Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

সময়ের কী পরিহাস! 
চৌত্রিশ বছরের ‘বাম-শাসন’-এর পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছেন বামপন্থীবিহীন রাজ্য বিধানসভা। যেখানে সিপিএম-সহ রাজ্যের বাম দলগুলির কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। আর সেটা হয়েছে বহুদিন পর রাজ্যের বাম রাজনীতিতে একঝাঁক তরুণ মুখ আসার পরেও। যদিও ২০১৯-এর নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে এমন হওয়াটা অপ্রত্যাশিত নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই লোকসভা ও বিধানসভায় বামপন্থীরা শূন্য হয়ে গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে তাতে সিলমোহর পড়েছে মাত্র। পরিসংখ্যানে নজর রাখলে বোঝা যায়, এই ঘটনা হঠাৎ ঘটেনি। বামপন্থীদের ‘অধঃপতন’ পশ্চিমবঙ্গে কার্যত ধারাবাহিক এবং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে গত ১৫ বছর ধরেই। ‘শ্যাম রাখি, না কুল রাখি’ করতে গিয়ে একদা বাঙালির মননে অধিষ্ঠিত বামপন্থার আজ ভগ্নদশা।
২০০৬-এ রাজ্য বিধানসভার ২৩৫টি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট। অধঃপতনের শুরু তারপর থেকেই। ২০১১-এ ক্ষমতা হারানোর পরও অধোগতি চলল নিজের গতিতেই। কেন ২০১১-তে বাম সরকারের পতন ঘটল তা নিয়ে আজ অবধি সিপিএম কোনও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করে উঠতে পারেনি। তাই আজও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা হয় ‘বিরোধীদের চক্রান্ত’ হিসেবে। অথচ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সংঘাত কোনও দুর্ঘটনা ছিল না। ঔপনিবেশিক ১৮৯৪ আইনের মাধ্যমে জোর খাটিয়ে জমি অধিগ্রহণ, সালিম গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকনমিক জোন, এগুলো সবই ছিল উন্নয়নের নয়া উদারবাদী মডেলের বিভিন্ন অঙ্গ। যেগুলি অন্যান্য রাজ্যে সিপিআইএম-সহ সমস্ত বামপন্থীরা বিরোধিতা করে। বিকল্প নীতির রাস্তা ছেড়ে, ‘গুজরাত মডেল’-এর অনুসরণে, নয়া উদারবাদী উন্নয়নের পথে বামফ্রন্ট সরকারের চলার মধ্যে যে অন্তর্নিহিত দ্বিচারিতা, সেটাই সিপিএমের মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক সঙ্কটকে ডেকে আনে। এরপরও শুদ্ধিকরণের পথকে বর্জন করে ২০১৬-র নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় ফেরার শর্টকাট কৌশল নিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বররা। ক্ষমতায় ফেরা তো হলই না, এই সুবিধাবাদী জোটের ফলে বামফ্রন্ট বিধানসভায় তৃতীয় স্থানে চলে গেল। এর থেকেই সৃষ্টি হল বিরোধী পরিসরের শূন্যস্থান, যেটা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমতকে কাজে লাগিয়ে ভরাট করতে থাকে বিজেপি। এই ক্রমাগত অধঃপতনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি গত এক দশকে সিপিএমের পর্যালোচনা থেকে। মেলেনি কীভাবে তা ঠেকানো যাবে, তার সঠিক পথনির্দেশও। নেতাদের গা বাঁচিয়ে একটা দায়সারা রিপোর্ট তৈরি করেই সিপিএম তার দায় ঝেড়ে ফেলছে।
যেমন ধরুন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন! একটা সময়ে সিপিএমের রাজনীতির ভরকেন্দ্র ছিল এককাট্টা কংগ্রেস বিরোধিতা। কেরলে প্রথম বামপন্থী সরকারের অপসারণ থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থা, সেই সময়ের সন্ত্রাস, গ্যাট চুক্তি, বোফর্স কেলেঙ্কারি— যে-কোনও সিপিএম ন্যারেটিভে জাতীয় কংগ্রেস তখন পয়লা নম্বর শত্রু। বিজেপির সর্বভারতীয় উত্থানের পর কেন্দ্রীয় স্তরে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্রতা। তবুও পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গেই মারকাটারি লড়াই। ২০১১ পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সেই কংগ্রেস আবার এরাজ্যে সিপিএমের স্বাভাবিক মিত্র। কে না জানে, এই বদল কোনও আদর্শগত অবস্থান নয়, নেহাতই রাজনীতিতে অস্তিত্ব বজায় রাখার বা ক্ষমতা পুনর্দখল করার কৌশল মাত্র। এই প্রশ্নে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা কী যুক্তি দেন, তাতে কিছু যায় আসে না, সাধারণ মানুষ একে ভণ্ডামিই বলে!
শুধু কংগ্রেস নয়, হিন্দু মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক কী হওয়া উচিত তা নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে ঐতিহাসিক টানাপোড়েন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন ১৯৭৫ সালের আগস্টে পদত্যাগ করেন সিপিএমের প্রথম সাধারণ সম্পাদক পি সুন্দরাইয়া। দলের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের কাছে লেখা ওই মাসের ২২ তারিখের চিঠিতে তাঁর পদত্যাগের যে দশটি কারণ উল্লেখ করেছিলেন, তার প্রথমটিই ছিল জনসঙ্ঘ ও আরএসএস নিয়ে পার্টির অবস্থান। তিনি এই দুই শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করার যে পার্টি লাইন তার বিরোধী ছিলেন। এমনকী, তিনি আরএসএসকে ‘আধা সামরিক ফ্যাসিস্ত’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।
আর ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের শোচনীয় পরাজয়ের পরে নেতৃত্বের একটা অংশ বিশ্বাস করতে শুরু করেন, বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলের কাঁটা উপড়াতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার চড়া সুর থাকলেও রাজ্য স্তরে তৃণমূল বিরোধিতার প্রশ্নে সিপিএম ও বিজেপি প্রায় একসুরে কথা বলতে শুরু করে। যার ফল ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাম ভোটের সরাসরি বিজেপির বাক্সে জমা হওয়া। এরপর থেকেই ‘২০২১-এ রাম, ২০২৬ সালে বাম’ নামে এক প্রতিক্রিয়াশীল স্লোগান তৈরি হয় এবং অনেক বামপন্থী মানুষ সেটা বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এই অন্ধ নীতির ফলে যাঁরা বিজেপির ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে উন্মোচিত করতে চেয়েছেন তাঁদেরকেই ‘তৃণমূলের স্তাবক’ বলে দেগে দিয়েছে সিপিএম। এই কাজে দোসর হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বামেদের অধুনাখ্যাত ট্রোল বাহিনী।
২০২১-এ নির্বাচনে লড়তে নেমে সিপিএম সেই ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের তথাকথিত যুদ্ধ ছিল ‘বিজেমূল’ নামে একটা কাল্পনিক দলের বিরুদ্ধে। যে দলের ভূভারতে কোনও অস্তিত্ব নেই। তারা এক অদ্ভুত তত্ত্ব বাজারে ছাড়ে যার মূল কথা হল, বিজেপিকে পরাজিত করতে হলে তৃণমূলকে পরাজিত করতে হবে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ মাত্র। গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
আসলে তৃণমূল তথা মমতার কাছে ২০১১ সালে পরাজয়কে কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ। তাই রাজনীতি-বিযুক্ত ব্যক্তি-আক্রোশ প্রাধান্য পেয়েছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে বলার চেয়ে মমতাকে নিয়ে লঘুরসের তাচ্ছিল্য ভরা উপহাস করতে বেশি আগ্রহ ছিল তাদের। ‘বিজেপিকে হারাতে গেলে আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে।’ এই আত্মঘাতী স্লোগান তুলে ঘৃণার বিষ বাম সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়েছে সিপিএমই। এই স্লোগান দলের পরিধির বাইরে বিশাল জনসমষ্টির সঙ্গে বামশক্তির বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে। একসময় পাড়ায় পাড়ায় মানুষের হাঁড়ির খবর রাখা কমরেডরা এখন মমতাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাটাকেই রাজনৈতিক টাস্ক এবং শ্রেণি সংগ্রামের অনুশীলন বলে মনে করেন। তাই তাঁদের বিকল্প নীতি ছিল ধোঁয়াশাময়।
সিপিএমের আরেকটা ভুল পদক্ষেপ, তৃণমূল সরকারের জনমোহিনী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে ধারাবাহিক বিষোদ্গার, যা বামেদের নির্বাচনী প্রচারে চরমে উঠেছিল। একটা আদ্যন্ত নয়া অর্থনীতির জমানায় যখন রাষ্ট্র বাজারের চাপে তার জনকল্যাণমূলক দায়বদ্ধতা ক্রমশ ত্যাগ করছে, তখন দুনিয়াজুড়ে জনগণের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের দাবি জোরদার হচ্ছে। সিপিএমের নেতাদের একথা অজানা নয়, ১০০ দিনের রোজগার যোজনাই হোক বা মিড ডে মিল—সবটাই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, ২ টাকার চাল, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই, খাতা, ব্যাগ বা ল্যাপটপ দেওয়াকে ধারাবাহিক ভাবে ভিক্ষার রাজনীতি আখ্যা তারাই দিতে পারে, যাদের অবস্থান গরিব মানুষ থেকে বহু দূরে। শ্রেণি বিশ্লেষণহীন ভোটমুখী রাজনীতিই যদি বামদের ফিরে আসার মোহিনীমন্ত্র হয়, তবে মানুষ বামপন্থীদের পছন্দ করবে কেন? বরং বলা ভালো, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রো-গরিব তকমাটা দখল করে ফেলেছেন।
ভোট বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেন, ‘নো ভোট টু বিজেপি’ বলায় সিপিএম রেগে যাচ্ছিল, তার কারণ সিপিএম ‘অল ভোট টু বিজেপি’ করতে চেয়েছিল। যা বাংলার মানুষ চায়নি। শুধু তাই-ই নয়, আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন আইএসএফের সঙ্গে জোট প্রতীয়মান হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মুসলিম প্রধান আসনগুলিতে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করে বিজেপিকে শক্তিশালী করার নীল নকশা হিসেবে। মুসলিমরা একদিকে এই নীল নকশাকে সজোরে প্রত্যাখান করেছেন আর বামপন্থীদের একটা অংশ বিজেপির বিপদ সম্পর্কে সচেতন হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এর পরিণতি বামপন্থীদের প্রাপ্ত ভোট ৫ শতাংশের নীচে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে চেয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সিপিএম। পরের যাত্রা তো ভঙ্গ হলই না, নিজের নাকটাই কাটা গেল। বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ হল। বাম-কংগ্রেস ৭৬ থেকে শূন্য!
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত শরীর শুকিয়ে আসছে অথচ রোগটাই জানা যাচ্ছে না। রোগ ধরার চেষ্টা হয়েছে কোনও? ভুল লাইনের নাগপাশে সিপিএম আজ এতটাই আবদ্ধ যে, এর থেকে কোনও সহজ মুক্তির সম্ভাবনা নেই। প্রয়োজন মতাদর্শগত পুনরুজ্জীবন, রাজনৈতিক শুদ্ধিকরণ এবং সর্বোপরি দিগ্ভ্রান্ত নেতৃত্বের আপাদমস্তক পরিবর্তন। তা কি সম্ভব?
10th  June, 2021
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৩৭৩ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

11:03:00 AM

আহমেদাবাদে রোড শো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

11:01:52 AM

যৌন হেনস্তা মামলা: আজ শুনানি, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং

10:55:48 AM

অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অকুস্থলে দমকল

10:45:23 AM

মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা

10:42:59 AM

দেউলটির পানিত্রাসে নিবার্চনী প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ, সঙ্গে রয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল

10:38:07 AM