Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি-বিরোধী জোটের
মূল কাণ্ডারী মমতা
তন্ময় মল্লিক

সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা সব বাবা, মা করেন। ঩সেই চেষ্টা সোনিয়া গান্ধীও করে চলেছেন। এতে অন্যায় নেই, বরং এটাই স্বাভাবিক। সোনিয়াজি প্রধানমন্ত্রিত্বের চেয়ারে ছেলে রাহুলকে বসাতে চান। ‘বিদেশিনী’ তকমা লাগিয়ে তাঁর মুখের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর মসনদ কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। ২০২৪, তার ‘মধুর প্রতিশোধ’ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ সুযোগ। দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, যদি মাস পাঁচেক আগে রাহুলের এই বৈঠক হতো এবং তৃণমূল প্রতিনিধি না পাঠাত তাহলে সোনিয়াজি যে কোনও অজুহাতে মমতার সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ ভেস্তে দিতেন। কিন্তু, বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলের নজিরবিহীন সাফল্য জাতীয় রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সোনিয়াজিও বুঝেছেন, মমতাকে বাদ দিয়ে মোদি-বিরোধী জোট মানে, ‘দেবতাশূন্য মন্দির’। মমতা ছাড়া জোটে গর্জন হলেও বর্ষণ হবে না। বুঝেছেন রাহুলও। তাই মমতাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তিনিও ছিলেন মায়ের পাশেই। এ কি নিছক শিষ্টাচার? নাকি প্রয়োজনের তাগিদ! প্রশ্নটা আপাতত তোলাই থাক।
উত্তরাধিকার সূত্রে ‘অধিকার’ বর্তালেও ‘সম্মান’ অর্জন করতে হয়। আর তা আসে যে কোনও মানুষের ধারাবাহিক লড়াই ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে। যাঁর লড়াই যত কঠিন, তাঁর সম্মান তত বেশি। আপোসহীন মমতার লড়াই, সংগ্রাম এবং লক্ষ্যে পৌঁছনোর অদম্য ইচ্ছা, তাঁকে এনে দিয়েছে সেই সম্মান। বাংলার নির্বাচনে মমতা শুধু বিজেপিকেই হারাননি, হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে। মোদি-অমিত শাহ জুটিকে এভাবে ঘোল খাওয়াতে আর কেউ পারেননি। তাই জাতীয় রাজনীতিতে মমতাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে গগনচুম্বি প্রত্যাশা। 
এরাজ্যেও এমনটাই হয়েছিল বাম জমানায়। প্রতিবাদী মমতাকে দেখে রাজ্যের মানুষের মনে জেগেছিল প্রত্যাশা। তাঁর লাগাতার লড়াই, আন্দোলন বুঝিয়ে দিয়েছিল, তিনি ‘সেটিং পলিটিক্সে’ বিশ্বাসী নন। তাই মানুষও তাঁকে বিশ্বাস করেছিল। বলাই বাহুল্য, মানুষের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা তিনি দিয়েছেন।
টার্গেট স্থির করে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই মমতার বৈশিষ্ট্য। লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত লড়াই তাঁর চলতেই থাকে। আর লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি লড়াইটা শুরু করেন একেবারে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ থেকে। তাই মাটির সঙ্গে সম্পর্ক বড় নিবিড়। লক্ষ্য পূরণের আশায় কখনও নতুন দল গড়েছেন, আবার কখনও ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব। ঝুঁকি নিয়েছেন, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। ঝুঁকি নেওয়ায় প্রমাণ এক আধবার নয়, মিলেছে বহুবার। ফলও পেয়েছেন। তাই গণিখান চৌধুরী, প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্রের মতো রাজনৈতিক পণ্ডিত এবং বাঘা বাঘা নেতা যা পারেননি, তিনি সেটাই করে দেখিয়েছেন। ‘বাংলা’ ও ‘বাম’ সমার্থক হয়ে ওঠা বঙ্গে তিনি শুধু সিপিএমকে উৎখাতই করেননি, ‘হাঁড়ির হাল’ করে ছেড়েছেন। একের পর এক অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ অগ্নিকন্যার এবার টার্গেট, নরেন্দ্র মোদি। 
লড়াইটা কঠিন। সেটা খুব ভালো করেই জানেন বহু রাজনৈতিক যুদ্ধের সফলতম অধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অনেক আগেই শুরু করেছেন হোমওয়ার্ক। কারণ ভালো ফলের একমাত্র শর্ত বছরভর পড়াশোনা। সেই জন্যই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সকলকে এককাট্টা করার সলতে পাকানোর কাজটা আড়াই বছর আগেই শুরু করে দিয়েছেন।
একথা ঠিক, বাংলার নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মোদি-বিরোধী অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু, মোদি-বিরোধিতায় তিনি অন্যদের ছাপিয়ে গিয়েছেন অনেক আগেই। জিএসটি থেকে নোট বাতিল, এনআরসি থেকে বেসরকারিকরণ, এমনকী ভ্যাকসিন ইস্যুতে তিনিই সর্বপ্রথম মোদির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানেই সিবিআই, ইডির রোষের মুখে পড়তে হবে, তা জেনেও তিনি পিছু হটেননি। এমনকী, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যখন উটের মতো বালিতে মুখ গুঁজে প্রলয় থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখন মমতা প্রতিবাদ করেছেন রাস্তায় নেমে।
নোট বাতিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুটেছে ‘কালো টাকার পাহারাদারের’ বদনাম। তালে তাল না মেলানোয় উম-পুন, যশের ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ ক্রমশ হয়েছে সঙ্কুচিত। তবুও মমতা লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি। পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত কমিশন গড়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিধানসভা ভোটে জিতে গেলেই বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু মমতা থাকেন লড়াইয়ের ময়দানে।
এ কি তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ, নাকি পিছনে রয়েছে কোনও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা, সেটা একমাত্র নেত্রীর পক্ষেই বলা সম্ভব। তবে, মোদি-অমিত শাহের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস দেখানোয় মমতা হয়ে উঠেছেন জাতীয় রাজনীতির চর্চিত চরিত্র। বাংলার নির্বাচনকে ‘প্রেস্টিজ ফাইটে’র জায়গায় নিয়ে যাওয়ায় নরেন্দ্র মোদিই নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনেছেন। বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন, মমতাই পারবেন। বাইরে কুস্তি, ভিতরে দোস্তির লাইনের তিনি ঘোরতর বিরোধী। তাই মমতা যতই বলুন, ‘আমি লিডার নই, ক্যাডার’ প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তাঁর নামটা এসেই যাবে। 
লোকসভায় সদস্য সংখ্যার হিসেব দিয়ে অনেকে এই ভাবনা হাস্যকর প্রমাণের চেষ্টা করবেন। কিন্তু, তাতে তেমন সুবিধে হবে না। কারণ ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুর সামনে যখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিল তখন বামেদের আসন সংখ্যা প্রধান দুই দলের অনেক নীচেই ছিল। তবুও তিনিই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদের এক নম্বর পছন্দ। তাই সব সময় ধারে কাটে এমন ভাবনাটা ঠিক নয়। কখনও কখনও ভারেও কাটে। আর বিজেপির দিল্লির নেতারা মমতার ওজনটা বাংলা ভোটে বুঝে গিয়েছেন। তাই ত্রিপুরায় এখন থেকে বাধা দিচ্ছে।
জ্যোতিবাবুকে প্রধানমন্ত্রী হতে না দেওয়াটা যে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ ছিল তা এখন সিপিএমের অনেকেই মানেন। ফের আরও একটি ভুলের কথা স্বীকার করেছে। পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে সিপিএমের উপলব্ধি, তাদের ‘বিজেমূল’ থিওরি ভুল ছিল। আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট করাও তাদের মস্ত ভুল। সিপিএম সেটা চেপে গিয়েছে।
সিপিএম নেতৃত্ব মুখে বিজেপিকে ‘প্রধান শত্রু’ বললেও, এরাজ্যে তারা সব সময় তৃণমূলকেই টার্গেট করে এসেছে। সেই কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএমের স্লোগান ছিল, ‘মোদি হটাও তৃণমূল তাড়াও’। সেটা তৃণমূল হটানোর নির্বাচন ছিল না। তা সত্ত্বেও মোদি-মমতাকে এক লাইনেই দাঁড় করিয়েছিল। সিপিএমের শূন্য অভিমুখে অভিযানের সেটাই ছিল শুরু। তখনই যদি তারা আত্মসমীক্ষা করত তাহলে এমন করুণ পরিণতি তাদের দেখতে হতো না।
বিজেপি বিরোধিতায় সিপিএমের লাইন ভুল ছিল। দলের একাংশ এটা বুঝলেও সুজন চক্রবর্তীর মতো কিছু নেতা তৃণমূলকে চিমটি কেটেই যাবেন। কারণ তাঁরা এখনও এরাজ্যে ক্ষমতা দখলের ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখেন। তাই বিমান বসু যতই বলুন বিজেপিকে ঠেকাতে তাঁরা যে কোনও দলের হাত ধরতে রাজি, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের সমঝোতা আপাতত ‘সোনার পাথরবাটি’।
কংগ্রেস হাইকমান্ডও বুঝতে পারছে, মমতাকে শায়েস্তা করতে গিয়ে সিপিএমের হাত ধরায় তাদের কোনও লাভ হয়নি। উল্টে ক্ষতিই হয়েছে। মমতা বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেসও বঙ্গে শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই মমতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ভাবনা। সেই ভাবনায় বাধ সাধার কেউ নেই। কারণ কট্টর মমতা বিরোধী অধীর চৌধুরীও বুঝতে পারছেন, তৃণমূলের আর্শীবাদ ছাড়া মুর্শিদাবাদে জেতা অসম্ভব। তাই তাঁর মুখেও আর তেমন মমতা বিরোধী কথা শোনা যাচ্ছে না।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ১৪ দলের বৈঠকে তৃণমূলের না থাকার বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দেননি। রাহুলকে পাশে নিয়েই সোনিয়া মমতার সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। কারণ সোনিয়াও বুঝেছেন, মোদি-বিরোধী জোটের বৃত্ত যত বড়ই হোক না কেন, মমতা না থাকলে তা অসম্পূর্ণ থেকেই যাবে।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘সেল্ফ মেড ম্যান’। এঁরা নিজেরাই নিজেদের মেন্টর। কঠিন পরিস্থিতিতে বুক চিতিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনায় এঁরা সিদ্ধহস্ত। অনিশ্চয়তা আর ধোঁয়াশার জাল ভেদ করে লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষমতা এঁদের মজ্জায়।
মমতা তাঁদেরই একজন। কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক দলগুলিকে একছাতার নীচে আনা ভীষণ কঠিন কাজ। সম্ভবত এই কাজটা কুকুরের লেজ সোজা করার চেয়েও শক্ত। মমতা সেটাই করতে চাইছেন। হয়তো নেলসন ম্যান্ডেলার সেই বিখ্যাত উক্তিতেই তাঁর বিশ্বাস, ‘It always seems impossible until it’s done.’ অর্থাৎ যতক্ষণ না কোনও কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ তা অসম্ভব বলেই মনে হয়। আপাতত সেই অসম্ভবকে সম্ভব করাই মমতার লক্ষ্য।
31st  July, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM