতরান সম্পূর্ণ করেছিল। এবার ষোলো কলা পূর্ণ করেছে ডিজেল। দাম বাড়ছে... প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। আর বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা যুক্তি সাজাচ্ছেন। তাও একেবারে পোলাপানের মতো যুক্তি। তা সে সাইকেলে চেপে বাজারে যাওয়াই হোক, কিংবা গাড়ির বদলে বাসে চড়া... তাতে জ্বালানির দাম কমছে না। আর সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের কষ্টও লাঘব হচ্ছে না। নেতাদের কথাতেই আসা যাক... প্রথমেই প্রদ্যুম্ন সিং তোমার। সাহেব, আপনি শেষ কবে বাজারে গিয়েছিলেন বলতে পারেন? জানেন, কলকাতার বাজারে গত সপ্তাহেও পটল ছিল ৬০-৬৫ টাকা কেজি। আর এ সপ্তাহে সেটাই ৯০ টাকা! বিনস ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। তার দাম এখন প্রায় ২৫০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকামেরও এক দশা! তা ছাড়া টম্যাটো ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হয়েছে, গাজরও এখন ৮০ থেকে ১০০। অথচ গত সপ্তাহেই বাজারে গিয়ে ৫০ টাকা দেখেছিলাম। সাইকেল চেপে বাজারে গিয়ে না 
হয় তেলের টাকা বাঁচানো গেল। কিন্তু কাঁড়ি কাঁড়ি 
টাকা খরচ করে কিনতে হবে তো ওই সব্জিই! 
তাও সবাইকে... কত শতাংশ দেশবাসীর গাড়ি 
বা বাইক-স্কুটি চড়ার ক্ষমতা আছে জানেন? ১ শতাংশ? দু’শতাংশ? এর বেশি নয়। বাকিরা হেঁটেই বাজারে যান... দর করেন... পকেট হাতড়ে দেখেন... আর তারপর ভাবেন, বাকি মাস চলবে কীভাবে! 
কেন বেড়েছে দাম? জিজ্ঞেস করলেই খেঁকিয়ে 
উঠছেন সব্জিওয়ালা। বলছেন, ‘মাল আনানোর 
খরচ কত বেড়েছে জানেন? আগে এক লরি মাল 
কত টাকায় আসত... আর এখন কত টাকা লাগে, খোঁজ নিয়ে দেখুন।’
সব্জিওয়ালা ভুল বলেননি। এই ক’বছর আগেই তো ডিজেল ছিল ৫০ টাকা লিটার। তেলের দাম বেড়েছে। লরিওয়ালাও ভাড়া বাড়িয়েছে। তাঁকেও তো সংসার চালাতে হবে! কেউ তো আর লোকসান করে ব্যবসা করবে না! সব্জিওয়ালা না, লরিওয়ালাও না। ডিজেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। তাই দাম বাড়ছে পণ্যের। আর আপনি গাড়ির তেল বাঁচানোর কথা বলছেন? নারায়ণ প্রসাদ মশাই তো আবার আশ্বাস দিয়েছেন, সবাই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। কীসে অভ্যস্ত হয়ে যাবে? পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দামে? নাকি রোজকার এই সংসার-যন্ত্রণায়? আপনাদের জমানায় মধ্যবিত্ত আজ নিম্নবিত্ত হয়েছে। আর নিম্নবিত্ত নেমে গিয়েছে দারিদ্র্যসীমার নীচে। এটাই তো আপনারা চেয়েছিলেন! সমাজের একটা অংশের হাতে থাকবে টাকা। বাকিরা চুলোয় যাক। আপনাদের আখেরটা গুছিয়ে নেওয়া গেলেই হল। এই তো সেদিন উত্তরপ্রদেশের আর এক বিজেপি-মন্ত্রী উপেন্দ্র তেওয়ারি বললেন, পেট্রল-ডিজেল নাকি দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের কাজেই লাগে না। ঠিক বলেছেন, প্রত্যক্ষভাবে কাজে সত্যিই লাগে না। কিন্তু পরোক্ষে? জ্বালানিই তো নিয়ন্ত্রণ করে দৈনন্দিন অর্থনীতি! বাসে চড়েছেন কখনও? রাস্তায় বেরিয়ে ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে... বাসের অপেক্ষায়। কেন বাস নেই? মালিকরা চালাতে পারছে না। দাবি একটাই, ভাড়া বাড়াতে হবে। ডিজেলের দাম যখন ৭০ টাকা ছিল, তখন ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা। এখন তেল বাস্তবেই অগ্নিমূল্য। তাহলে সেই একই ভাড়ায় বাস কীভাবে চলবে? তেলের খরচ রয়েছে, দেদার টাকা লাগে মেইনটেইনেন্সেও। তারপর রোড পারমিট, পলিউশন, রাস্তায় কেস খাওয়া তো রয়েইছে। আর রয়েছে ড্রাইভার-কন্ডাক্টরের মাইনে। কাজেই বাস চালানোর থেকে বসিয়ে রাখায় লোকসান কম। এবার তাহলে মানুষকে নতুন করে হাঁটা শিখতে হবে... মাইলের পর মাইল। উপায় কী? গত সাত বছরে ক’টা চাকরি দিয়েছেন? প্রতিশ্রুতি তো ছিল গালভরা! বছরেই নাকি কোটি কোটি কর্মসংস্থান? হয়েছে? উত্তর এক কথায়, না হয়নি! বরং কোভিডে আরও বেশি মাটিতে মিশে গিয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ।  বলছেন, টাকা লাগছে মানুষের কাজে। সত্যিই কি? প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন না? কার কার কাজে লেগেছে সেই প্যাকেজ? কত টাকা রোজগার করেছে এক কামরার ঘরে ১০ জনের সংসার পেতে দিন গুজরান করা গোবিন্দ নস্কর বা শেখ সাহিবুলরা! দেশবাসীর মাথাপিছু আয় কমছে... প্রতিদিন। অভ্যস্ত কি এতেই হতে হবে নেতা মশাই?
আসলে আপনাদের এই দাদাগিরি কেন জানেন? একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভে। জোট সরকার আপনাদের চালাতে হয়নি। শুনতে হয়নি শরিকদের বায়না। তার উপর বিরোধীদের সিংহভাগই কাগুজে বাঘ হয়ে থেকে গিয়েছেন। গত সাত বছরে সংস্কারের নামে একের পর এক তুঘলকি সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে দেশ। আরও কোণঠাসা হয়েছে সাধারণ মানুষ। বিরোধীরা তারপরও মিনমিন করে আওয়াজ তুলেই থেমে গিয়েছে। না তৈরি হয়েছে জনমত, না আন্দোলন। আর আপনাদের সব কিছুতেই লেজ নাড়তে নাড়তে সায় দিয়েছে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া। সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত জনতার সামনে তুলে ধরা, সমালোচনা করা, দুর্নীতিকে বেআব্রু করাটাই আমাদের কাজ। সেই কর্তব্যে আমরাও তো ডাহা ফেল! ভয় পেয়েছি আমরা... প্রতিবাদের সুর চড়ালেই যে হানা দেবে এজেন্সি, ভুয়ো মামলায় ফাঁসবেন সাংবাদিকরা, রাষ্ট্রদ্রোহের বেত আছড়ে পড়বে আমাদের পিঠে। এই একটা ক্ষেত্রে তাই বলতেই হয়, মোদি সরকার সফল। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরিতে... আর সঙ্গে একটা প্রোপাগান্ডা—বিকল্প বলে কিছু নেই। গল্পের গোরুকে গাছে তুলেই আপনারা থেমে যাচ্ছেন না, তাকে মহাকাশেও পাঠাচ্ছেন। মূর্খের মতো তর্ক করছেন, যুক্তি দিচ্ছেন। একটা লোকও দলে এমন খুঁজে পাওয়া ভার, যার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়া যায়। সব যুক্তিই যে ছেঁদো। আর তাতেও না পারলে গা জোয়ারি। পেট্রলের যা দাম, তার ৫৮ শতাংশই কর। বেশিটাই কেন্দ্রীয় সরকারের পকেটে যায় (প্রায় ৩৩ টাকা), বাকিটা রাজ্যের। ডিজেলের দাম ১০০ টাকা প্রতি লিটার হলে, ৫২ টাকা যায় সরকারের পকেটে। তার উপর রয়েছে কেন্দ্রের সেস (তার ভাগ আবার রাজ্য সরকার পায় না, সবটাই কেন্দ্রীয় কোষাগারে), পরিবহণ খরচ। এই শুল্কে আপনারা ছাড় দেবেন না। কারণ, এটাই যে আপনাদের উপার্জনের সবচেয়ে বড় রাস্তা! লকডাউনের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এক্সাইজ ডিউটি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার আয় করেছে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। অথচ, গত বছরের অনেকটা সময়ই দেশের রাস্তায় গাড়িঘোড়া চলেনি... সৌজন্যে লকডাউন। তারপরও এত টাকা আয় কি চাট্টিখানি কথা? জহর রায় বলেছিলেন না, ‘শিল্ড আমি গ্রামের বাইরে যেতে দেব না!’ আপনাদের হাবভাবও ঠিক তেমন, ‘মানুষ মরে মরুক, রোজগার আমি কমাব না!’ আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। মানে, আপনারা দিতে চান না। দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না। কেন? ওই যে বললাম, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভ! আপনারা বরং রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসকে দোষারোপ করুন (‌ইউপিএ আমলে অবশ্য পেট্রলের উপর কেন্দ্রের কর ছিল ১০ টাকার আশপাশে)। আর ভোটে মন দিন। পাঁচ রাজ্যের ভোট আসছে। অনেক দায়িত্ব... অনেক প্রচার... অনেক প্রোপাগান্ডা। 
আর আম আদমি! আমরা না হয় শুধুই ভাবব, গোটা বছর কেন ভোট থাকে না। তাহলে তেল-গ্যাসের দামটা বাড়ত না!
26th  October, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM