Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

রাইসিনা হিলের উপর কোণের অফিস থেকে দৃশ্যটা মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে দৃশ্যগুলো যদি প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেছে দিতে পারেন। যেমন—চাকরি খোয়ানোর ঘটনাগুলি হাওয়া হয়ে যেতে পারে এবং ইপিএফের খাতায় সেগুলো নতুন চাকরিতে যোগদান হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারে! ক্ষুধার্ত মুখগুলো উবে যেতে পারে এবং তার জায়গায় উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে দয়ার দান গ্রহণ করছে যে মানুষগুলো—মাসে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য, যা দু’মাস পাবে তারা! মেহনতি ভাগচাষির ছবিটা ফিকে হয়ে আসতে পারে এবং যে জমির মালিক চাষাবাদ করেন না তিনি কিষান সম্মান চেক জমা দিয়ে সেই ফাঁকা জায়গাটা ভরাট করতে পারেন! ক্ষমতা, কর্তৃত্ব এবং সমালোচনাকে তাচ্ছিল্য করার থেকেই এই জাদুর সৃষ্টি। 
ভারতের গড়পড়তা মানুষ পর্বতারোহীদের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী নন। তিনি পুরুষ অথবা নারী যাই হোন না কেন, একটা গ্রামে, অথবা একটা শহর বা নগরের নিজ মহল্লার ভিতরেই কাটিয়ে দেন। কারণ, তাঁদের দু’টো পা’ই যেন মাটিতে প্রোথিত থাকে। গড়পড়তা ভারতীয়ের দৃষ্টিভঙ্গিটা কীটের মতো—নিজেকে খুব ক্ষুদ্র, দুর্বল ভাবেন আর অন্যদের দেখেন খুব উঁচু লম্বা ও শক্তিশালী। দৃষ্টিভঙ্গিটা কঠিন কঠোর, নোংরা বা কদর্য হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যের কাছাকাছি।  
একটা সমীক্ষা করা হল
মিস্টার জওহর। আমার বন্ধু। তিনি তদন্তকারীদের একটা দল গঠন করেছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত এক হাজার জন মানুষের উপর একটা সমীক্ষা করার জন্য আমি তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম। এমনকী সুরক্ষিত আবাসনের সেইসব বাসিন্দাদেরও এই সমীক্ষায় রাখতে বলেছি, যাঁরা নিজেদের ‘মধ্যবিত্ত শ্রেণি’র মানুষ বলে জাহির করেন কিন্তু আমরা জানি 
যে বাস্তবে তাঁরা তা নন। যেসব ব্যক্তির মাসিক আয় পাঁচ থেকে তিরিশ হাজার টাকার মধ্যে, আমরা তাঁদেরকেই নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ধরি। ১০০৪ জনের কাছে ৯টি প্রশ্ন রেখে উত্তর পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা তাঁদের ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর দিয়েছেন। কয়েকজন উত্তরদাতা তাঁদের আয় কমিয়ে দেখিয়েছেন হয়তো। কিন্তু তাঁদের আয় তিরিশ হাজারের সামান্য বেশিও যদি হয়ে থাকে তবু সেটাকে তথ্যের বিকৃতি বলা যাবে না। 
আমাদের মনে আছে, প্রথম লকডাউনটা হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তার পরবর্তী ১২ মাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা থেকে যা জানা গিয়েছে সেটা এইরকম:
১. উত্তরদাতা ছিলেন ১০০৪ জন। 
২. মোট ৮৮০ জন দাবি করেছেন তাঁদের আয় কমে গিয়েছে। ১১৭ জনের বক্তব্য, তাঁদের আয়ের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বাকি ৭ জন জানিয়েছেন, তাঁদের আয় বেড়ে গিয়েছে। 
৩. তবে, ৭৫৮ জন জানিয়েছেন, তাঁদের খরচাপাতি বেড়ে গিয়েছে। ১১৫ জনের বক্তব্য, তাঁদের খরচে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অন্যদিকে, ৯১ জানিয়েছেন তাঁদের খরচ কমে গিয়েছে। 
৪. সঞ্চয়ে কোপ পড়ার কথা স্বীকার করেছেন ৭২৫ জন। তবে সম্পত্তি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মাত্র ৩২৯ জন। সঞ্চয় এবং সম্পত্তি দু’টোই অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকি উত্তরদাতারা। 
৫. যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, ৭০২ জনকে টাকা ধার করতে হয়েছে। কিছু ব্যক্তি ঋণ নিয়েছেন ব্যাঙ্ক কিংবা মাইক্রো ফিনান্স সংস্থা থেকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এমনকী চিটফান্ড থেকে টাকা ধার করার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। পরিবারের ভিতর থেকে, আত্মীয় এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও টাকা ধার করার ঘটনা নজরে আনা হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে একাধিক সূত্র থেকেও ঋণগ্রহণের কথা জানা গিয়েছে। ৬৫৩ জন, অর্থাৎ বেশিরভাগ ব্যক্তিই ‍টাকা ধার করেছেন সুদে। ১৭৬ জন দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করে দিতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ১৬৪ জন বলেছেন, তাঁদের কথার খেলাপ হয়ে যাবে। কবে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন, বাদবাকি ২৫৬ জন সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন।
আমাদের ঘিরে তথ্যপ্রমাণ 
এই যে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হল, এসবই আমরা রোজ দেখছি, শুনছি এবং নিরীক্ষণ করছি। মহামারী এবং এই আর্থিক পরিস্থিতি পারিবারিক আয়-ব্যয়ের হিসেবকে ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। কমে গিয়েছে আয়পত্তর। খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধারদেনা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ কীভাবে হবে ভেবে কূল করতে পারছেন না। বাধ্য হচ্ছেন সঞ্চয়ের সঙ্গে আপস করতে। সব মিলিয়ে যা দাঁড়িয়েছে গড়পড়তা গৃহস্থ মানেই একজন ক্লান্ত অবসন্ন ব্যক্তি। যদি না পরিবারের দু’জন রোজগেরে (দু’জনেরই আয়ে ধাক্কা লাগলেও) হন, চট করে বলে দেওয়া চলে যে একজন গড়পড়তা রোজগেরে ব্যক্তি আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারটাও বুঝতে পারছে যে, তারা আরও গরিব হয়ে গিয়েছে।
মৃল চারটে প্রশ্ন ছিল আয়, ব্যয়, সঞ্চয় ও ঋণ সম্পর্কিত। ক্রমান্বয়ে যে চারটে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যটা হল ঋণ সংক্রান্ত। সংখ্যাটা হল ৭০২। মানে, এই পরিস্থিতে ধারদেনা করতে বাধ্য হয়েছেন ৭০২ জন, সেই সংখ্যাটা। এই সমীক্ষাটা যতজনের উপর করা হয়েছিল, ৭০২ সংখ্যাটা তার ৭০ শতাংশ। এটাতে কোনওভাবেই একটা দেশের সেই ছবি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, সম্প্রতি যেটা 
বড় মুখ করে বলা হয়েছিল, দেশটার বৃহৎ অর্থনীতি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। (১) 
গত ২০০৪-১৪ দশকে গড়পড়তা ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধির স্বাক্ষর রেখেছিল ভারত। (২) ওই একই সময়ে ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করা গিয়েছিল। আজকের হালের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হবে যে, এক‍টা শিখর থেকে বিরাট পতনই হয়েছে। সেসবই আজ ইতিহাস। 
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) ২০২০-২১ সালের জন্য জাতীয় আয়ের যে এস্টিমেট দিয়েছে আমাদের হিসেবটা তার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২০-২১ সালে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) পূর্ববর্তী বছরের সাপেক্ষে ৭.৩ শতাংশ কমে গিয়েছে বা মাইনাস (-) ৭.৩ শতাংশ 
হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত উপভোগ, গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন, রপ্তানি ও আমদানি—এই চারটে গুরুত্বপূর্ণ সূচকও দু’বছর আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘ডিমান্ড শক’ বা চাহিদায় ধাক্কা লাগার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তেমন প্রয়োজন হলে টাকা ছাপাতে হবে।
এনএসও এবং লোকাল সার্ভে—‘দ্য বার্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ম’—বৃহৎ, ক্ষুদ্র—মাটির উপর দু’জনেই একই ছবি দেখতে পেল। এটা একটা সুন্দর সাদৃশ্য—যেটা অর্থমন্ত্রী এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে একটা বন্ধ ইকো চেম্বারে রেখে দিচ্ছে। অর্থাৎ তাঁরাও একই কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। 
করণীয়, তবে তা হবে   
নির্মম বাস্তবটা এই যে, ২০১৭-১৮ সাল থেকে জিডিপি (কনস্ট্যান্ট প্রাইসে) এবং মাথাপিছু বার্ষিক আয় নিম্নগতি নিয়েছে:
সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
ধীরে হলেও ২০১৭-১৮-র পজিশনে ফেরা সম্ভব হতে পারে, যদি সরকার কিছু পরামর্শ নেয় এবং সেইমতো কাজটা করে। অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সেই পরামর্শগুলো দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই), প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা এবং বিরোধী দলগুলো।
  • লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
07th  June, 2021
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ ঘোষণা
আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করে ...বিশদ

05:32:32 PM

রামনবমী নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

05:03:07 PM

বিজেপি বাংলার ৬ কোটি মানুষকে ফ্রি তে রেশন দিচ্ছে: মোদি

05:02:34 PM

ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন মোদিজি এসেছিলেন, আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন: মোদি

 

04:58:00 PM

এতবছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাকে পিছিয়ে রেখেছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল: মোদি

04:56:47 PM

বাংলার বিকাশ মোদির অগ্রাধিকার: মোদি

04:55:09 PM