Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‌বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন
ও পাহাড়ের রাজনীতি

তন্ময় মল্লিক

এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র বিমল গুরুং। রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেই গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ ও তৃণমূলকে সমর্থনে তাঁর ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমোর এই ডিগবাজি গেরুয়া শিবিরে বিনা মেঘে বজ্রপাত। রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত গুরুংকে ধরে রাখতে বিজেপির চেষ্টার খামতি ছিল না। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে গুরুংয়ের ক্ষোভ চাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্তে সেই গেম প্ল্যানও ভেস্তে যায়। তারপরই গুরুংয়ের শিবির বদলের সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি বুঝেছেন, তৃণমূল ফের জিতলে দীর্ঘায়িত হবে তাঁর আত্মগোপন পর্ব। তাই পাহাড়ে ফেরার রাস্তা মসৃণ করতেই তৃণমূলকে তাঁর নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা।
ভোট সর্বস্ব রাজনীতিতে শিবির বদল বা ডিগবাজি নতুন নয়। রাজনীতির কারবারিরা শিবির বদল করেন বলেই পাল্টে যায় জোট রাজনীতির সমীকরণ। বদলায় ক্ষমতা। তবে গুরুংয়ের শিবির বদল তা থেকে কিছুটা ভিন্ন। আপাতদৃষ্টিতে গুরুং শিবির বদল করেছেন বলে মনে হলেও বাস্তবটা হল, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক কৌশলের কাছে তিনি মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রীর বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছেন।
বিজেপির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে টানা তিন বছর গুরুং রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। ভেবেছিলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জেতালে এবং কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার গড়লে পূরণ হবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। কিন্তু সরকার গঠনের পর বছর ঘুরলেও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তিনি একচুলও এগতে পারেননি। উল্টে তাঁকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। সেই সুযোগে একদা তাঁরই ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাংকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করছেন। রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে বিনয় তামাং ও অনীত থাপা হয়ে উঠছেন দক্ষ প্রশাসক। পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও এক এক করে কাছে টেনে নিচ্ছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁর আমও যাবে, ছালাও যাবে। গোর্খাল্যান্ড তো হবেই না, পাহাড়ের দরজাও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই একদা পাহাড়ের এই বেতাজ বাদশার সামনে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য রাস্তা ছিল না। সম্ভবত দিল্লিতে বসেও তিনি টের পাচ্ছিলেন, বদলাচ্ছে বঙ্গের পরিস্থিতি।
তবে কেউ কেউ গুরুংয়ের এই আত্মসমর্পণের পিছনে বিজেপির সূক্ষ্ম প্যাঁচ আছে বলে মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিমল গুরুংয়ের মাথায় ঝুলছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। তাই বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পক্ষে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ভোট করানো সম্ভব হতো না। তার উপর বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গেলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর নেই। উল্টোদিকে বিনয় তামাং ক্ষমতার সুবাদে প্রভাব বিস্তার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গুরুং তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে পাহাড়ে উঠলে বিনয়-বিমল সংঘাত অনিবার্য। সেই সুযোগে জিএনএলএফকে সামনে রেখে ফায়দা তুলবে বিজেপি। কারণ জিএনএলএফের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এখনও সুসম্পর্ক আছে। তবে গুরুংকে তৃণমূল কীভাবে কাজে লাগাবে, তার উপরেই নির্ভর করবে বিজেপি আদৌ বেনিফিট পাবে কি না! 
বিমল গুরুংয়ের বিজেপি সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে তৃণমূল সমর্থন করেছে। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের পাশে থাকার ঘোষণাকেও স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল। কিন্তু প্রতিক্রিয়ায় সংযমের ছাপ স্পষ্ট। বিমল বিজেপির হাত ছাড়ায় উত্তরবঙ্গের ১০/১২টি আসনে শাসক দলের সুবিধা হতে পারে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেতৃত্ব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, তৃণমূল সুপ্রিমো একেবারে ‘স্পিকটি নট’। অনেকেই মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে জল মাপতে চাইছেন। তবে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই যে তাঁর লক্ষ্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। 
রাজনীতিতে উপরে ওঠার সিঁড়িটির নাম হল কৌশল। আর তা নির্ধারিত হয় অনুমান এবং অঙ্কের ভিত্তিতে। কৌশল ঠিকঠাক কাজ করলে সেটাই হয়ে যায় রাজনীতির মাস্টার স্ট্রোক। আর ভুল হলেই ব্যুমেরাং। তখন সেই অস্ত্রে সে নিজেই ঘায়েল হয়।
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির জনসভায় গোর্খাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বিমল গুরুং সহ নেপালি ভোটের বৃহৎ অংশ কব্জা করেছিলেন। তখন সেটা ছিল বিজেপির মাস্টার স্ট্রোক। এখন সেই বিমল গুরুংই গেরুয়া শিবিরের কাছে ব্যুমেরাং। কারণ গুরুং শুধু মমতায় আস্থা রাখেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিজেপির সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই। পাহাড়ের উন্নতির জন্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করেননি। একমাত্র মমতাই কথা রেখেছেন।’ এখানে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ শব্দটি হল, ‘পাহাড়ের উন্নতির জন্য’। পাহাড়ের খবর যাঁরা রাখেন তাঁরা জানেন, গোর্খাদের জাত্যভিমান প্রবল। তাকে কাজে লাগিয়েই সুবাস ঘিসিং আশির দশকের গোড়ায় দার্জিলিং পাহাড়ে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু করেছিলেন। প্রথমে তাঁর দাবি ছিল পৃথক দেশের। তারপর পৃথক রাজ্য। তিনি পাহাড়বাসীকে বুঝিয়েছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। একমাত্র পৃথক রাজ্যই পাহাড়ের মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দূর করতে পারে। পবরর্তীকালে সেই দাবি থেকে সরে তিনি গোর্খা পার্বত্য পরিষদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। পাহাড়ের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগের সেটাই শুরু। তারপর যখনই রাজ্য সরকার হিসেব চেয়েছে তখনই ঘিসিং পৃথক রাজ্যের দাবিতে হুঙ্কার ছেড়েছেন। আর বাম সরকার কঠোর পদক্ষেপের বদলে তাঁর দেওয়া শর্ত মেনে সমঝোতা করেছে। সেটা ছিল বামেদের কৌশল। পাহাড় তোমার, সমতল আমার। সেই কৌশলেই ঘিসিং দু’দশকেরও বেশি সময় পাহাড় কব্জায় রেখেছিলেন।
পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে গিয়েছিলেন ঘিসিং। উল্টে দার্জিলিংকে তিনি ষষ্ঠ তফসিলির অন্তর্ভুক্ত করে আরও বেশি ক্ষমতা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভের চেষ্টা করেছিলেন। পাহাড়বাসী বুঝেছিল, গোর্খাল্যান্ডের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে ক্ষমতা ভোগই ঘিসিংয়ের উদ্দেশ্য। তা নিয়ে পাহাড়ের মানুষের দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছিল। আর তারই সুযোগ নিয়েছিলেন বিমল গুরুং। 
ইন্ডিয়ান আইডল গানের প্রতিযোগিতায় প্রশান্ত তামাংয়ের হয়ে ভোট করিয়ে তাঁকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই বিমলই। প্রশান্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। কিন্তু গোর্খাদের কাছে হিরোর মর্যাদা পেয়েছিলেন বিমল। তাকে হাতিয়ার করেই ধুরন্ধর বিমল ‘পাহাড়ো কা রাজা’ সুবাস ঘিসিংকে পাহাড় ছাড়া করেছিলেন। দিল্লি থেকে ফেরার পথেই তাঁকে আটকে দিয়েছিলেন গুরুং।
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাহাড়ের অধীশ্বর ছিলেন বিমল গুরুং। জিটিএ-র প্রধানের কুর্সি দখল করে তিনিও ভুলেছিলেন পাহাড়বাসীকে দেওয়া পৃথক রাজ্য আদায়ের প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতা ভোগই হয়ে উঠেছিল তাঁর লক্ষ্য। তাঁর বিরুদ্ধেও উন্নয়নের টাকা নয়ছয়, স্বজনপোষণের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নবান্নে জমা পড়তে থাকে। তা নিয়ে সরকার নাড়াচাড়া করতেই বিমল প্রমাদ গোনেন। তিনিও ঘিসিংয়ের জুতোয় পা গলিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন। কিন্তু পাহাড়বাসীকে খেপানোর মতো জুতসই ইস্যু পাচ্ছিলেন না। সমস্ত স্কুলে বাংলা ভাষা শিক্ষার নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করেই গুরুং ‘বঙ্গাল সরকারে’র বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছিলেন জেহাদ।
দিনটা ছিল ২০১৭ সালের ৮ জুন। দার্জিলিংয়ের গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বসেছিল ক্যাবিনেট মিটিং। গুরুং মিছিল নিয়ে সেদিকে এগতেই পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ। অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পাহাড়। প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা পাহাড় বন্‌঩ধের ডাক। একেবারে ঘিসিংয়ের স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু কৌশল কাজ করেনি। কারণ প্রতিপক্ষের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও ইস্পাত কঠিন মানসিকতার সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন বিমল গুরুং।
‘বঙ্গাল হামরো চিয়ান হো’। এর অর্থ, বাংলা আমাদের বদ্ধভূমি। এটাই ছিল বিমল গুরুংয়ের প্রিয়তম স্লোগান। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সেই প্রাক্তন সুপ্রিমোর আস্থা এখন মোদিতে নয়, মমতায়। এর ফায়দা ভোটে তৃণমূল কতটা পাবে, তা বলবে সময়। তবে একথা নিশ্চিত, ডাকাবুকো গুরুংয়ের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। ইতিহাস বলছে, চার দশক ধরে পাহাড় হুঙ্কার ছেড়েছে, আর সমতল সমঝোতার রাস্তার খুঁজেছে। কিন্তু, মমতার স্ট্র্যাটেজি ও প্রশাসনিক দৃঢ়তার ঘটল ঠিক উল্টোটা। সমতলের সামনে মাথা ঝোঁকাল পাহাড়ের ‘ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্স’। আর সেটা এই প্রথমবার।
31st  October, 2020
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ওড়িশার দুর্ঘটনায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

12:57:20 PM

গরিবের টাকা লুট করেছে বিজেপি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

12:57:00 PM

ভোটের সময়ে বিজেপি আসে, কিন্তু তৃণমূল দুঃখের সময়ে থাকে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

12:55:31 PM

মেট্রোয় বিভ্রাট
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফের মেট্রোয় বিভ্রাট। আজ, মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ ...বিশদ

12:55:02 PM

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ বঞ্চিত হবেন না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

12:54:18 PM

ডিসেম্বরের মধ্যেই ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

12:52:38 PM