Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেন্ট্রাল ভিস্তা, দম্ভের সৌধ
মৃণালকান্তি দাস

এখানে প্রবেশ নিষেধ। সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তা নয়। ছবি তোলা নিষেধ। কোনওরকম ভিডিওগ্রাফি করা যাবে না। এমন নিষেধাজ্ঞা সংবলিত বোর্ড টাঙানো লৌহপ্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে দেশের রাজধানীর কেন্দ্রস্থল।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু হয়ে রাজপথ নামাঙ্কিত যে রাস্তা ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত, সেই সদাব্যস্ত প্রশস্ত সড়কের দুই পাশে রয়েছে নর্থ ও সাউথ ব্লক। ভারতের প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের অফিস এই দুই ভবনেই অবস্থিত। রাজপথের দু’পাশে ছড়িয়ে আছে সবুজ ঘাসের আঙিনা। প্রবীণ বৃক্ষরাজি এই প্রান্তরের সীমানা নির্ধারণ করে। এখানেই এখন চলছে দিবারাত্রি এক করে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চলছে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’-এর কাজ। 
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লিকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি’ ঘোষণা করার জন্য আবেদন জমা পড়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ‘ইউনেস্কো’র কাছে। ব্রিটিশদের তৈরি ‘ইমপেরিয়াল নিউ দিল্লি’ ও মোগল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি ‘শাহজাহানাবাদ’-কে তুলে ধরা হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের দরবারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার ঠিক এক মাস আগে আচমকাই জানা গিয়েছিল, নরেন্দ্র মোদি সরকার সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেটা ২০১৫ সাল। সবেমাত্র এক বছর হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। এই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্তে সেদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, মোগল সম্রাট শাহজাহান বা ব্রিটিশ স্থপতি হার্বাট বেকার-এডউইন লুটিয়েন্সের দিল্লি নয়— তিনি চান ‘মোদির দিল্লি’। যা তাঁকে একদিন অমরত্বের পথ খুঁজে দিতে পারে।
সর্বব্যাপী করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আগেই কখন যেন চুপিসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশের রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট ও ঐতিহ্যবাহী অট্টালিকার আর প্রয়োজন নেই। অথবা সেই বাড়িগুলি স্বপ্নের নতুন ভারতের উপযোগী নয়। কাজেই সেগুলিকে হয় ভেঙে ফেলা হবে অথবা তাদের অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। মোদি সরকার আসলে কংগ্রেস আমলে তৈরি কোনও ভবনকেই হেরিটেজ ভবন বলে মানতে নারাজ। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, এক ডজন ভবন ভেঙে দ্রুত গড়ে তোলা হোক ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ রাজপথ।
কে না জানে, ব্রিটিশ ভারতের ফেডেরাল কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি মরিস গয়ার তৈরি করেছিলেন ন্যাশনাল মিউজিয়ামের নীল নকশা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই ন্যাশনাল মিউজিয়াম চালু হয়। তারপর জনপথে ন্যাশনাল মিউজিয়ামের বর্তমান ভবনের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ১৯৬০-এ এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথ ও তার দু’পাশের এলাকা ঢেলে সাজাতে গিয়ে এ বার সেই ন্যাশনাল মিউজিয়ামই ভাঙা পড়তে চলেছে। 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ মন্ত্রকের প্রধান দপ্তরের ঠিকানা নর্থ ব্লক। রাস্তার অন্য পাশের সাউথ ব্লকে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রধান দপ্তর। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী-উপমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকে বসে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন। সাউথ ব্লকের একটি সংযুক্ত অংশে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা পিএমও। লোকে বলে এখন নাকি ওই দপ্তরই দেশ চালায়। এহেন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভবন প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুসারে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হবে। আর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দপ্তরগুলি নতুন ঠিকানায় সরে যাবে। ন্যাশনাল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ভারতের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের চিহ্ন, প্রায় ২ লক্ষ সামগ্রী সাজানো হবে নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকে।
শুধু ন্যাশনাল মিউজিয়াম নয়। দেশের রাজধানী বলতেই যে সব ছবি ভেসে ওঠে, তার মধ্যে অন্তত এক ডজন ভবন, সরকারি দপ্তর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। নির্মাণ ভবন আর শাস্ত্রী ভবন স্বপ্নের নতুন ভারতের উপযোগী নয়। অহেতুক প্রচুর জায়গা জুড়ে নাকি দাঁড়িয়ে আছে। কাজেই এই দু’টি বাড়িকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেই জায়গায় বানানো হবে দশটি আটতলা বাড়ি। সেইসব ঝাঁ চকচকে আধুনিক বাড়িগুলি হবে নতুন কেন্দ্রীয় সচিবালয়। সমস্ত মন্ত্রকের সত্তর হাজার কর্মী-আধিকারিক সেইসব নতুন বাড়িতে বসে নতুন ভারতের প্রশাসন পরিচালনা করবেন। নবনির্মিত প্রতিটি বাড়ির বাইরের চেহারা নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লকের মতো প্রস্তর আচ্ছাদিত হলেও ভিতরে কিন্তু ইস্পাত এবং কাচের ব্যাপক ব্যবহার হবে। প্রতিটি বাড়ি আবার ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
১৯৩০-এ ব্রিটিশ স্থপতি স্যর এডউইন লুটিয়েন্সের নকশা অনুযায়ী রাজধানীতে যে প্রশাসনিক স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল, দেশের সংসদ ভবনও তার মধ্যে পড়ে। মোদির সৌজন্যে অস্তিত্ব হারাবে সেই সংসদ ভবনও। গড়ে তোলা হবে নতুন সংসদ ভবন। তার স্থাপত্যশৈলী নাকি এককথায় অনবদ্য। সেখানে বারোশো সাংসদের বসার বন্দোবস্ত করা হবে। মন্ত্রী তো বটেই প্রত্যেক সাংসদের জন্য থাকবে আলাদা বসার ঘর এবং দপ্তর। প্রশ্ন হল, ভারতের নতুন সংসদ ভবনের আসন সংখ্যা বাড়ানো কি বিজেপির নয়া কৌশল? বিজেপি যে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের যথেষ্ট আগে শেষ করাতে চাইছে, তার পিছনে কি কাজ করছে হিন্দু জাতীয়তাবাদের বড় কোনও পরিকল্পনা? কেউ কেউ বলছেন, জনসংখ্যার সমানুপাতিক হারে আসন সংখ্যা বাড়ানোর অর্থ গণতন্ত্রকে ঠেলে দেওয়া হবে সংখ্যাগুরুবাদের দিকে। সম্প্রতি কার্নেগি এনডাওমেন্টের এক গবেষণা-প্রবন্ধে জানা গিয়েছে, যদি ২০২৬ সালেই জনসংখ্যার সমানুপাতিক হারে লোকসভার আসনবণ্টন হয়, তা হলে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে কেরলের এখনকার ২০টি আসন ২০২৬ সালে হয়ে যাবে ১২। তামিলনাড়ুর আজকের ৩৯ নেমে আসবে ৩১-এ। পশ্চিমবঙ্গের আসনও কমে আসবে ৪২ থেকে ৩৮-এ। আর অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের ৮০ হবে ৯১ এবং বিহারের ৪০ পৌঁছবে ৫০-এ। হিন্দিভাষী দুই বৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অবিরল জন বিস্ফোরণ— লোকসভার আসনে তা প্রতিফলিত হলে অন্যান্য রাজ্যবাসীর কাছে তা কাম্য হতে পারে না। তাছাড়া কোনও রাজ্যই রাজি হবে না লোকসভায় তার সদস্যসংখ্যা কমিয়ে আনতে। কিন্তু মোদি-অমিত শাহ বিরোধীদের কোনও যুক্তি মানেন না। ফলে আশঙ্কা বাড়ছেই। 
বিরোধীদের অভিযোগ, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের গোটা প্রক্রিয়াটাই অস্বচ্ছ। সরকারের কী পরিকল্পনা, কোন ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা হবে, রাজপথের দু’পাশে কত গাছ কাটা পড়বে, তার কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, প্রতিটি স্তরেই হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি, পরিবেশ কমিটির ছাড়পত্র নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, সরকার একবারে গোটা পরিকল্পনা পেশ না করে বিচ্ছিন্নভাবে এক-একটি কাজের ছাড়পত্র আদায় করে নিচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহামারীর মধ্যে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ তকমাপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল ভিস্টার কাজ এগচ্ছে। এই বিশাল পরিকল্পনার মানচিত্র শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর গুজরাতি স্থাপত্যকার বিমল প্যাটেলই জানেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের জন্য দরপত্র হাঁকা শুরু হয়। গুজরাতের এইচসিপি ডিজাইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নামে একটি সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েই প্রকল্পের বিষয়ে বিবৃতি দেয়। তখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প’ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য ছিল না। পরে দেখা গেল ওই সংস্থাই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। তখনও যদিও করোনা হানা দেয়নি। কিন্তু নোটবন্দি, জিএসটি নীতির ধাক্কায় দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কালো ছায়া নেমে এসেছিল। সেই পরিস্থিতিতে খামোকা নতুন করে সংসদ ভবন নির্মাণের প্রয়োজন পড়ল কেন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অন্য সব বিষয়ের মতো সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব তো দূরের কথা কর্ণপাতই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, নোট বাতিলের পর থেকে অর্থনীতির মন্দ দশা, বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলা, কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতা— এই সব কিছু ভুলিয়ে দিতে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদি এক নতুন দিল্লি তুলে ধরবেন।
ভাবুন একবার, আজ কোভিডে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। সরকারের হাতে তেমন টাকা নেই। কোভিডে মৃতদের পরিবারকে সামান্য ক্ষতিপূরণ দেওয়াও সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ, সেন্ট্রাল ভিস্তা গড়তে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্র। বারোটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশের তো বটেই বিদেশের খ্যাতনামা পত্র-পত্রিকায় এই প্রকল্প নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দেশ বিদেশের বুদ্ধিজীবীরা সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবুও ঔদ্ধত্যের শেষ নেই। আসলে অমরত্বের লালসায় নরেন্দ্র মোদি কখন যেন হয়ে গিয়েছেন ‘সম্রাট নিরো’! 
15th  July, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মৈত্রের সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM