Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি জমানায় শিক্ষার গেরুয়াকরণ
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপির ছাত্র সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ এবং আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠন ‘ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল’ ছাড়া নাকি দেশে আর কোনও ছাত্র বা শিক্ষক সংগঠনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ রচনা করতে গিয়ে নাকি এমনই তথ্য মিলেছিল। গোটা প্রক্রিয়ায় মোদি সরকার দাবি করেছিল, দেশের ৬৭৬টি জেলার ৬৬০০ ব্লকের আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দু’লক্ষ মতামত তারা সংগ্রহ করেছে। অথচ, কস্তুরিরঙ্গন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যারা মতামত দিয়েছে তারা মুখ্যত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান, নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের বাকি শিক্ষক–শিক্ষাবিদ–ছাত্র বা তাঁদের সংগঠনগুলির মূল্যবান মতামত ঠাঁই পেয়েছিল ডাস্টবিনে!
গেরুয়া অ্যাজেন্ডায় আটকে
২০১৭ সালের জুন মাসে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বে ‘খসড়া জাতীয় শিক্ষনীতি’ রচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। এই কমিটি ২০১৯ সালের ৩১ মে ‘খসড়া জাতীয় শিক্ষনীতি–২০১৯’ মন্ত্রীর কাছে জমা দেয়, যা ২০২০-র ২৯ জুলাই মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়ে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি–২০২০’ নামে আত্মপ্রকাশ করে। মাঝে শুধু ১৯৯২ সালের ‘সামান্য সংশোধন’। সেটুকু সরিয়ে রাখলে, সেই ১৯৮৬ সালের পরে এই প্রথম নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর হাত ধরে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ফিরে গিয়েছে তার পুরনো নামে— শিক্ষা মন্ত্রক।
আমরা কী দেখছি? মৌলিক শিক্ষার পরিবর্তে কর্মমুখী শিক্ষার উপর জোর। মাধ্যমিক পরীক্ষার অবলুপ্তি। স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেমেস্টার। সংস্কৃত শিক্ষার উপর জোর। ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব হ্রাস। শিক্ষক–ছাত্র পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিচালিত শ্রেণি–কক্ষ শিক্ষার পরিবর্তে অনলাইন শিক্ষার উপর জোর। কিছু স্কুল একত্র করে গুচ্ছ–স্কুল ব্যবস্থার প্রবর্তন। তিনটি অসম মানের বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। ইউজিসি–এআইসিটিই প্রভৃতি ঐতিহ্যমণ্ডিত উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবলুপ্তি ঘটিয়ে হায়ার এডুকেশন কমিশন নামে একটি সংস্থা তৈরি করা। ‘ভারতীয়ত্ব’ ও ‘ভারতীয় ঐতিহ্য’ প্রভৃতি হিন্দুত্ব–সুলভ আবেগে সুড়সড়ি দেওয়ার মতো শব্দের আড়ালে শিক্ষার গৈরিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণের ঝোঁক। বর্তমান শিক্ষানীতিতে ত্রিভাষা ফর্মুলার মাধ্যমে ইংরেজিকে কেড়ে নিয়ে হিন্দিকে সুকৌশলে চাপানোর অপচেষ্টা করছে। বস্তা পচা কিছু যুক্তির আড়ালে হীন উদ্দেশ্যে সংস্কৃতকে পুনরায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। 
এই শিক্ষানীতির পরিবর্তন কতটা হাল ফেরাবে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামহলেরই একাংশ। নতুন শিক্ষা নীতি ঘোষণার দিনেই ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি ছিল, এটি বদলে দেবে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার জীবন। তাঁর দাবি, এই নীতিই হবে বিশ্বের দরবারে ভারতের শীর্ষে ওঠার সিঁড়ি। অথচ, শিক্ষাবিদদের খটকা, তার জন্য জরুরি শিক্ষায় সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি। অথচ, কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মিলিত বরাদ্দ ৫২ বছর ধরে আটকে আছে জিডিপির ৬ শতাংশের নীচে। মোদি জমানায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ০.৫৩ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ০.৪৪ শতাংশে! বিরোধীদের অনেকেই বলছেন, মোদি সরকার আসলে শিক্ষার বিদেশিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যকরণের রাস্তা প্রসারিত করেছে। যার পকেটে রেস্ত, সে—ই পাবে শিক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষার সর্বনাশ
এখন সরকারি নিয়মে বিদ্যালয় স্তর ৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু হয় এবং ১০+২ বা ১২ বছরে তা শেষ হয়। দশমের পর মাধ্যমিক এবং দ্বাদশের পর উচ্চমাধ্যমিক হিসেবে দু’টি বোর্ডের পরীক্ষা হয়। প্রথম শ্রেণির আগে নার্সারি বা প্রি–স্কুল গ্রামে সরকারিভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। নতুন নীতিতে (১০+২)–র পরিবর্তে (৫+৩+৩+৪) প্রথা প্রবর্তন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সঙ্গে। পড়ুয়া প্রথম ৩ বছর প্রি-প্রাইমারির পরে ২ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি অঙ্গনওয়ারিতে পড়বে। এই হল তাদের প্রথম ৫। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার যোগ্যতামান না থাকলেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী বা সহায়িকাদের উপরই পড়ানোর দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে নাকি পড়ুয়ার ভিত তৈরি হবে! এর ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো, যা এমনিতেই অর্থাভাবে ধুঁকছে, সেগুলি আরও বিপর্যস্ত হবে। সর্বনাশ হবে আগামী প্রজন্মের।
যে সেমেস্টার প্রথা কলেজ স্তরে এই মুহূর্তে আছে তা বহুল সমালোচিত। তার প্রতি কর্ণপাত না করে সরকার সেই প্রথাকে বিদ্যালয় স্তরে প্রবর্তন করতে চাইছে কী কারণে? বুনিয়াদি শিক্ষার বুনিয়াদটাই তো নড়বড়ে হয়ে যাবে। দশম শ্রেণিতে মাধ্যমিক হিসাবে যে বোর্ডের পরীক্ষা আছে এবং যে পরীক্ষায় পাশ করলে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তার অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। মাধ্যমিক–পাশ এ দেশে সরকারি-বেসরকারি নানা চাকরি পাওয়ার একটা যোগ্যতামান। দশম শ্রেণির পর বোর্ড পরীক্ষার অবলুপ্তি ঘটিয়ে বিদ্যালয় স্তরের শেষ পরীক্ষা দ্বাদশে নিয়ে যাওয়ার ফলে দু’ধরনের বিপত্তি তৈরি হবে। দশমের পর বহু ছাত্রের ‘ড্রপ–আউট’ হবে এবং যারা টিকে থাকবে তাদের আরও দু’বছর অপেক্ষা করতে হবে এই শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। 
বহু প্রশ্নের উত্তর নেই
বর্তমান শিক্ষানীতিতে গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি অন্তর্ভুক্তির ফলে সরকার পোষিত বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হবে। স্বভাবতই বিত্তশালী পরিবারগুলি বেসরকারি স্কুল বেছে নেবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কর্পোরেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রমরমা বাড়বে। ‘বহুত্ববাদিতা’, ‘বৈচিত্র্য’ প্রভৃতি মূল্যবোধের শিক্ষা পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। এসব বলতে বলতেই এই শিক্ষানীতি বহুজাতি, বহুভাষী, বহুসংস্কৃতির দেশে এক পাঠ্যবিষয়, এক পরীক্ষা, এক প্রবেশিকা পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা যখন আওড়াচ্ছে তখন শিক্ষা যে যুগ্ম তালিকায় আছে তা তারা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছে। ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’-এর শিক্ষা ছাত্রদের দেবে যখন বলছে তখন সংসদ এড়িয়েই জাতীয় শিক্ষানীতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই নীতি প্রণয়নের অন্যতম লক্ষ্য, মুখস্থবিদ্যা-নির্ভর পড়াশোনা থেকে মুক্তি। অন্যের পছন্দের বিষয় নিতে বাধ্য না-হয়ে নিজের মনের কথা শোনার সুযোগ। ভালো লাগলে, অঙ্কের সঙ্গে সঙ্গীতের চর্চা। যাতে তৈরি হয় যুক্তিবাদী, প্রশ্নমুখর মন। প্রতিবাদী পড়ুয়াদের প্রশ্ন, যুক্তির জায়গা থেকেই তো সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। তা হলে সেই প্রতিবাদকে দুরমুশ করার এত চেষ্টা কেন?
মোদির মতে, এই নীতির হাতিয়ার একুশ শতকের প্রযুক্তি। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি প্রার্থী না-হয়ে নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করবেন। কিন্তু বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকাঠামোই যে সকলের নেই, প্রধানমন্ত্রী তা কি জানেন? ইংরেজির ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। মূল্যবোধের শিক্ষা তাঁরাই দিতে পারেন যাঁরা নিজেরা সততার সঙ্গে তার চর্চা করেন। বিজ্ঞানভিত্তিক মননের জন্ম তাঁরাই দিতে পারেন যাঁরা সর্বপ্রকার কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তা এবং অনৈতিহাসিক ভাবনা-ধারণা থেকে মুক্ত। এই শিক্ষানীতিতে ছাত্রমনকে ‘বিজ্ঞান ও যুক্তি নির্ভর’ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সাংবিধানিক পদমর্যাদাসম্পন্ন নানা ব্যক্তির মুখনিঃসৃত বাণী শুনছি যে, ‘মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট’, ‘ডারউইন তত্ত্ব ভুল’, ‘বেদের যুগে এরোপ্লেন’ ইত্যাদি। সেই তাঁরাই ছাত্রদের বিজ্ঞানসম্মত মনন বিকাশের দায়িত্ব নেবেন? সন্দেহ তো জাগবেই।
ভারতীয় সংবিধান মতে, শিক্ষা যৌথ তালিকার অন্তর্গত, এখনও। তবে কীভাবে কোনও রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাড়াই সেই রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি হয়? কেন্দ্রীয় নীতি ঘোষিত হওয়ার পর একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছিল পশ্চিমবঙ্গও। আপত্তির স্থানগুলি চিহ্নিত করে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছিল। কিন্তু আপত্তি না শুনেই যদি নীতি প্রযুক্ত হয়, তবে সব পদ্ধতি, সব কমিটিই অর্থহীন। উল্টে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ গঠনের আড়ালে সমগ্র পরিচালন ব্যবস্থাটিকে কেন্দ্রীয় সরকার কুক্ষিগত করতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের স্বার্থে শিক্ষায় সংস্কার চালু করার বিষয়ে আর বিলম্ব চলবে না। কীসের স্বার্থ? কাদের স্বার্থরক্ষার কথা ভাবছে মোদি সরকার? বিপদগ্রস্ত সময়ে বিপদের মীমাংসার চেষ্টায় না গিয়ে তাড়াহুড়ো করে নয়া নীতির প্রয়োগই দেশের স্বার্থরক্ষার প্রকৃষ্ট উপায়? দেশের নাগরিককে কি শিক্ষামন্ত্রী অবোধ শিশু ভাবেন?
16th  September, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৯/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:35:30 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM