Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বহিরাগতদের দিকে
নজর রাখতেই হবে
সন্দীপন বিশ্বাস

প্রস্তাবনা: পটলডাঙায় চাটুজ্যেদের রোয়াকে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে টেনিদা। মন মেজাজ ভালো নেই। চারিদিকে তাকে ঘিরে নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে হাবুল, প্যালা আর ক্যাবলা। টেনিদার কী হয়েছে, তারা বুঝতে পারছে না। হাবুল জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হইসে টেনিদা। অমন মন খারাপ কইরা বইয়া আছো ক্যান?’
টেনিদা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘আমার বাজার গেল রে হাবুল। আমার থেকেও একজন বড় প্লেয়ার এসে গেছেন।’ 
ক্যাবলা বলল, ‘তোমার গুল্পকেও টেক্কা দেয়? তিনি কে গো টেনিদা?’ 
টেনিদা শুধু বলল, ‘আবার নতুন করে ভাবতে হবে? এমন একজন এসে গেছেন, যিনি পুকুরে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, ছেলেবেলায় ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে রেডিওয় নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতেন। তাঁর কাছে সাতের দশকে কম্পিউটার প্রিন্ট মার্কশিটও আছে। হয়তো এরপর শুনব উনি গান্ধীজির ডাণ্ডি অভিযানের সঙ্গী ছিলেন, নেতাজির সঙ্গে সাবমেরিন যাত্রাতেও ছিলেন, শিকাগোয় স্বামীজির বক্তৃতার সময় দর্শকাসনে ছিলেন। যেভাবে খাপ খুলছেন, কোথায় গিয়ে থামবেন, কে জানে? এমন করলে আমার ইজ্জত কোথায় থাকে?’
হাবুল বলল, ‘তুমি কইতাস, নতুন টেনিদা আইয়া পড়সে?’ 
টেনিদা ব্যাজারমুখে বলল, ‘তাই তো মনে হচ্ছে। এভাবে উনি চালিয়ে গেলে আমার বাজারটা কোথায় থাকবে বলতো?’ 
প্যালা বলল, ‘ভয় পেও না, তোমার সঙ্গে আমরা আছি।’
টেনিদা মুখটা ছোট করে বলল, ‘ওঁরও অনেক শক্তি। সঙ্গে অনেকগুলো স্বামী ঘুটঘুটানন্দ আছে, অনেকগুলো শেঠ ঢুণ্ডুরাম আছে। সুতরাং বিদায় পটলডাঙার টেনিদা। তোমার দিন শেষ। ডি লা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক!’
টেনিদা এতদিন আনন্দে এই কথাটা বলত। বোঝা যাচ্ছে ঘোর অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই এখন মহা দুঃখে এমন কথা বলল।
প্রথম পর্ব
সমস্ত ড্রামাবাজির মধ্যে মিটে গিয়েছে ভোটের প্রথম পর্ব। শুরু দ্বিতীয় পর্ব। শুরু হয়েছে পর্দার আড়ালে ভয়ঙ্কর খেলা। বাংলার ক্ষমতা দখল 
করতে খেলছে কেন্দ্রীয় সরকার। খেলছে আজ্ঞাবাহী প্রশাসন।  নিরপেক্ষতার যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন যেসব প্রশাসনিক কর্তাকে সরিয়ে দিল এবং 
পরিবর্তে মনমতো যাঁদের বসাল, তাঁদের নিরপেক্ষতা কি সত্যিই একশো শতাংশ? বিজেপি এখানে সফল হলে ভবিষ্যতে এঁরা কি সরকারের দ্বারা পুরস্কৃত হবেন? সারা বাংলার জনগণের মুখে আজ এই প্রশ্ন। এঁদের নিরপেক্ষতার বিচার করবেন কে এবং কোন নিরিখে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা খোলস 
ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। প্রথম দফার ভোটে কয়েকটি বুথ থেকে অভিযোগ উঠেছে, জোড়াফুলের 
বোতাম টিপলে চলে যাচ্ছে পদ্মফুলে। আগামী কয়েক পর্যায়ের ভোটে এই অভিযোগ বাড়বে না তো? কিংবা বাইরে থেকে বুথ এজেন্ট আনার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা কি সত্যিই প্রশ্নাতীত! তবে কি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গুজরাত থেকে লোকেরা এসে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদ নিয়ে ভোট করবেন? উড়ছে কোটি কোটি টাকা। অন্ধ বিবেক। সাবাস নিরপেক্ষতা!
আজ দ্বিতীয় দফার ভোট। সকলের নজর আজ হাই-ভোল্টেজ নন্দীগ্রামের দিকে।  অভিযোগ, বাইরের রাজ্য থেকে অনেক লোক কিন্তু নন্দীগ্রামে ঢুকে পড়েছে। অমিত শাহের রোড শোয়ে তাদের দেখা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শাড়ি বিলিয়ে, টাকা ছড়িয়ে রোড শোয়ে ভিড় বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সেই জনশক্তিকে কি সত্যিই ভোট বাক্সে টেনে আনা যায়? সেই কাজটাকে সহজ করতে নাকি নন্দীগ্রামে হাজির বহিরাগতরা। বারুদের স্তূপ হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রাম। 
বাংলার মানুষ দেখছেন, একসঙ্গে সবাই হাত মিলিয়ে খেলতে নেমেছেন এক মহিলাকে সিংহাসন থেকে ছুঁড়ে ফেলার জন্য। নেমে পড়েছেন সারা দেশ থেকে জুটিয়ে আনা এক অক্ষৌহিণী সেনা। বাংলায় এত মধু কীসের? বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে না পারলে বিজেপির আটকে যাচ্ছে কোন কোন কাজ? এসব পর্যালোচনা করার শেষ সুযোগ আমাদের সামনে। 
ধর্মীয় মেরুকরণ, ভাষাভিত্তিক মেরুকরণের মধ্য দিয়ে ভোট লোটার ফন্দিকে যদি আমরা আটকাতে না পারি, শুরু হয়ে যাবে বাঙালির পক্ষে এক অন্ধকার যুগ। নিজভূমে পরবাসীর মতো বেঁচে থাকতে হতে পারে। কিছুদিন আগে অবাঙালি অধ্যুষিত বড়বাজারে দাঁড়িয়ে এক বাঙালিকে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য নিগৃহীত হতে হয়েছিল। এই একটি ঘটনাই ভাবাচ্ছে, আগামী দিনে আমরা বাংলায় দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতাটুকু পাব তো? আমাদের পিছনে এখন সিএএ-জুজু রয়ে গিয়েছে। সেই ভয়ঙ্কর আইনটা এখনও শীতঘুমে। এখানে গেরুয়া ঘাঁটি হলেই সেই আইন জেগে উঠবে তার দাঁত ও নখ নিয়ে। বাজারে কিছুদিন আগে এক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘শুনলাম, বাঁকুড়া বা পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প হবে?’ তাঁকে বললাম, ‘না না এমন কিছুই হবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন।’ তাঁকে বললাম বটে, কিন্তু আমরা তো সত্যিই কিছু জানি না। তবে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অসমে যদি অমন কারাগার তৈরি হতে পারে, তবে এখানে বাধা কোথায়? হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত এখানে বাধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিরোধের বাঁধটুকু ভেঙে চুরমার হয়ে গেলে, পড়ে থাকবে শুধুই বিপন্নতা। আজকের এই মিষ্টভাষণ, আজকের যে ইস্তাহারে মধুমাখা প্রতিশ্রুতির বন্যা, সেসব থাকবে তো? ইস্তাহার প্রসঙ্গে ওই ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘স্বপ্নের পোলাওয়ে যত ইচ্ছে ঘি মাখানো যায়, তাতে খরচারও ভয় নেই, আবার বদহজমেরও ভয় নেই।’ তাই বোধহয় বিজেপি এমন ইস্তাহার বানিয়েছে, যা পূরণ করার দায়বদ্ধতা তাদের নেই। কারণ তারা ধরেই নিয়েছে, আসছি না যখন, তখন একটু আতিশয্য না হয় রয়েই গেল। আসলে ওই ইস্তাহার পনেরো লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি, আচ্ছে দিন আনার মতো প্রতিশ্রুতি। টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া জোচ্চোরদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আমাদের যন্ত্রণাদগ্ধ প্রাপ্তির ঘরে জমা থাকে শুধুই শূন্য। ওই মহা-শূন্যের ওপার থেকে কত প্রতিশ্রুতি ভেসে আসে!  
জঙ্গলমহলের ভোটপর্ব শেষ হয়েছে। চলছে নন্দীগ্রামের ভোট। এখন নজর রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে, নজর রাখতে হবে বহিরাগতদের দিকে, নজর রাখতে হবে ইভিএমের দিকে, নজর রাখতে হবে নার্ভাস ভূমিপুত্রদের দিকে। প্রথম দফায় মানুষ ভোট দিয়েছেন উন্নয়নের সপক্ষে। ভোট দিয়েছেন স্বাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে। মানুষের ভোট উৎসবে শামিল হওয়ার উৎসাহ দেখে গেরুয়া শিবির বুঝে গিয়েছে কোথাকার ভোট কোথায় পড়েছে। তাই কি আক্রোশে পরদিনই গ্রেপ্তার করা হল ছত্রধর মাহাতকে? জানি না, আর কত আক্রোশ জমা রয়েছে! মনে হচ্ছে, বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যটা এখন প্রধানমন্ত্রীর পদের থেকেও লোভনীয়। 
দ্বিতীয় পর্ব
রাজনীতির আকাশে নতুন তারা আব্বাস সিদ্দিকি। কোথায় ছিলেন, কোথা থেকে এলেন? পিছনে স্পনসর কে? কার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে হঠাৎ করে আসরে নামলেন তিনি? সত্যি এসব জানা দরকার।  
একটা অঙ্ক কষলেই হিসাব কিন্তু পরিষ্কার। বিজেপির হিসাবমতো তাদের হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক কিছুটা মজবুত। সুতরাং মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে হবে। সেই লক্ষ্যে আনা হল আসাদুদ্দিন ওয়াইসির মিমকে। কিন্তু বিহারে মিম যতটুকু সাফল্যই পাক না কেন, এখানে সে খাপ খুলতে পারবে না। হিন্দিভাষী মুসলিম এবং বাংলাভাষী মুসলিমের মধ্যে সংস্কৃতিগত আকাশপাতাল ফারাক। এটা বোঝার পরই পর্দার আড়াল থেকে নামানো হল কি সিদ্দিকিকে? বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোট হলে মোটামুটি একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। অর্থাৎ আব্বাস যে বিজেপির হয়ে খেলছেন না, সেটা প্রমাণ করা সহজ হবে। সুতরাং এবারের নির্বাচনে আব্বাসের ছদ্ম-লড়াই অক্সিজেন জোগাবে বিজেপিকেই। কিন্তু আজকের বাঙালি মুসলিমরা অনেক বেশি সচেতন। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখছেন। সমাজে তাঁরা অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন। আজ শুধু ধর্মীয় ভাবাবেগের অঙ্গুলিহেলনে তাঁদের বশ করা যাবে না। তাঁরা জানেন, আব্বাসকে ভোট দিলে রাজ্য কতটা সুরক্ষিত এবং সেই ভোটটা মমতাকে দিলে তাঁরা নিজেরা কতটা সুরক্ষিত। মমতার পতন হলে রাজ্যের চলার পথ যে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যাবে, সেটা তাঁরা ভালোমতোই জানেন। 
তাই এবারের ভোট কোনও ধর্মীয় আবেগের নয়, এবারের ভোট কোনও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার নয়, এবারের ভোট প্রতিশ্রুতির লোভে বশবর্তী 
হয়েও নয়। এবারের ভোট  উন্নয়নের, এবারের 
ভোট বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিতে বাঁচিয়ে রাখার, এবারের ভোট আমাদের জন্য তৈরি কোনও 
অদৃশ্য মৃত্যুশয্যাকে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার। বাংলার মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি.......।
01st  April, 2021
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM