Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হল। যাঁরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তাঁরা হতাশ। তবে, তাঁদের আরও আশাহত করেছে বৈদ্যুতিন চ্যানেলের জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট। পূর্বাভাসে স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ফের সরকার গড়বে তৃণমূল। তাতে মুষড়ে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপির নেতারাও বুঝতে পারছেন, কোনও অক্সিজেনই আর হতোদ্যম কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারবে না। উল্টে ‘বেসুরো’রাও পাল্টি খাবে। লোকলজ্জার ভয়ে যাঁরা তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না, তাঁরা তলে তলে ‘সেটিং’য়ের চেষ্টা চালাবেন।
নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করা নেতাদের লক্ষ্য। ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগের কাজটা কর্মীরাই করেন। তাই ক্ষমতা দখলের ক্ষীণতম সম্ভাবনা না থাকলেও নেতারা হম্বি তম্বি চালিয়ে যান। তাঁরা জানেন, নির্বাচনী লড়াইয়ের আসল কারিগর দলের কর্মীরা। সেই কর্মীরা মনোবল হারালে জেতা তো দূরের কথা, নির্বাচন লড়াটাও কঠিন হয়ে যায়। তাই নেতারা যে কোনও মূল্যে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে চান। তাঁরা যে ক্ষমতা দখলের দোরগোড়ায়, সেটা প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালান। সেই উদ্দেশ্যেই অমিত শাহ ২০০ আসনের দাবি করে বসেছেন। এটা রাজনীতির কৌশল। 
বিজেপির সেই কৌশলের আর এক অঙ্গ ছিল ৩৫৬ ধারা জারির দাবি। এরাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কথা বলে বিজেপি নেতারা জরুরি অবস্থা জারির ধুয়ো তুলে দিল্লি ছুটেছিলেন। শুধু নেতারাই নন, আমাদের মহামহিমও নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর খারাপ। এমনকী, ৩৫৬ ধারা জারির মতো অবস্থাও তৈরি হয়েছে বলে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ইন্ধনটা এসেছিল অনেক আগেই, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে তিনি দাবি করেছিলেন, ৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু তারপর বছর ঘুরেছে, বিজেপি ২৫ জন বিধায়ককেও ভাঙাতে পারেনি। বোঝা যাচ্ছে, সেটাও ছিল দলের কর্মীদের তাতানোর কৌশল।
আর তাতে হাওয়া দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে এসে বারবার তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারির দাবি ন্যায়সঙ্গত’। তাই বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের লম্ফ ঝম্ফ বেড়ে গিয়েছিল। তৃণমূল ভেঙে বেরিয়ে আসা বিধায়কদের লম্বা তালিকাও তাঁরা তৈরি করে ফেলেছিলেন। নেতাদের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ভাঙল বলে! 
আগেই লিখেছি, ‘কর্মীদের চাঙ্গা করতেই ৩৫৬ ধারার ফাঁদ’। সেখানে বলেছিলাম, ‘এরাজ্যে কিছুতেই ৩৫৬ ধারা জারি হবে না। কারণ সেই পরিস্থিতি নেই। এটা ছিল বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটা কৌশল। বিধানসভার ভোট করাতে দিল্লি থেকে পুলিস আসবে বলে দিলীপ ঘোষ কর্মীদের আশ্বস্ত করছেন। তাতে কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছেন। কিন্তু তা সাময়িক। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নেতৃত্বে ভোট হলে বিজেপি কর্মীরা হতাশ হবেন।’
এখন সকলেই বুঝতে পারছেন, বিজেপি নেতাদের এরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ ছিল সবৈব মিথ্যা। তাঁরাও জানতেন, একটা মণীশ শুক্লা খুন বা একজন বিধায়কের রহস্যজনক মৃত্যুর জন্য রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা যায় না। আর সেটা হলে উত্তরপ্রদেশে অনেক আগেই সরকার পড়ে যেত। তবুও বিজেপি নেতারা বলেছিলেন। কারণ মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কর্মীদের চাঙ্গা করার ইস্যু পাচ্ছিলেন না। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট ভোটের ফলের সঙ্গে মিলতে পারে, আবার নাও পারে। তাই সাম্প্রতিক প্রকাশিত জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট কতটা মিলবে, সেটা সময় বলবে। তবে এই ধরনের সমীক্ষা রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ভীষণ প্রভাবিত করে। অনেকটা টনিকের কাজ করে। রিপোর্ট অনুকূলে গেলে কর্মীদের মনোবল বেড়ে যায়। আর উল্টোদিকের কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েন। তাই নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, তাঁরাও সমীক্ষার দিকে তাকিয়ে থাকেন। 
তবে সিপিএম যতদিন এরাজ্যের ক্ষমতায় ছিল, ততদিন জনমত সমীক্ষাকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ সাংগঠনিক দৃঢ়তা। সিপিএম রোড-শো, মিডিয়া হাইপের চেয়েও বুথ ভিত্তিক সংগঠনের দিকেই বেশি নজর দিত। সমীক্ষায় কোনও ফাঁকফোকর উঠে এলে সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে মেরামত করত। সিপিএম সেটা করতে পারলেও বিজেপির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। কারণ এরাজ্যে বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। তাদের বাড়বাড়ন্ত সম্পূর্ণ হাওয়া নির্ভর। সাফল্য, ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করে মিডিয়ার হাইপের উপর। সেই কারণেই জনমত সমীক্ষার রিপোর্টে গেরুয়া শিবিরে নেমেছে হতাশার ছায়া। তবে নেতারা তা ঢাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে ‘টনিক’ দিচ্ছেন। কিন্তু, তাতে কতটা কাজ হবে বলা কঠিন। কারণ তাঁরাও অঙ্ক কষেন। সেই কারণে কখনও ‘দলবদলু’ আবার কখনও ‘ঘর ওয়াপসি’।
এতদিন যাঁরা দিলীপ ঘোষের ‘বদল হবে, বদলাও হবে’ মার্কা ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ময়দান কাঁপাচ্ছিলেন, তাঁরাও অঙ্ক কষা শুরু করেছেন। সম্ভাবনা ও ঝুঁকির অঙ্ক। কারণ তৃণমূলের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভোটের পর এবার আর শুধু রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজবে না।’ 
লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির সাফল্য এসেছিল হাওয়া ও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘নেগেটিভ’ ভোটের দৌলতে। কিন্তু বিজেপি বুঝেছে, তা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচন জেতা যাবে না। কারণ বাম ভোট ফিরছে নিজের ঘরে। তাই তৃণমূলকে ভাঙার যথাসাধ্য চেষ্টা। সে কাজে বিজেপি কিছুটা সফলও। দলবদলুদের অনুপ্রেরণায় বাড়ছিল ‘বেসুরো’র সংখ্যা। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের পর তাঁরাও অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত। তবে, যাঁরা ‘মউ চুক্তি’তে সই করে ফেলেছেন, তাঁদের কোনও উপায় নেই। কারণ চুক্তিমতো কাজ না হলে ‘গুনগার’ দেওয়াটাই নিয়ম। কিন্তু, যাঁরা দোদুল্যমান? পাঁচিলে বসে হাওয়া মাপছিলেন। তাঁরা ধন্দে পড়েছেন। ঝাঁপটা কোন দিকে দেবেন, সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে। পাল্টেও যেতে পারে। কিন্তু যেটা পাল্টাবে না, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন লড়ার ঘোষণায় অনেকের অঙ্কই গুলিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে আচমকাই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেদিনের ভাষণ যাঁরা শুনেছেন বা দেখেছেন, তাঁদের সেটা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি প্রথমে বলেছেন, ভাবছি নন্দীগ্রামে ভালো কাউকে প্রার্থী করব। তারপর বলেছেন, আমি দাঁড়ালে কেমন হয়? তারপর বলেছেন, আমিও দাঁড়াতে পারি। তারপর, সুব্রতদা(বক্সি) নন্দীগ্রামের জন্য আমার নামটা লিখে রাখবেন। 
যাঁরা ভাবছেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠকারী সিদ্ধান্ত, তাঁদের বিনয়ের সঙ্গে বলব, আপনারা ভুল ভাবছেন। তৃণমূল নেত্রীকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন তাঁরা জানেন, তাঁর সব কিছুর মধ্যেই থাকে একটা পরিকল্পনা। কিন্তু সেটা তিনি কাউকে বুঝতে দেন না। কারণ তিনি চান, তাঁকে প্রতিপক্ষ ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করুক। আর সেই সুযোগে তিনি গোল করে বেরিয়ে যাবেন। এটাই তাঁর কৌশল। সিপিএমও সেই ফাঁদে পা দিয়েছিল। ৩৪ বছরের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডের মালিক সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী’ মনে করেনি। ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করেছিল। প্রতিপক্ষকে ছোট ভাবার খেসারত সিপিএমকে দিতে হয়েছিল।
নন্দীগ্রামের ভাষণটা খুঁটিয়ে শুনলে বোঝা যাবে, তৃণমূলনেত্রী একটি করে কথা বলেছেন, আর জনতার পালস বোঝার চেষ্টা করেছেন। প্রতিটি ধাপে জনতার উচ্ছ্বাস মেপেছেন। মানুষের উন্মাদনার পারদ যখন আকাশ ছুঁয়েছে, তখন তিনি ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা। আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে মমতা ওঠেননি, বরং তিনি একের পর এক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর রক্তে রয়েছে চ্যালেঞ্জ। তাই নিজে দল গড়ার চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছিলেন। তাঁর তৈরি দল তৃণমূল সরকার গড়ার হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে। এমনই এক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে নিয়েছেন ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’। জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামেই লড়বেন তিনি। এও এক চ্যালেঞ্জ। আর সেটা নিয়েছেন অনেক ভেবেচিন্তে। তাই ‘সেফ সিটের সন্ধানে নন্দীগ্রামে’ বলে এখন যাঁরা তাঁকে কটাক্ষ করছেন, হয়তো একদিন তাঁরাই বলবেন, এটা ছিল ‘মমতার আর এক মাস্টার স্ট্রোক’।
23rd  January, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে নদীর জলে ডুবল ইভিএম
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই নদীর জলে ডুবে নষ্ট হল ইভিএম ...বিশদ

12:08:02 PM

ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যাকে ঘিরে ...বিশদ

11:56:50 AM

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:26:47 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:18:53 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM