Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সোনার বাংলা গড়তে বিজেপি যখন সংকল্পপত্র প্রকাশ করছে ঠিক সেই দিন রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানাচ্ছে, হ্যাপিনেস ইন্ডেক্সে ভারত বিশ্বের সবচাইতে খারাপ অবস্থায়। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১৩৯ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে। কোন দেশের সরকার তাদের নাগরিককে কতটা সুখে রেখেছে সেটা দেখায় এই হ্যাপিনেস ইনডেক্স। এই সূচক বলে দিচ্ছে দেশবাসীকে ভালো রাখার ক্ষমতা হারিয়েছে মোদি সরকার। 
এবার আসা যাক পরের প্রশ্নে। সোনার বাংলা গড়ার ক্ষমতা কি বিজেপির আছে? দেখা যাক তারা এর আগে কী করেছে। প্রতিটি রাজ্যেই নির্বাচনের আগে বিজেপি এরকম সংকল্পপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানেও একই রকমের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কখনও অসমে বলেছিল মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এনআরসি হবে, কিন্তু শেষে দেখা গেল লক্ষ লক্ষ গরিব হিন্দুর নাম বাদ গেছে নাগরিকের তালিকা থেকে। এখনও বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের। তারপরে তাদের পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে! কেন? অভিযোগ, বেছে বেছে সেখানে হিন্দু বাঙালিদের চাকরি খাওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সোনায় গড়া হবে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় আসার পর তারা যা বলেছিল বা যেভাবে বলেছিল তা পালন করেনি। 
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল, ক্ষমতায় এলে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে দেশের 
সব কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে ঢুকিয়ে দেবে। পেট্রল ডিজেলের দাম, গ্যাসের দাম কমিয়ে দেবে। বছরে দুই কোটি চাকরি দেবে। সাত বছর পর দেখা যাচ্ছে তারা কিছুই করতে পারেনি। উল্টে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ দিন দিন আর্থিক কষ্টে কোণঠাসা, বেকারি বাড়ছে, কর্পোরেট মুনাফার পাহাড় গড়ছে, তাদের দেওয়া হল ইচ্ছেমত ছাঁটাই করার অধিকার। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, গণতন্ত্রের সূচক, মানবাধিকার রক্ষা, মানুষের কাছে সরকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং সামাজিক সম্প্রীতি রাখার কোনও মানদণ্ডেই বিজেপি শাসিত এই দেশ কিংবা তাদের রাজ্যগুলি উন্নতি করেনি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর। খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলি। 
কী করে মানুষ ভরসা করবে বিজেপির প্রতিশ্রুতির উপর? এর উত্তর তো বিজেপি নেতৃত্বকেই দিতে হবে।
বিজেপি সব রাজ্যেই সংকল্পপত্রে লেখে, প্রতিবছর দশ লাখ চাকরি হবে। কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন বসিয়ে মাইনে দ্বিগুণ করা হবে। ছাত্র, যুব, মেয়েদের জন্যও বহু প্রতিশ্রুতি থাকে। সোনার বাংলা গড়তেও সেই একই কথা লেখা হল, যা লেখা হয়েছিল 
ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি জায়গায়। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভোটের পর সেসব কেউ মনে 
রাখে না। অসম, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর চাকরি বাড়ার পরিবর্তে সরকারি সংস্থা বিক্রি শুরু হয়, বন্ধ হয়ে যায় নিয়োগ। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার জানাচ্ছে তারা সরকারি 
পদ কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। যেটুকু থাকবে 
সেটা বেসরকারি এজেন্সি মাধ্যমে সরকারের পদ 
পূরণ করবে চুক্তি ভিত্তিতে! ত্রিপুরায় বলেছিল, প্রতিটা ব্লকে স্কুল কলেজ তৈরি করবে। ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষকদের বেতন বাড়াবে। কিন্তু দেখা গেল, দশ হাজার স্থায়ী শিক্ষকের চাকরিই তুলে দিয়েছে। বন্ধ করে দিয়েছে সাড়ে তিনশ-র বেশি স্কুল। দুই রাজ্যেই বলেছিল মেয়েদের স্কুটি দেবে। একটা সাইকেলও কি দেওয়া হল?
এই হল বিজেপির বিকাশ এবং তা মোদি অমিত শাহের নেতৃত্ব। তাঁরা যদি বলেন বুলেট ট্রেন করবেন, তাহলে রেলকেই বিক্রি করতে শুরু করবেন। যদি বলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়বেন, তাহলে অর্থনীতির মূল মেরুদণ্ড যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা সেগুলিকে বেচে দেবেন। রাম যাত্রার স্টাইলে মোদি বলেন দেশে রামরাজ্য হবে। কোনও দুর্নীতি থাকবে না। ‘‘না খাউনগা, না খানে দুঙ্গা’’। তারপর? ব্যাঙ্ক থেকে একটার পর একটা ঋণ নেওয়ার নামে টাকা লোপাট হবে। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে বলা হল নারী উন্নয়ন, দুর্বলের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। তারপর তো সেখানকার মানুষ দেখতেই পাচ্ছে কীভাবে প্রতিদিন ঘটে চলেছে হাতরাসকাণ্ড, ধর্ষণ, রাস্তায় আগুন দিয়ে ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে দেওয়া, থানায় অভিযোগ জানালে মেরে দেওয়া হয় ধর্ষিতার বাবাকে! মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি সংকল্পপত্রে বলেছিল, করোনা টিকা দেওয়া হবে প্রত্যেককে বিনামূল্যে। ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন তাদের সরকারেই ছিল না কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, এমনকী কোনও স্বাস্থ্যসচিব। ফলে অতিমারী যখন ভয়ঙ্কর তখন মধ্যপ্রদেশে করোনা নিয়ে লড়াইয়ে ছিল না কোনও প্রশাসনের নেতৃত্ব। বেঘোরে প্রাণ গেছে বহু রাজ্যবাসীর। মধ্যপ্রদেশে ভোটের আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেই রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবেন বলেছিলেন। আজ সেই রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলনে পথে নেমেছেন। আরএসএস অনুমোদিত কৃষক সংগঠন দাবি জানাচ্ছে, বিজেপি কেন পালন করছে না তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি? কী করে করবে?! কৃষি উন্নয়নের জন্য বলেছিল চল্লিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। ভোটের পর দেখা গেল মধ্যপ্রদেশ জুড়ে কৃষি উন্নয়নের সরকারি অর্থে গড়া হচ্ছে কৃষি বাণিজ্যের পরিকাঠামো। আদানির মতো কর্পোরেট বড় বড় কোল্ড স্টোরে সস্তায় চাষিদের ফসল কিনে বিশ বছরের জন্য রেখে দিতে পারবে। কিন্তু চাষির কোনও লাভ হবে না। কর্পোরেট চড়া দামে বাজারে তা বেচার সুবিধা পাবে।
এই হল বিজেপি। যাদের বিকাশ মানে কর্পোরেটের লাভ। গরিবের লোকসান। আর ক্ষমতায় আসার জন্য মানুষের কাছে থাকে তাদের দায়হীন প্রতিশ্রুতি। 
শেষ কথা বলি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলার থেকে পিছিয়ে। অবাক হবেন পাঠক, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য জানলে! তাদের তথ্য অনুযায়ী গুজরাত, কর্ণাটক, হরিয়ানার মতো শিল্পোন্নত রাজ্যের থেকে বাংলায় বেকারি কম। বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি সব বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে বেশি। একথা জানাচ্ছে কেন্দ্রের শিল্প ও অর্থনীতির তথ্য। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রক, শিল্প মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, এবং সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট এবং প্রকাশিত রিপোর্টগুলি থেকেই তা জেনে নেওয়া ভালো। কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, অসংগঠিত এরকম ছয়টি গুরত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দেশের সেরা রাজ্য হিসেবে এই মোদি সরকারের কাছ থেকেই পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ক্রমশ পিছোচ্ছে। তাহলে বাংলায় এসে আর কী করবে বিজেপি? ডবল ইঞ্জিনে যদি রাজ্য এতই দৌড়ায় তাহলে প্রশ্ন, ত্রিপুরা, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে বাংলার থেকে ডবল বেকার কেন? বাংলার থেকে সেখানে বেশি দরিদ্র কেন? সেখানকার আর্থিক প্রগতি বাংলার চাইতে কম কেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা এত বেশি কেন? তাই বাংলাকে যারা আরও এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলা গড়বে বলছে, তাদের কি আদৌ সেই বিশ্বাসযোগ্যতা আছে?
স্পষ্টতই বিজেপির গত সাত বছরে কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকারে থাকার যা পারফরম্যান্স তাতে প্রমাণিত হয় যে সোনার বাংলা গড়ে তোলা তো দূর অস্ত, যেটুকু আছে সেটুকুও রাখা যাবে বলেও তাদের নীতি বা দক্ষতা প্রমাণ দেয় না। মোদি যত কথা বলেছেন তারমধ্যে রামমন্দির, তিন তালাক, কাশ্মীর ইস্যুতে ৩৭০ ধারার মতো বিতর্কিত বিষয় ছাড়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উন্নয়নে কোনও কিছু করে দেখাতে পারেননি। গ্যাসের দাম বাড়ছে। যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে, নিজের আয় থেকে সব কিছু কিনে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! এমন নীতির কথাই অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রোজ বলছেন। ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক ইত্যাদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেখানেও তারা  বেসরকারিকরণ করেছে। তাই এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারা সোনার বাংলা গড়বে, না বাংলা বেচে দেবে প্রশ্ন সেটাই। 
লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত
08th  April, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM