Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। দিলীপবাবু যেটা বলেননি তা হচ্ছে, অচিরেই গেরুয়া দলের সভায় পাশাপাশি দুটো আলাদা মঞ্চ করতে হবে। একটা সঙ্ঘের শিক্ষায় বেড়ে ওঠা আদি নেতাদের জন্য। আর অপরটা লাফিয়ে মগডালে ওঠা স্বার্থপর দলবদলুদের জন্য। গেরুয়া দলকে ভালোবেসে নয়, এঁরা কিছু পেতে এসেছেন। বিভেদ আর বিভাজনের রাজনীতি করতে করতে বঙ্গ বিজেপি নিজেই আজ আড়াআড়ি দু’ভাগে বিভক্ত। সেখানেও মেরুকরণ স্পষ্ট হচ্ছে! শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিশৃঙ্খলাই তার অকাট্য প্রমাণ। ভোট যত এগিয়ে আসবে এই বিভেদ রেখা ততই স্পষ্ট হবে।
বলতেই হবে দিলীপ ঘোষ গেরুয়া শিবিরের একজন একনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী। আরএসএসের আদর্শ ছাত্র। চারদিকে তৃণমূল থেকে আসা বেইমান নেতাদের লাফালাফি দেখে তাঁর অস্বস্তি হওয়ারই কথা। সাড়ে ন’বছর যাঁরা তৃণমূলের লাভের গুড় চেটে চেটে খেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে বসতে গিয়ে তাঁর সেই লুকনো ব্যথাটা বেরিয়ে পড়াও খুব স্বাভাবিক। কারণ ব্যক্তিগত লাভের কথা ভেবে একদল ‘দাদা অনুগত’কে নিয়ে তিনি রাজনীতি করেন না। ওটা তাঁর রক্তে নেই। অসম্ভব লোভ আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন (পড়ুন দুঃস্বপ্ন!) চরিতার্থ করতে তিনি গেরুয়া পতাকার তলায় আসেননি। আবার কিছু পাইনি বলে ভোটের আগে দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরে অন্য ডালে গিয়ে বসার লোকও তিনি নন। কাল যদি দল তাঁকে আদিবাসী সংগঠন দেখতে বলে তিনি হাসিমুখে সব ছেড়ে সেই কাজই করবেন। প্রশ্ন তুলে বিদ্রোহ করবেন না। জয় শাহের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শত্রু দলে যোগ দেবেন না। ঝড়-তুফান যাই আসুক বুক পেতে বঙ্গ বিজেপির ঘাঁটি আগলানো ছাড়া তাঁর আর কোনও লক্ষ্য নেই।
আর যাঁরা কলাটা মুলোটার লোভে আজ স্রোতের মতো বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা একটু স্বার্থে ঘা পড়লেই ঝাঁকের কইয়ের মতো যেমন এসেছেন তেমনই কেটে পড়বেন। বটগাছ ছেড়ে আমগাছ, তারপর তেঁতুলগাছে আশ্রয় নেবেন। বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়ার কাজ শুরু হলেই তার চমকপ্রদ ট্রেলার দেখতে শুরু করব আমরা। বাকিটা ভোটের ফল বেরনোর পর। নিজের লোকেদের শাঁসালো আসন পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হলেই এঁদের হঠাৎ জেগে ওঠা গেরুয়া প্রেম তখন নিমেষে উবে যাবে!
আসলে দল ভাঙার রাজনীতি করতে গিয়ে এরাজ্যে বিজেপি আজ বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। ভাড়াটে সেনা দিয়ে রাজনীতি করার ফল ইতিমধ্যেই পেতে শুরুও করেছেন গেরুয়া কর্তারা। সম্প্রতি এক প্রাক্তন মেয়রের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য রোড শো কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। ওয়াটগঞ্জ থেকে হেস্টিংস। কেউ বলেন গোঁসা করে আবার কেউ বলেন শরীর ঠিক না থাকায় প্রাক্তন মেয়র সেখানে হাজিরই হননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে অগত্যা ডাকতে হল তৃণমূলেরই প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। এখানে যে দু’জনের কথা বলছি তাঁরা বিস্মৃত হলেও মানুষ জানে, দু’জনেই নেতা হয়েছেন, মেয়র-মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই আশীর্বাদে। তাঁরা যতই গেরুয়া সাজুন বাংলার মানুষ তাঁদের ‘মমতার লোক’ বলেই শেষদিন পর্যন্ত পরিচয় দেবে। ওই পরিচয় তাঁরা এক নদী জল দিয়েও মুছে ফেলতে পারবেন না।
আর বাংলা দখল হয়ে গিয়েছে বলে ক্রমাগত যাঁরা হাঁক পাড়ছেন তাঁদের অবস্থাটা দেখুন একবার। বাঙালি মুখের দরকার হলেই সেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ তৃণমূলের কাছেই হাত পাততে হচ্ছে। নিজেদের কিছু নেই। ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগেও মন্ত্রিসভা গড়ার প্রস্তুতির বদলে জেলায় জেলায় কারা ভোটে প্রার্থী হবে আর কারা প্রচার করবে তারই ঠিকঠিকানা নেই এখনও। দেশের সর্ববৃহৎ দলের এ কেমন রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা! উন্নয়নের কথা কই। রাজ্যটা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, কেউ বলছেন না। মানুষ চাকরি পাবে কোথা থেকে, তার দিশা নেই। নাম মুখে আনার মুরোদ নেই, শুধু ‘ভাইপো, ভাইপো’ করলেই গরিবের পেট ভরবে তো? সঙ্ঘ পরিবারের প্রচারের এমন দৈন্যদশা নাগপুরের তাত্ত্বিকদের পক্ষে তো সহ্য করা কঠিন কাজ। তবু গিলতে হচ্ছে, কেননা ক্ষমতা দখল অতি বিষম বস্তু। এবং ক্ষমতা দখলের নেশায় মোদি-অমিত শাহরা বুঁদ হয়ে আছেন। তাই আদর্শ, শিষ্টাচার সব এখন ব্রাত্য। বাংলা দখলে একটাই ধ্রুবপদ, যাকে পারো দলে টানো আর অবাঙালি ছাপ মুছতে তৃণমূল ভাঙো।
কেন এতটা মরিয়া অমিত শাহরা। সোনার বাংলা গড়ার তাগিদ না পরের লোকসভা ভোটের অশনিসঙ্কেত। গেরুয়া পার্টির নেতাদের বিলক্ষণ জানা আছে, কংগ্রেস দুর্বল হলেও চব্বিশের লোকসভা ভোটে বহু রাজ্যেই বিজেপির আসন কমবে। কৃষক ক্ষুব্ধ। শ্রমিকের কাজ নেই। সেই কারণে নতুন নতুন রাজ্যে আসন বাড়াতে না পারলে দিল্লির তখতে মোদিজির স্বপ্নের হ্যাটট্রিক শেষপর্যন্ত অধরাই থেকে যাবে। তাই কাকেরও কোকিল সাজার শখ হল। বাঙালি গন্ধ আমদানি করতে স্নো পাউডার মেখে জেলায় জেলায় যোগদান মেলা। বইমেলা, স্বাস্থ্যমেলা সব গিয়ে এই শীতের দুপুরে মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে এই বঙ্গে দ্রষ্টব্য সার্কাস বলতে ওই একটাই। অন্য দল থেকে নেতা ভাঙিয়ে আনার নির্লজ্জ খেলা। নারদের ভিডিওর নায়ক থেকে সারদার টাকা লুটের কাণ্ডারী, চার্জশিটে নাম থাকতে পারে জেনেও কুছ পরোয়া নেই। দল বদলে সবাই আজ সাধু! সেই নীতি আদর্শের কাণ্ডারীরাই ঘুরে ঘুরে বলছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর নাকি একটাই ডিল হয়েছে। প্রতি বছর চাকরি দেব। তাঁকে প্রশ্ন করি, গত ছ’বছরে এরাজ্যের কত যুবক দিল্লির চাকরি পেয়েছেন, হিসেবটা একবার দেবেন!
ব্রিটিশরাও শুধু বিভাজন ঘটিয়ে আর নানা প্রলোভনে বিশ্বাসঘাতকদের ব্যবহার করে টানা দু’শো বছর ভারত শাসন করে গিয়েছেন। সেই বেইমানির রক্ত আজও কিছু কিছু লোকের ধমনীতে প্রবাহিত। স্বাধীনতার সাত দশক পরও মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠরা বহাল তবিয়তেই আছেন। দু’শো বছর আগের সেই কলঙ্কিত ইতিহাস অনুসরণ করেই আজ মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটিয়ে ভারত শাসনের পথ নিষ্কণ্টক করতে মরিয়া গেরুয়া শক্তি। বিশেষ করে আমাদের এই আপাত শান্ত বাংলায়। আর তা করতে গিয়েই যে দলকে তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দাগছেন, সেই দলের নেতাদেরই মঞ্চ সাজিয়ে ফুল মালা দিয়ে আবাহন করছেন। কিন্তু এ কোন নীতিহীন পরিবর্তনের কথা বলছেন তাঁরা। এ তো গায়ের জোরে বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে চূড়ান্ত ধোঁকাবাজি।
মমতা ২০১১ সালে সিপিএমকে হারাতে সুজন, বিমান, সূর্যকান্তকে তো ভাঙিয়ে আনেননি। যদি গেরুয়া শক্তি ক্ষমতা দখলের এতটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েই থাকে তাহলে ভোটের দু’মাস আগেও অন্য দল ভাঙার এমন মরিয়া প্রয়াস কেন? মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে এমন টানাটানি যে হাসপাতালে ভর্তি বাংলার এক নক্ষত্রের জন্যও নেতারা হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন। বারবার দিল্লি থেকে ফোন আসছে। কী লজ্জার ব্যাপার! এ কোন দিকে ছুটছি আমরা! নেতা থেকে তারকা সবই যেন বিক্রয়যোগ্য পণ্য, পুতুল কেনার মতো কিনে নিলেই হল। আর রাজ্যটা জয়নগরের মোয়া, ভূমিপুত্র মাহেন্দ্রক্ষণ দেখে মোদিজির হাতে তুলে দেবেন!
এই বেপরোয়া খেলায় আজ গোটা বাঙালি জাতি টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। একভাগ দলত্যাগী বেইমান, অপর ভাগ সমদূরত্ব বজায় রাখা কালিদাস, আর একটি ভাগ হল, পুরনো অবস্থানে অনড়। উপরন্তু সংখ্যালঘু ভাইরাও আজ বিপন্ন। তাঁদের নিয়েও নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙতে সুকৌশলে আসাউদ্দিন ওয়াইসির মিমকে এরাজ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন অমিত শাহ অ্যান্ড কোম্পানি। আসাউদ্দিন ওয়াইসির কাজটা কী? গত কয়েক বছর ধরে তাঁর রাজনীতি যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁরা বলছেন, একটা অসাধ্য সাধন করার জন্যই অমিত শাহ বিভিন্ন রাজ্যে ঠিক ভোটের আগে তাঁকে পাঠিয়ে থাকেন। ভোটে জিততে অমিত শাহ ও সঙ্ঘ পরিবার সম্প্রতি যে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের সাহায্য নিচ্ছেন তারই প্রধান অস্ত্রই হচ্ছে ওয়াইসির এই মুসলিম ভোট ভাঙার কৌশল। বিহারে তাঁর সক্রিয়তাতেই মুসলিম ভোট ভেঙে তেজস্বী যাদবের যাত্রাভঙ্গের কাহিনি সবাই দেখেছে। উত্তরপ্রদেশেও মুসলিমদের তিনি সুকৌশলে বিভক্ত করেছেন। আর এখন বাংলার আসন্ন নির্বাচনে আসাউদ্দিন সাহেবের একটাই কাজ, যেন তেন প্রকারে মুসলিম ভোটের কিছুটা তৃণমূলের হাত থেকে বের করে আনা। তাতে কার লাভ? মুসলিমদের না ভারতের একমাত্র হিন্দু পার্টি বিজেপির? সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের আগে পর্যন্ত এরাজ্যে মুসলিম ভোট বামেদের হাতে ‘সুরক্ষিত’ ছিল। তার জোরেই দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি জ্যোতিবাবুরা দাপটে বাংলা শাসন করেছেন। তৃণমূলের এক দশকেও সংখ্যালঘু ভোট ‘সুরক্ষিত’ ছিল মমতার হাতে। সেই যুক্তি থেকেই এবার তৃণমূলকে চাপে রাখতে বিজেপির আপাত শত্রুবেশী বন্ধু ওয়াইসির আগমন। লক্ষ্য একটাই, মমতার সুরক্ষিত মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে সিঁদ কাটা।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল সিপিএমের সাড়ে তিন দশকের জগদ্দল পাথরকে উপড়ে ফেলা। দশ বছর পর তিনি আবার এক কঠিন লড়াইয়ের সামনে। এবার আগের চেয়েও শক্ত চ্যালেঞ্জ। গোটা রাষ্ট্রশক্তি কোমর বেঁধেছে। এবং বলাই বাহুল্য, দেশের তাবৎ বিজেপি-বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। কারণ কংগ্রেস ও সিপিএম যতই জোট করে সমদূরত্বের রাজনীতি করুক, আসলে দু’জনেই আবার ভাবের ঘরে চুরির খেলায় নেমেছেন। তাঁরা বিপদটাকে বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। বাংলায় বিজেপিকে রোখা না গেলে আগামী চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনের আগেই  দেশের বিরোধী শক্তির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে, এটাই সহজ সত্য। বাংলার অগ্নিকন্যাকে চিরদিন একা লড়াইয়ের ময়দানেই দেখে এসেছে বাঙালি। সেই সংগ্রামে তিনি আপসহীন অকুতোভয়। এবারও এত বিতর্কের পর তাঁর একক লড়াইয়ের দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলার মানুষ। বাংলার সাধারণ ঘরের আটপৌরে নেত্রী আজও একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
10th  January, 2021
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM