Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতিতে
রাজনীতির প্রয়োজন নেই
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, জীবনানন্দ দাশ এবং সত্যজিৎ রায়। বাঙালিকে যদি বলা হয় এই পাঁচজনকে তোমাদের সংস্কৃতির আঙিনা থেকে বিদায় দিয়ে জীবনযাপন করো, তাহলে বাঙালি সংস্কৃতির আর কী বেঁচে থাকবে? চিন্তা, সমাজ আর মননে বাঙালির আধুনিক হয়ে ওঠার জার্নিতে এই পাঁচজনের ভূমিকা অকল্পনীয়। বস্তুত গোটা ভারত তো ব঩টেই, বিশ্বের যে কোনও জাতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান ফারাক হল, তাদের এই পাঁচ পূর্বসূরি রয়েছেন। এবং এই তালিকাটি দীর্ঘ। অন্যদের কিন্তু নেই। আজকাল রাজনীতির ময়দানে ধর্মবোধের সঙ্গে সংস্কৃতি চেতনার একটি মেলবন্ধন ঘটানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ একইসঙ্গে বাঙালিকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যেন হিন্দু হিসেবে গর্ববোধ করে, আবার পাশাপাশি মনীষীদের সামনে নিয়ে এসে শেখানো হচ্ছে, এই মনীষীরাই বাঙালির দিশানির্দেশকারী। তাঁদের অনুসরণ করো। সমস্যা হল, এই ফর্মুলায় বাঙালি আবেগ উস্কে দেওয়ার মডেলটি ধাক্কা খেতে বাধ্য। কারণ, বাঙালি সংস্কৃতির ব্যাপারটা ওভাবে হঠাৎ করে ভোটের প্রাক্কালে রাজনীতির প্রিজমে দেখে বুঝে ওঠা শক্ত। 
জোর করে ধর্ম অথবা সংস্কৃতি, কোনও বটিকাই খাওয়ার অভ্যাস নেই বাঙালির। সংস্কৃতি আর ধর্মবোধ দুটিতেই বাঙালি স্বচ্ছন্দ। প্রবলভাবে সংস্কৃতি প্রেমী। আবার ধর্মচর্চায় অগ্রগামী। শুধু গোঁড়ামি বাদে। ইদানীং বাংলার রাজনীতিতে যে উচ্চকিতভাবে ধর্মীয় পরিচয়কে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং সব ছাপিয়ে স্বধর্মই শ্রেষ্ঠ, এরকম আখ্যা দেওয়ার প্রবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, সেটা বাঙালির চিরন্তন মনোভাবটি না বোঝার কারণেই। বাঙালির মন জয় করতে হলে আগে এটা বুঝতে হবে যে, নিছক ধর্মের বিচারে বাঙালি কোনওদিনই নিজের আইডেন্টিটিকে প্রতিষ্ঠা করেনি। ধর্মের মাধ্যমে পরিচিতও হতে চায়নি। বাঙালির সংস্কৃতিতে মিশে গিয়েছে ধর্ম। ধর্মে মিশেছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি ও ধর্মাচরণে বাঙালিকে নতুন করে ব্যাখ্যা শুনতে হবে কেন? সংস্কৃতি আর ধর্মচর্চায় বাঙালি নেতৃত্ব দিয়েছে। মনে রাখতে হবে হিন্দুধর্মের প্রচারে শ্রেষ্ঠতার উদাহরণ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ—এই দুজন যুগপুরুষকে বাংলার মাটিই দান করেছে বিশ্বকে। ওই দুই আন্দোলন আজ বিশ্বের ধর্মচর্চার প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। আর সংস্কৃতি? নোবেল, অস্কার, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় গান...তালিকা দীর্ঘ! 
এই প্রতিবেদনের শুরুতে যে পৃথকভাবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হল, তার কারণ, তাঁদের মধ্যে একটি বিশেষ সাদৃশ্য আছে। রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, জীবনানন্দ দাশ এবং সত্যজিৎ রায়, এই পাঁচ মনীষী বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে রয়েছেন। সাদৃশ্যটি হল, এই পাঁচজনই ব্রাহ্ম পরিবারের সন্তান। কেউই হিন্দু নয়। কিন্তু সেই পরিচয়টি নিয়ে বাঙালির আদৌ কোনও মাথাব্যথা আছে? বিন্দুমাত্র নয়। এটাই বাঙালির বৈশিষ্ট্য। কারও সাহস আছে যে বলতে পারবে, এই পাঁচজন যেহেতু হিন্দু নয়, তাই তাঁদের ব্রাত্য করা হল? উগ্র ধর্মবোধ থেকে সেটা বলার তো যথেষ্ট কারণ ছিল। কারণ, রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ, মূর্তিপূজার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু সেটায় বাঙালির কিছু যায় আসেনি। কারণ, এই দুই মনীষীই হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যকে উৎকর্ষের শীর্ষতম স্থানে বসিয়ে  সম্মান দিয়েছেন তাঁদের রচনায়, সমাজ সংস্কারে এবং জীবনদর্শনে। হিন্দুত্বকে অস্বীকার করে ব্রাহ্ম হয়েছি। আবার হিন্দুধর্মকেই চরম সম্মান করি ঐতিহ্য ও উৎকর্ষের মাপকাঠিতে। এই বিস্ময়কর উদারতা আর কোনও জাতি দেখিয়েছে? বাঙালি নারীসমাজ যে দুই মনীষীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ, তাঁরা হলেন রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। প্রথমজন ব্রাহ্ম। দ্বিতীয়জন ধর্মাচরণর নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি পছন্দ করতেন না। তাঁর কথা ছিল, সমাজ উদ্ধারে কাজ করা আগে দরকার। 
বাঙালিকে রাজনীতির আঙিনায় অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার যে প্রবল ঢক্কানিনাদ শুরু হয়েছে, সেখানে ধর্ম ও সংস্কৃতি উভয়কেই ভুল ডোজে মিশিয়ে একটি মাল্টিভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। ওভাবে শর্ট টার্ম সার্টিফিকেট কোর্সে বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতি চেতনাকে বোঝা সম্ভব নয়। অনুশীলন চাই। বোধ চাই। বাঙালি মনীষীদের উপলব্ধি করা এতটা সহজ নয়। বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ছিলেন না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টান ছিলেন না। সৈয়দ মুজতবা আলি মুসলিম ছিলেন না। বিদ্যাসাগর হিন্দু ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন আধুনিক বাঙালির বাতিস্তম্ভ ও মাইলফলক। যে মাইলফলকে ধর্মপরিচয় গৌণ। 
সহজ ফর্মুলায় অনেকেই তকমা দিচ্ছেন স্বামী বিবেকানন্দ একজন হিন্দু আইকন। অবশ্যই তাই। হিন্দুধর্মকে বিশ্বদরবারে নিয়ে যেতে তিনি প্রাণপাত করেছেন। কিন্তু এত বড় একজন মানুষকে ওভাবে আংশিক দেখলে তো কিছু‌ই  বোঝা যায় না। কারণ এই মানুষটি ১৮৯৪ সালে গুরুভ্রাতাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে লিখছেন, ‘‘শশী, তোকে একটা নূতন মতলব দিচ্ছি। যদি কার্যে পরিণত করতে পারিস তবে জানব তোরা মরদ, আর কাজে আসবি। হরমোহন, ভবনাথ, কালীকৃষ্ণবাবু, তারক-দা প্রভৃতি সকলে মিলে একটা যুক্তি কর। গোটাকতক ক্যামেরা, কতকগুলো ম্যাপ, গ্লোব, কিছু কেমিকেলস ইত্যাদি চাই। তারপর একটা মস্ত কুঁড়ে চাই। তারপর কতকগুলো গরিব-গুরবো জুটিয়ে আনা চাই। তারপর তাদের অ্যাস্ট্রোনমি, জিওগ্রাফি প্রভৃতির ছবি দেখাও আর রামকৃষ্ণ পরমহংস উপদেশ কর—কোন দেশে কি হয়, কি হচ্ছে, এ দুনিয়াটা কি, তাদের যাতে চোখ খুলে, তাই চেষ্টা কর...পুঁথি পাতড়ার কর্ম নয়, মুখে মুখে শিক্ষা দাও। তারপর ধীরে ধীরে সেন্টার এক্সটেন্ড করো, পারো কি? নাকি শুধুই ঘণ্টা নাড়া?’’একজন হিন্দু সন্ন্যাসী এই যে সামাজিক কাজ না করে নিছক ঘণ্টা নাড়াকে উপহাস করছেন, এরকম উদারতা আর আত্মশক্তির চেতনাকে বুঝতে হবে তো! তাঁর কাছে শুধুই পূজার্চনার অধ্যাত্ম্যের তুলনায় মানবাত্মার সেবা‌ই অগ্রাধিকার ছিল। 
 ভারতের পূর্বপ্রান্তের এই রাজ্যেই রেনেসাঁ এসেছিল ঊনবিংশ শতকে। রেনেসাঁ কথাটির মানে কী? শুধুই নবজাগরণ? না। অন্নদাশংকর রায় লিখেছেন, ‘‘রেনেসাঁর প্রথম লক্ষণ অন্তহীন জিজ্ঞাসা ও কৌতুহল। যা কিছু দেখবার আছে, দেখতে হবে। যা কিছু শেখবার আছে, শিখতে হবে...শাস্ত্র কিংবা সংঘ কিংবা গুরু কিংবা সাধু, কেউ অভ্রান্ত নন। মানুষ তাঁর স্বাধীন চিন্তা ও পরীক্ষার দ্বারা সত্য নির্ণয় করবে। হয়তো ভুল করবে, তবু পরের মুখের ঝাল খাবে না। তার জ্ঞানবুদ্ধির অন্ত নির্দেশ করা চলবে না। তার উপর বাধা নিষেধ খাটবে না।’ এই রেনেসাঁ যে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, তাকে হঠাৎ করে ধর্ম, দর্শন, সংস্কৃতি নিয়ে লেকচার শুনতে হবে কেন রাজনীতির ময়দানে?
বিখ্যাত বিদেশি প্রকাশনী সংস্থা পেঙ্গুইন পাঁচের দশকে ঠিক করেছিল হিন্দুধর্মের উপর একটি ইংরেজি গ্রন্থ প্রকাশ করবে। সেই কাজটির জন্য বহু সন্ধান ও গবেষণার পর তারা বাছাই করল এমন একজনকে, যাঁর ইংরেজি জ্ঞান সীমিত। কিন্তু তাঁকে ছাড়া আর কাউকেই বলা যাবে না। বারাণসীর টোলের এক সংস্কৃত শাস্ত্রজ্ঞ। রবীন্দ্রনাথ একাধিকবার ডাকলেও যিনি প্রথমে আসতে চাননি শান্তিনিকেতনে। পরে একপ্রকার বহু অনুরোধ উপরোধ করে তাঁকে শান্তিনিকেতনে আনা হয়েছিল। তিনি হলেন ক্ষিতিমোহন সেন। তাঁর ঩সন্ধান পেল কীভাবে পেঙ্গুইন? অক্সফোর্ডে একসময় প্রাচ্য দর্শন ও নীতিবিদ্যা পড়াতেন যে অধ্যাপক, সেই সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ পেঙ্গুইনকে বলেছিলেন যে, এই কাজ ভারতে একমাত্র একজনই করতে পারেন। ক্ষিতিমোহন সেন। ক্ষিতিমোহন লিখলেন বাংলায়। তাঁর বইয়ের ইংরেজি তর্জমার দায়িত্ব দিলেন 
নাতিকে। ক্ষিতিমোহন বারাণসীর এক সংস্কৃতজ্ঞ ও হিন্দু ধর্ম তথা ভারতীয়ত্ব বিশারদ। আর ষাটের দশকে তাঁর সেই হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত বইটির অসামান্য ইংরেজি তর্জমা করলেন তাঁর নাস্তিক নাতি। যাঁর নাম অমর্ত্য সেন। সেই অধ্যাপক অমর্ত্য সেন, যিনি ঘোষিত নাস্তিক, অথচ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য আরগুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান’ কিংবা ‘আইডিয়া অফ জাস্টিসে’ ঘুরে ফিরে এসেছে বৃহদারণ্যক উপনিষদের গার্গী ও যাজ্ঞবল্ক্যের অবিস্মরণীয় সেই কথোপকথন অথবা ভগবদগীতায় কৃষ্ণার্জুনের সংলাপের মাধ্যমে নীতিশাস্ত্র, রাজনীতি আর মূল্যবোধের উদ্ভাস। 
এই বহুমুখী মননই কিন্তু বাঙালি মনীষার উত্তরাধিকার! একরৈখিক না। বহিরাগতদের কাছে এটা বোঝা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে!  ধর্মকে রাজনীতির মুখ করা হলে এই সূক্ষ্ম চৈতন্যগুলি স্পর্শ করা যায় না। থেকে যায় একঝাঁক মিসিং লিঙ্ক। কারণ, বাঙালি সংস্কৃতি ও ধর্মবোধের দীর্ঘকালীন অনুশীলন না করে নিছক করেসপন্ডেন্স কোর্স করে বাঙালির মন জয়ের পরীক্ষায় বসলে, দেখা যায় অনেক প্রশ্ন‌ই  এসেছে সিলেবাসের বাইরে থেকে। বাঙালি জাতির ধর্ম ও সংস্কৃতির কোনও সাজেশন পেপার হয় না! ওটা দীর্ঘ ইতিহাসের এক অন্তহীন রচনাসমগ্র! তাই রাজনীতিতে কোনও জাতির আবেগকে ব্যবহার না করাই ভালো! ওটা অপব্যবহার হয়ে যাওয়ার চান্স থেকে যায়। বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ বাঙালি জাতিই স্থির করবে। মনীষীরা আছেন পথ দেখাতে। নতুন রাজনৈতিক অভিভাবকের প্রয়োজন নেই। 
19th  February, 2021
মমতাকে ঠেকাতে শেষে ‘রামধনু’ জোট
তন্ময় মল্লিক

‘এই বাংলা যতটা আব্বাস সিদ্দিকির ততটাই দিলীপ ঘোষের। দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছেন ওয়াইসি, তাঁরও ততটাই অধিকার।’এখানে শেষ হলে মনে হতো, এটি কোনও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের বক্তব্য। উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে এর পরের কথায়, ‘ওয়াইসি এসে এখানে মিম তৈরি করলে দিদিমণির টেনশন হচ্ছে কেন? 
বিশদ

বাংলা নয়, আগে যোগী-রাজ্য নিয়ে কথা বলুন
মৃণালকান্তি দাস

‘ঠোক দিয়ে যায়েঙ্গে’! এটাই নাকি উত্তরপ্রদেশ থুড়ি উত্তমপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্র। যোগী নিজের রাজ্যকে ‘উত্তমপ্রদেশ’ বলতেই ভালোবাসেন। তিনি স্বপ্ন ফেরি করেন, এই রাজ্য নাকি সবেতেই ‘উত্তম’। কেমন সেই রাজ্য? 
বিশদ

26th  February, 2021
কর্পোরেট তোষণের ফলেই তেল অগ্নিমূল্য
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় 

সরকার যদি নিজেই দাম বাড়ায়, তাহলে পেট্রল ডিজেলের দাম কমবে কী করে? জ্বালানির দাম নিত্য বাড়ছে। স্বাধীন ভারতে এটা রেকর্ড যে পরপর নয়দিন দাম বাড়ল। গত দেড় মাসে ২১ বার দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের, এবং একমাসের মধ্যে দু’বার গ্যাসের 
বিশদ

25th  February, 2021
ঘরের মেয়েই সেরা বাজি
হারাধন চৌধুরী 

নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা প্রমুখ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খারিজ করার দাবি করেন, তখন ছোটবেলায় পড়া একটি কথা মাথায় খুব ঘুর ঘুর করে। একবার মাঘোৎসবে চুঁচুড়ায় রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার সামনে ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে’ গানটি গেয়েছিলেন। 
বিশদ

24th  February, 2021
পেট্রল-ডিজেল-গ্যাস এবং পরিবর্তনের ডাক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পরিবর্তন সব সময় ভালো হবেই, এমনটা কিন্তু নয়। ধূর্জটিবাবু বলতেন, ‘আমাদের রামায়ণ-মহাভারতই দেখুন না। বলছে ইতিহাস, কিন্তু আসলে আজগুবি গপ্পোর ডিপো। রাবণের দশটা মাথা, হনুমান ল্যাজে আগুন দিয়ে লঙ্কা পুড়োচ্ছে, ভীমের অ্যাপিটাইট, ঘটোৎকচ, হিড়িম্বা, পুষ্পক রথ, কুম্ভকর্ণ—এগুলোর চেয়ে বেশি ননসেন্স আর কী আছে?’  
বিশদ

23rd  February, 2021
সংখ্যা মিথ্যে বলে না 
পি চিদম্বরম

১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায়, অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ। লোকসভায় তিনি আক্রমণাত্মক না-হয়ে এক ডজন বার আমার আগের দিনের বক্তব্যের উল্লেখ করেন, যেটা আমার কাছে সংসদীয় বিতর্কের চাপানউতোর বলে মনে হয়েছে। 
বিশদ

22nd  February, 2021
মাতৃভাষার ব্যবহার ভারতের
বৈচিত্র্যকে শক্তিশালী করবে
এম বেঙ্কাইয়া নাইডু 

আমাদের প্রাচীন ভূমি চিরকাল ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের আধার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারত বহু শত ভাষা এবং উপভাষার সহাবস্থানের সাক্ষী, যা আমাদের বর্ণময় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রাণপ্রাচুর্য ও সজীবতা জুগিয়েছে।  
বিশদ

21st  February, 2021
সোনার ত্রিপুরা হয়নি,
আবার সোনার বাংলা!
হিমাংশু সিংহ 

বিখ্যাত কবি সুনীল গাঙ্গুলির কথা খুব মনে পড়ছে। এই বাংলায় দোকানে, অফিসে সাইনবোর্ড কেন মাতৃভাষা ছাড়া ভিনদেশি ভাষায় লেখা হবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। ঘুরে ঘুরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা তৈরির আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। 
বিশদ

21st  February, 2021
জনগণের দমবন্ধ হলেও জাগে না যাঁদের অন্তরাত্মা 
তন্ময় মল্লিক

যাঁরা নিজেদের ‘দমবন্ধ’ হওয়ার কথা বলে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁরা কি বুঝতে পারছেন না, গোটা দেশের মানুষের দমবন্ধ হয়ে আসছে। মূল্যবৃদ্ধি কাকে বলে, মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছে। তাই নেতাদের নয়, জনগণের ‘দমবন্ধ’ হওয়ার অবস্থা। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই কি একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দমবন্ধ’ হওয়ার অভিযোগ? বিশদ

20th  February, 2021
বিজেপিতে গিয়ে খুব সুবিধা হবে না
সৌগত রায়

আদবানি-বাজপেয়ির দল দাবি করত, দেশের অনান্য রাজনৈতিক দলের মতো টাকার থলির রাজনীতি তারা করে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে মোদি-শাহের জমানায় বিজেপি একটা মানি ব্যাগের পার্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

18th  February, 2021
সবা‌ইকে কাছে টানাই
তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী 

২০২১ সালের নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ে নেমে তৃণমূল কংগ্রেস আবার নতুন করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বামপন্থী দলগুলিকে কাছে পেতে উদ্যোগী হয়েছে। বিশদ

18th  February, 2021
মোদিজি, আগে সোনার
ভারত গড়ে দেখান
সন্দীপন বিশ্বাস

প্রচারে এসে শুধু তৃণমূল খারাপ বললে চলবে না। আপনারা কতটা ভালো সেটাও  বলতে হবে তো? তেলের দাম, গ্যাসের দাম, ব্যাঙ্কের শ্মশানযাত্রা, অর্থনীতির শেষকৃত্য, এসব নিয়েও তো বলতে হবে। লজ্জা পেলে চলবে? বিশদ

17th  February, 2021
একনজরে
সখ ছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়ে বিদ্রোহী হবেন। সেই লক্ষ্য নিয়েই কিশোরী বয়সে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামিমা বেগম। কিন্তু আইএসে যোগ দেওয়ার পর ভুল বুঝতে পারেন।  ...

বিধানসভা চত্বরে রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিপিন পারমার। চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সাসপেন্ড থাকবেন।  ...

আগামী কাল রবিবার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী শিবিরের ব্রিগেড সমাবেশ। উদ্যোক্তাদের দাবি মোতাবেক বাম, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ...

করোনার জেরে বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত খেলা এখনও চালু হয়নি। তবে মাস দুয়েক ধরে জেলার গ্রামীণ এলাকায় ফুটবল, ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু, ক্রীড়া সংস্থার প্রতিযোগিতা নিয়ে ক্রীড়া প্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২- ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮- লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
১৯৩৬- চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৭৯ টাকা ৭৪.৫০ টাকা
পাউন্ড ১০০.৮৫ টাকা ১০৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১। পূর্ণিমা ১৯/১৯ দিবা ১/৪৭। মঘা নক্ষত্র ১৩/৬ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৬/৩/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি।  
১৪ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১। পূর্ণিমা দিবা ২/১১। মঘা নক্ষত্র দিবা ১১/৫২। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৫ মধ্যে।  
১৪ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ৬-৫ গোলে হারাল ওড়িশা এফসি 

09:33:05 PM

আইএসএল: ওড়িশা ৬-ইস্ট বেঙ্গল ৪ (৭৬ মিনিট) 

09:12:26 PM

আইএসএল: ওড়িশা ৪-ইস্ট বেঙ্গল ৩ (৬৫ মিনিট) 

09:01:02 PM

আইএসএল: ওড়িশা ৩-ইস্ট বেঙ্গল ৩ (৫৯ মিনিট) 

08:54:54 PM

আইএসএল: ওড়িশা ৩-ইস্ট বেঙ্গল ২ (৫১ মিনিট) 

08:47:54 PM

আইএসএল: ওড়িশা ১-ইস্ট বেঙ্গল ২ (হাফটাইম) 

08:33:00 PM