Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়লা কতক্ষণ পুড়লে ছাই হয়, কিংবা মুখ কতবার পুড়লে ঝামা হয়? বারবার হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টের কাছে নানা বিষয়ে তিরস্কৃত কেন্দ্রীয় সরকারের অধোবদন দেখে সেই কথাই মনে হতে পারে। অক্সিজেন নিয়ে, করোনার টিকা নিয়ে, সিবিআইয়ের অর্থহীন তৎপরতা নিয়ে, সাংবাদিকের কলমের স্বাধীনতা নিয়ে বারবার মোদি সরকারকে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রের ব্যর্থতা মানুষকে যখনই অসহায় করে তুলছে, তখনই আদালতকে অভিভাবকের ভূমিকা গ্রহণ করতে হচ্ছে? কেন দেশের শাসককে বলে দিতে হয়, আপনি ঠিক পথে নেই। অবশ্য গত সাত বছরে বোঝা গিয়েছে, সরকারের এই নির্বুদ্ধিতার পিছনে দুষ্টু বুদ্ধি আছে, এই প্রতিহিংসার পিছনে স্বার্থ চরিতার্থতার বিষাক্ত মন আছে। স্বার্থান্ধ শাসক কখনও সর্বজনীন কল্যাণ করতে শেখে না। তাই আদালতকে এগিয়ে এসে সেটা শেখাতে হচ্ছে। তাতে যদি কিছুটা জ্ঞানোদয় হয়! আদালতের খোঁচা খেয়ে টিকাদানে দরাজ হয়ে এখন আবার তিনি মহান ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইছেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, দেশের শীর্ষ আদালতই মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আসলে দেশের জন্য মোদির কাজ করার সময় কোথায়? সাড়ে বত্রিশ ভাজা কাজ নিয়েই তিনি ব্যস্ত। যেমন, কীভাবে মমতা, কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেনদের টাইট দেওয়া যায়, কীভাবে যোগী আদিত্যনাথকে ভাগানো যায়, এসব কূটকৌশলেই ব্যস্ত সরকারের দুই মাথা। 
হ্যাঁ, এটাই এই মুহূর্তে মোদির সামনে সবথেকে বড় সত্য। বাংলার ভোটে পরাজয়ের টিকা কপালে লাগিয়ে বিজেপি এখন থেকেই নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে। কিন্তু সেখানেও সিঁদুরে মেঘ, শিরে সংক্রান্তি। পথের কাঁটা সেখানে কিন্তু বিরোধীরা নয়। সেখানে মোদির পথের কাঁটা যোগী আদিত্যনাথ। গত চারমাস দু’জনে মুখোমুখি হননি। যোগীকে ডেকে পাঠালেও তিনি মোদিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। চলছে দু’পক্ষের নার্ভের লড়াই।
লড়াইটা অবশ্য অনেক আগেই শুরু হয়েছে। যেদিন থেকে আরএসএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদির পরবর্তী প্রজন্ম যোগী, সেদিন থেকে দ্বন্দ্ব শুরু। তারপর থেকেই ঘুঁটি সাজিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ মিলে। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশে গত বছর রাজ্যপাল করে পাঠানো হয় মোদির নিজের লোক গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশি বছরের আনন্দীবেন প্যাটেলকে। সেই একই লক্ষ্যে এ বছরের জানুয়ারি মাসে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অরবিন্দ শর্মাকে অবসর করিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পার্টিতে যোগদান করানো হয়। পিছন থেকে মোদির এই অঙ্গুলিহেলনের কারণ সম্পর্কে ভালোই জানতেন যোগী। তিনি জানতেন ২০২২ সালের নির্বাচনে অরবিন্দ শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যই এই উদ্যোগ। কিন্তু এরপরে উত্তরপ্রদেশে রাজনীতির চাকা আরও ঘুরে যায়।   
উত্তরপ্রদেশে এখন ভোটের আগেই যোগীকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা করে ফেলেছেন ত্রিমূর্তি, মোদি-শাহ-নাড্ডা। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফেরার কোনও চান্স নেই। তাই যোগীকে সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যোগীকে সরিয়ে তাঁর গত চার বছরের ব্যর্থতা কোনওভাবে ঢাকা না গেলে উত্তরপ্রদেশেও লজ্জার হার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মোদি জিতেছিলেন নিজের ক্যারিশমায়। এবারও তিনি নিজের মুখ দেখিয়ে জিততে চাইছেন। কিন্তু মোদি বুঝতে চাইছেন না, ২০১৭ সালে তাঁর যে মুখ ছিল, আজ আর তা নেই। তাঁর নিজের ক্যারিশমাই এখন নিভন্ত প্রদীপের মতো।  
এরমধ্যে মোদি দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারি বি এল সন্তোষকে পাঠিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। উদ্দেশ্য যোগীকে সরানোর জমি প্রস্তত করা। মোদি-অমিতের টিপস পেয়ে সন্তোষ রাজ্যের মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি ছক কষেছেন, যাতে তাঁরা যোগীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে অভ্যুত্থান করেন। সেটা কতটা সফল হবে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে সন্তোষ দিল্লি ফিরে মোদিকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, যোগীর নেতৃত্বে নির্বাচন হলে বিজেপি একশো আসনও পাবে না।
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে মোদির এই আগ্রহের কারণ আছে। প্রধানমন্ত্রী জানেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির  জয়ের স্বপ্ন যদি গঙ্গায় লাশের মতো ভেসে চলে যায়, তবে ২০২৪-এ দেশের নির্বাচনে তাঁর নিজেরই ভাণ্ডাফোঁড় হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে যে কোনও প্রকারে উত্তরপ্রদেশের দুর্গ বাঁচাতে মরিয়া মোদি। তিনি জানেন, উত্তরপ্রদেশে হারলে তাঁর দেশসেবার এই চাকরি কেউ বাঁচাতে পারবেন না। পশ্চিমবঙ্গের মতোই বিজেপির অবস্থা হবে সারা দেশে। এ রাজ্যে বিজেপির এখন না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থা। রাজ্যে বিজেপির পার্টি অফিসগুলোতে রাখা শ্রীরামচন্দ্রের ছবিতে ধূপধুনো দেখানোরও লোক নেই। জেলায় জেলায় পার্টি অফিসের তালা খুলতে গিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁরা এখন সরাসরি তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলছেন, ভোটের আগে আপনি যেভাবে উস্কানিমূলক হিংসার কথা বলেছেন, তার ফলভোগ আমাদের করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ক্রিয়ারই তো সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। এর মধ্যে আবার আর এক ধিক্কৃত গেরুয়া নেতা বাঙালির পিঠে ছুরি মারার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন রাজ্যে কাজকর্মে জড়িয়ে থাকা ‘বাঙালিরা সেই সব রাজ্যে চাকরি করতে পারবেন তো’ বলে প্রকারান্তরে তাঁদের উপর আক্রমণে অন্য প্রদেশের বাসিন্দাদের উস্কানি দিচ্ছেন। হায় রে কালিদাস! উক্ত ভাষ্যের আলোকে তাঁর স্বরূপ আর একবার ভালো করে চিনে নিক প্রতিটি বাঙালি।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মোদি সাম্রাজ্যের এই ভেঙে পড়ার গল্পের পাশাপাশি রয়েছে আর এক গড়ে ওঠার গল্প। নদীর যেমন একদিক ভাঙে, অন্যদিক গড়ে ওঠে। তেমনই মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। কী আশ্চর্য! ইতিহাস এবং পুরাণের মতো এখানেও তৈরি হয়েছে দাম্ভিক, আপন অহঙ্কারে মত্ত, প্রতিহিংসাপরায়ণ এক শক্তির বিরুদ্ধে এক নারীর জেগে ওঠার গল্প। এভাবেই বোধহয় পুরাণ, ইতিহাস যুগে যুগে সত্য হয়ে ওঠে। শক্তির দম্ভকে ভেঙে চুরমার করে বারবার জয়ী হয় নারীশক্তি। আগামী দিনগুলিতে মমতা সারা দেশের বিরোধী শক্তিগুলির থেকে তিল তিল করে আয়ুধ সংগ্রহ করে পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দিতে অগ্রসর হবেন। তবে ছেড়ে দেবে না বিজেপিও। তাদের কিছু না থাক, টাকার গরম আছে। ছোট ছোট আঞ্চলিক বিরোধী শক্তিকে কিনে নিতে ঢেলে দেবে টাকা। ভয় দেখাবে সিবিআই, ইডির। পাশাপাশি যে কোনও জনমুখী প্রকল্পকে কেন্দ্র আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। যেভাবে দিল্লিতে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি আটকে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই চেষ্টা করা হবে। চেষ্টা করা হবে বাংলার প্রকল্প আটকানোর কিংবা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজ্যের উপনির্বাচন আটকে মমতাকে বিপাকে ফেলার। এত কৌশল নিয়ে যিনি মাথা ঘামান, তিনি দেশের কাজ করার সময় পাবেন কখন? 
মমতাকে অপদস্ত করার সেই কৌশলের অংশীদার ধনকারবাবুও। মোদির সুপারি নিয়ে এরাজ্যে এসেছেন তিনি। সেইমতো কাজ করছেন। মোদির হাতে রাজ্য তুলে দিয়ে বড় পুরস্কারের আশা করেছিলেন। সেটা সফল হয়নি। তাই নিজের উদ্দেশ্য সফল করতে আরও বেশি তৎপর হয়েছেন। কেননা মোদিকে তুষ্ট করতে পারলে সফল হতে পারে তাঁর স্বপ্ন? ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্নে তিনি এখন মশগুল। কেননা হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী বছরেই শেষ হচ্ছে উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ। 
পরিস্থিতির বিপাকে মোদিজি বারবার নিজের অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করে ফেলছেন। কোনও সমালোচনাই তিনি সহ্য করতে পারছেন না। ভারতের মতো একটি বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশে তিনি সকলের মুখই চাপা দিতে চান। সব বিরোধী নেতাকে বশ্যতা স্বীকার করাতে চান। দেশের মানুষ অন্য সুরে কথা বললেই তাঁরা হয়ে ওঠেন দেশদ্রোহী। সাংবাদিকদের কলমে বেড়ি পড়ানোর জঘন্য ফন্দিও আমরা দেখেছি। জুডিসিয়ারি ব্যবস্থাকে অনেকদিন ধরেই নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি। কিন্তু জাগ্রত বিবেকের মতো এখনও আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে বলেই আমরা গণতন্ত্রের স্বাদটুকু থেকে বঞ্চিত হইনি। আদালত দেশের শীর্ষ শাসককে মনে করিয়ে দিয়েছে সাংবাদিকদের স্বাধীনতার কথা। আসলে মোদি নিজেই হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রতীক। তাই মোদির বিরুদ্ধে কথা বলাটাকেই দেশবিরোধী বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখি, যেদিন থেকে প্রাক্তন এক প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন, সেদিন থেকেই তাঁর পতনের সূচনা। মোদিজিও সেই একই পথের পথিক হয়ে উঠেছেন। পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু।
09th  June, 2021
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
৫ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) এবার সরাসরি হুমকি চিঠি দিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ...

তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

লক্ষ্য মহিলা ভোট নিজেদের দিকে আনা। সেই লক্ষ্যে সন্দেশখালির মহিলাদের সামনের সারিতে রেখে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পকে নিয়ে প্রচারের কৌশল তারা ভোঁতা করতে উদ্যত হয়েছে ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM