Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কর্পোরেট তোষণের ফলেই তেল অগ্নিমূল্য
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় 

সরকার যদি নিজেই দাম বাড়ায়, তাহলে পেট্রল ডিজেলের দাম কমবে কী করে? জ্বালানির দাম নিত্য  বাড়ছে। স্বাধীন ভারতে এটা রেকর্ড যে পরপর নয়দিন দাম বাড়ল। গত দেড় মাসে ২১ বার দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের, এবং একমাসের মধ্যে দু’বার গ্যাসের দাম বাড়ল ৫০ টাকা করে। কিন্তু কেন? এর জন্য দায়ী সরকারের অর্থনীতি চালানোর ভ্রান্ত দর্শন। রাজকোষের ভারসাম্য রাখতে তাই বারবার ব্যর্থ হয় সরকার, এবং সেই ব্যর্থতা ঢাকতে কেবলই জ্বালানির উপর কর বসিয়ে আয় বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করে । সব মিলিয়ে সরকারের এই ভুলের গুনাগার দেয় জনগণ।
দরকার ছিল এই ভুল নীতি বদলের। কিন্তু সেটা না করে ভুলকে আড়াল করতে সরকার বলে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাম বাড়লে আমরা কী করব? কথাটা অর্ধসত্য। তথ্য দিলেই বোঝা যাবে। মানুষ যে দামে পেট্রল ডিজেল কেনে, তার মধ্যে ৬০-৬৩ শতাংশ হল সরকারের শুল্ক। এক্সাইজ ও ভ্যাট পেট্রলের উপর ৬৩ শতাংশ, ডিজেলের উপর ৬০ শতাংশ। তার মানে, বাকি যে প্রায় ৪০ শতাংশ থাকল, সেটার কিছুটা বিদেশ থেকে কেনার খরচ, বাকি তার পরিশোধন, আনা-দেওয়া-পৌঁছনো-মজুত করা, বিক্রির উপর ডিলারের প্রাপ্য কমিশন ইত্যাদি।
এসবের পরিমাণ আলাদা আলাদা করে দেখলে বোঝা যাবে যে সরকারের করের চাইতে বাকি সব ফ্যাক্টর অনেক কম। তাই ওইসব খরচের জন্য এত দাম বাড়ে না, দাম আসলে বাড়ে সরকারের শুল্ক ও করের জন্য। আর এর জন্য দায়ী মোদি সরকারের ভুল নীতি। কতখানি  দায়ী এই সরকার? আর কতটা দায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি?  সেটা তুলনা করে দেখলেই বোঝা যাবে।
২০১৪ সালে যেদিন মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন সেদিন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ছিল
ব্যারেল প্রতি ১১০ মার্কিন ডলার। আজ সেই দাম কমে গিয়ে হয়েছে ৬৫ মার্কিন ডলার! তাহলে তো দেশে অন্তত মোদির কথা অনুযায়ী পেট্রল, ডিজেলের দাম কমে যাওয়ার কথা। তার বদলে সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত পেট্রলের দাম বাড়ল ২৬ শতাংশ, ডিজেল ৪২ শতাংশ। কেন? 
২০১৪ সালে ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার সময় মোদি সরকার দামবৃদ্ধির পুরোটাই জনগণের কাঁধে ঠেলে দিয়ে মূল্যের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিল। একই কাজ করেছিল কংগ্রেস, তবে সেটা পেট্রলের উপর। তাতে পেট্রল চালিত গাড়ির মালিকের উপর চাপ পড়ত। কিন্তু মোদি ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ানোর রাস্তা করে দিলেন। কারণ ডিজেলের দামবৃদ্ধি মানে সব ক্ষেত্রে দামবৃদ্ধি। একই সঙ্গে মোদি সরকার জানিয়েছিল, ডিজেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে এই দেশেও কমবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর  সরকার রাখেনি।।
পরের প্রশ্ন,  এখন তো কমেছে বিদেশে তেলের দাম, তাহলে ডিজেলের দাম দ্বিগুণ হল কী করে? করোনা আক্রান্ত অর্থনীতিতে গোটা বিশ্বে লকডাউনের সময় তেলের দাম একেবারে জলের চাইতেও সস্তা হয়ে গিয়েছিল। বলতে গেলে কোনও চাহিদাই ছিল না। তখনই সরকার মার্চ থেকে অক্টোবরের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে—পেট্রলে ও ডিজেলে লিটারে ১৫ থেকে ১৭ টাকা হারে। বিশ্বজুড়ে যেখানে তেলের চাহিদা নেই, জোগান এত বেশি যে উপচে পড়ছে তেল রাখার সমস্ত ট্যাঙ্কার, সেখানে অর্থনীতির নিয়মেই দাম কমবে, এটাই স্বাভাবিক। সেই সময়েও এদেশে সরকার দাম বাড়িয়ে গিয়েছে। কারণ কী? সরকার চালানোর খরচ তুলতে তেলের উপর কর চাপানো হয়। কর্পোরেটের করছাড় হোক, আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়াতে হোক, পরিকাঠামো তৈরি হোক কিংবা যুদ্ধ বিমান কিনতে হোক, রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে সরকারের কাছে চটজলদি উৎস হল রাতারাতি তেলের উপর কর চাপিয়ে দেওয়া। এই নীতির বিসর্জন না দিলে এভাবে এদেশে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়তেই থাকবে।
সরকারের এই ভুল নীতি ঢাকতে ফাটা রেকর্ডের মতো বারবার বলা হয় যে—আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে! তাহলে সরকার কী করবে? সরকারের অনেক কিছু করার ছিল। তেলের দাম নিয়ে সরকারের বা সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বা নীতি আয়োগের পরামর্শ কোনওটাই সরকার মানে না। তেলের দাম বিকেন্দ্রীকরণের সময় বলা হয়েছিল যে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও পেট্রল ডিজেলের
দাম কমানো হবে। কিন্তু সেটা খুব কমই হয়,
হলেও সেটা খুব কম পরিমাণে হয়। উদারনীতি চালুর পর ঠিক হয়েছিল, একটা বিশেষ তহবিল তৈরি
করা হবে। তেল আমদানির পর পরিশোধন করে লিটার পিছু দাম নির্ধারণ করার সময় যদি দেখা যায় দাম বাড়ছে, তাহলে অয়েল পুল থেকেও অর্থ বরাদ্দ করে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করবে সরকার। এটাই সরকারি সিদ্ধান্ত। তার জন্য একটা অয়েল পুল অ্যাকাউন্ট আছে অর্থমন্ত্রকের। একটা পদ্ধতি আছে সেখান থেকে টাকা নিয়ে বিদেশের বাজারে বর্ধিত খরচ মেটানোর, যাতে তেল কেনার খরচ বাড়লে জনগণের উপর চাপ না পড়ে। এই সরকার সেই অয়েল পুল অ্যাকাউন্টের টাকা নিয়ে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে না কেন?
আসলে সরকার নিজেই চায় দাম বাড়াতে। তাতে সব চাইতে বেশি লাভ সরকারের। যত বাড়বে তেলের দাম, ততই শতাংশের হারে তার থেকে রাজস্ব আয় বাড়বে সরকারের। সরকার যদি নিজেই আয় বাড়াতে কর চাপায়, দাম তো বাড়বেই। ঘাটতি বাজেটে দীর্ণ একটা সরকারের পক্ষে এটাই মনে হয়েছে সহজে পরিত্রাণের রাস্তা। তাই সেটাই করে চলছে।
অথচ বিকল্প পথ ছিল। তেলের দাম না বাড়ানো। জনগণকে রেহাই দিতে সরকারের উচিত ছিল,
এই করোনা আক্রান্ত অর্থনীতিকে ফের দাঁড় করানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। এজন্য তেলের দাম কমিয়ে রাখতে ওই অয়েল পুল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যেত। করোনা পর্বে তেলের দাম খুব কম ছিল। তাই বরাদ্দ অর্থ বেঁচে আছে। সেটাই এখন বেশি
দামে তেল  কেনার ঘাটতি মেটাতে ব্যবহার করলে পারত সরকার। এটাই এখন সব চাইতে বড়
দরকার ছিল। তাতে দেশে জিনিসের দাম বেশি
বাড়তে পারত না। ফলে সব ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়ত। যে টাকা পেট্রল ডিজেলের কর থেকে আসছে, তার বদলে সেটা এসে যেতে পারত মানুষের বর্ধিত খরচের জিএসটি থেকে। 
উচিত ছিল কর্পোরেট ট্যাক্স বাড়িয়ে তেলের
উপর ডিউটি কমানো। কিন্তু সে পথে হেঁটে শিল্প মহলকে চটাতে চান না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। উল্টে তাদের হাতেই দেশের বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্র তুলে দিয়ে দায় সারতে চায় সরকার। তাতে কর্পোরেট আয়ের উপর কর, পরিষেবায় জিএসটি থেকে আয় বাড়বে। কোষাগারে বেশি পরিমাণ রাজস্ব জমা হবে। বৃদ্ধির সুফল যদি সরকার জনগণকে দিত তাহলে সাধুবাদ পেতে পারত, কিন্তু হয় তার উল্টো। বাজেট ঘাটতি মেটাতে কর চাপে পেট্রল ডিজেলের উপর, বারবার দাম
বাড়ে গ্যাসের। ভর্তুকি বাড়ে না, উল্টে একেবারে
বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ভর্তুকিহীন গ্যাসের
সরবরাহ কমে যায়। কিন্তু বাড়ে কর্পোরেটের জন্য করছাড়। দেখা যাচ্ছে, পেট্রল ডিজেলে যে আয় তার অনেকটাই খরচ হচ্ছে এই কর্পোরেট তোষণ করতে। গুনাগার গুনছে জনগণ।
 লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত 
25th  February, 2021
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রামগড়ে প্রচারে ব্যস্ত যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য

09:57:09 AM

লেবাননে বিস্ফোরণের জেরে জখম চার ইজরায়েলি সেনা

09:54:36 AM

কোলাঘাটে প্রৌঢ়াকে খুন করে চুরি! তদন্তে পুলিস
প্রৌঢ়াকে খুন করে বাড়িতে থাকা টাকা পয়সা ও সোনা নিয়ে ...বিশদ

09:53:56 AM

মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত, আপাতত আইপিএলে কয়েকটি ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল

09:51:46 AM

শ্রীনগরে ঝিলম নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ বহু, শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ

09:49:13 AM

জাজপুরে বাস দুর্ঘটনা: গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিবদের মধ্যে কথা হয়েছে

09:43:52 AM