Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল। আজকের একুশ শতকও অভিবাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য।
জাতিসঙ্ঘ ব্যবস্থার একটি অংশ হল ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন (আইওএম) নামক সংস্থাটি। আইওএম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। অভিবাসনের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় আইওএম। পাশাপাশি স্বীকৃতি দেয় চলাচলের স্বাধীনতা ও অধিকারকে। আইওএম বলে যে, নির্দিষ্ট সীমানার অভ্যন্তরে এবং তার বাইরে—এই দুই অভিবাসনের কোনওটাই বন্ধ করা যাবে না। (ভারতের অভ্যন্তরে সাড়ে ৬ কোটি আন্তঃরাজ্য অভিবাসন হয়।) আমরা কেবল আইওএমের মতো কাজ করতে পারি, ‘অভিবাসনের সুশৃঙ্খল ও মানবিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সাহায্য করার জন্য।’
লাখো লাখো মানুষের অভিবাসন
দেশান্তরের একটি কারণ হল দেশভাগ। আর একটা কারণ হল যুদ্ধ। ভারত এই দুটিরই সাক্ষী। ১৯৪৭ সালে ভারত খণ্ডিত হওয়ার কারণে মানব ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ‘বলপূর্বক’ অভিবাসনের ঘটনা ঘটেছিল। অনুমান করা হয় যে, প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ নরনারীকে উদ্বাস্তু হতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পরে ৮০-৯০ লক্ষ শরণার্থী ভারতে এসেছিল। সেই উদ্বাস্তুদের অধিকাংশ বসতি স্থাপন করেছে পশ্চিমবঙ্গে। আর একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় উদ্বাস্তুরা অসমে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই। একই সময়ে, লক্ষ লক্ষ মুসলমান ভারতে, হাজার হাজার হিন্দু ও শিখ পাকিস্তানে এবং বিপুল সংখ্যক হিন্দু বাংলাদেশে থেকে গিয়েছিল। তিনটি দেশের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ কঠোর পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদেরেক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। 
বছরের পর বছর ধরে হিন্দু, মুসলিম ও শিখসহ লক্ষ লক্ষ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়ে থিতু হয়। আমরা গর্বের সঙ্গে তাদের ভারতীয় বংশোদ্ভব বলি। দেশটি মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের হলেও, তারা কিন্তু একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে রয়েছে। একইভাবে ভারতীয় অভিবাসীরা অনেক ইউরোপীয় দেশ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের মধ্যে কেউ যখন জাতিগত বা ধর্মীয় কুসংস্কারের শিকার হয়, স্বভাবতই ভারত সরকার উদ্বিগ্ন হয়, এটা তার আইনগত বাধ্যবাধকতা। 
সংখ্যাগুরুর লক্ষ্য
২১ কোটি ৩০ লক্ষ মুসলমানের বাড়ি ভারতে, সেখানে তাদের পূবর্পুরুষরা থাকত। অনুরূপভাবে, ভারতভাগ বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্বে ভারতে চলে যায়নি, এমন হিন্দুদেরও দেড় কোটি বংশধর বাংলাদেশে (১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে) রয়ে গিয়েছে।
মুসলমানদের উভয় দল—ভারতীয় নাগরিকদের বংশধর এবং অভিবাসীরা ভারতে বসবাস করে। নানা সময়ে তারা ধর্মীয় কুসংস্কারের শিকার হয়। তবুও, মোদি সরকার তাদের রক্ষা করতে বা তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা করতে অস্বীকার করে। কোনও দেশ এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললে মোদি সরকার তাদের ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। বাংলাদেশে হিন্দু নরনারী এবং হিন্দুদের উপাসনালয়ে হামলার ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি দ্রুত স্পষ্ট বক্তব্য এবং সে-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি তাঁর কঠোর নির্দেশাবলি আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরএসএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনক এম এস গোলওয়ালকর তাঁর বই ‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’-এ যে-কথা লিখে গিয়েছেন তা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই: ‘হিন্দু জাতি ও সংস্কৃতির গৌরব ভিন্ন মুসলমানদের অন্যকোনও ধারণা গ্রহণ করা উচিত নয়। এই দেশে তারা সম্পূর্ণরূপে হিন্দু জাতির অধীনস্থ হিসেবে থাকতে পারে, কিছুই দাবি করতে পারে না—এমনকী নাগরিকের অধিকারও নয়।’
আরএসএস/ বিজেপির বর্তমান নেতারা কি ওই দর্শন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন? অনুমান করা হয় যে তাঁরা তাই করেছেন, কিন্তু তাঁদের কথা 
ও কাজের তফাত আমাদের সেই অনুমানকে 
মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। প্রকৃতপক্ষে, মুসলমানদের উপর বাড়াবাড়ি নিয়ে তাঁদের নীরবতা আমাদের আরও কিছু বলে।
> একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি কি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) মতো পরিষ্কার বৈষম্যমূলক একটি আইনকে সমর্থন করবে যা অন্যসকল ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে আর শুধু মুসলিমদের বাদ দেয়? কেউ কি জোর দিয়ে বলতে পারেন, সিএএ এবং হাজার হাজার তথাকথিত ‘বিদেশি’ আটকের হুমকি ব্যাপারটা বাংলাদেশে এবং অন্যত্র প্রভাব ফেলবে না?
> সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রয়েছে যে জাতিটার সে কি গণপিটুনিতে পেহলু খানের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করবে, যিনি রাজস্থানে তাঁর ছোট দুগ্ধ খামারের জন্য কয়েকটি গোরু নিয়ে যাচ্ছিলেন? অথবা, সমর্থন করবে কি আকলাকের ঘটনাটি—উত্তরপ্রদেশের এই মানুষটি তাঁর বাড়িতে গোমাংস রেখেছিলেন, শুধু এই সন্দেহেই তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল?
> বহু ধর্মাবলম্বীর একটি দেশ কি লাভ জিহাদের সর্বনাশা তত্ত্বটি সহ্য করবে, যখন ভিন্ন ধর্মের দুই যুবক-যুবতী প্রেমে পড়বেন অথবা বিয়ে করতে চাইবেন?
> ইন্টার ফেইথ কাপল বা ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী এক দম্পতি স্বামীর ঘরে সুখে সংসার করছেন। তানিশক-এর মতো একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের এটাই ছিল প্রতিপাদ্য। একটি আধুনিক জাতি কি এই বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেবে?
> একটি বহুভাষিক দেশ কি ফ্যাবিন্ডিয়ার মতো একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পোশাক চালু করার অনুষ্ঠানের উর্দু নামাঙ্কনকে কি অপরাধ হিসেবে নেবে—দু’সপ্তাহ পরবর্তী একটি হিন্দু উৎসবকে ইসলামিক রং দেওয়ার অভিযোগ এনে? 
> মুজাফফরনগর এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় অভিযুক্তদের তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে যে ফলাফল দেখা গেল, আইনের শাসনের উচ্চ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা কি মেনে নেবে?
এখানেই বহুত্ববাদ 
ভারতেরই কিছু লোক (সবাই নয়) যদি ভারতীয় মুসলিমদের কটূক্তি, গালাগালি, ক্ষতি, আঘাত, সন্ত্রাস বা হত্যা করার ব্যাপারে অজুহাত খুঁজে পায়, তবে অন্যান্য দেশে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখরা কি কটূক্তি, গালাগালি, ক্ষতি, আঘাত, সন্ত্রাস ও হত্যার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠবেন না? এই উপমহাদেশটি উত্তেজনাপ্রবণ। এমন একটি জায়গায় ‘ক্রিয়া’ এবং ‘প্রতিক্রিয়া’-কে কখনওই সেভাবে আলাদা করা সম্ভব নয়। 
বহুত্ববাদ একটি বাস্তবতা। বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম বিশ্বাস, ভাষা এবং আরও কিছু বিভিন্নতার অনুসারী মানুষের সঙ্গে বসবাস করা অবশ্যই শিখে নিতে হবে প্রতিটি দেশকে। গ্রহণযোগ্যতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাই একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত এই ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
মনে হচ্ছে যে সহিষ্ণুতার জায়গা নিয়েছে সহিংসতা। এই জিনিস যেকোনও জায়গায়, যেকোনও সময় ঘৃণার যোগ্য। হিংসা শুধু হিংসারই জন্ম দেবে। চোখের বদলে চোখ উপড়ে নেওয়ার নীতি পুরো পৃথিবীটাকেই অন্ধ করে দেবে। নিজেকে প্রশ্ন করুন, এটি কে বলেছেন?
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
25th  October, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM