Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উঠোনের এক কোণে গোরু-মোষের পরিচর্যা করছিলেন গুরমুখ সিং। কয়েক হাতের মধ্যেই বসেছিল তাঁর ছেলে। সেদিকে না তাকিয়েই গুরমুখ সিং হাঁক পাড়লেন, ‘মোহনা... গোবর আর চোনা মেখে রাখা বালতিটা এখানে নিয়ে আয়।’ দু’বার, তিনবার, চারবার... তারপর মুখ ফেরালেন গুরমুখ। দেখলেন তাঁর ছোট্ট ছেলেটি বই পড়ছে। আর তাতে এতটা ডুবে গিয়েছে যে, বাবার হাঁকডাক কানেই যাচ্ছে না! খিঁচিয়ে উঠলেন তিনি... ‘কী এত পড়ছিস? প্রধানমন্ত্রী হবি নাকি?’
আর এক বালক... ছেলেবেলায় ভাদনগর স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানে উদয়াস্ত খাটত সে। আর তার মা আশপাশের বাড়িতে কাজ করতেন। ছেলেকে বড় করতে হবে... মানুষ করতে হবে। এটাই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য বাবা আর মায়ের। সেই বালককে কেউ সেদিন প্রশ্ন করেনি, খোকা, তুমি কি বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে? কটাক্ষ করেও না।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দু’জনই। প্রথমজন মনমোহন সিং। ভারতীয় অর্থনীতিকে এক নতুন ভিতে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তার উপরই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে উন্নতির অট্টালিকা। তৃতীয় বিশ্বের তকমা ঝেড়ে ফেলে ভারত এখন দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষক বাজার। আর দ্বিতীয় জন? নরেন্দ্র মোদি।
মনমোহন সিং দশ বছর টানা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নরেন্দ্র মোদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে ছুটছেন। কিন্তু দু’জনের ফারাক কোথায়? প্রথমজন একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। সামাজিক এবং আর্থিক সংস্কার তাঁর ‘শাসনকালের’ ছত্রে ছত্রে। তা সত্ত্বেও ব্যক্তি মনমোহন ছাপ ফেলতে পারেননি জনমানসে। তাঁর প্রচার এবং প্যাকেজ, দুয়েরই অভাব ছিল। বরং গুছিয়ে বলতে গেলে, এই দু’টি ক্ষেত্রেই মনমোহন সিং ছিলেন চূড়ান্ত উদাসীন। আর নরেন্দ্র মোদি? সাত বছরে কী সংস্কার তিনি করেছেন এবং তা আম জনতার কোন কাজে লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু প্রচারে বা প্যাকেজে এতটুকু ঘাটতি নেই। নরেন্দ্র মোদি জমানায় আর একটা শব্দ আমাদের প্রত্যেকের গা সওয়া—প্রোপাগান্ডা। নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দিচ্ছেন, মন কি বাত শোনাচ্ছেন, আচমকা ঢুকে পড়ছেন সিবিএসসি বৈঠকে... আর তারপর নিজেই ঘোষণা করছেন, এবার পরীক্ষা হবে না। জানান দিচ্ছেন, তিনি আছেন। সর্বত্র। সিনেমার পর্দায় এক সময় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, এখন সলমন খান... আর পর্দার বাইরে নরেন্দ্র মোদি। লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ যাঁদের জনপ্রিয়তার হাতিয়ার। ওয়ান ম্যান আর্মি গোছের ব্যাপার। একাই জনা বিশেক শত্রুকে শুইয়ে দিচ্ছেন। চোখা চোখা ডায়লগ ছুড়ছেন। কিন্তু মোদিজি, ব্যাপারটা সিনেমার পর্দায় ভালো লাগে। রোজকার জীবনে নয়। এখানে আমাদের খেতে বসে ভাবতে হয়, রাতের বেলা দু’মুঠো ভাতের সংস্থান আছে তো? গ্যালারি শোতে পেট ভরে না যে! এই তো ক’দিন আগে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে বললেন, ‘করোনা বাড়ছে। কিন্তু যা করার রাজ্যগুলিকে করতে হবে। আর সাধারণ মানুষকে। লকডাউন শেষ অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করবেন।’ তাহলে হুজুর, আপনি কী করলেন? সবটাই যে রাজ্য সরকার আর সাধারণ মানুষ করল! আপনি যেটা করতে পারতেন, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান। সে নিয়েও তো রাজ্যগুলির হা পিত্যেশ এই সেদিনও ছিল! আর আজ? করোনা একটু সামাল দিতে না দিতেই ঢাকঢোল নিয়ে মাঠে নেমে পড়ল আপনার সরকার? আপনার ছায়াসঙ্গী অমিত শাহ তো দাবি করছেন, করোনার প্রকোপ কমছে। কেন? আপনি যে মাথার উপর আছেন! আপনার নেতৃত্বেই করোনাকে হারিয়ে দিচ্ছে ভারত। ব্যস! আর কী! বাকিদেরও নির্দেশ দিন নেমে পড়তে। ঠিক যেমন এর্নাকুলাম ও বেঙ্গালুরুতে নির্দেশ গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বারো ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে, ভিডিও বার্তা ট্যুইট করো। তাতে তোমরা কী বলবে?—‘নরেন্দ্র মোদিজি ধন্যবাদ। আপনি যে পরীক্ষা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এই করোনা মহামারীতে আমাদের প্রাণে বাঁচালেন আপনি।’ 
হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে। তাও ঢাক পেটানো চলছে। আমরা তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছি। বিশ্বাসও করছি। হয়তো ভবিষ্যতেও করব। এ কি আমাদের দৈন্য? না অসহায়তা? ভারতীয়রা আসলে বড্ড সহনশীল। আরও একটু সুযোগ দিয়েই না হয় দেখি! কিন্তু করোনাকালে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পরও? সংবাদপত্রে একের পর এক চরিত্র গত কয়েক মাসে উঠে এসেছে। আলিপুরদুয়ারের সরকারি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক... রাতের ডিউটিতে ছিলেন। একসঙ্গে পাঁচজন করোনা রোগী এসে পৌঁছলেন। প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিংবা উত্তরপ্রদেশের জুনিয়র ডাক্তার। টানা প্রায় তিন মাস বিনা ছুটিতে রোগী দেখে চলেছেন তিনি। রোজ সাত-আট ঘণ্টা টানা পিপিই কিট পরে... ভিতরের জামাকাপড় ভিজে সপসপ করে। পিপিইর হাতা, পা চুঁইয়ে পড়ে ঘাম। যেতে পারেন না বাথরুমেও। তারপর যখন সব ছেড়ে হাসপাতালের বাইরে এসে দাঁড়ান... দেখেন, এক বাস ভর্তি রোগী ঢুকছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়সই ষাটের উপর। এঁরা সবাই গ্রামীণ ভারত। যেখানে মোদিজির আচ্ছে দিনের প্রোপাগান্ডাটুকুও ভালো করে পৌঁছয়নি। যাঁরা করোনার মোকাবিলা করতে জানেন না। পরীক্ষা করাতে চান না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনওমতে গেলেও রোগীর ভিড়ে প্রাথমিক সুবিধাটুকুও পান না। এরপরও দাবি করেন, আপনারাই সামাল দিয়েছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ? যেমন দাবি জাতির উদ্দেশে ভাষণেও করলেন মোদিজি। ভাব দেখালেন, রাজ্যগুলোকে সুযোগ দিয়ে দেখেছিলেন। অনেক হয়েছে, এবার ভারত সরকারই টিকার দায়িত্ব নেবে। কিন্তু এর নেপথ্যে সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলার মতো রাজ্যের চাপ কতটা কাজ করল, সেটা প্রকাশ হল কি?
ঠিক দশ বছর আগের কথা... ৪ জুন, ২০১১। লখনউয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা এনেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ইউপিএ সরকারকে ‘দেশের ফেডারেল কাঠামোর জন্য সিঁদুরে মেঘ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তিনি। কী কী অভিযোগ ছিল তাঁর? ১) রাজ্যগুলির আইন প্রণয়নের ক্ষমতায় দখলদারি চালাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। ২) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার চলছে। ৩) সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যগুলির অধিকার হরণ করা হচ্ছে এবং ৪) রাজ্যপালদের রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে রাজ্যগুলির মাথায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলি তাদের অধিকারের জন্য আর্তি জানাচ্ছে। কিন্তু সেই কান্না ফিরে আসছে কিছু বধিরের কানে ধাক্কা খেয়ে।’ কে ছিলেন সেই মুখ্যমন্ত্রী?—নরেন্দ্র মোদি। আজ, তাঁর সাত বছরের শাসনকালের পর এই প্রত্যেকটি অভিযোগে অভিযুক্ত তাঁর সরকার। সিবিআইয়ের অবাঞ্ছিত অতি সক্রিয়তা হোক, কিংবা ভ্যাকসিন—সর্বত্র এক নজির দেখছে দেশ। মোদিজির শাসনতন্ত্রে তো আবার নতুন প্রতিপক্ষও তৈরি হয়েছে—আমলা মহল। আলাপন বন্দ্যোধ্যায়কে অবসরের লগ্নে নাস্তানাবুদ করার প্রবল চেষ্টা চলেছে দিল্লির দরবার থেকে। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, তাঁকে দিল্লি টেনে নিয়ে গিয়ে একবার হলেও মাথা নিচু করানো... ক্ষমা চাওয়ানো। সেই অভিপ্রায়ে জল পড়ে গিয়েছে। আর কীভাবে তাঁকে অপদস্থ করা যায়, আপাতত সেই ছক কাটা চলছে রাজনীতির অন্দরমহলে। কিন্তু আঁতে ঘা যে বড্ড জোর লেগেছে! একজন ‘সামান্য’ আমলার কি না এত বড় সাহস! এক আলাপন মাথা তুলেছে মানে তো বাকিরাও তুলতে পারে! সবার ডানা ছেঁটে দাও। নির্দেশ জারি করল মোদি সরকার... অবসরের পর মুখ খোলা, বই লেখা যাবে না। তার জন্য ছাড়পত্র নিতে হবে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনের। অর্থাৎ, চাকরি শেষেও টিকিটি বাঁধা থাকবে শাসনতন্ত্রের ছড়িতে। শুধুই কি তাই, বই লিখতে গেলেও লাগবে সরকারি অনুমোদন। অর্থাৎ, অপছন্দের আইএএস, আইপিএস অফিসারদের তালাবন্দি করে দেওয়া গেল। তাহলে ছাড় কারা পাবে? অবশ্যই যাঁরা সরকারের প্রোপাগান্ডা করবেন তাঁরা! নরেন্দ্র মোদি জমানায় ভারত ‘উন্নতির কোন শিখরে’ পৌঁছলেন, তা লিখবেন অবসরপ্রাপ্তরা। পুনর্বাসন পাবেন সেই অফিসাররা, যাঁরা সরকারের তাঁবেদারি করেছেন। এর ব্যতিক্রম হলেই যে বিপদ! সরকার চালাতে হবে! সংসদের অন্দরে বিরোধীরা কিস্যু করতে পারবে না। কারণ, বিজেপি সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। গেরুয়াধারী নেতারা আসবেন, আর জয় রাজার জয় বলে স্লোগান দেবেন। বেসুরো যে হবে, তার নিস্তার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরা হবে। বদলে দেওয়া হবে সমাজটাই।
মনমোহন সিং একটা কথা বলতেন... ‘আমি পাকেচক্রে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি।’ সেই পাকেচক্রে প্রধানমন্ত্রী তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করেছিলেন। তাঁর জমানায় এসেছিল খাদ্য সুরক্ষা, ১০০ দিনের কাজের ব্যাপ্তি। আর নরেন্দ্র মোদি? নোট বাতিল, অপরিকল্পিত জিএসটি-লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার ধারে লাশের মিছিল। আর বিরোধী ‘নিকেশের’ নামে রাজদণ্ডের অপপ্রয়োগ তো ছিলই। তাঁর লক্ষ্যই যে ছিল ‘শিখর’। তিনি মনমোহন সিং হতে চান না। কারণ, মনমোহন সিংয়ের সরকারের উপর... দেশের উপর কমান্ড ছিল না। নরেন্দ্র মোদির আছে। সত্যিটা কিন্তু একটু আলাদা... নরেন্দ্র মোদি চাইলেও মনমোহন সিং হতে পারবেন না। কারণ, মনমোহনের চরিত্রের একটি দিক যে কখনওই মোদির ভাগ্যে জুটবে না... সর্বশক্তির ধারক-বাহক হওয়া সত্ত্বেও না। মানবিকতা।
08th  June, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৯/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:46:02 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি হেডের, হায়দরাবাদ ৬২/০ (৩ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:44:18 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM