Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

গেরুয়া আস্ফালনকে দুরমুশ করে ৬৫ বছরের এক জননেত্রীর অসামান্য হ্যাটট্রিক। এবং সেই সঙ্গে প্রাপ্ত আসন দু’শো পার। আবারও অপ্রতিরোধ্য বাংলার নিজের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগজিট পোলের ফটোফিনিশের তত্ত্বকে নস্যাৎ করে বীরদর্পে আবার তিনি নবান্নের ১৪ তলার রাজেন্দ্রাণী। যাবতীয় কুটিল চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে বাঙালির আবেগের সার্থক প্রতিচ্ছবি। আগামী পাঁচবছর তাঁর হাতেই বাংলার ক্ষমতা তুলে দিল রাজ্যের সাড়ে ৭ কোটি ভোটার। প্রমাণিত হল, বাংলার রাজনীতির শেষ কথা কোনও গুজরাতি নয়, নাগপুরের কোনও তাত্ত্বিক নয়, ইন্দোরের কোনও গুন্ডাও নয়, বলবে আদিগঙ্গার কোলে বাংলার সাধারণ ঘরে বেড়ে ওঠা অসীম সাহসী এক মহিলা। সেই অর্থে এই ফল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা বাংলার সোচ্চার প্রতিবাদ। বাঙালির আবেগ ও অস্মিতাকে অটুট রাখার রায়। এই পরাজয়ের নৈতিক দায় মাথায় নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত।
চাপের সামনে হিমালয়ও হেলে, কিন্তু বাংলার নিকনো উঠোন ঘেরা ঘরের মেয়ে দশকের পর দশক উন্নতশির। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপসহীন প্রতিবাদী। অপ্রতিদ্বন্দ্বী অগ্নিকন্যা। তাঁর নিজের কথায় আদ্যন্ত এক ‘স্ট্রিট ফাইটার’। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দিতে পথ প্রান্তর পেরিয়ে আজ তিনি বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল যোদ্ধার আসনে। রাজ্যটাকে বাঁচানোর, পথ দেখানোর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। বিভাজনের নোংরামি নয়, মেরুকরণের বিষ ছড়ানো নয়, বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইয়ে তাঁর অস্ত্র স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী থেকে শুরু করে একের পর এক জনহিতকর উন্নয়ন প্রকল্প। বাঙালি ঘরের মা-বোনেদের সম্ভ্রম রক্ষার ত্রাণকর্ত্রী তিনি। প্রমাণ হল, তাঁকে ভয় দেখানো কোনও চা ওয়ালার বেটার সাধ্য নয়। মোদি-অমিত শাহের পাঠানো বস্তা বস্তা টাকা আর অন্যায়ভাবে তাক করা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে বুক চিতিয়ে তিনি মাঠজুড়ে খেললেন বরাবরের মতো। এবং জিতলেন এক পায়েই। সার্থকভাবেই তিনি বাংলার নিজের মেয়ে।
রবিবার যত বেলা গড়িয়েছে ততই তাঁর অসামান্য হ্যাটট্রিকের ঐতিহাসিক দ্যুতি মনে করিয়ে দিচ্ছিল ছিয়াশির সেই সাড়া জাগানো মারাদোনাকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মুখ থুবড়ে পড়া দেশ দেখল আত্মনির্ভর ভারতের ব্যর্থ ফেরিওয়ালা মোদিজির নৌকা বাংলায় নোঙর করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এই সোনার গাঁয়ে সবাই যে নিজের ঘরের মেয়ের অপেক্ষায়। বর্গী, মেনন, যোগী, ভোগীরা এই মাটির গন্ধ পেতে তাই ব্যর্থ! বহিরাগত ও বেইমানরা ব্রাত্য। সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই থেকে উত্তরপাড়া কিংবা ডোমজুড়ের উচ্ছিষ্ট দলবদলুদের এখানে স্থান নেই। সেই জনসমর্থনের জোরেই অসামান্য এক জয়ের রেশ ছড়িয়ে দিলেন বাংলার রাজনৈতিক সম্রাজ্ঞী। গত চার দশকের সার্থক জননেত্রী, যার নজির নেই গোটা দেশে।
স্রেফ কেন্দ্রের শাসক বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে করোনার ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল, আট দফার নজিরবিহীন নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লক্ষাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মারণ ভাইরাস। এও বাংলাকে মারার আর এক চক্রান্ত। চলেছে পুরনো মামলার ফাইল ঘেঁটে সিবিআই ও ইডির চক্রান্ত সাজানোর যুগলবন্দি। কিন্তু কোনও চাপই তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে একচুল হেলাতে পারেনি। এবং ফল বেরতেই আবারও বিজয়ীর বেশে নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন এই খেলাটা তাঁর কাছে কতটা চেনা। কতটা সহজাত। নিখুঁত পাস, ফ্রি কিক, ব্যাকভলি, একা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে স্বপ্নের দৌড়, গোল মুখে টাইট ফিনিশিং, বাঙালির প্রিয় ফুটবল মাঠের সবক’টা গুণই একে একে চিনিয়ে দিল রাজনীতির ময়দানে তাঁর অসামান্য ক্লাস। পুরো খেলাটার নেতৃত্ব দিলেন হুইল চেয়ারে বসে। বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর মানুষের মন পড়ে ফেলার অদ্ভুত ক্ষমতাটার ধারে কাছে কেউ নেই। সেই প্রত্যয় থেকেই জখম পা নিয়েই চষে বেড়ালেন পাহাড় থেকে সমুদ্র। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে ফিরিয়ে দিলেন একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ। ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন কিছু দলবদলু বেইমানের অশ্লীল খেউড়। ওরা এবার ব্যর্থতার নিকষ অন্ধকারে হারিয়ে যাক, কারণ মীরজাফরও ওদের অবস্থা দেখে আজ অট্টহাসিতে মশগুল! বিশ্বাসঘাতকদের রাজনৈতিক কেরিয়ারে চূড়ান্ত যবনিকা। আর নেত্রী শুধু জিতলেন না, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সামান্য ডেলি প্যাসেঞ্জার বানিয়ে ছাড়লেন। এবং সব বাধা টপকে গোলও করলেন দুরন্ত ভঙ্গিমায়। একবার নয়, দু’বার নয়, পরপর তিনবার তাঁর এই অসামান্য গোল করা দেখেছে বাঙালি। তবে তাঁর এবারের সাফল্য নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক!
২০১১। ২০১৬। ২০২১। তারও আগের আড়াই দশকের প্রতিনিয়ত সংগ্রামের ইতিহাসই বা কম কীসে! জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা তখন মধ্য গগনে, সিপিএমের নামে বাঘে-গোরুতে একঘাটে জল খায়। ঠিক সেই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়েও তাঁদের মোকাবিলা করেছেন রাস্তায় নেমে। সেই সংঘাত থেকেই ঘটে গিয়েছে ২১ জুলাই, নেতাই, নানুর, বানতলা, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের মতো রাজ্য উত্তাল করা একের পর এক ঘটনা। শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন দশকের জগদ্দল বাম শাসনকে একাহাতে উপড়ে ফেলেছিলেন তিনি। ঠিক দশ বছর আগে তাঁর সেই গোলই সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করেছিল রাজ্যটাকে। সেই পালাবদলের পাঁচবছর পর ২০১৬-য় আরও একবার তাঁরই পুনরাবৃত্তি দেখেছিল বাংলা। সেবারও ফের দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে বাংলার মেয়ে। জোট করেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাম -কংগ্রেস জোট।
আর এই একুশে বাংলার রাজনীতির কাঠামোটাকেই যখন সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপি ভেঙে ফেলতে মরিয়া ছিল। আইডেন্টিটি পলিটিক্সের নামে গোটা সমাজটাকে হিন্দু আর মুসলিম আড়াআড়ি দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলেছে সমানে। সেই সঙ্গে টাকার প্রলোভন আর দুর্নীতির ফাইলকে শিখণ্ডি করে তৃণমূলের ছোট বড় নেতাদের ব্ল্যাকমেল ও দল ভাঙানোর খেলা, সবই চলেছে পাল্লা দিয়ে। বাঙালির অস্তিত্বরক্ষার সেই সন্ধিক্ষণে গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় চক্রান্ত ব্যর্থ করে এমন মধুর বদলা, এমন মধুর হ্যাটট্রিক বিশ্বফুটবলের ইতিহাস খুঁড়ে ফেললেও বড় একটা মিলবে না। সেই বিচারে বাংলা তথা ভারতের স্বাধীনতা উত্তর রাজনীতিতে কোনও নারীর এতটা বিরাট ক্যানভাস জুড়ে এমন সাফল্য আর দেখা গিয়েছে বলে জানা নেই। ইন্দিরা গান্ধীকেও আজ যেন মমতার এই সাফল্যের পাশে অনেকটাই খর্বকায় লাগছে। হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও কলকাতা এদিন যত গণনা এগিয়েছে তত সবুজ রঙের আভায় চার দিক ঢেকে গিয়েছে। দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদেও ঘাসফুলের দাপট দেখে বিরোধীরা চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। এককথায় বাংলা আজ প্রকৃত অর্থেই মমতাময়। সবুজ আবেগের সঙ্গে কোথায় যেন মিশে গিয়েছে আমাদের সামগ্রিক অস্তিত্বটাই।
রাজনীতির কঠিন আবর্তে গত প্রায় চার দশক তাঁকে বরাবরই বিজয়ীর মুকুট পরিয়েছে বাঙালি। এবারের লড়াই ছিল নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি কঠিন। কারণ প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদির দখলবাজ কেন্দ্রীয় সরকার। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে না চেনা, বাংলাকে পদে পদে অপমান করা একটা চরম সাম্প্রদায়িক দলের হাত থেকে রাজ্যটাকে শুধু নয়, তার শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বাঁচানোর জীবন বাজি রাখা সংগ্রাম। যুযুধান এই লড়াই সংগ্রামের মোকাবিলা করার যোগ্য আর কে আছেন তিনি ছাড়া। এবং জীবনের এই কঠিনতম ভোটযুদ্ধেও জিতে অসামান্য গৌরবমুকুট তুলে নিলেন তিনি। হাসলেন শেষ হাসি। অতিশয়োক্তি হলেও আবারও বলব, স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন, সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর দপ্তর আর বাকি আধপোয়া বেইমান দলবদলু সবাইকে হাজার যোজন পিছনে ফেলে তুলে নিলেন বিজয়ীর মুকুট। মানচিত্রে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আব্বাস বন্ধু সিপিএম কিংবা অধীরের কংগ্রেসকে। মুসলিম ভোট ভাঙার বামপন্থী ষড়যন্ত্রও চূড়ান্ত ধরাশায়ী।
আজ খুব মনে পড়ছে ১৯৮৪ সালের কথা। সেই ১৯৮৪ সালে আমাদের ‘বর্তমান’ এর আত্মপ্রকাশের প্রায় একইসঙ্গে সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে যাদবপুরে হারিয়ে নেত্রীর জয়যাত্রারও শুরু। সেই সাফল্যই এক অসামান্য বৃত্ত সম্পূর্ণ করল এই একুশ সালের ২ মে। ৩৭ বছর পর। গোটা কেন্দ্রীয় সরকার ও তার প্রধান দুই কাণ্ডারী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ গত একবছর ধরে বাংলা দখলের যে ষড়যন্ত্র রচনা করেছিলেন। গোটা রাষ্ট্রশক্তিকে বেপরোয়াভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইটারের কাছে চক্রান্তটা পরাস্ত হল। মুখোমুখি লড়াই করে তিনি সিপিএমের রক্তচক্ষু উপড়ে ফেলে বাংলাকে নতুন ভোর উপহার দিয়েছিলেন ২০১১-তে। খানাকুল, গোঘাট, আরামবাগে বামেদের একদা মুক্তাঞ্চলে ফুটিয়েছিলেন ঘাসফুল। তারও আগে এআইসিসিকে তোপ দেগে গড়ে তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেটা ছিল ১৯৯৮ সাল। আজ সেই রাজনৈতিক সংগঠনই মহীরুহে পরিণত। এই একুশ সালে তিনি হারালেন বিজেপিকে। রুখে দিলেন নরেন্দ্র মোদির রথ। এই কাজটা একমাত্র তিনিই করতে পারেন এতটা অবলীলায়। একে একে যখন আঞ্চলিক দলগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে তখন গেরুয়া আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশে তিনিই একমাত্র রুখে দাঁড়িয়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে। নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়।
03rd  May, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:04:32 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM