Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। হলদিয়ায় এককালের বাম নেতা শ্যামল মাইতিও যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আবার সরাসরি যোগ না দিয়ে তলায় তলায় কাজ করছেন অনেকে। রয়েছেন সুযোগের অপেক্ষায়। এভাবেই জেলায় জেলায় বাম মিছিলে হাঁটা লোক মিশছে রামে। হাতে তুলে নিচ্ছে পদ্ম। খাল কেটে এ রাজ্যে কুমির আনার বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে গোটা দলটা। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ফ্যাসিস্ট গেরুয়া শক্তি আজ যে কষ্টকল্পিত স্বপ্নটা দেখছে তার ভিত্তি কী? খুব সোজা হিসেব। দীর্ঘ একযুগ ধরে কমতে থাকা বাম ভোটে চূড়ান্ত থাবাটা বসানোর অপেক্ষা। অথচ বামপন্থীরা চূড়ান্ত হতাশায় না ভুগলে এ রাজ্যে তাদের ভোট কোনওভাবেই ২৫ শতাংশের নীচে নামতে পারে না। কিন্তু দুঃখের কথা, তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে আবারও সেই আত্মঘাতী পথেই হাঁটছে বঙ্গীয় কমরেডরা। বিজেপি আর মমতাকে এক আসনে বসাতে গিয়ে নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতাকেই আরও প্রকট করে তুলছে।
ভোটার তো রাতারাতি তৈরি হয় না। কিন্তু এক দলের ভোট অতি সহজেই পরের নির্বাচনে শত্রু শিবিরে চলে যায়। এ রাজ্যেও সেই অদ্ভুত রসায়নের দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। এ খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে। বামের ভোট রামে। সঙ্গে লাল পার্টির অন্দরে অদ্ভুত ফিসফিসানি, একুশে রাম, ছাব্বিশে ফের বাম। সেই অলীক স্বপ্নকে সামনে রেখেই লাল পতাকা নিয়ে হাঁটা মানুষের ভোট পড়ছে রামে। নাহলে এ রাজ্যে সিপিএমের ভোট ৬.৩ শতাংশ আর বিজেপির ভোট ৪০ শতাংশের বেশি, এই উলটপুরাণের পরিসংখ্যান আলিমুদ্দিনের কর্তারা সহজে হজম করতে পারতেন না। অথচ ৩৪ বছর টানা বাংলাজুড়ে একচেটিয়া কর্তৃত্ব করার পর ২০১১ সালে মমতার হাতে ভরাডুবির নির্বাচনেও এ রাজ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল সিপিএম। ৬ মাসেই ঘুরে দাঁড়ানোর শপথও নিয়েছিল। ব্রিগেডে যখনই সভা হয়েছে, তখনই মাঠ উপচে গিয়েছে। শ্রদ্ধেয় বিমানবাবুরা আহ্লাদিত হয়েছেন। কিন্তু কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের ভোট আর ফেরেনি। পক্বকেশ নেতৃত্বের উপর কমরেডরা আস্থা রাখতে পারেননি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় ২০ শতাংশ। বাম ও কংগ্রেস জোট করেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। পার্ক সার্কাস ময়দানে বুদ্ধদেববাবু ও রাহুল গান্ধী একে অপরকে মালা পরিয়ে উষ্ণ আলিঙ্গন করলেও তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি ভোটযন্ত্রে। এরপর থেকেই রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফল সেই ভয়ঙ্কর পরিণতির ইঙ্গিতই বহন করছে। 
কিন্তু নিজের নাক কেটে তৃণমূলের যাত্রা ভঙ্গ করার এই চোরাগোপ্তা খেলায় সিপিএমের লাভ? এই ভাবের ঘরে চুরি আর কতদিন চলবে! কমরেডরা বুঝতে পারছেন না, এই সর্বনাশা খেলা দলটার আরও বারোটা বাজিয়ে দেবে। শেষে অস্তিত্বটাই বিপন্ন হবে। সর্বনাশ হয়ে যাবে রাজ্যটার। এই উপলব্ধি এখনই না হলে ফ্যাসিস্ট শক্তি যে আলিমুদ্দিনের একটা ইটও আস্ত রাখবে না সে কথা বোঝাবে কে? এবং ইতিহাসে সিপিএম যত বড় বড় ভুল করেছে তার সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। কারণ অবশিষ্ট ৬ শতাংশ ভোটও যদি নীতির ভুলে অবাঙালি প্রধান বহিরাগত নেতায় ভরা দলের ঝুলিতে চলে যায় তার সম্পূর্ণ দায়ভার বর্তাবে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের উপর। ছাব্বিশ কেন, ছত্রিশেও সেই ভুল সংশোধন করে ফেরার সুযোগ পাবে না বামপন্থীরা। আর একটা কথা বলি, সিপিএম অতীতে যাই করে থাকুক, আদ্যন্ত বাংলার মাটিতে মিশে থাকা দল। কোনও ভিনদেশি বর্গি, শাহ, নাড্ডা এই বাংলায় এ দলের নিয়ন্ত্রক নন। দলের সুর ও কৌশল বেঁধে দেওয়ার জন্য কখনও ডাকতে হয়নি কোনও কিশোরকুমারকেও। আর গত ৮-৯ মাসের লকডাউন পর্বে হীনবল হয়েও সাম্প্রদায়িক বিষ না ছড়িয়ে বামেরা যেভাবে কলকাতা থেকে দূর জেলায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাও অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।
১৯৯৬ সালে মাত্র ৩২ জন এমপি নিয়ে জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভোটাভুটিতেই ভেস্তে দিয়েছিল দল। ওই পদক্ষেপ কত বড় ভুল ছিল, তা নিয়ে আজ এই দুর্দিনেও দল আড়াআড়ি বিভক্ত। এখনও তিনজন বামপন্থী একজায়গায় বসলে তা নিয়ে ঝড় ওঠে। কিন্তু তখন দল অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে ছিল না। তারপরও দীর্ঘ ১৫ বছর বামেরা পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে হেসেখেলে। ত্রিপুরায় লাল পতাকা উড়েছে।  কেরলে ক্ষমতায় এসেছে গেছে। মাঝে ২০০৪ সালে ৫৯ জন এমপি নিয়ে মনমোহন সরকারের প্রাণভোমরার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল বামেরা। কেউ কেউ বলেন, মনমোহনের মন্ত্রিসভায় যোগ না দিলেও ২০০৪ থেকে ২০০৮, ওই চারবছরই ছিল এদেশে বামপন্থীদের স্বর্ণযুগ। কিন্তু ওই যে বললাম, সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়। পাঁচবছর যেতে না যেতেই পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে সমর্থন প্রত্যাহার করে প্রথম দলের পায়ে কুড়ুল মারলেন প্রকাশ কারাত সাহেব। তার আগেই অবশ্য ২৩৫-এর অহঙ্কারে বুদ্ধদেববাবু সিঙ্গুরের কৃষকদের খেপিয়ে বসে আছেন। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম আন্দোলন। পার্টি ল্যাজে গোবরে। কিন্তু ২০০৮ থেকে ২০২০— দীর্ঘ এক যুগ ধরে সিপিএমের এই ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ কি শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির কাছে পরাজয়, নাকি পদে পদে ভুল সিদ্ধান্ত, বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপ? কে বড় শত্রু তা চিনতে ভুল করা? সেই আত্মসমীক্ষা কি বামদলগুলি করেছে? ২০০৪ সালে যে সিপিএম রাজ্যে ২৬টি আসন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল (আর বামফ্রন্ট সেবার পেয়েছিল সবমিলিয়ে ৩৫ টি), সেই দলই ২০০৯ সালে কেন মাত্র ৯টি আসন পেল? আর মমতার দল ১৯টি জিতে বাংলার চালকের আসন দখল করে নিল। কোথায় ভুল ছিল। দায়ী কে? বামেদের রক্তক্ষরণের তো সেই শুরু, যা আজও শেষ হয়নি। এখন একটাই অপেক্ষা, আগামী বিধানসভা ভোটে বামেরা শুধু নিজেদের ভোটটা নিজেদের প্রতীকে দিন। রাগে অভিমানে হতাশায় অন্যরকম কিছু করলে মুছে যেতে হবে। ইতিহাস তখন ক্ষমা করবে না।
গত লোকসভা ভোটে সারা দেশে ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে সিপিএম মাত্র তিনটি আসন জিতেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় দলের প্রাপ্তি শূন্য। এই বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হল কে বড় শত্রু তা চিহ্নিত করতেই একযুগ কেটে যাওয়া। বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার রাজনীতি করতে গিয়ে গেরুয়া শক্তির বাড়বৃদ্ধিকেই ঘুরিয়ে ত্বরান্বিত করেছে দেশীয় বামপন্থীরা। সেই প্রক্রিয়ারই আজ নগ্নরূপ দেখছে পশ্চিমবঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে না পেরে তলে তলে দলের নীচের তলা বিজেপিকে সাহায্য করছে। এর বিষময় পরিণামটা এখনও টের পাচ্ছে না। তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার নামে বিজেপিকে জমি ছেড়ে দেওয়ার অর্থ বিরোধী শক্তিকেই দুর্বল করা। তৃণমূল ও বিজেপির থেকে সমদূরত্বের রাজনীতির অর্থ আখেরে মোদি, অমিত শাহ তথা সঙ্ঘ পরিবারকেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অক্সিজেন দেওয়া। নির্ণায়ক নির্বাচনে দুই প্রধান শত্রু থেকে সমদূরত্বের অবস্থান আদতে সোনার পাথরবাটি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ভুল না ভাঙলে বঙ্গের বামপন্থীরা অচিরেই ফসিল হয়ে যাবেন!
কংগ্রেসমুক্ত ভারতের ডাক দিয়ে নরেন্দ্র মোদি তাঁর দিল্লি যাত্রা শুরু করেছিলেন বটে, এখন কিন্তু অভিমুখ আরও ধারালো। আরও সুনির্দিষ্ট। শুধু আর কংগ্রেসমুক্ত ভারত নয়, এবার লক্ষ্য বিরোধীশূন্য রাষ্ট্র। আর সেই লক্ষ্যেই যেন তেন প্রকারে মমতাকে দুর্বল করার কাজে বামেরা যদি সঙ্গ দেয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। জয়ললিতা নেই। মায়াবতীর রাজনৈতিক অবস্থান বিজেপির পক্ষে। মুলায়মের বয়স হয়েছে। অখিলেশ অনেকটাই ক্ষীণবল। বিজেপির পক্ষে থাকলেও বিহারে নীতীশ কুমারের এতদিন একটা স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। বিহারের সাম্প্রতিক 
নির্বাচনে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বটে কিন্তু তাঁর সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতে। সরকারে জুনিয়র পার্টনার নীতীশ আজ কার্যত বিজেপির হাতের পুতুল। নবীনবাবু কিংবা কেসিআর খুব বেশি মোদিজিকে চটাবেন না। তাহলে রইল বাকি কে? তাই আগামী ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো 
অবস্থায় একমাত্র বাংলার অবিসংবাদিত নেত্রী মমতা। তাই বামেদের ক্রমে ক্ষয়ে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক থেকে আরও তিন-চার শতাংশ  যদি কৌশলে টেনে নেওয়া যায় তাহলেই তো গেরুয়া পার্টির কেল্লা ফতে! সিপিএমের মিছিলে হাঁটা কমরেডরা বাংলায় পদ্মফুল ফোটালে লাভ কার?
কিন্তু মমতাকে দুর্বল করতে ফ্যাসিস্ট আরএসএসের তালে তাল মেলালে ইতিহাস কি বামপন্থীদের ক্ষমা করবে? বিয়াল্লিশের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় দেশীয় বাম নেতৃত্বের নেতিবাচক ভূমিকা কিংবা নেতাজিকে বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দেওয়ার কলঙ্ক আজও ইতিহাস থেকে মোছেনি। ঠিক তেমনি বামপন্থী মিছিলে হাঁটা লোক যদি পদ্মফুলে বোতাম টেপে তাহলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। আর যাঁরা ভাবছেন এতে করে আখেরে লাভ হবে, তাঁদের সম্মান দিয়েই বলি, এতে জাত যাবে পেটও ভরবে না। সঙ্ঘ পরিবার আষ্টেপৃষ্ঠে রাজ্যটাকে ঘিরে ফেলবে। সঙ্ঘ পরিবারের শৃঙ্খলে বাংলা ও বাংলার মানুষ বন্দি হয়ে যাবে। বামপন্থীদের ঘুরে দাঁড়ানো তখন চিরতরে দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে।
29th  November, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ৯ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ১৩.৭১ শতাংশ, মিজোরামে- ১০.৮৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ৯.৬৬ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ৮.৭৮ শতাংশ, রাজস্থানে- ১০.৬৭ শতাংশ, সিকিমে- ৭.৯২ শতাংশ ভোট পড়ল

10:24:47 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ৯ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ১৬ শতাংশ ভোট পড়ল

10:23:42 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ৯ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ৫.৫৯ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ১০.৪৩ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ১৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ৬.৯৮ শতাংশ, মণিপুরে- ১০.৭৬ শতাংশ ভোট পড়ল

10:20:52 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ৯ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ৮.৬৪ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ৫.৯৮ শতাংশ, অসমে- ১১.১৫ শতাংশ, বিহারে- ৯.২৩ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ১২.০২ শতাংশ ভোট পড়ল

10:17:47 AM

বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪: সকাল ৯ টা পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ৬.৪৪ শতাংশ ও সিকিমে ৭.৯০ শতাংশ ভোট পড়ল

10:16:17 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ৯ টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে- ৮.২১ শতাংশ, ত্রিপুরাতে- ১৫.২১ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে- ১২.৬৬ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে- ১০.৫৪ শতাংশ ভোট পড়ল

10:13:58 AM