Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণেশ জননী নবপত্রিকাবাসিনী দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত সপ্তশতী চণ্ডীতে দেবী দুর্গা শস্যদেবীরূপে যেন জগতে অবতীর্ণা এ বার্তা দৃপ্ত কণ্ঠে বিঘোষিত। সর্বজীবের প্রাণরক্ষার উপযোগী শাক-শস্যের দ্বারা তিনি পৃথিবীকে পালন করেন তাই মহাজননী শারদেশ্বরীর আর এক নাম শাকম্ভরী। 
চণ্ডীতে তাঁর নিজমুখে ঘোষণা, ‘হে দেবগণ, অনন্তর আমি আত্মদেহ সমুদ্ভূত প্রাণধারক শস্য সমূহের দ্বারা যতদিন না বৃষ্টি হয় ততদিন পর্যন্ত সমগ্র ত্রিভূবন পরিপালন করিব। এইজন্য আমি ‘শাকম্ভরী’ বলিয়া জগতে খ্যাতিলাভ করিব।’ শাকের অর্থ শস্য। রামায়ণে ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ আছে, ফলমূলাদি সহ শাকসমূহ ও শস্যাধিষ্ঠাত্রী রূপে দেবী দুর্গা পূজিতা হন। নবপত্রিকার অর্চনা সেই প্রেরণারই জীবন্ত প্রতিমা।
দেবীশক্তির মূল সার্থকতা কৃষি জীবনে শস্যলক্ষ্মীরূপে। কৃষিজ সম্পদের মধ্যেও দেখি মহাশক্তির অস্তিত্ব। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’ এই কথা বলা হয়। মা দুর্গা যে শুধু সমস্ত নারীর মধ্যেই প্রকটিত তা নয়, সকল উদ্ভিদের মধ্যেও তাঁর অধিষ্ঠান। উদ্ভিদ জগতের মধ্যে মাতৃত্বের দর্শন সর্বদেশীয় ব্যাপকতার এক দার্শনিক নিদর্শন। শস্যলক্ষ্মীরূপে মা দুর্গার প্রতিনিধি ‘নবপত্রিকা’র মূল উত্তরণ। এই নবপত্রিকা আসলে দেবীর প্রতীক শস্যবধূর-ই পুজো। নব মানে নয় এবং পত্রিকার অর্থ পাতা আছে এমন কিছু বৃক্ষলতা। মঙ্গলদায়িনী জগন্মাতা দুর্গা এখানে নয়টি গাছগাছড়াকে আশ্রয় করে অধিষ্ঠিতা। নয়টি গাছের চারার সমষ্টিগত মূর্তি নবপত্রিকা ধরিত্রীর উর্বরা শক্তিকে বারবার জাগিয়ে দেয়। যেসব ভেষজদ্রব্য ব্যবহার করলে মানুষ সুস্থ থাকে এইসব বৃক্ষ-লতার মধ্যে তাও বিদ্যমান। এই নয়টি গাছের নাম হল— কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, ডালিম, অশোক, বেল, মান ও ধান। এই নয় রকম গাছের চারাকে একসঙ্গে অপরাজিতা লতা দিয়ে বেষ্টন করে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়।
কদলী দাড়িমী ধান্যং হরিদ্রা মানকং কচুঃ।
বিল্বাশোকৌ জয়ন্তী চ বিজ্ঞেয়া নবপত্রিকা।
শারদীয়া পুজোর সপ্তমীর দিন দুর্গা প্রতিমার ডানদিকে নবপত্রিকাকে স্থাপন করার রীতি। এই নবপত্রিকাকে লাল পাড় শাড়ি পরিয়ে সিঁদুর লাগিয়ে ঘোমটা দিলে দেখায়, ঠিক যেন এক নতুন বউ। তাই এই নবপত্রিকার নাম ‘কলা বউ।’ সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে এঁকে রাখা হয় বলে অনেকে গণেশের বউ বলে বর্ণনা করে থাকেন। কেউ কেউ মনে করেন, বাস্তবে এ ধারণা একেবারে ভুল। ইনি গণেশ জননী নবপত্রিকাবাসিনী দুর্গা। নবদুর্গারূপে পূজিতা। মহাকবি কৃত্তিবাস রচিত রামায়ণে নবপত্রিকা পুজোর কথা পাই— ‘বাঁধিলা পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস।’
শস্যদেবীরূপে নবপত্রিকার আরাধনা সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা কৃষিভিত্তিক বঙ্গ জীবনের পরিচায়ক। কলা, কচু, ধান, মান, বেল, হলুদ আমাদের দৈনন্দিন কৃষিনির্ভর জীবনের সম্পদ ও আবশ্যকীয় উপকরণ। বাংলার কৃষক খেত-খামারে যা ফলায়, যা পায় সবকিছুর মধ্যেই সে মাতৃত্বের সৃজনী ও পালনী শক্তিকে দর্শন করে। তাই পরাশর স্মৃতিতে দেখি, ‘কৃষিধন্যা কৃষিন্মেধ্যা জন্তুনাং জীবনং কৃষিঃ’— কৃষি ধন্যা, কৃষি পূজ্যা, কৃষিই প্রাণীগণের জীবন বা জীবিকা স্বরূপ।
শাস্ত্রকারেরা বলেছেন, নবপত্রিকার প্রত্যেক গাছে একজন করে দেবীমূর্তি আছেন। কদলী বৃক্ষকে চিন্তা করা হয়েছে ব্রহ্মাণীরূপে, ডালিম গাছে রক্তদন্তিকা, ধানের দেবী লক্ষ্মী, হলুদে দুর্গা মানে চামুণ্ডা, কচুতে আছেন কালিকা, বেলে শিবা, অশোকের দেবী শোকরহিতা আর জয়ন্তী গাছে কার্তিকী। এই অধিষ্ঠাত্রী দেবীদের সমবেত নামই হল নবপত্রিকাবাসিনী দুর্গা।
অনেকের মতে, বিশ্বাত্মিকা ভগবতী দুর্গা শস্যদায়িনী রূপেই প্রকট। নবপত্রিকার পুজো সে ভাবেরই সঙ্কেত দান করে। সুকুমার সেন তাঁর ‘পূজার পাঁচালি’ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ বা পাশের রাজ্যগুলি চিরকালই ধান্যোপজীবী। আজ থেকে হাজার-দেড় হাজার বছর আগে এদেশে ফসলের দেবী যিনি ছিলেন, তিনিই আমাদের আসল দুর্গাদেবী। এই ধান্যমাতা দেবীর আসল নাম ছিল শারদা। এই দেবীর পূজাই হল শারদীয়া পূজা। এ পূজা শরৎকালে হতো। শারদাদেবী বৈদিক আমলে পরিচিত ছিলেন ‘উষা’ নামে। দেবীর পূজা হতো উষাকালে। দীর্ঘকাল পরে দেবী উষা মার্কণ্ডেয় পুরাণের মহাদেবীতে পরিণত হলেন। এবং পরবর্তীকালে মহিষমর্দিনীর সঙ্গে এক হয়ে যান। সেই সময় থেকে মহিষমর্দিনী মূর্তিটি পূজার প্রতিমারূপে গৃহীত হয়।’
ভারতের নদনদী, সাগর, সরোবরের জলে অনুষ্ঠিত হয় নবপত্রিকার অভিষেক। পতিতার গৃহের মৃত্তিকা সহ বিভিন্ন স্থানের মাটি, পথ্যশস্য,পঞ্চরত্ন ইত্যাদি নানাবিধ সুগন্ধী তৈলদ্রব্য কলাবউ-এর স্নানে অর্পিত হয়। সেইসঙ্গে লাগে পঁচাত্তর প্রকারের উপকরণ। ‘ওঁ আত্রেয়ী ভারতী গঙ্গা। 
যমুনা চ সরস্বতী’ ইত্যাদি মন্ত্রে সকল নদী ও সাগরের জলে যখন নবপত্রিকা স্নান শুরু হয়, তখন আমাদের স্মরণ করায় অখণ্ড ভারতের মানচিত্রটিকে। এ যেন গোটা ভারতের এক মিলন বন্ধন। এই পবিত্র স্নানের মধ্য দিয়ে জাতির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় চিন্তার সুমহৎ তত্ত্বটি অতি পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেছে।
নবপত্রিকার মহাস্নানকালে বিভিন্ন রাগ রাগিণীতে গীত ও বাদ্য বাজানোর বিধি মন্ত্রে দৃষ্ট হয়। যেমন: মালব রাগে বিজয় বাদ্য, ললিত রাগে বেদবাদ্য, বিভাস রাগে দুন্দুভি বাদ্য, ভৈরব রাগে ভীমবাদ্য, কেদার রাগে ইন্দ্রাভিষেক বাদ্য, বারারি রাগে শঙ্খবাদ্য, বসন্ত রাগে পঞ্চশব্দ বাদ্য ও ধানসি রাগে ভৈরব বাদ্য।
এক একটি উদ্ভিদকে এক এক রকম মন্ত্রে  এক এক রকম জলে স্নান করিয়ে তারপর পুজো করার নির্দেশ দিয়েছেন শাস্ত্রকাররা। যেসব পবিত্র মন্ত্রে কলাবউকে অর্চনা করতে হয় তার প্রতিটি মন্ত্র অতি সজীব ও প্রাণস্পর্শী। ঈষৎ উষ্ণজলে কলাগাছকে স্নান করিয়ে বলা হয়— হে চণ্ডিনায়িকা নবপত্রিকে! তুমি কদলীবৃক্ষে অধিষ্ঠান করে আছ। কিন্তু মূলে হচ্ছে তুমি বিষ্ণুবক্ষবিলাসিনী। বিষ্ণুর বক্ষে যে পালনী শক্তি, সেই শক্তি আছে এই কদলী বৃক্ষে। হে দেবি দুর্গা! তুমি পূজার সমীপস্থ হও। কদলী রূপে সর্বত্র শান্তি বিধান কর। ‘রম্ভা রূপেণ সর্বত্র শান্তিং কুরু নমোহস্তুতে।’ হলুদ গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গাকে শিশির জলে স্নান করিয়ে এই মন্ত্রে অর্চনা করতে হয়— হে হরিদ্রে! তুমি শঙ্কর প্রিয়ে। শিবের মতো তোমার রূপ। তুমি রুদ্ররূপে আমায় সর্বসিদ্ধি প্রদান কর। ‘সর্বসিদ্ধিং প্রযচ্ছ মে।’ ধানের অধিষ্ঠাত্রী মা লক্ষ্মীর চরণে প্রণতি জানিয়ে বলি, ধান্যরূপা হে দেবী! জগতের মঙ্গলের জন্য ব্রহ্মা তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তুমি জগতের প্রাণদায়িনী। তুমি দেবী উমার প্রীতিদায়িকা। স্থিরা হয়ে তুমি আমাদের গৃহে কামপ্রদা হয়ে সর্বদা রক্ষা কর। ‘রক্ষ মাংসদা।’
লেখক প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থপ্রণেতা
12th  October, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM