Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুঃসময় ও ইতিহাসের ডায়েরি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি উপন্যাসে অথবা সিনেমায় কিংবা ওয়েব সিরিজে ধরা যাক এমন একটি দেশের কাহিনির বর্ণনা করা হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় রাস্তায় মানুষ পড়ে আছে। হাসপাতালে জায়গা নেই। তাই দলে দলে মৃত্যুর মিছিল। চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি থাকা বহু রোগী মাঝেমধ্যেই অক্সিজেন পেতে পেতে হঠাৎ বুঝতে পারছে আর তো অক্সিজেন নেই। তাদের চক্ষু বিস্ফারিত হয়ে যাচ্ছে। তারা চোখের সামনে আলো, ফ্যান, এয়ারকন্ডিশন, ডাক্তার, নার্স, পরিবারের ক্রন্দনরত মুখের চেনা ছবিগুলো দেখতে দেখতে শ্বাস নিতে না পেরে মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সাড়ে আটশো টাকার একটি ওষুধ দেড় লক্ষ টাকা চাওয়ায় অসহায় পুত্র, পিতা, মা, বোন, ভাইয়েরা সেই কালোবাজারির হাতেপায়ে ধরছে। গুরুগ্রাম থেকে পঞ্জাবের লুধিয়ানা যাওয়ার জন্য‌ অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেনের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা। আর কোনও এক নারী স্বামীকে বাঁচাতে সেই টাকা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার জন্য গয়না বিক্রি করে দিতে চাইছেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় শ’য়ে শ’য়ে লাশ ভেসে যাচ্ছে। হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে বক্সারের চৌসা ব্লকের গ্রামবাসীরা দেখছে গঙ্গার তীরে জমে উঠছে শবের পাহাড়। এই শবদেহ গ্রামগঞ্জের করোনা রোগীদের। তাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গায়। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের গঙ্গায় ভাসছে ভারতবাসীর শবদেহ।  নমামি গঙ্গে প্রকল্পের গঙ্গায় ওই যে শ’য়ে শ’য়ে দেহ ভেসে যাচ্ছে। ভাসিয়ে দিচ্ছে গ্রামবাসীরা। কারণ, তাদের পক্ষে শবদাহ করার মতো পরিস্থিতি নেই।  এরকম উপন্যাস পড়লে অথবা সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখলে আমাদের গা শিউরে উঠবে না? আমরা এই ধাঁচের সিনেমা অথবা উপন্যাসকে বলে থাকি ডিসটোপিয়া। আমরা কি বুঝতে পারছি যে, অবশেষে নিজেরাই একটি ডিসটোপিয়ায় ঢুকে পড়েছি? কতটা ভয়ঙ্কর এই সময়টা? এতটাই যে, মৃত্যুর মিছিল আমাদের কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই দেখা যাচ্ছে, আমাদের কাছে ভয়ঙ্কর সংবাদগুলো সহনীয় হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আশেপাশের মানুষ হঠাৎ করে ‘নেই’ হয়ে যাচ্ছে। খুব ধীরে ধীরে আমাদের চেনা লোকের মৃত্যুর খবরে কষ্ট, বেদনা, চমকে ওঠা, অবসাদে ঢুকে পড়ার প্রবণতা যেন স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। আর ততটা চমকাচ্ছি না। আর অতটা হাহাকারে ফেটে পড়ছি না। শুধু একটু অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছি। ভয় পাচ্ছি ভিতরে ভিতরে। এটাই ভয়ঙ্কর সময়ের লক্ষণ। কোন সময়? এ যেন মৃত্যুকে অভ্যাসে পরিণত করার সময়। 
একটি দেশে এক মারণরোগ এসেছে। সংক্রমণের ভয়ে মানুষ গৃহবন্দি। সেই দেশে এই চরম দুঃসময়ে পেট্রল ডিজেলের দাম ১০০ টাকা স্পর্শ করছে। কখনও নিত্যপণ্যের দাম এক লাফে ২০ টাকা, ৪০ টাকা, ৭০ টাকা করে বেড়ে যাচ্ছে কেউ জানতে পারছে না। কেন বেড়ে যাচ্ছে জানতে পারছে না। সেই দেশে কেন হঠাৎ একটি ওষুধ, একটি ইনজেকশন উধাও হয়ে যায় বাজার থেকে? কেন পাওয়া যায় চোরাপথে আকাশছোঁয়া দামে? সে পেঁয়াজই হোক অথবা অক্সিজেন সিলিন্ডার! কেনই বা সেই দাম আবার কমে আসে? এই মাঝখানের সময়টায় কারা বিপুল প্রফিট করে? কারা ভাগ পায়? এসব জানা যায় না। আমরা মেনে নিয়েছি। 
যখন দিনে ৪ হাজার করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই মারণরোগে, মানুষের হাতে রোজগার নেই, জীবনের কোনও মূল্য নেই, তখন প্রত্যেকদিন কী আশ্চর্যভাবে শেয়ার বাজার লাফিয়ে আকাশে উঠে যাচ্ছে! সোনার দাম ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। কারা এই সময় মুনাফা করছে? হাসপাতাল আর ওষুধের দোকানে ছোটাছুটি করা মানুষ শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে দেখতে পায় এই মারণরোগ কীভাবে প্রফিটেবল বিজনেসে পরিণত হয়েছে একটি শ্রেণির কাছে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষেও হয়েছিল এরকমই। 
আমাদের হাতে টাকা কমে আসছে, আমরা বেশি জিনিসপত্র কিনছি না, দোকান বাজার বন্ধ লকডাউনে, লোকাল ট্রেন ও পরিবহণ বন্ধ। ব্যাঙ্কের লেনদেন কমে গিয়েছে। তাহলে কোন জাদুবলে কর্পোরেট আর শেয়ার বাজারের ইনডেক্স আর প্রফিট বাড়ছে? আমরা বুঝতে পারি না।
সিএমআইই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু এপ্রিল মাসে ১১ লক্ষ নতুন করে কর্মহীন হয়েছে। মানুষ জানে না যে, কতদিন তার চাকরিটা আছে। কতদিন তার ব্যবসাটা চলবে। ট্রেনবাসের হকার থেকে শাক বিক্রেতা মাসির বাড়িতে হাহাকার রোজগারের অভাবে। মারণরোগের ওষুধের সঙ্গে, হঠাৎ করে প্রতিদিনের রুটিন ওষুধগুলোও পাওয়া যায় না। করোনার সঙ্গে প্রেশারের ওষুধের সম্পর্ক কী? করোনার সঙ্গে সরষের তেলের দামবৃদ্ধির সম্পর্ক কী? আমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করি। উত্তর পাই না।  হাসপাতালের বেড পাই না। অক্সিজেন পাই না। ওষুধ পাই না। 
এই সময় গণতান্ত্রিক দেশে সবথেকে বেশি কাকে পাশে পাওয়া উচিত ছিল? রাষ্ট্রকে। কিন্তু আমরা কী দেখতে পাই? দেখতে পাই সেই রাষ্ট্র টিভিতে খবরের কাগজে ট্যুইটারে মানুষকে বাণী দিচ্ছে, লেকচার দিচ্ছে ভ্যাকসিন নিতে। অথচ আমরা রাষ্ট্রের কথা শুনে যখন ভ্যাকসিন নিতে চাইছি, শুনি ভ্যাকসিন নেই। বিরাট কোহলি ভ্যাক঩সিন পায়। আমরা ছবি দেখি। নিজেরা পাই না। রাষ্ট্র বলছে, অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অ্যাপ কোথায় থাকে? স্মার্ট ফোনে। ভারতে কতজনের স্মার্ট ফোন আছে? ৭৬ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা কত? প্রায় ১৩৫ কোটি। বাকিরা কি তাহলে ভ্যাকসিন পাবে না? রাষ্ট্র বলবে কেন ওয়েবসাইটে গিয়ে করো! ওয়েবসাইট মানে ইন্টারনেট। ভারতে নন-মোবাইল ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা কত? ৬২ কোটি। বাকিরা কী করবে? রাষ্ট্র জানায়নি। 
রাষ্ট্র এই সময় একটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লিকে সাজানোর  প্রকল্প। নাম সেন্ট্রাল ভিস্তা। ২০ হাজার কোটি টাকায়। নতুন পার্লামেন্ট হবে। ইন্ডিয়া গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের রাজপথকে বদলে ফেলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন হবে। এই ২০ হাজার কোটি টাকায় কী হতে পারত? বিরোধী দলগুলি বলছে, ৬২ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারত। ২২ কোটি রেমডিসিভির ভায়াল ইনজেকশন হতে পারত। ৩ কোটি অক্সিজেন সিলিন্ডার হতে পারত। ১২ হাজার বেডের ১৩টা এইমসের মতো হাসপাতাল হতে পারত। কিন্তু রাষ্ট্র ঠিক করেছে এই প্রকল্প সম্পন্ন করতেই হবে। কেন?  নতুন এক আধুনিক নিউ দিল্লি তৈরি করবে বর্তমান শাসক। ইতিহাসে নিজেদের ছাপ রাখতে। 
দিল্লির ইতিহাসে হাত দিলে কী হয়? বিস্ময়কর এক  প্রবণতা রয়েছে। মহাকাব্য থেকে শুরু। পাণ্ডবরা এই খাণ্ডবপ্রস্থ জনপদকে বদলে দিয়ে এক নতুন রাজ্য ও রাজসভা প্রতিষ্ঠা করেছিল। ইন্দ্রপ্রস্থ। সেই প্রতিষ্ঠার পরই রাজসূয় যজ্ঞ। আর ঠিক তারপরই শুরু তাদের দুর্ভাগ্যের যুগ।  
পৃথ্বীরাজ চৌহান ঘেকে তুঘলক রাজবংশ। সঈদি পরিবার থেকে সিকান্দর শাহ লোদির বংশ। তাঁরা প্রত্যেকেই দিল্লি দখল করেছেন। এই শহরের মধ্যেই প্রাসাদ, কেল্লা, রাজধানী নির্মাণ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। নিজেদের ছাপ রেখে যাওয়ার বাসনায়। বেশিদিন কেউই ক্ষমতায় থাকেনি। দিল্লিকে বদলাতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত অথবা যুদ্ধে পরাস্ত হতে হয়েছে প্রতিপক্ষের কাছে। নিজামুদ্দিনের ঘিয়াসপুর, গ্রিন পার্কের সিরি। ফিরোজ শাহ কোটলা। তুঘলকাবাদ। আলাউদ্দিন খিলজি থেকে মহম্মদ বিন তুঘলক। প্রতিটি শাসক যুগে যুগে নিজেদের মতো করে দিল্লিকে বদলে দিয়ে নিজের স্বপ্নের রাজধানী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসের পৃষ্ঠা বলছে, আচমকা সেই শাসনকালগুলি থেমে গিয়েছিল। সেই কেল্লা, সেই প্রাচীর, সেই প্রাসাদের ধ্বংসস্তূপ অথবা ভগ্নাবশেষ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। মোগল সম্রাট হুমায়ুন তাঁর নতুন শহর নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। দীনপনাহ। তারপরই শের শাহের কাছে পরাস্ত হয়ে তাঁকে পালিয়ে যেতে হল। শের শাহের পুত্র সিকন্দর দিল্লিতেই নিজস্ব সেলিমগড় ফোর্ট তৈরি করলেন। নতুন ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে। তারপরই হুমায়ুনের হাতে তাঁকে পরাজিত হতে হল। 
১৯১১ সালে হঠাৎ কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী সরিয়ে নতুন শহর পত্তনে মন দিল ব্রিটিশ সরকার। ১৯৩১ সালে সমাপ্ত হল নিউ দিল্লি।  মাত্র তিন বছরের মধ্যেই যেন শেষের শুরু। ১৯৩৫ সালে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট চালু হল। যা কার্যত নিজেদের হাত থেকে বেশ কিছু ক্ষমতা ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার পূর্বাভাস। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাক প্রস্তুতি।  ইতিহাসে দিল্লিকে যারা বদলে দিতে চেয়েছে, ক্ষমতা প্রদর্শন করে অধিকার কায়েম করতে চেয়েছে, তাঁদের ভাগ্যাকাশে দিল্লি নিরাসক্তভাবে বিদায়বার্তা লিখেছে বারংবার। 
মারণরোগের এই মহাদুঃসময়ে দিল্লিকে ফের বদলে দিতে চাইছে আজকের শাসক নতুন প্রকল্প নিয়ে। আশা করি তাঁরা জানেন এই ইতিহাস প্রবণতা। চ্যালেঞ্জ ওটাই। পারবেন তো ২০২৪ সালে জয়ী হতে? নাকি দিল্লি আর যমুনা উদাসীনভাবে আবার বদলে দেবে শাসক?
14th  May, 2021
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি: আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত ও তেল আভিভের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখল এয়ার ইন্ডিয়া

04:39:42 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৬৬.২৩ শতাংশ, কোচবিহারে ৬৫.৫৪ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৬৭.২৮ শতাংশ ভোট পড়ল

04:33:34 PM

বিয়ে সেরেই ভোট দিতে ছুটলেন নবদম্পতি
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের একটি বুথে হঠাৎই বেধে গেল হইচই। ভোটের দিন ...বিশদ

04:31:50 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬১.৯৫ শতাংশ, মিজোরামে ৪৯.১৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫১.৭৩ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৫৮.৮৬ শতাংশ ও রাজস্থানে ৪১.৫১ শতাংশ, সিকিমে ৫২.৭২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:30:18 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ৪৩.৯৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ৫৭.০৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৫৩.৪০ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ৪৪.১২ শতাংশ, মণিপুরে- ৬৩.০৩ শতাংশ ভোট পড়ল

04:25:12 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৫১.০১ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৬৮.৩৫ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৪৭.৪৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৪৫.৬২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:20:51 PM