Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ঘরের মেয়েই সেরা বাজি
হারাধন চৌধুরী 

নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা প্রমুখ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খারিজ করার দাবি করেন, তখন ছোটবেলায় পড়া একটি কথা মাথায় খুব ঘুর ঘুর করে। একবার মাঘোৎসবে চুঁচুড়ায় রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার সামনে ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে’ গানটি গেয়েছিলেন। গেয়েছিলেন আরও কিছু গান। গান গাওয়া শেষ হলে মহর্ষি এতটাই আপ্লুত হলেন যে, বলে ফেললেন, ‘‘দেশের রাজা যদি দেশের ভাষা জানিত ও সাহিত্যের আদর বুঝিত, তবে কবিকে তো তাহারা পুরস্কার দিত। রাজার দিক হইতে যখন তাহার কোনো সম্ভাবনা নাই, তখন আমাকেই সে-কাজ করিতে হইবে।’’ এই বলে দেবেন্দ্রনাথ কবির হাতে পাঁচশো টাকার একটি চেক তুলে দিয়েছিলেন। তারও অনেক পরে রবীন্দ্রনাথ যখন ‘নৈবেদ্য’ লিখছেন, তখন পিতা তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে সেই কবিতাগুলি শুনলেন। পিতার অনুরোধে নৈবেদ্যের অন্তর্ভুক্ত কিছু গানও গেয়ে শোনালেন রবি। মুগ্ধ মহর্ষির দু’চোখে আনন্দের অশ্রুধারা নেমে এল। কাব্যটি অবিলম্বে প্রকাশ করার জন্য দেবেন্দ্রনাথ কিছু টাকাও দিলেন কবিকে। ধান ভানতে এই শীবের গীত কেন—তার ব্যাখ্যা এখানে নিষ্প্রয়োজন।
বাংলা হল মহামানবের এক শ্রেষ্ঠ সাগরতীর। তবু ‘বহিরাগত’ নিয়ে বাঙালির অ্যালার্জি নতুন নয়। কারণ, বাংলা বারবার বহিঃশত্রুর হাতে আক্রান্ত হয়েছে। কখনও হয়েছে বর্গির হানা। হামলা করেছে কখনও হার্মাদরা, কখনও মগ দস্যুরা। ফরাসিরা চন্দননগর দখল করেছিল। ইউরোপের আরও নানান জাতি নানা সময়ে বিবিধ অছিলায় বাংলাকে শোষণ করার চেষ্টা করেছিল। আর ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে সিরাজের পতনের পর সারা ভারতই তো কোম্পানির, ক্রমান্বয়ে ইংরেজ জাতির পদানত হয়েছিল। ব্রিটিশের শত্রুতার সেই শুরু। ১৯৪৭-এ তারা বিদায় হল বটে, কিন্তু বাংলাটাকে দু’টুকরো করে দিয়ে। পাকিস্তান আমলে পূর্ববঙ্গে অমানুষিক অত্যচার করেছে পাক সেনারা। বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে করেছে অপমান, অবদমন। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই বাঙালিরা সমুচিত জবাব দেয়। শুধু ওপারের বাঙালির কৃতিত্ব বলতে পারতাম। কিন্তু তাতে সত্যের অপলাপ হতো। এপারের বাঙালিরাও স্বাধীনতার যোদ্ধাদের পাশে সবরকমে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিটা সারা পৃথিবীর বাঙালির এক অখণ্ড কৃতিত্ব বললে অত্যুক্তি হবে না। ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, ‘বহিরাগত’ ভীতি বাঙালির কাছে নতুন নয় কেন। বহিরাগতদের রুখতে বাঙালি-মন সদা জাগ্রত থাকে। পশ্চিমবঙ্গবাসী বা বাঙালিদের এই চেতনাকে সংকীর্ণ ভাবা ঠিক হবে না। তারা ভারতকে যতখানি তার প্রিয় দেশ মনে করে, বাঙালি ভাবতেও গর্ব অনুভব করে ঠিক ততখানি। বাঙালি সত্তা অক্ষুণ্ণ রেখেই আমরা ভারতসন্তান।
প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ওই পদে অল্পদিনই ছিলেন। তারপর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাঁকে একটি গুরুদায়িত্ব দেয়—ময়ূরভঞ্জ এবং কোচবিহার দেশীয় রাজ্য দু’টি কোন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে মতামত প্রদানসহ একটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য। ডঃ ঘোষ তাঁর রিপোর্টে বলেন, ময়ূরভঞ্জ যাবে উড়িষ্যায় (ওড়িশা) এবং কোচবিহার ঢুকবে বাংলায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের তাতে আপত্তি ছিল। প্যাটেলের মতে, কোচবিহার আসামের (অসম) অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গের সৌভাগ্য যে ডঃ ঘোষের যুক্তি ও মতকে ওয়ার্কিং কমিটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে করেছিল। ডঃ ঘোষ না থাকলে আয়তনে এই বাংলা সেদিন আরও ছোট হয়ে যেতে পারত। নিজের মাটির প্রতি ভূমিপুত্রের দরদ যে একটু বেশিই হবে, তাতে বিস্ময়ের কী আছে।
ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের আত্মজীবনীধর্মী গ্রন্থ ‘জীবনস্মৃতির ভূমিকা’র আরও একটি অংশ বাঙালিকে ভাবায়। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা পায়। ১৪ আগস্ট মুর্শিদাবাদ ও মালদহ শহরে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ে। অন্যদিকে, খুলনায় ভারতের জাতীয় পতাকা তোলা হয় ১৫ আগস্ট। দুই বাংলার সীমান্ত নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন র‌্যাডক্লিফ। ১৭ আগস্ট তাঁর যে রায় বেরল তাতে দেখা গেল, খুলনা পাকিস্তানে এবং মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাংশ ভারতে পড়েছে। স্বভাতই দুই সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আশাহত হলেন। দুই বাংলার পরিস্থিত হঠাৎই থমথমে হয়ে গেল। তখন ডঃ ঘোষ উদ্যোগী হয়ে স্যার নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতি দিলেন, যার সারমর্ম হল—র‌্যাডক্লিফের রায়ের পরিবর্তন যা দরকার তা করতে হবে দুই বাংলার মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে। কিন্তু, সেটা না-হওয়া পর্যন্ত এই রায়ই সবাইকে মেনে চলতে হবে। এই বিবৃতি সর্দার প্যাটেলের পছন্দ হয়নি। এমন বিবৃতি কেন দেওয়া হল, তিনি জানতে চাইলেন। জবাবে ডঃ ঘোষ বললেন, ‘‘এই বিবৃতি দিয়ে বাংলাকে রক্তপাতের হাত থেকে বাঁচিয়েছি। নইলে বাংলার অবস্থা পাঞ্জাবের মতো হতো।’’ তাতে বল্লভভাই বিরক্তির সুরে বললেন, ‘‘হোতা তো ক্যায়া হোতা?’’! প্যাটেলের এই বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়ার জবাবে ডঃ ঘোষ একজন খাঁটি ভূমিপুত্রের মতোই বলেছিলেন, ‘‘সে-কথা আপনি বলতে পারেন, আমি পারি না।’’ মহাত্মা তখন কলকাতায়। নোয়াখালি যাওয়ার পথে এসেছেন। শহরে অভূতপূর্ব সম্প্রীতির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ। ঘোষ-নাজিমুদ্দিনের যে বিবৃতি প্যাটেলকে রুষ্ট করেছে, সেই বিবৃতিকে মহাত্মা বিজ্ঞজনোচিত আখ্যা দিলেন প্রকাশ্যসভায়।   
১৯৪৭-এর আরেকটি ঘটনা। ডঃ ঘোষ তখন পশ্চিমবঙ্গের ছায়ামন্ত্রিসভার নেতা। এক দুপুরে গান্ধীজির একটি চিঠি পেলেন। পড়ে তো অবাক। গান্ধীজি লিখেছেন, সর্দারের ইচ্ছে পশ্চিমবাংলার মন্ত্রিসভায় একজন মাড়ওয়ারি সদস্য নেওয়া হোক—বদরীদাস গোয়েঙ্কা অথবা দেবীপ্রসাদ খৈতান! অথচ, এই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগেই ডঃ ঘোষ মন্ত্রীদের নাম নেতৃত্বের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে এনেছেন। ডঃ ঘোষ লিখেছেন, ‘‘অনুমোদনকারীদের মধ্যে ছিলেন একজন সর্দারও। তখন, এমনকি তিনি একলাও এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি।’’ অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে ‘সর্দার’ বলতে বল্লভভাই প্যাটেলকেই বুঝিয়েছেন ডঃ ঘোষ। এই আজব প্রস্তাবে ডঃ ঘোষের আপত্তি ছিল। মহাত্মা কানে কম শোনেন। তাই ডঃ ঘোষ ফোনে কৃপালনীর মারফত তাঁর মত গান্ধীজিকে জানান। মহাত্মা তাতে বিন্দুমাত্র রাগ করেননি। কৃপালনীকে তিনি বলেন, ‘‘প্রস্তাবটি প্রফুল্ল যদি সংগত মনে না করে, তবে ধরে নিতে পারে যে আমি তাকে এই চিঠি লিখিইনি।’’ ডঃ ঘোষের বক্তব্য ছিল, মাড়ওয়ারি বা ভিন রাজ্যের লোক বলে কারও সম্পর্কে তাঁর বিরূপ মনোভাব নেই। এই ধরনের কোটায় তাঁর কোনও আস্থা ছিল না। জাতি ধর্ম ভাষা নির্বিশেষে যোগ্য ব্যক্তির জন্য যোগ্য পদই ছিল তাঁর পছন্দ। যেমন কারও সুপারিশ ছাড়াই বিধানসভার স্পিকার পদে তিনি ঈশ্বরদাস জালানকে বেছে নিয়েছিলেন। ঈশ্বরদাস মাড়ওয়ারি সম্প্রদায়ের একজন যোগ্য পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। ডঃ ঘোষ মনে করতেন, বাংলার কোনও বড় দায়িত্বে যাঁকে নেওয়া হবে, তিনি যেন বর্তমানে বাংলার অধিবাসী হন। অনেক আগে তাঁর জন্ম অন্য যে প্রদেশেই হোক না কেন, তা বিচার্য নয়। এই ধরনের ব্যক্তি, এখানে জন্ম নেওয়া মানুষের মতোই পশ্চিমবঙ্গের সুখ-দুঃখের সমান ভাগীদার হবেন। গত সাত দশকে বিধানসভা, রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং কলকাতাসহ বিভিন্ন পুরসভায় এই উদার চেতনার প্রতিফলন আমরা বারবার দেখেছি। লোকসভা এবং রাজ্যসভাতেও বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন অন্য প্রদেশের কিছু ব্যক্তিত্ব। তা নিয়ে কোনও বঙ্গসন্তান কখনও কোনও আপত্তি করেছেন বলে শুনিনি।
এই বাংলাতেই এবার স্লোগান উঠেছে—‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। অসম্ভব আবেগমথিত এক স্লোগান। ঘরের মেয়েকে ঘরে ফেরানো নিয়ে বাঙালির বাৎসরিক আবেগের কথা নতুন কী। দুর্গাকে বছর বছর কাছে পাওয়ার জন্য বাংলার মন সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। তাকে আবাহন করার জন্য সারা বছর ধরে প্রস্তুত হয়। একটু একটু করে পয়সা জমায়। পরিকল্পনা করে কোন নতুন জামাকাপড় পরে তার সামনে দাঁড়াবে। এবার কেমন প্রতিমা হবে। গতবারের থেকে বড় করতে হবে। প্যান্ডেল বা মণ্ডপ সজ্জা আরও আকর্ষণীয় করতে হবে। গতবার কোন কোন ঠাকুর দেখা হয়নি, এবার সেগুলোও দেখতে হবে। সমবেত প্রার্থনা চলে, যেন ঝড়বৃষ্টি না-হয়। কারও কারও কাছে অগ্রাধিকার থাকে গতবারের চেয়ে বেশি সমাজসেবা বা গরিবকল্যাণে ব্যয়-বণ্টন।
বাংলায় ভোটের স্লোগান নিয়ে যদি কখনও গবেষণা হয় তবে এই ক্যাচ লাইনটি বিশেষ স্থান করে নেবে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে—‘খেলা হবে।’ এই কথার নানান ব্যাখ্যা ভাসছে। কারও কারও ধারণা, এর মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, রক্তক্ষয়ের নির্মম এক ইঙ্গিত রয়েছে। তার মধ্যে যাচ্ছি না। এই হাইভোল্টেজ ভোটে, মনে হয়, আসল খেলাটি হবে বাংলার সম্মানরক্ষার প্রশ্নে। অন্য রাজ্য থেকে উড়ে আসা নেতাদের চাপিয়ে দেওয়া মাতব্বরি বাংলা এবারও মানবে না। গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মতোই প্রত্যাখ্যাত হবেন তাঁরা। এই স্পর্শকাতর সময়ে ঘরের মেয়েই যে সেরা বাজি, ভোটের দিন যত এগবে সেটা তত স্পষ্ট হবে। 
24th  February, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৯/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ দিল্লি)

07:35:30 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM