Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

লড়াইটা এবার সত্যিই শুরু হয়ে গেল। এতদিন পর্যন্ত ভোটযুদ্ধ জিতে গিয়েছে ধরে নিয়ে বিজেপি শুধু হুঙ্কার ছাড়ত, ক্ষমতায় এলে ঠ্যাং ভাঙব, মেরে তাড়াব, সব পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু লড়াইটা এবার আর শুধু হুঙ্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল না। তা প্রকারান্তরে রণভূমিতে নেমে এসেছে এবং এই লড়াইটা শুরু হয়ে গেল ‘তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর’ বিদ্রোহ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর কয়েকমাস পরেই এরাজ্যের নির্বাচন। এখনই প্রত্যক্ষ লড়াই শুরু না হলে, আর কবে হবে! বিজেপি নেতৃত্ব অন্য রাজ্যের মতোই এখানেও মোদিজিকে মুখ করে অবিলম্বে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। একটা-দু’টো বিশিষ্ট মুখ খুঁজতে এবং এই রাজ্যে বিজয়পতাকা ওড়ানোর জন্য ঢালাও প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক একটাকে টোপ হিসাবে ঝুলিয়ে দিয়ে উদার আহ্বান জানানো হচ্ছে, ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে।’ অনেকেই এখন পড়িমরি করে সব আদর্শ আর উন্নয়নের কথা ভুলে গেরুয়া পতাকা ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিজেপিরও আর ঝাড়াই বাছাইয়ের সময় নেই। যা পারো, গোডাউনে ভরো। সুতরাং কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূলের কিছু নেতা দলের তীব্র সমালোচনা করে, মোদির জয়গান গেয়ে এই রাজ্যাটাকে বাঁচানোর দায়িত্বের কথা বলে গেরুয়া পতাকাতলে হয়তো ভিড়বেন। অনেকেই এখন আবার গেরুয়ার নব আনন্দে জাগতে বাধ্য হবেন। এই সব দলবদলুদের দেখে দেখে আর তাঁদের আদর্শের কপচানি শুনে শুনে আমাদেরও চোখকান সব পচে গিয়েছে। 
তৃণমূল আর বিজেপির এবারের লড়াইয়ে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের অবস্থা অনেকটা দুধুভাতুর মতো। যা দু’একটা কুড়িয়ে বাড়িয়ে আসবে, তাতেই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এখন তাদের অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। প্রকারান্তরে তারা হাত মিলিয়ে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জব্দ করতে। তাতে অন্য কারও লাভ হলেও তাদের কোনও আপত্তি নেই। কংগ্রেস এবং সিপিএম এরাজ্যে পরস্পরকে খড়কুটো ভেবে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে।  কিন্তু তারা বুঝতে চাইছে না, এরাজ্যে তাদের অক্সিজেন জোগান দেওয়ার মতো কোনও শক্তি নেই। বরং তারা নিজেদের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ করতে আসরে নেমেছে। এবারের নির্বাচনে মমতার যাত্রাভঙ্গ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। কেননা এখানে তাদের যেটুকু ভোট রয়েছে, তাতে তারা ভোট কেটে সুবিধা করে দিতে পারে বিজেপির। কিছুদিন আগে বিশিষ্ট সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এরাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন, এরাজ্যের সিপিএম ভুল করছে। যেখানে বিজেপিকে এক নম্বর শত্রু হিসাবে টার্গেট করা উচিত ছিল, সেখানে তাদের এক নম্বর টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এরাজ্যের সিপিএম নেতাদের নাবালকত্ব কবে ঘুচবে কে জানে! 
এরাজ্যে গত লোকসভার ভোটের হিসেবটার দিকে নজর দিলে কয়েকটা জিনিস কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট বেড়েছিল ৩.৪৮ শতাংশ। আসন কমলেও বেড়েছিল ভোট। তাহলে বিজেপির অত আসন পাওয়ার রহস্য কোথায়? কেননা সিপিএমের ভোটেই বিজেপি এখানে ১৮টি আসন জয় করেছিল। বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট পেয়েছিল ৪০.৬৪ শতাংশ। তাদের ভোট বেড়েছিল ২২.২৫ শতাংশ। এবার একবার সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভোটের দিকে নজর দেওয়া যাক। তাহলেই অঙ্কটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সিপিএম ভোট পেয়েছিল ৬.৩৪ শতাংশ। তাদের ভোট কমেছিল ১৬.৭২ শতাংশ। অর্থাৎ সিপিএমের তথাকথিত ‘কমরেডমনস্ক’ বলে প্রচারিত ‘কমিটেড ভোট’ ঢুকে গিয়েছিল বিজেপির বাক্সে। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৫.৬৭ শতাংশ ভোট। তাদের ভোট কমেছে ৪.০৯ শতাংশ। এই দু’টি ভোট যোগ করলে দাঁড়ায় ২০.৮১ শতাংশ। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কাদের ভোট গোপনে গোপনে এরাজ্যে বিজেপিকে বিশাল এক জায়গা করে দিতে প্রয়াসী হয়েছে। তৃণমূলের যে ৩.৪৮ শতাংশ ভোট বেড়েছে, সেই ভোট হল নতুন ভোটার, তরুণ প্রজন্মের ভোটার। সুতরাং চোখকান খোলা রাখলেই বোঝা যাবে, কে কাকে তলে তলে সাহায্য করে মমতাকে টাইট দিতে চাইছেন। পাগলের গো-বধে আনন্দ কথাটা তো একেবারে মিথ্যা নয়! 
বিজেপির বিহারে কৌশলের কথা মনে আছে তো? কীভাবে বিহারের মুসলিম ভোট কাটার জন্য তারা মাঠে নামিয়েছিল আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএমকে। ওয়াইসি সেখানে পাঁচটি আসন পেয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁরা মহাগঠবন্ধনের ভোট কাটতে পারেননি। উল্টে নীতীশকুমারের ভোটব্যাঙ্কের মুসলিম ভোট কেটে অন্যদিক থেকে বিজেপিকে তারা অক্সিজেন দিয়েছিল। বিজেপি মুসলিমদের প্রতি যতই কমপ্লেক্সে ভুগুক না কেন, ভোটে জেতার কূটকৌশলে তাদের সাহায্য নিতে ছাড়ে না। এই বাংলাতেও ভোটের আগে ওয়াইসির পার্টিকে টেনে এনে মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের মজবুত ভিতটাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অথবা বিজেপি সেই কাজের জন্য তাকিয়ে থাকবে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দিকে। বিজেপির খুব আশা, ওই জোট হয়তো মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক থেকে ভোট কেটে তাদের সুবিধা করে দিতে পারবে। তবে সিপিএম-কংগ্রেস মমতার বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগায় মুচকি হাসছেন বিজেপি নেতারা। আড়ালে বলছেন, সাবাশ। সারা দেশে যে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে, এখানে কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে পরোক্ষভাবে তারা বিজেপির হাতকেই শক্ত করতে চাইছে। কিছু নেতার ব্যক্তিগত উষ্মা থেকেই কংগ্রেসের এই বিভ্রান্তি। 
এখানে আর একটা তথ্য পরিবেশন করা যেতে পারে। সেটা হল ২০১৯ সালে ওড়িশা বিধানসভা ও লোকসভার ফল। এই রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরি। বিগত লোকসভা ভোটের ফল দেখে এখানে বিজেপির প্রত্যাশা বেড়েছে। তাই এই সময়ে একবার ওড়িশার দিকে তাকানো যেতে পারে। ওড়িশায় নির্বাচন কভার করতে গিয়ে দেখেছিলাম একই মানুষের ভিন্নমত। একই সঙ্গে তাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছেন। লোকসভার ভোট বিজেপিকে অনেকে দিলেও বিধানসভার ভোটে তাঁরা কিন্তু নবীন পট্টনায়েকের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। কোনও অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর সেখানে কাজ করেনি। লোকসভা ভোটে সেখানে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। আগের লোকসভা ভোটে তারা পেয়েছিল ১টি মাত্র আসন। গত লোকসভা ভোটে নবীনের দলের ভোট কমেছিল ১.৩ শতাংশ। দেখা গেল বিধানসভা ভোটে সেই ভোট নবীনের অটুট। বিজেপি লোকসভায় পেয়েছিল ৩৮.৪ শতাংশ ভোট। বিধানসভায় তাদের ভোট কিন্তু কমে হল ৩২.৪৯ শতাংশ। মনে রাখা দরকার, ভোট কিন্তু হয়েছিল একইসঙ্গে। সুতরাং লোকসভা ভোটের সঙ্গে সবসময় বিধানসভা ভোটের তথ্যকে মেলানো উচিত নয়।    
নন্দীগ্রামও এবার হয়ে উঠছে ভোটের ইস্যু। নন্দীগ্রামের লড়াইটাকে আজ যদি কেউ একক লড়াই বলে সব ঝোলটুক টেনে সুবিধাভোগের চেষ্টা করেন, সেটা অত্যন্ত ভুল হবে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। গায়ে গেরুয়া পতাকা জড়িয়ে আজ যদি কেউ দাবি করেন, নন্দীগ্রাম তাঁরই আন্দোলনের ফসল,তবে মানুষ তার তীব্র প্রতিবাদ করবেন। একটা অগ্নিগর্ভ সময়ের মধ্য থেকে মমতার হাত ধরে একটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের নামই ছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। এই আন্দোলন তৈরি করা যায় না। এই আন্দোলন তৈরি হয়ে যায়। আগুনের পাকে পাকে লেখা হয়ে যায় ইতিহাস। সেই আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন একজন। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিরা সকলেই ছিলেন দ্বিতীয় সারির সৈনিক। 
এরাজ্যের একটা পরম্পরা আছে, শিক্ষার জোর আছে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে, রাজনৈতিক সচেতনতা আছে। তার সঙ্গে কোনওভাবেই বিজেপির সংস্কৃতি এবং বৌদ্ধিক ঐতিহ্য মেলে না। এটা অবশ্যই ঠিক, এরাজ্যে যত দিন গিয়েছে, ততই অবাঙালি জনগণের সংখ্যা বেড়েছে। আসলে আমাদের সংস্কৃতি সব সময়ই দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে। তাই যে কেউ এরাজ্যে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখানে কোনও আন্দোলন হয়নি। সকলেই নিরুপদ্রবে থেকেছেন। অন্য রাজ্যে কিন্তু অমুক খেদাও তমুক খেদাও আন্দোলন হয়েছে। আসলে বিভেদের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কুশিক্ষা বাঙালি সম্ভবত কোনওদিন শেখেনি। আজ যেন এরাজ্যে বিজেপি মন্থরার মতো ঢুকে পড়ছে। যে কুমন্ত্রণার কারণে একদিন রামচন্দ্রকে সোনার অযোধ্যা ছেড়ে বনবাসে যেতে হয়েছিল। সোনার অযোধ্যা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। আজ মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করে বিজেপি অনেকটা সেই মন্থরার ভূমিকায় অবতীর্ণ। সুতরাং বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে রক্ষা করাই এবারের ভোটে প্রধান ইস্যু।
02nd  December, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের ভোট তদারকি করছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব

02:33:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৫১.৫৮ শতাংশ, কোচবিহারে ৫০.৬৯ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৫০.৬৫ শতাংশ ভোট পড়ল

02:32:20 PM

পুলিসের তাড়া খেয়ে শিলিগুড়ি শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্ট্যোপাধ্যায়

02:32:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ১ টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৩৯.৫১ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৫৩.০৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৩৬.৯৬ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৩৭.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

02:31:14 PM

বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪: দুপুর ১ টা পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ৩৭.৫৩ শতাংশ ও সিকিমে ৩৬.৮৮ শতাংশ ভোট পড়ল

02:31:11 PM

অন্য কাউকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা: মমতা

02:30:54 PM