Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। এই দু’টো ইভেন্টের কোনওরকম তথ্য বা ফলাফল হাতে আসার আগেই এই নিবন্ধ আমি লিখছি। 
মানুষের মধ্যে ‘ভ্যাকসিন গ্রহণে দ্বিধা’ রয়েছে। এই কল্পকাহিনিটা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে দু’টো ঘটনায়। (এক) প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছে দীর্ঘ লাইনে। (দুই) জোগানের স্বল্পতার কারণে বহু মানুষকে ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। ২ এপ্রিল ৪২ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল এবং টিকাকরণের দৈনিক গড়টা এই সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছতে না পারার কোনও কারণ ছিল না। যাই হোক, এপ্রিল মাসে দৈনিক টিকাকরণের গড় হারটা ২৯ লাখে নেমে এসেছিল। এর একটা কারণ হল, হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন সাপ্লা‌ই করা যায়নি। আর একটা হতে পারে লকডাউনের দিন এবং দৈনিক সময়সীমা বাড়ানো। এই হারে চললে, বাকি ৭০ কোটি ভারতবাসীর টিকাকরণের জন্য ২৪০ দিন লাগবে। 
টিকাকরণের জন্য অর্থবরাদ্দ কমানো উচিত হবে না। একটা ডোজের আনুমানিক দাম ২৫০ টাকা। ৭০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে দু’টো করে ডোজ দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বাজেটে এই পরিমাণ অর্থই ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ মে তারিখের ভিতরে বাকি সমস্ত বাধা দূর হয়ে যাওয়া উচিত। যদি নতুন দাম দ্রুত নির্ধারণ না-করা হয় তবে দুই প্রস্তুতকারকের তরফে ঘোষিত পাঁচটা দামই এই ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। 
ভ্যাকসিনের এই স্বল্পতা কেন?
ভ্যাকসিনের স্বল্পতা এখনও একটা সমস্যা। এর পুরো দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। এই সঙ্কট যেসব কারণে: (এক) সরকার এখনও পর্যন্ত সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক ছাড়া অন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেনি। (দুই) কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন ছাড়া অন্যকোনও অনুমোদিত ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে সরকার আগাম অর্ডার দেয়নি। (তিন) ভারতে দু’টো সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তার জন্য তাদেরকে বাড়তি লগ্নির জোগান দিতে হবে। এর প্রয়োজনটাই উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। (চার) দু’টো ভারতীয় প্রস্তুতকারকের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্যাকসিন ডোজের জন্য একটাই ন্যায্য দাম ঠিক করতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। (পাঁচ) অভিন্ন ন্যায্য দামেই ভ্যাকসিন বেচতে হবে। এই মর্মে প্রস্তুতকারক দু’টোকে সরকার হুঁশিয়ার করতে পারত। কমপালসারি লাইসেন্সিংয়ের বিধান প্রয়োগ করেই এই বার্তা দেওয়া যেত। কিন্তু সরকার তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। (ছয়) সরকার ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে। দায়িত্ব ও খরচ বহনের ব্যাপারটা কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য এটা দরকার ছিল।
‘ভারত হল পৃথিবীর ঔষধালয়’—এই দম্ভোক্তি নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অদক্ষতার সৌজন্যে। পরিবর্তে আমরাই আজ অন্য অনেক দেশ এবং প্রস্তুতকারকের কাছে ভ্যাকসিন পেতে আর্জি জানাচ্ছি। যদিও তাদের পক্ষে ভারতকে দেওয়ার মতো কমই রয়েছে। চূড়ান্ত অসম্মানটা তখনই হবে যখন আমরা চীনের সিনোফার্ম এবং অন্যকিছু চীনা ভ্যাকসিন নিতে রাজি হব। স্মরণ করা যেতে পারে, ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিজ রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারই সেটা কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছিল। আরও মনে রাখতে হবে, ফাইজার-বায়োএনটেক-এর ভ্যাকসিন অনেকগুলো মান্য নিয়ামক সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েছে। তাদের ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ। তা সত্ত্বেও ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভারতে ওই ভ্যাকসিনের ‘ইমার্জেন্সি ইয়ুজ অ্যাপ্রুভাল’ দিতে অস্বীকার করেছিল!
ভ্যাকসিনের জোগান অপ্রতুল, এটাই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। নামী হাসপাতালগুলো থেকেও ভ্যাকসিন সঙ্কটের খবর আসছে। এটাই যদি হয় মেট্রোপলিটন সিটিগুলোর চেহারা, তবে কল্পনা করুন, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি শহরের হাসপাতালগুলোর দুর্দশার কথা। ভাবুন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহর এবং বড় শহরগুলির অবস্থাও। ১৮-৪৪ বর্ষীয়রা যখন হাসপাতালে হাসপাতালে ভিড় জমাবেন ভ্যাকসিনের সঙ্কট তখন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। বেড এবং অক্সিজেনের সঙ্কট নিয়ে এখন চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে ঘেরাওয়ের পালা। ভ্যাকসিনের না-পাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ লোকজন অনুরূপভাবে এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করতে থাকলে অবাক হব না। 
কেউ সবজান্তা নয়     
কেন্দ্রীয় সরকার এমন শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হল কেন? এই সম্পর্কে আমি দীর্ঘ তালিকা পেশ করতে পারি। কারণগুলো সংবাদ মাধ্যমের, বিশেষভাবে, বিদেশি মিডিয়ার খুঁজে বার করা: (এক) ঔদ্ধত্য: মন্ত্রীরা বলছেন, ‘মোদিজি যেভাবে মহামারীকে পরাস্ত করেছেন, পৃথিবী তাকে অভিনন্দিত করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘বিশ্বগুরু’ আখ্যা দিয়েছেন! (দুই) অতিশয় কেন্দ্রীকরণ: সমস্ত সিদ্ধান্ত একজনমাত্র ব্যক্তিই নেবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যগুলোকে অনুগত অধস্তন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। (তিন) পরামর্শদানে দুর্বলতা: ডাঃ পল, ডাঃ গুলেরিয়া এবং ডাঃ ভার্গব—এই ত্রয়ীর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। তবু মনে হচ্ছে, তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীকে নির্ভয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার চেয়ে তাঁরা টেলিভিশনের পর্দাতেই বেশি সময় ব্যয় করে ফেলছেন। (চার) বিচ্ছিরি পরিকল্পনা: পরিকল্পনা জিনিসটা কী, সেটা পরিকল্পনা কমিশন ছাড়া কোনও সংস্থা জানে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে যখন বিচিত্র পরিস্থিতি, ভয়ানক বিপর্যয় এবং অসংখ্য সমস্যাকে একসূত্রে গেঁথে একটা সমাধানে পৌঁছতে হবে। (পাঁচ) ‘আত্মনির্ভর’ কথাটার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ভুল ক্ষেত্রে। ‘সেলফ-সাফিসিয়েন্সি’ জিনিসটাকে  উপলব্ধি করেনি। ফলে কথাটাকে সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদে নামিয়ে আনা হয়েছে। (ছয়) দু’টোমাত্র ভারতীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তোল্লা দেওয়া হয়েছে। অথচ দরকার ছিল উৎসাহ জুগিয়ে এই ‘জাতীয় উদ্যোগে’ আরও কিছু সংস্থাকে শামিল করার। অথবা, প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন আমদানি করে সেগুলো সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতে হতো। 
পথ সামনে জাতি বিরাট মূল্য চোকাচ্ছে। ১ মে’র হিসেবে, সারা দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩। ৩০ এপ্রিল সক্রিয় সংক্রামিতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০-এ। ওই সময়ে মৃত্যুর হার ছিল ১.১১ শতাংশ (সম্ভবত কমিয়ে দেখানো হয়েছে)। সারা পৃথিবীতে দৈনিক নতুন সংক্রমণের যে চিত্রটা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ভারতের অংশ ৪০ শতাংশের বেশি!
এই চরম বিপর্যয় আমরা এখনও রুখে দিতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এবার থামা এবং নতুন উপায়ে পদক্ষেপ করা। স্বাধীনভাবে ভাবনাচিন্তা করতে সক্ষম এমন সর্বাধিক ৯ সদস্যের একটি গোষ্ঠীকে ক্ষমতা দিতে হবে। যে-গোষ্ঠীতে থাকবেন মন্ত্রী, চিকিৎসাশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাকারী এবং রূপায়ণকারী (তাঁরা কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত, সরকারি কর্মচারী কিংবা সুশীলসমাজের অংশ হতে পারেন)। নামকরণ করা হোক এমপাওয়ার্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই গোষ্ঠীকেই পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হোক। ফলাফল কী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শুধু সেটারই মূল্যায়ন করুন। হার্ভার্ডের পাঠ বিশেষভাবে ফলপ্রসূ।  
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
03rd  May, 2021
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM