Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। 
আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। এই কথাটি মাথায় রাখলে বলা যায় যে, যাদের ‘অধিকার’ নেই সেই বিদেশিরা ভারতকে শাসন করেছে অথবা দেরিতে আসা স্বাধীনতা থেকে ভারতীয়দের তারা বঞ্চিত করেছে।
তার শতাধিক বছর বাদে একটি সার্বভৌম ভারত রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ধারণাটি ভারতের মাটিতে অঙ্কুরিত হয়। ১৯০৬ সালে কলকাতা কংগ্রেসে দাদাভাই নৌরজি ‘স্বরাজ’-এর দাবি উত্থাপন করেন, কিন্তু সেটি ছিল সীমিত পরিসরে স্বশাসনের (লিমিটেড সেলফ-গভর্নমেন্ট) চাহিদা। ১৯১৬ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক এবং অ্যানি বেসান্ত ‘হোম রুল’-এর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীনে ভারতবাসীর জন্য ‘ডোমিনিয়ান’ স্টেটাস চাইলেন। একমাত্র ১৯২৯-এ অনুষ্ঠিত লাহোর কংগ্রেসে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। 
স্বাধীনতা অর্জনের পথে ভারত বিশেষভাবে গ্রহণ করেছে ফ্রান্স এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ধারণাকে। ফরাসি বিপ্লবের রণধ্বনি—‘স্বাধীনতা, সাম্য এবং সৌভ্রাত্র’ আমাদের ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল। ভারতীয় মনকে আরও নাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ক বিবৃতিটি—‘সব মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে একান্ত কিছু অধিকারেও সমৃদ্ধ করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে—জীবন, স্বাধীনতা (লিবার্টি) এবং সুখের সাধনা।’ এর মধ্যে সবচেয়ে প্রার্থিত শব্দটি হল ‘স্বাধীনতা’ (লিবার্টি)।
স্বাধীনতার উপর আক্রমণ
ভিন্নমত অথবা প্রতিবাদ কিংবা অমান্য করার প্রতিটি কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অতীতে কখনও এতটা নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৭) ‘রাজনৈতিক’ বিরোধীরাই শুধু টার্গেট বা লক্ষ্য ছিল। কিন্তু এখন টার্গেট তো সমস্তরকম ভিন্নমতের কণ্ঠ—সে হতে পরে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত ভিন্নমত। সিংঘু এবং টিকরির কৃষকরা জনবিরোধী কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের প্রতিবাদটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু নয়। তবু সরকারি তদন্তকারী এজেন্সিগুলির মাধ্যমে কৃষকদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। দলিতদের উপর সংঘটিত অপরাধ, বৈষম্য সৃষ্টি, জিনিসের দাম বৃদ্ধি, তথ্য দিতে অস্বীকার, দূষণসৃষ্টিকারী, পুলিসের বাড়াবাড়ি, একচেটিয়া কারবার, স্বজনপোষণ (ক্রোনিইজম), শ্রমিকদের অধিকার নস্যাৎ, সর্বনাশা অর্থনীতি এবং এই ধরনের অন্য অন্যায়গুলির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী কণ্ঠ জাগ্রত রয়েছে। প্রতিটি ভিন্নমত অথবা প্রতিবাদী কণ্ঠকে বিজেপি সরকারের বিরোধী বলে গণ্য করা হয় এবং সেগুলি দমন করার চেষ্টা হয়।
কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করছিলেন দিশা রবি। কিন্তু তিনি কোনও রাজনীতির গোঁড়া সমর্থক নন। তবু তাঁকে রাষ্ট্রের শত্রু দেগে দেওয়া হয়েছে। দিশার আগে সিধিক কাপ্পান নামে এক সাংবাদিক সরকারের রোষে পড়েছিলেন। হাতরাসে ধর্ষণের পর নিহত মেয়েটির উপর একটি প্রতিবেদন লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকে দেগে দেওয়া হয়েছিল। যেসব ছাত্রছাত্রী এবং মহিলা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁদের ‘টুকরে টুকরে’ গ্যাং বলা হয়েছিল। এই বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, তাঁরা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য বিপন্ন করার চেষ্টায় আছেন। নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে লড়াই করছিলেন একদল শ্রমিক। তাঁদের সমর্থন করেছিলেন নোদীপ কাউর নামে এক মহিলা। তাঁকে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা এবং খুনের চেষ্টার চার্জ আনা হয়েছে। যে জোকটা করাই ‘হয়নি’ তার জন্য মুনাবার ফারুকি নামে এক কমেডিয়ানকে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার চার্জ আনা হয়েছে। স্বাধীনতার প্রতিটি দিকের উপর আঘাত হানা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সেগুলি বেশ স্পষ্ট।
নির্বিকার দর্শক
আদালত—বিশেষত নিম্ন আদালত নির্বিকার দর্শক, তারা রুটিনমাফিক গ্রেপ্তারে অনুমোদন দিচ্ছে এবং বুদ্ধির প্রয়োগ ছাড়াই ধৃতদের পুলিস হেফাজত অথবা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। দেশের অপরিবর্তনীয় আইন (সেটেলড ল’) অনুসরণ করা হয়নি। রাজস্থান রাজ্য বনাম বালচাঁদ মামলায় বিচারপতি কৃষ্ণ আয়ার ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘সাধারণ নিয়ম সম্ভবত এটা হতে পারে যে জেল নয়, মার্জিতভাবে জামিন মঞ্জুর করা...’। মনুভাই রতিলাল প্যাটেল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছে, ‘তিনি তাঁর বুদ্ধি খাটিয়ে ঠিক করবেন—পুলিস হেফাজতে পাঠানোর যৌক্তিকতা কিছু আছে কি না অথবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে গ্রহণের কোনও যৌক্তিকতা আছে কি না কিংবা কোনও ধরনের হেফাজতে গ্রহণের প্রয়োজন আদৌ নেই।’ এই রুলিংগুলি থাকা সত্ত্বেও আদালতগুলি মানুষকে সানন্দে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
হেফাজতে গৃহীত (আন্ডার-রিমান্ড) এবং বিচারাধীন (আন্ডার-ট্রায়াল) বন্দিদের কাহিনিটা হল নির্লজ্জভাবে স্বাধীনতা লঙ্ঘনের। মাসে একবার কী দু’বার বন্দিদের আদালতে হাজিরার দিন পড়ে। অন্যথা হবে না, নিম্নোক্ত ব্যাপারগুলির মধ্যে একটি ঘটবেই: তদন্তকারী অফিসার গরহাজির থাকবেন অথবা সরকারি আইনজীবী গরহাজির হবেন অথবা বাদীর (মামলাকারী) সাক্ষী আদালতে এসে পৌঁছতে পারবেন না অথবা মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত হয়ে উঠবে না কিংবা বিচারক সময় দিতে পারবেন না অথবা বিচারক সেইসময় ছুটিতে থাকবেন। আর একটি ‘ডেট’ নিয়ে বন্দি ফিরে যাবে জেলে এবং তার বিচারের আশা ফিকে হয়ে আসবে। উচ্চ আদালতগুলিতে এই সমস্যা যে খুব কম তেমন নয়: হাইকোর্টগুলিতে ও সুপ্রিম কোর্টে জামিনের হাজার হাজার আবেদন ঝুলে রয়েছে এবং একবারের শুনানিতে আবেদনের নিষ্পত্তি বিশেষ একটা হয়ও না। আমি দেখেছি, জামিনের প্রতিটি আবেদনের ক্ষেত্রে এসব হয়ে থাকে তদন্তকারী সংস্থাগুলির (পুলিস, সিবিআই, ইডি, এনআইএ প্রভৃতি) একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে।
আশ্বস্ত করার রায়
একজন অর্ণব গোস্বামী তাঁর শিক্ষা পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট (বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে ‘স্বাধীনতার বঞ্চনা একদিনের জন্যে হলেও, ওই একটি দিনই অনেকখানি।’ আমি খুশি যে আরও অনেক বিচারপতি গোঁয়ার-গোবিন্দ তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরোধিতাকে আর রেয়াত করছেন না এবং তাঁদের বিবেচনা থাকছে স্বাধীনতার পক্ষে। ভারভারা রাও মামলায় বম্বে হাইকোর্ট ৮২ বছর বয়সি কবিকে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে। দিশা রবি মামলায় বিচারক রানা গণতন্ত্রের মর্মবস্তুর উপরেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন: ‘মতের অমিল, বৈসাদৃশ্য, ভিন্নতা, ভিন্নমত পোষণ অথবা তার জ঩ন্যে অননুমোদনও, রাষ্ট্রীয় নীতিতে বস্তুনিষ্ঠতা সঞ্চার করার পক্ষে এক স্বীকৃত আইনি উপায়।’
যেহেতু আদালতগুলি স্বাধীনতা বা মুক্তি (লিবার্টি) বজায় রাখার পক্ষে, আমি অনুভব করছি যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়েছে, এবং কারান্তরালে যাঁরা মনোকষ্টে কাটাচ্ছেন, হতে পারে তাঁরা মুক্তির নিশ্বাস নিতে পারবেন।
 লেখক সংসদ সদস্য এবং ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
01st  March, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM