Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

ধরা যাক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ড. মনমোহন সিং। এরকম সময় কাশ্মীরে হিংসার আগুনে জ্বলছে। বিগত বছরগুলিতে কখনও উরিতে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ১৯ জন সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন, কখনও পুলওয়ামায় একজন মাত্র তরুণ একটি লাল মারুতি চেপে এসে আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালিয়ে ৪২ জন আধা সেনা জওয়ানকে হত্যা করেছে। আর এখন ২০২১ সালে নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিন কাশ্মীরে নিত্যনতুন আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন একের পর এক ভারতীয় নাগরিক। কেউ কাশ্মীরের বাসিন্দা। কেউ আবার কাশ্মীরে গিয়ে বসবাস করছিলেন জীবিকার জন্য। সাধারণ স্ট্রিট ভেন্ডার অথবা নিরীহ দোকানি। ঘটনাচক্রে বেছে বেছে হিন্দু অথবা শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকেই টার্গেট করা হচ্ছে। কখনও সখনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও নিহত হয়েছেন। সোজা কথায় সন্ত্রাসবাদীরা যে বার্তা দিতে চাইছে, সেটি হল কাশ্মীর অশান্ত। এবং নিরাপদ নয়। পরিস্থিতি এমনই যে, কাশ্মীরের হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মীরা গণছুটির দরখাস্ত করেছেন।  তাঁরা কর্মস্থলে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বেরতে আতঙ্ক। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ড. মনমোহন সিং হলে, এই অবস্থায় কী করতেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব কিংবা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিজেপি সমর্থক এবং সংঘ পরিবার? কার কাছে জবাবদিহি চাইতেন? কে হতেন সবথেকে বেশি সমালোচনার টার্গেট? আজ কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।  ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পর তো আমাদের বলা হয়েছিল কাশ্মীরের সুদিন এসে গেল! ভারতের যে কোনও নাগরিক নাকি এখন কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন! সেখানে যে কেউ গিয়ে থাকতে পারবেন। বহু মানুষ সেই স্বপ্নপূরণে বিভোর হয়েছিলেন এবং জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন। আজ তাহলে এই অবস্থা কেন? ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক কিংবা দলের নেতানেত্রীরা এখন কী করছেন? কাকে দায়ী করছেন? ড. মনমোহন সিং অথবা অবিজেপি যে কোনও প্রধানমন্ত্রী অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে ভারতীয় জনতা পার্টির আজ ভূমিকাটি ঠিক কেমন হতো? আর প্রকৃতপক্ষে আজ তাদের ভূমিকা কী? তাঁরা ঠিক কী মনে করেন? কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান, কাশ্মীরি পণ্ডিত, হিন্দু, শিখ অথবা কাশ্মীর এবং বহিরাগত ভারতীয় নাগরিককে রক্ষা করার দায়িত্ব ২০২১ সালে কার? সোনিয়া গান্ধীর? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? মনমোহন সিং-এর? দিল্লির মসনদে কে বসে আছেন? 
ধরা যাক, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম রাহুল গান্ধী। সেই সময় পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ঢুকে পড়ল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একঝাঁক জওয়ান জীবন বিপন্ন করে এবং আত্মবলিদান দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের একাংশকে তাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু সেই ঘটনার পর এক বছর ধরে মোট ১৩ বার ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী স্তরের বৈঠক সত্ত্বেও চীন নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিতে নারাজ হল। বৈঠক ব্যর্থ । লাদাখে চীনের সেনাবাহিনী ভারতের নাকের ডগায় বসে রইল। এবং চীন কখনও অরুণাচল প্রদেশ, কখনও উত্তরাখণ্ডে এসে ভারতকে চোখ রাঙিয়ে যাচ্ছে। বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না চীন স্পষ্ট দাদাগিরি দেখিয়ে। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব ঠিক কী করতেন যদি প্রধানমন্ত্রীর নাম হতো রাহুল গান্ধী? আর আজ সেই ভারতীয় জনতা পার্টির  চীনের এই আচরণ নিয়ে ভূমিকা কী? আজ তারা নীরব কেন? ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে  জওহরলাল নেহরু যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বসে বসে অপমানিত হওয়ার তুলনায় যুদ্ধ করা কি অন্তত কিছুটা সম্মানের নয়? আজ চীন যখন তখন ভারতকে হুমকি হুঁশিয়ারি দেয় কেন? যখন ইচ্ছে করছে ঢুকে পড়ছে কেন? তাহলে কি চীন বুঝে গিয়েছে যে, ভারত কোনওদিনই আমাদের পাল্টা জবাব দিতে পারবে না? গত বছর ভারত সরকার চীনের বহু পণ্য বয়কট করেছিল। আজ এক বছর পর খোঁজ নিয়ে দেখা যাক সেই বয়কট কতটা অব্যাহত আছে। আর এই এক বছরে ভারতের আত্মনির্ভরতার কতটাই বা অগ্রসর হয়েছে? সরকার একটি শ্বেতপত্র পেশ করুক যে, এবার থেকে কোন কোন পণ্য আমরা আর কোনওদিন চীন থেকে আমদানি করব না। কোন কোন পণ্য গত এক বছর ধরে সম্পূর্ণ মেড ইন ইন্ডিয়ারই ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আগে চীনের উপর নির্ভরশীল ছিল? সেটা জানতে পারলে আমাদের গর্ব হবে! 
ধরা যাক, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম সময় পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলবে শীঘ্রই। নিত্যব্যবহার্য খাদ্যপণ্যের দাম আকাশ স্পর্শ করেছে। সরকারি চাকরির সংস্থান ক্রমেই কমছে। সরকার রীতিমতো চৈত্র সেল, ফেস্টিভ্যাল অফার অথবা অ্যামাজন ডিসকাউন্ট উইকের মতো করে সরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমান বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসেছে। সরকারি কর্তা জোর গলায় বলছেন, সরকারের হাতে গুটিকয়েক ব্যাঙ্ক থাকবে। সবই বিক্রি করা হবে। সরকারের হাতে কিছুই থাকবে না। সরকার কোনও সংস্থা পরিচালনা করবে না। সরকার ব্যাঙ্কের দায়িত্ব নেবে না। সেনাবাহিনীর অস্ত্র, সামরিক যন্ত্রাংশ, উপকরণ এসব এবার থেকে যে কোনও বেসরকারি কোম্পানিই উৎপাদন করতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে সরকার বেসরকারি হাতে দিয়ে দেবে। সরকারি চাকরির সুযোগ ক্রমেই কমছে। আমাদের জানতে ইচ্ছা করছে, তাহলে ভারত সরকার নামক একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আগামী দিনে ঠিক কী করবে? তাদের কী কী কাজ বাকি রইল? ব্যাঙ্কের সুদের হার তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারকে মানুষ বছর বছর ট্যাক্স দেবে, ভোট দেবে এবং সব কথায় সায় দেবে। কিন্তু বিনিময়ে ভাঙা রাস্তা পাবে, ট্রেনের ওয়েটিং লিস্ট পাবে, ওলা উবের অটোর যথেচ্ছাচার পাবে, ওষুধের আকাল পাবে, মেডিক্লেমের লুটপাট পাবে, কর্পোরেটের সর্ষের তেলের দামের ছ্যাঁকা পাবে, রাজনীতিবিদদের শূন্যগর্ভ লেকচার পাবে। অর্থনীতির মন্দা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, একটি সাধারণ পরিবারও বলতে পারবে না, তাদের আয় অথবা সঞ্চয় বেড়েছে। এরকম একটি অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী দলের কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে, ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক ও নেতৃত্ব কী করতেন? তাদের আক্রমণের লক্ষ্য কে হতেন? 
কাশ্মীর আবার এক নতুন অগ্নিবলয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে। চীন চতুর্দিক থেকে ভারতকে চাপ দিচ্ছে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই চীনের অর্থনৈতিক উপনিবেশে পরিণত। এই রাষ্ট্রগুলিতে চীনের প্রভাব অপরিসীম। অর্থনীতি কিছুতেই ঘুরে দাঁড়ানোর পন্থা খুঁজে পাচ্ছে না। জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।  মাঝখানে রুল টানা একটি সাদা পৃষ্ঠার একদিকে এই ফ্যাক্টরগুলিকে লিখে অন্য পাশে লিখুন— সফল ও ব্যর্থ! কোনটায় টিক দেবেন? প্রধানমন্ত্রীর নাম যাই হোক। কাল্পনিকভাবেও যদি ধরে নেওয়া যেত যে, এরকম ফ্যাক্টরগুলি  একটি দেশে উপস্থিত হয়েছে, তাহলে সেই সরকারকে সাধারণভাবে সফল বলা হবে? নাকি ব্যর্থ? আর এসব তো কল্পনা নয়, সবটাই বাস্তব। আমরা তো ২০২১ সালে বসে আছি! ১৯৬২ সালেও নয়, আবার ২০১০ সালেও নয় যে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কিংবা ড. মনমোহন সিংকে দোষ দেব! তাই না? 
22nd  October, 2021
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM