Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিকে টক্কর দিচ্ছেন মমতা
তন্ময় মল্লিক

প্রশ্ন চিহ্নটা আর রইল না। দূর হল যাবতীয় সংশয়। এবার স্পষ্ট হল, ত্রিপুরাতেও তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার পরপর দু’টি আবেদন বিপ্লব দেবের পুলিস খারিজ করে বুঝিয়ে দিল, তৃণমূল আতঙ্ক গ্রাস করেছে বিজেপিকে। তাই তৃণমূলকে আটকানোর এত চেষ্টা। নেতা কর্মীদের মারধর করে, কেস দিয়ে, হোটেল মালিকদের চমকেও লাভ হয়নি। এবার বিজেপির ডিফেন্স সামলানোর দায়িত্ব ত্রিপুরা প্রশাসনের। তবে, তাতে কতটা কাজ হবে বলা কঠিন। কারণ সন্তোষমোহন দেব তনয়া সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ‘টিম মমতা’র ফরোয়ার্ড লাইন শানিত তরোয়াল। বিপ্লব দেবের ডিফেন্সকে ফালা ফালা করার জন্য যথেষ্ট। সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, ত্রিপুরাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। এখানে একটাই সংশয়, বাংলায় নাকে ঝামাঘষা খাওয়ার পর ত্রিপুরায় মোদিজি তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখোমুখি হবেন কি না! 
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন বছর দু’য়েক দেরি। তা সত্ত্বেও এখন থেকেই সেখানে তৃণমূলকে জব্দ করতে বিজেপি আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে। কারণ বাংলার নির্বাচন দেখে বিজেপি বুঝেছে, কংগ্রেস বা সিপিএম নয়, এই মুহূর্তে তাদের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল। তাই অঙ্কুরেই বিনাশের চেষ্টা। বিজেপির ত্রিপুরা দখলের পর প্রায় ৪২ মাস অতিক্রান্ত। যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল, তার অধিকাংশই বিপ্লব দেবের সরকার পূরণ করতে পারেনি। তা সত্ত্বেও বিজেপিকে বিব্রত হতে হয়নি। কারণ বিজেপি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলায় ব্যর্থতার নজির গড়েছে সিপিএম। তাই বেশ নিশ্চিন্তেই ছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু তৃণমূল ত্রিপুরায় পা রাখতেই তাঁর গদি টলমল। তৃণমূলকে ঠেকাতে না পারলে তাঁর হালও যে বিজয় রুপানির মতো হবে, সেটা বুঝেছেন বিপ্লববাবুও। তাই অভিষেক-মোকাবিলায় নামিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনকে।
তবে, অভিষেককে আটকাতে গিয়ে বিজেপি আরও বেশি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। আগরতলায় তাঁর পদযাত্রার আবেদন নাকচ করেছে ত্রিপুরা পুলিস। তাদের যুক্তি, আগেই আগরতলায় অন্য রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালনের অনুমতি নিয়েছে। তাই পদযাত্রায় অনুমতি নয়। তবে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতির যুক্তি অন্যরকম। তাঁর কথায়, ত্রিপুরার সরকার আইন মানে। তাই করোনা বিধির জন্য পদযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আর তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, বিজেপি তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে। তাই পদে পদে বাধা দিচ্ছে। তৃণমূলের পদযাত্রার অনুমতি বাতিলের প্রকৃত কারণ যাই হোক না কেন, বিজেপির এই পদক্ষেপে লাভ তৃণমূলেরই। বিশেষ করে অভিষেকের। বিজেপি নেতৃত্ব যত ইডি দিয়ে তাঁকে দমানোর চেষ্টা করছে, ত্রিপুরা দখলের জন্য তাঁর জেদ ততই বাড়ছে। পিছু হটা তো দূরের কথা, আরও বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন। এসব দেখে অনেকে বলছে, এক্কেবারে ‘পিসির ধাত’ পেয়েছে।
বিজেপি যে অভিষেককে ভয় পাচ্ছে, তা জলের মতোই পরিষ্কার। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক যদি সত্যিই রাজনীতিতে ‘নাবালক’ হতেন তাহলে বিজেপি তাঁকে কিছুতেই এত গুরুত্ব দিত না। ত্রিপুরায় তাঁকে আটকানোর জন্য পার্টি ও প্রশাসন এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ত না। আর সেটাই অভিষেকের ‘ভালো লাগা’র কারণ। তবে, সে কথা তিনি গোপন করেননি। তাই ‘ইডি-সন্ত্রাসে’র মুখে দাঁড়িয়েও বিজেপির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা’।
ত্রিপুরা একটা ছোট্ট রাজ্য। লোকসভার আসন মাত্র দু’টি। এহেন ত্রিপুরাকে নিয়ে বিজেপির কেন এত তৎপরতা, কেন এত উৎকণ্ঠা? উত্তরটা খুব সহজ, দিন যত যাচ্ছে দেশজুড়ে বিজেপির অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের কাছে প্রতিটি আসন‌ই দিন দিন অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠছে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বিজেপি। বিশেষ করে যেসব রাজ্যে ‘ডবল ইঞ্জিনে’র সরকার আছে, সেখানে বিপদটা বেশি। সেসব রাজ্যে শুধু সরকারের জনপ্রিয়তা কমছে না, দলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খেয়োখেয়ি।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদিজির নেতৃত্বে পাহাড়প্রমাণ সাফল্যের পরেও বিজেপি একের পর এক রাজ্যে হেরেছে। বিহারে পেয়েছে ‘আংশিক’ সাফল্য। আংশিক, কারণ সেখানে আসন কম পেলেও নীতীশ কুমারের কৃতিত্ব অনেকটাই। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি মমতার হাত থেকে বাংলা ছিনিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল। সর্বশক্তি নিয়ে বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে ছিল। আর সেটাই নরেন্দ্র মোদির জন্য ‘কাল’ হয়েছে। মমতার কাছে ‘লেজেগোবরে’ হওয়ার পর বিজেপি বুঝেছে, ‘মোদি ম্যাজিক’ই ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে। তাই ‘গুজরাত লবি’ কাযর্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ রাজনীতিতে সাফল্যই শেষ কথা। নির্বাচনে জয় এনে দিতে না পারলে নেতার দাপট তখন কর্মীদের কাছে হয়ে যায়, আস্ফালন।
সামনেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সামনে রেখে ভোটে লড়বে। গতবারই ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের মুখ করে নির্বাচন লড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেস তা শোনেনি। তার ফলও কংগ্রেসকে ভোগ করতে হয়েছে। এবার সম্ভবত সেই ভুল কংগ্রেস করবে না। আর পিকের কথা শুনে নির্বাচন লড়লে ফল কী হয়, বাংলা তার প্রমাণ। তাই উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফল কী হবে, তা বলা বেশ কঠিন। তবে, সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেও যোগী আদিত্যনাথ কিছুতেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহকে কৃতিত্বে ভাগ বসাতে দেবেন না। উত্তরপ্রদেশে মোদি নয়, যোগীই বিজেপির পোস্টার বয়।
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন বিজেপির কাছে অবশ্যই অগ্নিপরীক্ষা। তবে, গুজরাতের ভোটই মোদি-অমিত শাহ জুটির ‘অ্যাসিড টেস্ট’। লোকসভা নির্বাচনের আগে গুজরাত বিধানসভার ভোট। সেখানে বিজেপি খারাপ ফল করলে সেই ধাক্কা মোদি ও অমিত শাহ কিছুতেই সামলাতে পারবেন না। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে ধস নামবে। দলের মধ্যে জোরদার হবে ‘দেশের নেতা’ বদলের দাবি। সম্ভবত সেকথা মাথায় রেখে এখন থেকেই তাঁরা ঘর গোছানোর কাজে মন দিয়েছেন। বিজয় রুপানিকে সরিয়ে দিয়ে প্রথমবার বিধায়ক হওয়া ভূপেন্দ্র প্যা঩টেলকে মুখ্যমন্ত্রী করা তারই প্রথম পদক্ষেপ।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বদল বলে দিচ্ছে, বিজেপি নেতারা যতই ‘গুজরাত মডেল’ বলে গলা ফাটান না কেন, সেখানে সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। চড় চড় করে বাড়ছে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’। এমনিতেই গত বিধানসভা নির্বাচনে দুর্বল কংগ্রেসের কাছে হারতে হারতে বেঁচে গিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ। করোনা মোকাবিলায় ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা মানুষের ক্ষোভের আগুন ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ এনে স্বপ্নের জাল বুনে মানুষকে ফের বোকা বানানোর চেষ্টা।
নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মুখ্যমন্ত্রী বদলে জনগণের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার এই কৌশল গুজরাতে সফল হওয়া বেশ কঠিন। কারণ মানুষের ক্ষোভের মূলে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জনবিরোধী নীতি এবং লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। তাই ক্ষোভ দূর করতে হলে ঘটাতে হবে নীতির বদল, মুখ্যমন্ত্রী নয়। গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী বদলে হয়তো তাঁরা পাটীদার সমাজকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন, কিন্তু মানুষকে খুশি করা যাবে না। জামা কাপড় বদলে রোগীর ঘা সারানো যায় না। তাতে ঘা আরও গভীরে ছড়িয়ে যায়। বিজেপির দিল্লির নেতারা মুখ্যমন্ত্রী বদলে সেটাই করছেন। মোদিজি, মুখ্যমন্ত্রী না বদলে নীতিটা বদলান। শিল্পপতিদের ছেড়ে এবার জনগণের দিকে তাকান।
সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেও যে আকাশ ছোঁয়া যায়, ফের তা প্রমাণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম এখন বিশ্বের ১০০জন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায়। টাইম ম্যাগাজিনের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে সাধারণ মানুষের কল্যাণে নেওয়া তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ। দিলীপ ঘোষের কথায় যা মানুষকে ‘ভিখারি’ বানানোর চেষ্টা, টাইম ম্যাগাজিনের চোখে তা ‘মানবদরদি’। তিনি সমাজ বদলের কারিগর। তাঁর ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার স্বীকৃতি এটা।
টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদিও। তাঁর স্থান ১২তম। আর মমতা? রয়েছেন ঠিক তার চারজন পরেই। ক্ষমতায়, পদমর্যাদায়, দাপটে, প্রভাবে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু টাইমের সমীক্ষায় ফারাকটা তেমন কিছু নয়, বরং খুব কাছাকাছি। পৃথিবীর বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘টাইম’ জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা ভারতবর্ষের একজনেরই আছে। নাম তাঁর মমতা।
18th  September, 2021
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM