Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসঘাতকদের সবক
শেখাবে নন্দীগ্রামই
ব্রাত্য বসু

দশ-এগারো বছর পর নির্বাচনের কাজে নন্দীগ্রামে এলাম। শেষ এসেছিলাম সেই ২০১০-এ। গোকুলনগরের এবারের নির্বাচনী জনসভায় আমাকে এ তথ্য মনে করালেন স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন গুড়িয়া। স্বপনবাবুর বাড়ির উঠোনেই  নাকি বসেছিলাম। আমাকে স্বপনবাবু স্থানীয় বেশ ভালো দরের মুড়ি খাইয়েছিলেন। আমার সঙ্গে ছিলেন শেখ সুফিয়ান। আসলে ২০০৯ থেকে ২০১০—প্রায়ই এসেছি নন্দীগ্রামে। ২০০৯-এর ১৪ মার্চ, অর্থাৎ সেই ভয়ঙ্কর দিনটির পর থেকে। টেলিভিশনে ওই হার্মাদ বাহিনী আর পুলিসি সন্ত্রাস তথা গুলি চালানোর পর আমরা অনেকেই সময়ের ডাকে নেমেছিলাম রাস্তায়। সেই আন্দোলন এখনও খ্যাত হয়ে আছে ‘নন্দীগ্রাম-আন্দোলন’ নামে। প্রথমে সিঙ্গুর আর পরে নন্দীগ্রাম, সিপিএমের জোর জবরদস্তি জমিদখল ও জুলুমবাজির (নন্দীগ্রামে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল বাম সরকার) চরম নিদর্শন। ২০০৬ সালের মে মাসে শপথ নিয়েই তৎকালীন বাম-মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রথমে টাটা গোষ্ঠীর হাতে সিঙ্গুরের তিন ফসলি জমি তুলে দিতে চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন জুলাই মাসে ইন্দোনেশিয়ার সালিম গোষ্ঠীর হাতে নন্দীগ্রামের পেট্ররসায়নের জন্য জমি তুলে দিতে। অথচ, এককালে টাটা-বিড়লা-গোয়েঙ্কার ঘোর শত্রু ছিল বামেরা। আমাদের (তখন আমরা অনেকেই সরাসরি রাজনীতির মঞ্চে নেই) বক্তব্য খুব স্পষ্ট ছিল। শিল্প হোক ভালো কথা, কিন্তু অধিকাংশ কৃষক যদি জমি দিতে অনিচ্ছুক থাকেন, তবে জুলুমবাজি আর পুলিসের বন্দুকের নল উঁচিয়ে জমি নেওয়া যাবে না। সালিম গোষ্ঠী নাকি মোট ৪১ হাজার একর জমি চেয়েছিল। তার মধ্যে ১২,৫০০ একর ছিল শুধুই নন্দীগ্রামে। আর স্পষ্ট করে বলা যায়, প্রায় পুরোটাই নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকে, যা ছিল জমিরক্ষা আন্দোলনের আঁতুড়ঘর।
২০০৭-এর জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন, আর গুলি চলেছিল ১৪ মার্চ। সেদিনই দুপুরে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাংলার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যাবেলায় সিপিএম পথ অবরোধ করে তাঁকে আটকাল চণ্ডীপুরের মোড়ে। চণ্ডীপুরের মোড় থেকে নন্দীগ্রাম মাত্র ১২-১৫ কিমি দূরে। গালিগালাজের বন্যা বয়ে গেল। অকুতোভয় মমতাদি প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ওই প্রবল গালিগালাজ ও অবরোধের মধ্যে গাড়িতে ঠায় বসে রইলেন। অবশেষে রাত্রিবেলা সেদিন কোনওরকমে তমলুকের এক সাধারণ হোটেলে রাত কাটালেন বাংলার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু অপ্রতিরোধ্য মমতাদি পরদিন সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টা নাগাদ আবার রওনা দিলেন নন্দীগ্রামের দিকে। তাঁর গাড়ি আবার সিপিএম আটকাল নন্দীগ্রামের ২ নম্বর ব্লকে হাঁসচড়ায়। সেখানে সিপিএম তার মহিলা ব্রিগেডকে এগিয়ে দিল। আবার অবরোধ। সেই অবরোধ ভেঙে মমতাদি এগলেন। এবার রেয়াপাড়া। সেখানেও সেই একই অবরোধ, গাড়িতে কিল-চড়-ঘুষি ও অকথ্য গালিগালাজ। সঙ্গে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে দেওয়া। কিন্তু মনোবল অটুট রেখে চোয়াল শক্ত করে দু’জায়গাতেই প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়িতে বসেছিলেন মমতাদি। টেঙ্গুয়া মোড় পর্যন্ত মমতাদির গাড়ি সেই কুৎসিত অবরোধ ভেঙে প্রায় ফুঁড়ে বেরল। মমতাদি যেই নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকে ঢুকলেন, সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার আর্ত, অত্যাচারিত, মার-খাওয়া অসহায় নারী-পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর কাছে সাহায্য পাওয়ার জন্য। প্রায় সকলেই হাউ হাউ করে কাঁদছেন। সেই অবস্থায় মমতাদি তাঁদের সান্ত্বনা দিলেন, অনেক মহিলাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। তারপর সোজা নন্দীগ্রাম বাজার, নন্দীগ্রাম থানা, বিডিও অফিস পেরিয়ে ঢুকে গেলেন নন্দীগ্রাম হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বর তখন জনসমুদ্র। সেখানে প্রতিটি আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বললেন। গুলি-খাওয়া, মার-খাওয়া, ভোজালির কোপ-খাওয়া মানুষকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জননেত্রী। প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। সেই অবস্থাতেও প্রতিটি জখম মানুষের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। আর সেইদিন থেকেই ঢুকে পড়লেন নন্দীগ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। না, এই পুরো সময়টায় সেদিন মেদিনীপুরের কোনও ‘পরিবার’ বা ‘গড়’-এর কেউ তাঁর সঙ্গে ছিল না। সন্ধ্যায় যখন অসুস্থ মমতাদি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে নন্দীগ্রাম থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তখনও না। অথচ সেদিন মমতাদির ওই একক অভিযান হার্মাদদের মনোবল পুরো ভেঙে দিয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে গিয়েও মমতাদির প্রতি নন্দীগ্রামবাসীর সেই আবেগ স্পষ্ট অনুভব করছিলাম। সকলে মুখে মুখে বলছে, ‘আমাদের জীবনদাত্রী ঘরের মেয়ে মমতা’। ২০০৭ সালের ১৪ ও ১৫ মার্চ মমতাদির ওই আন্দোলনের গর্ভগৃহে পৌঁছে প্রতিটি অত্যাচারিত মানুষের পাশে সমবেদনা ও সহানুভূতি নিয়ে দাঁড়ানো, নন্দীগ্রামবাসী এখনও ভুলতে পারেনি। আমিরুল মণ্ডল নামে এক বয়স্ক কৃষক ২০০৯-এ আমাকে নন্দীগ্রামে বসে বুঝিয়েছিলেন, ২০০৭-এর মার্চ মাসে মমতাদির ওই টর্পেডোর মতো নন্দীগ্রাম অভিযান আসলে উত্তুঙ্গ হয়ে উঠে পরিণতি পেয়েছিল আঠারো মাস বাদে ২০০৮-এর  ১১ মে মাসের পঞ্চায়েত ভোটে। গোটা এলাকা জুড়ে সেদিন তৃণমূলের একটা ফ্ল্যাগ, ব্যানার বা ফ্লেক্স ছিল না। তার আগে নন্দীগ্রামে বিরাট সমাবেশ করলেন জননেত্রী। ২০০৮-এর ৯ মে। সেদিন তিনি প্রথম গিয়েছিলেন, তাঁর সেদিনের আন্দোলনের সাথী, এবারের তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বাড়িতে। সেদিন কেউই বুঝতে পারেনি দু’দিন বাদে জনরোষ ব্যালটবক্সে ঢুকে সিপিএমকেই আগামী দিনে নন্দীগ্রাম থেকে হাওয়া করে দেবে। তথাকথিত যে প্রভাবশালী পরিবার এখন লম্বা-চওড়া কথা বলে, সেদিন তারা অর্থাৎ ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটা তৃণমূলের পতাকা পর্যন্ত লাগাতে পারেনি, বুথে একজন এজেন্ট পর্যন্ত বসাতে পারেনি, তারাও অবাক হয়ে সেদিন দেখল মমতা-ক্যারিশমা। তৃণমূল কংগ্রেস জেলাপরিষদ আর পঞ্চায়েত সমিতি তো দখল করলই, আর তুমুল শক্তিশালী, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী সিপিএমের মুখে ঝামা ঘষে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৪টি আসনের মধ্যে জিতে নিল ১৪০টি আসন। মোট ১৬টি পঞ্চায়েতই পেল তৃণমূল। সিপিএম পেল মোটে একটি। 
আমিরুল আমাকে বলেছিলেন, ভোটে জেতার জন্য এলাকায় পারিবারিক আধিপত্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সন্ত্রাস, সাংগঠনিক শক্তি, অঢেল টাকা এগুলো কিছুই শেষপর্যন্ত কাজে আসে না। কাউকে শিক্ষা দেওয়ার দরকার হলে, নন্দীগ্রামবাসী সেদিন বুঝিয়ে দিয়েছিল শুধুমাত্র জেদ আর আবেগ সম্বল করে সেই শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। আমিরুল বললেন, নন্দীগ্রামবাসী সেদিনের মতো এবারও অর্থাৎ ২০২১-এর নির্বাচনেও বিজেপিকে সেই শিক্ষাই দেবে। কিন্তু কেন দেবে? ১০ বছর আসিনি নন্দীগ্রামে। ২০১১-র পর থেকে আমরা, যারা আন্দোলনে অল্পবিস্তর শামিল হয়েছিলাম, তাদের আর কোনওদিন ডাকা হয়নি। না, কাউকে নয়। শিল্পী শুভাপ্রসন্ন থেকে শুরু করে নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র বা কবি জয় গোস্বামী আর নন্দীগ্রামে পা রাখতে পারেননি। গোটা এলাকা জুড়ে মিথ্যার বেসাতি ছড়ানো হয়েছিল, আন্দোলনটি ছিল নাকি একটি নির্দিষ্ট পরিবারের। অথচ ১৪ এবং ১৫ মার্চ, ২০০৯, গুলি খেয়ে যখন কলাগাছের মতো একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছেন, তখন ঠিক কোন কুঞ্জে শান্তিতে ছিলেন যেন ওঁরা? আমিরুল মণ্ডলের সঙ্গে এবার দেখা হল না। দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম নিশ্চয়ই।
যে প্রশ্ন এবার দেখা না-হওয়ায় আমিরুলকে করতে পারিনি, তার উত্তর দিলেন ভেকুটিয়া পঞ্চায়েতে এক বক্তৃতায় স্থানীয় নেত্রী যশোদা গিরি। সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন মহিলা। তিনি তাঁর বক্তৃতায় বললেন, গত ১০ বছরে যেভাবে সুন্দর হয়ে গিয়ে বদলেছে মহিষাদল বা এগরা, স্থানীয় বিধায়কের চেষ্টায় দৃশ্যগতভাবে বদলে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক বিধানসভা অঞ্চল, সেখানে নন্দীগ্রামের সেই কেন্দামারি, গড়চক্রবেড়িয়া, সোনাচূড়া, অধিকারীপাড়া, ভাঙাবেড়া বা কালীচরণপুর, সেই এক মজা খাল, গ্রামের ভেতরে সরু ভাঙাচোরা রাস্তা, ঘাসঝোপ আর গজালওয়ালা দেয়াল। মূল রাস্তাগুলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টায় ঝাঁ-চকচকে, কিন্তু গ্রামের ভেতরের রাস্তাগুলোর এমন বেহাল দশা কেন? যশোদা বলছিলেন, গত পাঁচ বছরে নিষ্কর্মা বিধায়কের কোন কাজ না করা, নাম-কা-ওয়াস্তে দু’-একবার এসে হয় মিঠে কথা নয় ধমকানি-চমকানি ছাড়া আর কোন কাজ না করার কথা। যশোদা গিরি-ই তাঁর বক্তৃতায় বলছিলেন, মেদিনীপুরের মাটি বিশ্বাসঘাতকতা পছন্দ করে না। এই বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে গোটা নন্দীগ্রাম গরম হয়ে আছে। বিশ্বাসঘাতককে সবক নাকি তারা শেখাবেই। বক্তৃতার শেষে কর্মীদের মাঝে বসে চা খেতে খেতে পুরনো বিশ্বাসঘাতকতার আর এক গল্প মনে করালেন বয়াল থেকে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা সুনির্মল মুখোপাধ্যায়। সুনির্মল বলেছিলেন, ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে প্রথম জমি অধিগ্রহণের কথা মিটিং করে বলেছিলেন তৎকালীন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। পরদিন সিপিএমের মুখপত্রে তা ফলাও করে বেরয়। অথচ ২০০৯-এর জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিপিএমের স্থানীয় কৃষক ও সিটু নেতারা বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ হবে না, বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্মণ শেঠের সেই বক্তৃতা সব জল্পনার অবসান ঘটাল। তিনদিন বাদে শুরু হল স্থানীয় মানুষের নেতৃত্বে সেই ঐতিহাসিক আন্দোলন। বিশ্বাসঘাতকদের কাউকে ছাড় দিল না নন্দীগ্রাম। লক্ষ্মণ শেঠ নির্বাচনে হেরে ভূত হয়ে গেলেন। ১৪ মার্চের সন্ধ্যাবেলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই একক অভিযান, নন্দীগ্রামবাসীদের মনে যে নতুন অক্সিজেন সঞ্চার করল, তাই-ই আবার নতুন বৃক্ষ রোপণ করছে নন্দীগ্রামে। যশোদা তাঁর বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করছিলেন যে, নন্দীগ্রামের এই মজা, মলিন, মান্ধাতার চেহারাটাও আস্তে আস্তে তমলুক, মহিষাদল বা দীঘার মতো হয়ে উঠবে, যদি বাংলার আগামী মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এখানকার বিধায়ক হন। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি এক লহমায় ম্যাজিকের মতো বদলে দেবে নন্দীগ্রামকে। 
মিটিংয়ের পর চা খেতে খেতে সুনির্মল নিচু গলায় পুরনো দিনগুলোর কথা কিছু কিছু বলছিলেন। তাঁর ভয় হচ্ছে, কারণ আবার সিপিএমের মতোই নন্দীগ্রামের এবারের বিজেপি প্রার্থীর গলায় সেই ১০-১২ বছর আগের মতো কর্মসংস্থানের মেকি কথাগুলো শোনা যাচ্ছে। তার মানে কি গুজরাতি ব্যবসায়ীদের হয়ে আবার সেই জমিদখল? আবার সেই হাজার হাজার একর জমি জোর করে, পুলিসের বন্দুক উঁচিয়ে কাড়তে আসা? আবার সেই রাস্তা কাটা, পুলিসের জিপ পোড়ানো আর গাছের গুঁড়ি উল্টে রাস্তা বন্ধ করে মুক্তাঞ্চল তৈরি করার সেইসব দমবন্ধ করা দিনগুলি ফেরত আনা? সুনির্মল তারপর জোর গলায় বললেন, গুজরাতি বানিয়াদের সেইসব এজেন্টের জামানত জব্দ করবে নন্দীগ্রাম। ইতিহাস সবসময় মানুষের পক্ষে থেকেছে, মানুষ-বিরোধী, আত্মস্বার্থ-বোঝা বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে নয়।
 লেখক রাজ্যের মন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
31st  March, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM