Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 মহালয়া মানেই বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোর শুরু। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে চণ্ডীপাঠের ভোর থেকেই বাঙালির মন পড়ে থাকে পুজোমণ্ডপে। মা দুর্গাকে আবাহন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় আমাদের পুরো অস্তিত্ব। কিন্তু এবার মহালয়া যেন কোথা দিয়ে পেরিয়ে গেল! আমরা টেরই পেলাম না। সপ্তমী পুজোর জন্য—মহালয়া থেকে যদি টানা ৩৫ দিন হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়, তবে সেই প্রতীক্ষা আর আনন্দের থাকে না। আনন্দের রেশ বিলম্বের ক্লান্তিতে লীন হয়ে যায়। অন্য কোনও বছর হলে ব্যাপারটা হয়তো এতটা ম্যাড়মেড়ে হতো না। এবার যে পৃথিবীর অসুখ! 
অন্যবার মহালয়া মানেই বেশিরভাগ বাড়ির কেনাকাটা সারা। স্কুলে স্কুলে পুজোর ছুটি পড়ার অপেক্ষা। কার ক’টা জামা-প্যান্ট-জুতো হয়েছে—ছোটদের সেসব গোনাগুনতির পালা। মামা, পিসি, দাদু-দিদার তরফে কী গিফট পাওয়া গেল। মাসির ছেলে, কাকুর মেয়ের জন্য কোনটা যেন কেনা হল। কার যেন সাজের কোন জিনিসটা কেনা বাকি রয়ে গেছে! চলে এসব খুঁটিয়ে খোঁজ নেওয়া। কারও প্ল্যান, পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং বা ডুয়ার্স বেড়াতে যাবার। কেউ-বা লাগেজ গুছিয়ে ফেলে ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর, মুর্শিদাবাদ কিংবা ধান্যকুড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পুজোর দিনক’টা নিরিবিলি কাটাবে বলে। 
পাড়ার প্যান্ডেলে অষ্টমী ও নবমীতে পাত পেড়ে ভোগ খাওয়া এবং দশমীতে নাটকে অংশগ্রহণের জন্যই নাকি একটা করে বছর বেঁচে থাকেন মাঝবয়সি সমরেশবাবু! কোনও বাড়ির মেয়ে মধুজার সাফ কথা—পুজোয় কলকাতা ছেড়ে বেরনো? অসম্ভব। হাউজিংয়ের পুজোয় দিনভর আড্ডা আর গানের প্রতিযোগিতার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। দৈনিক কাগজের ক্রোড়পত্র থেকে পুজো প্যান্ডেলের ম্যাপ কেটে রাখার ব্যস্ততা নতুন নয়—গুগল নামক সর্বরোগহরা হাতের মুঠোয় থাকতেও। বাবার অফিস কলিগের মাধ্যমে কিংবা বন্ধুর আইপিএস বাবাকে ধরে ভিআইপি পাস জোগাড়ের সে কী প্রতিযোগিতা। বন্ধুর বাবা পুলিসকর্তা, এই অধিকারে গোগোল তো হাউজিংয়ের দু’জন সিকিউরিটি গার্ডকে সেরা পুজোগুলোর পাস জোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে। তারা সুভাষগ্রাম আর কানাইপুরের বাড়িতে দিয়ে আসবে, পঞ্চমীর আগেই। গার্ড দু’জন এজন্য ওই পুচকেটাকে বিশেষ খাতিরও করে। 
লিস্টি তৈরি হয়ে যায় উত্তরের কোন কোন পুজো কোন কোন দিন দেখতে যাওয়া হবে। দক্ষিণের জন্যও অনুরূপ প্ল্যান। পরিক্রমার শুরুটা উত্তর দিয়ে হবে নাকি দক্ষিণ দিয়ে—তা নিয়ে তর্কবিতর্কে শুধু ছোটরা কেন, বাড়ির মা জ্যাঠাইমা দিদারাও কি ঢুকে পড়েন না? মায়ের সর্বক্ষণের অ্যাসিস্ট্যান্ট ললিতা কিংবা শ্যামলীর মুহুর্মুহু ফোড়ন—সেও তো রয়েছে। 
মাঝখানে কোন রেস্তরাঁয় ডিনার হবে তা নিয়ে একমত হওয়াটাও সবদিন সম্ভব হয় না। প্ল্যান হয়ে যায়, নিউ আলিপুরে আমরা সৃজনদের টিমের সঙ্গে মিট করব। ডিনারটা হবে ওদেরই সঙ্গে। মেনু সিলেকশনে পিসির ছেলে সৃজনের জুড়ি নেই। কথায় কথায় চলে আসে, কোন বছর ডিনার শেষে গাড়ি খুঁজে পেতে কতটা হয়রানি হয়েছিল। অতএব পার্কিং নিয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত দিতে পারে না—এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায় না। আগামী বছর যে-ছেলে প্রথম বোর্ড এগজাম দেবে, ‘বড়’ হয়ে যাওয়ার অধিকারে সে এগিয়ে আসে বিশেষ দায়িত্ব নিতে—ড্রাইভার কাকুর মোবাইল নম্বরটা কিন্তু আমার কাছে থাকবে। ব্যাপারটা আমাকে বুঝে নিতে দিও। জ্যাঠামণি, বড়পিসির মুচকি হাসি দেখে সেই লায়েক ছেলে লজ্জা লুকতে ব্যস্ত—এই কারণেই না তোমাদের জন্যে কিছু করতে নেই। সঙ্গে সঙ্গে দিদির বাঁকা প্রশ্ন ছুটে আসে—বাবা, গাড়ির চাকা দু’পা গড়াতেই কে যেন ঘুমোতেই জানে না? এই কথার লক্ষ্য যে, সে ঠিক বুঝে যায়। অমনি দিদিকে সারা বাড়ি তাড়া করে ফেরে পুজো পরিক্রমার সেই হবু গার্জেন। একজনের তো কয়েক বছরের পুরনো রাগ পুজো এলেই ফিরে আসে—ড্রাইভারটাকে কে জোগাড় করেছিল? জীবনে কলকাতা দেখেনি যে, তাকেই দিয়েছে পুজো দেখানোর দায়িত্ব! ফের যদি ওরকম কিছু হয়, আমি কিন্তু যাচ্ছি না। হুমকি দেন হাফ অ্যাডভোকেট সিন্থলবাবু।  কেউ একজন মনে করিয়ে দেয়, এবার ভিকিরা আসছে মনে আছে তো? পুজোর পরেই ভিকি স্টেটসে চলে যাবে। ইউসিএলএ-তে পিএইচ-ডি অ্যাডমিশন হয়ে গেছে। এরপর কবে আর পুজোর কলকাতায় আসতে পারবে কে জানে।  আরও আছে। সল্টলেকের মাঠে কিংবা শ্রীভূমিতে ঢুকে হারিয়ে যাওয়া। সেলফি তোলা নিয়ে কোন কোন প্যান্ডেলে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কী ঝামেলা হয়েছিল। কারও মনে পড়ে যায়—গুগল লোকাল গাইডস-এ কোন কোন পুজোর ছবি পোস্ট করে কত হাজার পয়েন্টস জোগাড় হয়েছিল। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক পোস্ট থেকে কতটা খ্যাতিবৃদ্ধি হয়েছে।
যাই হোক, এইভাবেই সবার জন্য উত্তর ও মধ্য কলকাতায় সেজে ওঠে কুমোরটুলি পার্ক, বাগবাজার সর্বজনীন, কলেজ স্কয়্যার, সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার, নলীন সরকার স্ট্রিট সর্বজনীন, মহম্মদ আলি পার্ক প্রভৃতি। ভিআইপি রোডকে মাঝখানে রেখে তৈরি থাকে সল্টলেক এবি, জিডি, এফডি ব্লক, শ্রীভূমি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ। একডালিয়া এভারগ্রিন, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, দেশপ্রিয় পার্ক, যোধপুর পার্ক, বোসপুকুর শীতলামন্দির, সিংহী পার্ক সর্বজনীন, মুদিয়ালি ক্লাব, সুরুচি সংঘ, ত্রিধারা সম্মিলনী, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বাবু বাগান সর্বজনীন, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ প্রভৃতি জমিয়ে রাখে দক্ষিণকে।  
সর্বক্ষণ এসব নিয়ে আলোচনায় কোন বাড়ি না ‘পাখিরালয়’ হয়ে ওঠে! কিন্তু এবার সে অবকাশ আর কোথায় পাওয়া গেল? স্কুলপড়ুয়াদের টানা ছুটির ক্লান্তিটাই যে কাটছে না। আলাদাভাবে পুজোর ছুটির জন্য মন কেমন করা আসবে কী করে। এবার ক’জন আর পুজোর কেনাকাটা করতে যাওয়ার সাহস পেয়েছে? সবার পকেটে যে টাকাও নেই। কেমন যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, কলকাতায় নানান স্বাদের ও থিমের কয়েকশো পুজো হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম উৎসবগুলোর একটা। কলকাতার দুর্গোৎসব ‘ইউনেস্কো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি লাভের প্রতীক্ষা করছে।    কিন্তু এবার মহালয়ায় পুজো পুজো ভাবটাই ছিল না। আজ যদি কাউকে জিগ্যেস করা হয়, মহালয়া কত তারিখ গেছে? ক্যালেন্ডারে চোখ না বুলিয়ে বেশিরভাগই বলতে পারবেন না। মাসাধিককাল আগের ইভেন্ট বলেই নয়, ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটা এবার আমাদের নাড়া দিতেই পারেনি। 
তবু এবার পুজো। পাঁজি বলছে, ২২-২৬ অক্টোবর (ষষ্ঠী-দশমী)। বাংলাকে বিষাদের পরিবেশ থেকে বের করে আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৭ হাজার পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে সরকার। নাগরিক সমাজ এর মধ্যে সস্তা ভোটের রাজনীতি দেখলেও মুখ্যমন্ত্রী তা গায়ে মাখেননি। তিনি মোদ্দা কথা মাথায় রেখেছেন: এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। আর উৎসবের আলো, সুরের অন্তরে যে প্রাণ—তার নীরব শক্তি কতটা, প্রমাণ নতুন করে নেওয়ার কী আছে।
তবে, ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে শাঁখের করাতের মতো। পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণ বহুগুণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যে থাকছেই। তাই আয়োজনের গোড়াতেই ডাক্তারদের একটা সংগঠন সরকারকে সতর্ক করেছে: অসতর্ক হলে ‘কোভিড সুনামি’ অনিবার্য! এই প্রসঙ্গে কেরল ও কর্ণাটকে ওনাম এবং মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী মহাসমারোহে উদযাপনের পরিণাম স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয় ভুলিনি, কোভিড মোকাবিলায় এই কেরলই কিন্তু ‘হু’-র প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আর সেই রাজ্যই এখন হিমশিম খাচ্ছে। চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য, অন্যদের ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কোনও ক্ষেত্রেই যেন মান্য স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে আমরা আপস না করি। সেটা হবে আত্মঘাতী পদক্ষেপ। 
রেকর্ড সংখ্যক আমন্ত্রণপত্র পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী অনেক প্যান্ডেলে পুজো উদ্বোধনে যাননি। বাছাই কয়েকটির উদ্বোধন করেছেন ভার্চুয়ালি। প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত। একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় যাতে না-হয় তার জন্য ঠাকুর দেখার দিনও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানতে বলা হয়েছে একগুচ্ছ সরকারি নির্দেশিকা। ওইসঙ্গে যোগ হয়েছে আদালতের কিছু বিধিনিষেধ। সব মিলিয়ে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। দুর্গোৎসব আমাদের বহুদিনের এক অভ্যাস। একটা করে বছর বেঁচে থাকার মন্ত্র। বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট। এবার এসব রক্ষা করতে হবে নতুনভাবে। অভিযোজনের এও এক প্রকরণ।  এই বাংলা বহু সঙ্কটের সাক্ষী। জয়ী হয়েছে অতীতের সব যুদ্ধে। আসুন, আমরা সবাই মিলে জয়ের সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখি। শুধু মনে রাখতে হবে, দিনের শেষে জয় প্রতীক্ষা করে শুধু কুশলী যোদ্ধার জন্যে।
22nd  October, 2020
কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। বিশদ

মূকরাই সরব হবেন যথাসময়ে
পি চিদম্বরম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে পৃথিবী বিপুলভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে সেখানে দরিদ্র বা গরিব রয়ে যাওয়াটা এক দুর্ভাগ্য। একটা দরিদ্র দেশে দরিদ্র থাকাটা গণতন্ত্রের ব্যর্থতা। আর একটা গরিব দেশের গরিব রাজ্যে দরিদ্র থেকে গেলে তাকে রাজনীতির অভিশাপ মানতে হবে।  বিশদ

28th  October, 2020
বিহারের ভোটে অনেক পাখি মারার ছক মোদির
সন্দীপন বিশ্বাস

২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচনের খবর করতে গিয়ে দেখেছিলাম, বিজেপি সেখানে কী পরিমাণ টাকা ঢেলেছিল। সমস্তিপুর, বেগুসরাই, জামুই, ভাগলপুর, মুঙ্গের, খাগাড়িয়া, লক্ষ্মীসরাই ঘুরে দেখেছিলাম, পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স দিয়ে বিজেপি শহর মুড়ে দিয়েছে। বিশদ

28th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
একনজরে
ট্যুইটারে লাদাখকে চীনের অংশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এনিয়ে ভারতের যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে ট্যুইটার ইন্ডিয়া। তাদের তরফে বিষয়টি নিয়ে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। যার উত্তরে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে ট্যুইটার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা ভারতের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ভুয়ো ভাউচার ছাপিয়ে ময়নার শ্রীকণ্ঠা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠল সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ অক্টোবর সমবায় সমিতির সম্পাদক সুবোধচন্দ্র মাইতি ম্যানেজার সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে ময়না থানায় এফআইআর করেছেন।   ...

বংশপরম্পরায় আজও মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন কুমোরটুলির একটি নির্দিষ্ট শিল্পী পরিবার। পটুয়াপাড়ার ৪০/১, বনমালি সরকার স্ট্রিটে মৃৎশিল্পী জয়ন্ত পালের ঘরে জোরকদমে ...

করোনা আবহেও লক্ষ্মীর আরাধনার বাজেটে খামতি পড়েনি। এমনকী বাইরে থেকে চাঁদা আদায়ও নয়। গ্রামবাসীরাই বছরভর মাটির ভাঁড়ে যে টাকা জমিয়েছেন, তাতেই হচ্ছে পুজোর আয়োজন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৪৭ টাকা ৯৭.৮৪ টাকা
ইউরো ৮৫.২৮ টাকা ৮৮.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৮১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৮৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী ২৩/৫২ দিবা ৩/১৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৫/৪১ দিবা ১২/০। সূর্যোদয় ৫/৪৩/১৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী দিবা ৩/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: কর্মরতদের উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। বৃষ: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার ১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: কেকেআর-কে ৬ উইকেটে হারাল সিএসকে 

11:14:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১২১/৩ (১৫ ওভার) 

10:43:26 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৮৮/১ (১১ ওভার) 

10:19:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৩৭/০ (৫ ওভার) 

09:51:13 PM