Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অগ্নিগর্ভ আফগানিস্তানে
অনিশ্চয়তার দুলুনি!
মৃণালকান্তি দাস

অগ্নিগর্ভ আফগানিস্তান এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের মাথার ব্যথা। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর বৈঠক।
দুশানবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি বুঝেছেন, আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার তৈরি ‘কোয়াড’-এর পাল্টা আরও এক ‘কোয়াড’ আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ইরান। এই চতুর্ভুজের প্রথম দু’জন বহু বছর ভারতের মিত্রের তালিকায় নেই। শেষ দু’জন আমেরিকার জন্য ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। তবে চীন ও রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা ভারতের পক্ষে আপাতত স্বস্তির বার্তা। দুই দেশের প্রস্তাব, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসী জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হতে দেওয়া চলবে না। অন্তত দু’-তিন বছর তালিবান আফগান সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাক। পাশাপাশি স্থায়ী মীমাংসার জন্য কথা বলুক। ইরানও তাতে সহমত। তিন দেশের মূল লক্ষ্য, তালিবানি হিংসা যেন সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে না ঢোকে। তালিবান নেতাদের সেটাই বারবার বলা হচ্ছে। ভারতও চায়, আগামী দিনে সে দেশে ক্ষমতার অলিন্দে যারাই পদচারণ করুক, তারা যেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা হাসিল করে, হিংসার মাধ্যমে নয়। তালিবান তা মানবে কি না, বলা কঠিন। না মানলে ভারতের চিন্তা ক্রমশ পরিণত হবে দুশ্চিন্তায়।
দুশ্চিন্তার প্রথমটা আফগানিস্তানে ভারতীয় স্বার্থরক্ষা নিয়ে, দ্বিতীয়টা অবশ্যই পাকিস্তান ও কাশ্মীর। গত কুড়ি বছরে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে ভারত চারশোরও বেশি প্রকল্প তৈরি করেছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দেড় বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় প্রকল্পের ক্ষতি তালিবানরা করবে না বলে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু ভারত নিশ্চিত নয়। চীন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে তালিবানকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুরোদমে। চীনের অভিযোগ, আমেরিকার সেনা সরানোর সিদ্ধান্তে আফগানিস্তানে নিরাপত্তাজনিত এক নতুন কৃষ্ণগহ্বর সৃষ্টি হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, আফগান সেনাদের কোণঠাসা অবস্থা, তালিবানের অগ্রযাত্রা—এমন এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান নিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তিতে ও একত্রে কাজ করবে বলে ঘোষণা করেছে চীন ও পাকিস্তান। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা এ কথা জানিয়ে আঞ্চলিক যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ‘চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি)’ প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব দিয়েছেন। চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বেজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে জোরালো সহযোগিতার প্রয়োজন।
তালিবান উত্থান নিয়ে চীনের ভয় একটাই—সীমান্ত। চীন মনে করে, আফগানিস্তান অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে তার ধাক্কা জিনজিয়াং প্রদেশে গিয়েও লাগবে। যে প্রদেশে লাখ লাখ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। তবে, এই সীমান্ত বিপদ রয়েছে রাশিয়া, পাকিস্তান, ভারতেরও। আফগানিস্তানে তালিবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া, রাশিয়ানদের জন্য তাজিকিস্তান, ভারতের পক্ষে কাশ্মীর এবং অন্য অনেক দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, ধর্মীয় আধার যে তালিবানে রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত, তারা কতটা আধুনিক হয়ে আজন্মলালিত বিশ্বাসের জলাঞ্জলি দেবে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করার পাশাপাশি ঘোর আঞ্চলিক অনিশ্চয়তাও সৃষ্টি করেছে। উল্টোদিকে চীন-রাশিয়ার উল্লাসের কারণ, তাদের কাছে এটা আমেরিকার আরও একটা পরাজয়। আমেরিকার উসকানির কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নকে একটা সময় আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরতে হয়েছিল পরাজিতের তকমা কপালে সেঁটে। মস্কো সেটা ভোলেনি। আমেরিকারও আজ একই হাল। আমেরিকার পিছু হঠা চীনকেও খুশি করেছে। কারণ, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে রুখতে আমেরিকার চেষ্টার অন্ত নেই। আমেরিকার অসম্মান একইভাবে খুশি করেছে তাদের হাতে কোণঠাসা ইরানকেও। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তে স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছে পাকিস্তান, যারা মনে করে মার্কিন বাহিনীর পিছু হটা তাদের সামরিক জয় এবং আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি নিষ্কণ্টক করবে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির সদর্প ঘোষণা, পৃথিবীর কোনও শক্তিরই পাকিস্তানকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান তাই যতটা উৎফুল্ল, ততটাই চিন্তায় ভারত। একদিকে আফগানিস্তানে স্বার্থরক্ষার তাগিদ, অন্যদিকে কাশ্মীরকে সুরক্ষিত করা, দুটোই বিরাট চ্যালেঞ্জ।
এই ভারত কিছুকাল আগেও জঙ্গি-চরিত্রে ভালো-মন্দের বিচারে অনিচ্ছুক ছিল। মনে করত জঙ্গিরা জঙ্গিই। ভালো বা খারাপ হতে পারে না। তালিবান সম্পর্কেও সেই কাঠিন্য ভারতের ছিল। জঙ্গিদের সংস্রব না-রাখার নীতি জলাঞ্জলি দিয়ে ভারত এখন তালিবান তোয়াজে সচেষ্ট। কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানদের সঙ্গে দহরম মহরমের চেষ্টা মোটেই আর গোপন নয়। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতেও স্বীকার করা হয়েছে, ‘আফগানিস্তান পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারত সে-দেশের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’ স্বার্থরক্ষায় মোদি সরকার কতটা মরিয়া এবং আফগান সমস্যা ভারতকে কোন বিপদের মুখে দাঁড় করিয়েছে, এই বিবৃতি তার প্রমাণ। অথচ এই তালিবান জমানার একটা সময় পর্যন্ত পাকিস্তানের ‘প্রক্সি’ বলে ভারত মনে করত। আজ তাদের মন পাওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত, জঙ্গিদের প্রতি ভারতের ‘দৃঢ় অবস্থান’ পরিস্থিতির বিচারে কতটা ঠুনকো! এখন যখন সবাই ক্রমশ নিশ্চিত যে, আফগান সরকারের পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, ‘চিন্তিত’ ভারত তখন স্বার্থরক্ষায় উদগ্রীব। তিন বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যে সে-দেশে লগ্নি হয়েছে। তা রক্ষা করা, ভারতীয় প্রকল্পগুলো চালু রাখা ও পাকিস্তানের প্রভাব রোখার চেষ্টায় ভারত এখন সেসব তালিবান গোষ্ঠীর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে, যারা সেখানে পাকিস্তান ও ইরানের হস্তক্ষেপের বিরোধী। আফগানিস্তানে ভারতের ভালো-মন্দ নির্ভর করছে অন্যদের মর্জির উপর। ভারতের ভূমিকা স্রেফ দর্শকের।
তালিবানের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের ‘গোপন’ বৈঠকের কথা চাপা রাখার বহুচেষ্টা করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পারেনি। ওয়াশিংটনের আরব সেন্টারে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে সে কথা ফাঁস করে দিয়েছেন কাতারের এক সিনিয়র কূটনীতিক মুতলক বিন মাজেদ অল কাহতানি। কিন্তু তালিবানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এতো লুকোচুরির কী আছে? আসলে, ভারতের আফগান-নীতি অনুযায়ী, নয়াদিল্লি বরাবরই আফগান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। আফগান রাজনীতিতে কখনওই তালিবানের গুরুত্ব স্বীকার করেনি ভারত। সে ক্ষেত্রে এখন ভারতীয় কূটনীতিকরা তালিবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছেন, সে কথাই বা নয়াদিল্লি স্বীকার করে কী করে!
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় ভরদ্বাজের কথায়, অনেক দেশই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু অন্য যে কোনও দেশের চেয়ে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি স্বার্থ এখন ভারতের। তালিবান আবার ক্ষমতায় বসলে ভারতের ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে ভারত গত দুই দশকে চার শতাধিক সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং বড় বড় পরিকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেও বেশি বিনিয়োগ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ডজন ডজন প্রকল্প ছাড়াও, ২১৮ কিমি দীর্ঘ দিলারাম-জারাঞ্জ নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছে। কাবুলে নতুন আফগান পার্লামেন্ট ভবনটিও তৈরি করেছে ভারত। নির্মীয়মান শত শত প্রকল্পের এখন কী হবে? যে উদ্দেশ্যে এসব বিনিয়োগ, তার ভবিষ্যৎ কী? ভারতের নীতি-নির্ধারকরা এখন সেই চিন্তায় অস্থির। তাছাড়া মধ্য এশিয়ার বাজারে ঢুকতে ভারতের জন্য আফগানিস্তান খুবই জরুরি। সেই পথও কি আটকে যাবে?
কে না জানে, তালিবানের সঙ্গে বরাবর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক উপভোগ করে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে যে তালিবানবিরোধী অভিযান চলেছে, তখন দলে দলে আফগান-তালিবানরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ আশ্রয় পেয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে। আর ওটা যে ইসলামাবাদের চমৎকার এক কৌশলগত বিনিয়োগ ছিল সেটাই দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি। এখনও পাকিস্তানে প্রায় ২৫ লাখ আফগান শরণার্থী আছে। তাদের অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি স্বদেশে ফিরবে। তালিবান জঙ্গিরা চাইবে পাকিস্তানের সঙ্গে যতটা সম্ভব কাছাকাছি থেকে রাজনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখা। ভারতবিরোধী হাক্কানি গ্রুপের সঙ্গে এক ধরনের মিথোজীবী সম্পর্কে জড়াতে তালিবান জঙ্গিদের একটা বড় অংশের এখন আর কোনও বাধা নেই। এখানে আর আলাদা করে পাকিস্তানি আর্মি কিংবা আইএসআই-এর কথা না বললেও চলে।
আফগানিস্তানে এখনই যে ‘সম্ভাবনা’ দেখছে পাকিস্তান, তাতে এটা পরিষ্কার যে, ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চালাতে নানা ‘প্রক্সি’র সাহায্য নেবে। যে প্রক্সিগুলোর অনেকে এখনও জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তালিকাভুক্ত হয়নি। আর এর ফাঁকতালেই নতুন নতুন জঙ্গি সংগঠনের আবির্ভাব যে ঘটবে, সেটাও বা রুখবে কে! পাশাপাশি, আচমকা আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার প্রস্থানে ভারতের জন্য একটা বড় শিক্ষাও রয়েছে। বার্তাটা হল—অফিসিয়াল চুক্তি বা কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতিতে আমেরিকা তার মিত্রদের যত যাই বলুক না কেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা কিংবা তার ভোটারদের তুষ্ট করার প্রশ্ন যখন আসে, তখন ওয়াশিংটন নিজের বন্ধুরাষ্ট্রকেও ছেড়ে যেতে দ্বিধা করে না। এমনকী তাদের বিপদের মুহূর্তেও! যার সর্বশেষ উদাহরণ আফগানিস্তান।
আর তাই তালিবানের নব উত্থান মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ভাগ্য কীভাবে নির্ধারণ করবে, সেই অনিশ্চয়তার দুলুনিতে আজ দুলতে হচ্ছে মোদি সরকারকে।
29th  July, 2021
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:49:17 PM