Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিপিএমের রাজনৈতিক
ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

রেডিওর বাংলা নাটক, ওয়েসিস মনের মতো গান মনে রাখা কথা, বোরোলিনের সংসার, দূরদর্শনের চিত্রহার, চিত্রমালা, অ্যাম্বাসাডর গাড়ি, ক্রিক রো অথবা টালা পার্কের সারারাতের জলসা, পুজোর সময় নতুন গান, ছোট ছোট বিজয়া সম্মিলনী, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে পাড়ায় পাড়ায় শ্যামা শাপমোচন, চিত্রাঙ্গদা অথবা ছোটদের মুখে ‘ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছো’ আবৃত্তি। টাইপরাইটারে অ্যাপ্লিকেশন পাঠানো, লেটার বক্সে ইনল্যান্ড লেটার অথবা পোস্টকার্ড পেয়ে অজানা দূরাগত সংবাদের আগ্রহে হৃদয়ে তরঙ্গ ওঠা। অনুপ জালোটার ‘অ্যায়সি লাগি লগন’ ভজনের ডাবল ক্যাসেট সাংঘাতিক হিট হওয়া, মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল, মহামেডানে সিংহভাগ বাঙালি স্টার ফুটবলারের স্বর্ণচ্ছটাময় দিন। বাঙালির এই তাবৎ নস্টালজিয়ায় নবতম সংযোজন হতে চলেছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)। সংক্ষেপে বাঙালির মুখে মুখে বিখ্যাত টার্ম, সিপিএম। 
আমরা আগেই বুঝতে পারছিলাম, এভাবে ক্রমাগত লোকসান করতে থাকলে এবং নতুন আধুনিক যুগের আগ্রাসী উৎপাদন স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারা প্লাস পরিচালকবৃন্দের উদাসীনতার কারণে বার্ন, ব্রেথওয়েট, জেশপ কিংবা ডানলপের মতো ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলি ধীরে ধীরে মুছে যাবে। ঠিক তাই হয়েছিল। বাঙালির কাছে একসময় ভালো চাকরি মানেই এইসব কোম্পানিকে বোঝাত। পাত্র হিসেবে এইসব কোম্পানির কর্মী অফিসারদের কদর ছিল বিয়ের বাজারে। কিন্তু সেগুলি ক্রমেই বাঙালি মন থেকে অন্তর্হিত হয়ে গেল। দমদম অথবা হাওড়ায় গেলে ওইসব জমির দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে এখানে একসময় কত গমগম করত! ব্যস! ওইটুকুই।
আমরা আন্দাজ করছিলাম, যেভাবে বিদেশি আধুনিক সংস্থার গাড়ি যৌথ ভেঞ্চার করে ঢুকে পড়ছে ভারতের বাজারে এবং দেশীয় সংস্থা মারুতিও জাপানের সুজুকি কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য আঁতাত করে নিজেদের উন্নীত করে আরও মোহময় এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে, এদের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না আমাদের প্রিয়তম অ্যাম্বাসাডর। ঠিক তাই হল। কারণ, অ্যাম্বাসাডর নিজেদের বদলাতে পারলো না। আধুনিকতা এল না। তাই সে ধীরে ধীরে মানুষের আলোচনা, কৌতূহল অথবা ভিস্যুয়ালাইজেশনের অভিঘাত থেকে হারিয়ে গেল। আজ বাঙালি মধ্যবয়সিরা মাঝে মাঝে ঘরোয়া পারিবারিক আড্ডায় বলে থাকেন, রাঙা মেসোর একটা অ্যাম্বাসাডর ছিল মনে আছে? সেই যে প্রতি বছর আমাদের সব ভাইবোনকে নিয়ে জেমিনী সার্কাস দেখাতে নিয়ে যেতেন যে গাড়িতে? আমরা মনে করে আজও হাসাহাসি করি যে, কোনও এক বছর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার সময় একসঙ্গে সবথেকে বেশি কতজন ঢুকেছিলাম সেই গাড়িতে। এর বাইরে আর অ্যাম্বাসাডরের অস্তিত্ব অথবা গুরুত্ব আজ আমাদের কাছে নেই। তবে অবশ্যই রাস্তায় এখনও দেখা যায়। ট্যাক্সির রূপে কিংবা প্রাইভেট গাড়ি অথবা অফিসের ভেহিকেল হিসেবে। আমরা অন্য গাড়ি অথবা বাসে ট্রামে চেপে তার চলে যাওয়া দেখি নিস্পৃহ দৃষ্টিতে। কখনও ভাবি না যে, আমাকে একটা অ্যাম্বাসাডর কিনতে হবে। 
সন্দেহটা আগেই হয়েছিল। ২০২১ সাল মোটামুটি আমাদের নিশ্চিত করে দিয়ে যাচ্ছে যে, অনুমানটি সঠিক। অর্থাৎ সিপিএম ক্রমেই বাঙালির নস্টালজিয়ায় ঢুকে পড়বে। অর্থাৎ আগামী দিনে বাঙালি নতুন প্রজন্মকে পুরনো প্রজন্ম বলবে, তোরা জানিস না, সিপিএম একসময় কী প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল। কী দাপট ছিল! কী হাঁকডাক! তবে বহু অতীত স্মৃতি আছে, যেগুলির অভিঘাত ক্রমেই কমতে থাকে। একসময় সেগুলি মানুষ সম্পূর্ণ ভুলেও যায়।  সিপিএম কিন্তু চিরস্মৃতিতে থেকে যাবে। কারণ, এই দলটি বহু রেফারেন্স পয়েন্ট তৈরি করে রেখে গিয়েছে। যে কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের মনে পড়ে সিপিএমের কথা। যেমন আজ যদি কোনও নেতানেত্রীকে দেখা যায়, বিরোধীদের সম্পর্কে অপশব্দ ব্যবহার করতে, আমরা সমালোচনা করি, ধিক্কার দিই। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মনে পড়ে বিরোধী দলনেত্রীকে ‘কালীঘাটের ময়না’সহ আরও অশালীন শব্দ বলেছিল একসময় এই দলটির নেতারা। ভোটের আগে, ভোটের পরে রাজনৈতিক হিংসা কিংবা সন্ত্রাস এখন যদি ইস্যু হয় হঠাৎ, বাঙালির তখন দ্রুত মনে পড়ে যায় সিপিএমের রেফারেন্স। কতরকম রাজনৈতিক থ্রিলার রচনা করেছিল তারা। ওরকম গণহত্যার সাসপেন্স থ্রিলার আর হল না। সেই বিজন সেতু থেকে ছোট আঙারিয়া। নানুর থেকে খেজুড়ি। কেশপুর গড়বেতা থেকে নন্দীগ্রাম।  রাজনৈতিক ডার্ক হরর চিত্রনাট্যকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল এই দল। এখন দু একটি রাজনৈতিক হিংসার সংবাদ উপস্থিত হলেই এইসব মনে পড়ে মানুষের। তারা চোখ বড় বড় করে বিবরণ দেবে। আর উদাসীনভাবে শুনবে নয়া প্রজন্ম। তারা তো রাজনীতিতে শুধুই বিজেপি বনাম তৃণমূলের দাপট দেখছে। তাদের মনে এখন আর ওসব কথা দাগ কাটবে না। তারা এগিয়ে যাওয়া জীবনে ঢুকে গিয়েছে। ঠিক যেভাবে জীবন বদলে যায় টুজি, থ্রিজি, ফোর জি, ফাইভ জির হাত ধরে। কিন্তু পিছনেই রয়ে গিয়েছে সিপিএম। বেসিক মোবাইল হ্যান্ডসেট আর টেক্সট মেসেজের মতোই পুরনো হয়ে। আপডেট করতে পারেনি নিজেদের। তাই বাঙালি জীবনে সিপিএম স্মৃতির দলে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। 
সিপিএমকে একাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামক এক নেত্রী শেষ করে দিলেন, এটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। একইসঙ্গে সিপিএমেরও কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। তারা মন দিয়ে নিখুঁত কৌশলে প্রতিটি নির্বাচনের আগে ও পরে আত্মহত্যা করেছে। আত্মঘাতী নানাবিধ সিদ্ধান্ত অথবা অবস্থান নিয়েছে। অযোগ্যদের পার্টির মুখ করেছে। পার্টি থেকে শিক্ষাকে বিদায় করেছে। সিপিএম বিগত ১০ বছর ধরে রাজনীতি ছাড়া বাকি সব করেছে। সিপিএম কেন এভাবে বাঙালি রাজনীতি থেকে বিদায় নিল? কারণ, সিপিএমের কাছে মানুষের নতুন করে কিছু‌ই পাওয়ার নেই। একটি দল সম্পর্কে একটা আগ্রহ তো থাকবে? অর্থাৎ এই দল ক্ষমতায় এলে অথবা ক্ষমতাসীন থাকলে কী কী হতে পারে সেই আশাবাদ। 
সিপিএমের পুঁজি ছিল বামপন্থা। অর্থাৎ গরিবদের জন্য সরকার নানাবিধ অনুদান, সুযোগ সুবিধা, আর্থিক নিরাপত্তা ইত্যাদি দেবে। তৃণমূল সরকার সিপিএমের সেই  নীতি ইতিমধ্যেই বাংলায় পুরোদস্তুর প্রয়োগ করে চলেছে। তাঁর দল তথা সরকারের নামে যুক্ত রয়েছে কংগ্রেস। কর্মসূচিতে বাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাচ্ছেন ‘বামপন্থী কংগ্রেস’ মডেলে। সাধারণ মানুষ ও দরিদ্র সম্প্রদায়ের জন্য যতরকম প্রকল্প এখন আছে, সেগুলির থেকে বেশি আর কী দেবে সিপিএম? 
সিপিএম একটি দুটি শব্দকে আজও ব্যবহার করে গর্বের সঙ্গে। জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি। এগুলোর একটাও বাংলা কিংবা ভারতে হবে? সিপিএম নিজেও কোনওদিন বিশ্বাস করতো যে এসব হবে? তাহলে ১৯৬৪ সালে গঠিত দল, কয়েক বছরের মধ্যেই অজয় মুখোপাধ্যায়ের বাংলা কংগ্রেসের সঙ্গে  জোট করে সরকারে যোগ দিল কেন? তার মানে জন্মমুহূর্ত থেকেই সিপিএম সংসদীয় ক্ষমতায় আরোহণের জন্য আত্মনিবেদিত। কিন্তু আগাগোড়া জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র, এসব বলে মানুষকে ফাঁকি দিয়ে গেল। সিপিএমের একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকদের কাছে প্রথমে মনে হয়েছিল সর্বহারা মানে পার্টির কাছে মূলত  কৃষক ও শ্রমিক।  আশির দশকের পর সেইসব কর্মী সমর্থকরা বুঝতে পারলেন, কৃষক, শ্রমিকদের থেকেও পার্টির কাছে প্রকৃতপক্ষে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ‘সর্বহারা’ হয়ে গিয়েছে, শিক্ষক, প্রোমোটার, ঠিকাদার এবং ক্যাডার। 
কংগ্রেস ভুল করে তাদের আমলে মাস্তানরাজের জন্ম দিয়েছিল। মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। ভীতি তৈরি হয়েছিল মানুষের মনে। কারণ, মাস্তানদের মনে হয়েছিল সর্বশক্তিমান। সিপিএম সেই ভুল করেনি। তারা ওই ভীতিকর, সমীহ সৃষ্টিকারী এবং সর্বশক্তিমান শ্রেণিকে রেজিমেন্টেড ম্যানেজমেন্টে নিয়ে এসেছিল। তার নাম লোকাল কমিটি! পাড়ায় পাড়ায় এই কমিটির অফিস ছিল আর্থ সামাজিক বিচারালয়। সমাজকে, শিক্ষাকে, সরকারি চাকরিকে, রাজনীতির যাপনকে, এমনকী প্রগতিশীল চিন্তাকেও কন্ট্রোল করার নেশায় পড়ে গিয়েছিল সিপিএম। সর্বহারার একনায়কতন্ত্র মানে শ্রমের মর্যাদা। সিপিএম অসংখ্য শিল্প আর কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রম ব্যাপারটাই তুলে দিল। আর কৃষকদের জমি দেওয়া পার্টি একদিন সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে কৃষকদের থেকে জমি কেড়ে নিল। তাই সিপিএমকে অবাক করে দিয়ে ২০১১ সালে  কাউন্টার ‘জণগণতান্ত্রিক বিপ্লব’ হয়ে গেল! 
এ রাজ্যে বিজেপির উত্থানকে সিপিএম সর্বদাই একটি পুরনো রেকর্ড চালিয়ে বলে থাকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরে নিয়ে এসেছেন। সিপিএম নিজেদের প্রশ্ন করে না যে, মমতা নিয়ে এলেন, আর মানুষ সিপিএমকে পরিত্যাগ করে বিজেপিকে গ্রহণ করল কেন? অর্থাৎ নতুন নতুন যে দলই আসুক, সিপিএম কেন নিজেদের সময়োপযোগী ও গ্রহণযোগ্য করে রাখতে ব্যর্থ হল? মানুষ তৃণমূল ও বিজেপিকে কেন ভোট দিচ্ছে? এসব বিশ্লেষণ না করে, সিপিএমের বিশ্লেষণ করা উচিত ছিল যে, আমাদের কেন দিচ্ছে না? এখন বিশ্লেষণ করে কাজ হবে? না হবে না। দেরি হয়ে গিয়েছে। বাংলায় সিপিএম ক্রমেই পরিণত হয়ে যাবে একটি অতীত পার্টিতে! স্মৃতির রাজনীতি হয়ে! বাঙালির নতুন নস্টালজিয়া-সিপিএম! 
08th  October, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM