Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিতে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি কিংবা শ্রীঅরবিন্দ ঘোষের নাম বারংবার উচ্চারণ করছে বিজেপি। বাঙালির আত্মশক্তি জাগ্রত করার আহ্বান করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বোলপুরে রোড শো করেছেন অমিত শাহ। কালকা মেলের নাম নেতাজি এক্সপ্রেস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। অর্থাৎ বাঙালি যাতে অতীত গৌরবের কথা স্মরণ এবং উজ্জ্বল ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে আবার স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে ওঠে স্বজাত্যভিমানের আলোয়, এটাই চাইছে বিজেপি। যদি সত্যিই এটা বিজেপির লক্ষ্য হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। বিজেপির এই আহ্বানে আশা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে দেখতে পাই বিজেপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক আচরণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো মনোভাব। বিজেপির রাজ্য ইউনিট নিজেই এখনও আত্মশক্তিতে বলীয়ান নয়। বিজেপির বাঙালি নেতারা নিজেরাই সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল দিল্লির উপর। লক্ষ্য করা গিয়েছে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা প্রায় প্রতিটি সভা সমাবেশে একটি আশ্চর্য বাক্য বলছেন। তিনি জনতাকে আহ্বান করে বলছেন, বাংলাকে নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিতে হবে। মোদিজিই পারবেন এই বাংলাকে আবার গৌরবময় এবং সম্পদশালী করে তুলতে। এটা বাঙালির কাছে কি খুব শ্রুতিমধুর? বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়, তাবৎ নেতানেত্রীর মুখেই একটা বিস্ময়কর কথা শোনা যায়। সেটি হল, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আবার হবে সোনার বাংলা। তাদের একটি স্লোগান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা হয়ে উঠবে গুজরাত। অর্থাৎ গুজরাত হল ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট একটি আদর্শ। দেশের ফার্স্ট বয়। আদতে সেরকম কি না সেটা বিতর্কের বিষয়। ২০২১ সালে কেমন হবে বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক রণকৌশল? সেই সিদ্ধান্ত ও আলোচনা করার জন্য দিল্লিতে মাঝেমধ্যেই বৈঠক ডাকা হয়। সংবাদপত্রে হেডিং হয়, ভোটকৌশল নিয়ে অমিত শাহের বৈঠক, দিল্লি গেলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই যে ২৯৪টি আসনে ভোট হবে। এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? ঘনঘন বাংলায় আসে বিজেপির কয়েকজনের টিম। তাদের পরিভাষায় বলা হয় বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা। দেখা যায় ওড়িশা অথবা মধ্যপ্রদেশের নেতারা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটা বাংলা বিজেপির কাছে খুব সম্মানজনক? বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে হারানো সম্ভব সেই রণকৌশল নেবে দিল্লি ও অন্য রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক নেতা। বাংলায় প্রচারের অভিমুখ কী হবে সেটা ঠিক করবেন তাঁরা। ভোটে প্রার্থী হবেন কারা, সেটারও চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দেবেন তাঁরা। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বৈঠকে অমুক নেতা কিংবা অমুক নেত্রী কেন্দ্রীয় নেতার কাছে ধমক খেলেন। হয়তো বেফাঁস কিছু বলেছেন কেউ অথবা দলের নীতি বিরোধী কোনও কথা বলেছেন। তাই শৃঙ্খলা মেনে ওই তিরস্কার। স্বাভাবিক। কিন্তু ‘বাংলার বিজেপি নেতা ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় নেতাকে’ এরকম হেডিং কখনও কেউ দেখেছি আমরা? সেই অধিকার কিংবা সাহস আজ পর্যন্ত কোনও বাঙালি বিজেপি নেতা দেখাতে পেরেছেন নাকি পারবেন? বাংলার বিজেপি কার্যত দিল্লির নির্দেশ পালনকারী একটি কোম্পানির রিজিওনাল অফিস। কর্পোরেট হেড যেমন তার রিজিওনাল অফিসকে টার্গেট ফিক্সড করে দেয়, সেরকমই দিল্লি বাংলা বিজেপিকে টার্গেট ফিক্স করে দিয়ে বলছে, আমরা ২০০ প্লাস আসনে জয়ী হব। বিজনেস বাড়াতে অন্য কোম্পানি থেকে এক্সিকিউটিভ নিয়ে এসে কর্পোরেট যেমন বসিয়ে দেয় মাঝেমধ্যে রিজিওনাল অফিসে, তেমনই  বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব অন্য দল থেকে নেতাদের নিয়ে এসে জয়েন করিয়ে বাংলার নেতাদের উপরে বসিয়ে দেয়। বাংলা বিজেপির মতামতের বিশেষ দাম নেই সেক্ষেত্রে। কখনও কেউ শুনেছে যে গুজরাতের ভোটে প্রার্থী কে হবে অথবা মহারাষ্ট্রে বিজেপির রণকৌশল কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলা থেকে যাওয়া কোনও বিজেপি নেতা? অথচ বাংলার বিজেপির পুরনো নেতারা যেমনভাবেই হোক গোটা রাজ্য চষে ফেলে, পরিশ্রম করে, সংগঠনকে চাঙ্গা করে একটা অন্তত নিজের মতো করে চেষ্টা করছেন। তাঁদের কথা মানুষ কতটা গ্রহণ করবেন অথবা প্রত্যাখ্যান করবেন সেটা তো পরীক্ষায় প্রমাণ হবে। অথচ তাঁরা মাঠে ময়দানে নিরন্তর ঘুরলেও তাঁদের অধিকার দলীয়ভাবে কিন্তু আজও সীমিত। বাংলায় এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন গুজরাত, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশের নেতারাই। 
এই একই রোগ রয়েছে কংগ্রেসেরও। তাদের আবার একজন করে অবজার্ভার থাকে। তাঁরা এসে মিটিং করেন। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন। সুপারিশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। এক্ষেত্রেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয় দিল্লির ২৪ নং আকবর রোড থেকে। এবং সিপিএম। একটি বাক্যে সিপিএমের বাঙালি আত্মচেতনাই স্পষ্ট। সেটি হল, সিপিএমের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি নামক একটি কাঠামো বাঙালিকে প্রধানমন্ত্রী হতে দিল না। সিপিএম দলের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন জ্যোতি বসু। নব্বইয়ের দশকে যুক্তফ্রন্টের সময়ে সুযোগ এসেছিল জ্যোতিবাবুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। অথচ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো সেই সুযোগে জল ঢেলে দেয় নীতির অজুহাত দেখিয়ে। সেই নীতি মাত্র কিছু বছরের মধ্যে কোথায় গেল? কংগ্রেসের জোট সরকারকে সমর্থন করা হল ২০০৪ সালে। ২০০৮ সালে সেই সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা হল। আবার ২০১৬ সালে বাংলায় সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে।
ঠিক এমতাবস্থায় একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বাংলার দল বলা যায়। কারণ, মমতার কোনও হাইকমান্ড নেই, দিল্লির অবজার্ভার নেই, পলিটব্যুরো নেই যে বাংলার সিদ্ধান্ত তারা নেবে। অবশ্যই বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম বলতে পারে যে, আমাদের তো জাতীয় দল। তৃণমূল তো একটি আঞ্চলিক দল। সুতরাং জাতীয় দলের একটি কাঠামো থাকে। সর্বভারতীয় শৃঙ্খলা থাকে। নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এটা তো স্বাভাবিক। একদম সঠিক যুক্তি। জাতীয় দল সেরকমই হবে। আঞ্চলিক দলের সঙ্গে তার পার্থক্যটাই তাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল, বাংলার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ক্ষমতা বেশি কেন? কই বিধানচন্দ্র রায় তো পাত্তা দিতেন না দিল্লিকে বেশি! কেন বাংলার নেতারাই অনেক বেশি ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারছেন না? কেন এইসব দলের দিল্লি অথবা অন্য রাজ্য থেকে আসা মাঝারি মানের নেতারা বাংলার নীতি নির্ধারক হবেন? জাতীয় দলের বাংলা ইউনিটের সদস্য হ঩লেই নিছক অনুগামী আর নির্দেশ পালনকারী হতে হবে এটা কে বলল? আমরা সাধারণ বাঙালি দেখতে চাই বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, যেই হোক, আদতে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বাংলার স্বার্থ, বাংলার কৌশল, বাংলার নেতাদের জনপ্রিয়তার লড়াই, পারস্পরিক বাগ্মিতার যুদ্ধ, উন্নয়ন বনাম পাল্টা উন্নয়নের বুদ্ধিদীপ্ত প্রকল্প প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। একদিকে চলছে ব্যক্তিগত কুৎসা আর আক্রমণের তরজা। আর অন্যদিকে দিল্লি থেকে বাংলার রাজনীতিকে কন্ট্রোল করার একটি প্রবণতা। আমরা চাই প্রতিটি দলের নীতি নির্ধারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাবিকাঠি যেন বাংলার হাতেই থাকে। বিজেপি তৃণমূলকে পরাস্ত করে সরকার গঠন করতে চাইতেই পারে। স্বাভাবিক। ২০২১ সালে তারা সফল হতে পারে। ব্যর্থও হতে পারে। সেটা ভোটের লড়াইয়ের ভিন্ন প্রশ্ন। বিজেপি বাঙালি আবেগকে জাগ্রত করতে বাংলার মনীষীদের বন্দনা করার কর্মসূচি নিয়েছে। সুখবর। কিন্তু সেই মনীষীরা তো আত্মশক্তিতে বলীয়ান ছিলেন। তাঁরা কখনও চেয়েছেন যে বাই঩রে থেকে আমাদের নীতি আদর্শ অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্ব আমদানি করা হোক? নেতাজি কংগ্রেসে থাকলেও সর্বদা নিজের পথে এগিয়েছেন। বিদ্রোহ করেছেন। 
দেখা যাবে, বাংলার তিন মনীষী রবীন্দ্রনাথ, স্বামীজি এবং নেতাজি, আত্মশক্তি এবং কর্মযজ্ঞের প্রমাণ হিসেবে তিনটি উদাহরণ স্থাপন করে গিয়েছেন। তাঁদের বাকি সব পরিচয় বাদ দিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন সাংগঠনিক শক্তি এবং নেতৃত্বপ্রদান ক্ষমতার পরিচয়জ্ঞাপক তিনটি সাধনা। স্বামীজি গঠন করে গিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। যা কোটি কোটি মানুষের কাছে আজও শিক্ষা, চিকিৎসা, আধ্যাত্মিকতার প্রাণকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ তৈরি করে গিয়েছেন বিশ্বভারতী। যা মানবসম্পদ উন্নয়নের এক উৎকৃষ্ট তপোবন। আর নেতাজি স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন নিবেদনের পথ ছেড়ে সরাসরি আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়ে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ আত্মবিশ্বাসের ভিত। ভারতের অন্তরে প্রোথিত করে গিয়েছেন মানুষের ইচ্ছা আর লক্ষ্যপূরণের শক্তিকে। অর্থাৎ তাঁরা তিনজনই একটি করে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে গিয়েছেন। যা ভারতে নজিরবিহীন। বাংলার এই তিন মনীষী আছেন। বাঙালি অন্ধ অনুসরণকারী নয়, দিশানির্দেশকারী জাতি। আত্মমর্যাদা চায়। এটা বুঝতে হবে তো! আমাদের আবার নতুন করে নীতি আদর্শ শিখতে হবে কেন? 
22nd  January, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:18:53 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:15:40 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM

মাথাভাঙায় বাইসনের আক্রমণে জখম ৪
সকাল থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ...বিশদ

10:52:42 AM

নদীয়ার কালিগঞ্জে সোনার দোকানে বিস্ফোরণ, জখম ১
ব্যাপক বিস্ফোরণে উড়ে গেল সোনার দোকানের ছাদ। ঘটনাটি ঘটেছে, নদীয়ার ...বিশদ

10:40:15 AM

ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন ব্যক্তির
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার ...বিশদ

10:36:15 AM