Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 বাংলায় একটা প্রবাদ আছে—ঠেলার নাম বাবাজি। সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে নরেন্দ্র মোদি সরকার যতই অহংয়ের উড়োজাহাজে উড়ে বেড়াক না কেন, গণতন্ত্রের কাছে সেই মাথা নত করতে হল। ‘ঠেলা’র তত্ত্ব আরও একবার মান্যতা পেল অর্থনীতির দরবারে। কেন? বিরোধীদের চাপে শেষমেশ কেন্দ্র জানাল, নাঃ, ঋণটা আমরাই করছি। অর্থাৎ, পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি আদায়ে রাজ্যগুলির যে লোকসান হয়েছে, তা পূরণ করতে প্রয়োজনীয় লোন নেবে কেন্দ্র। তারপর প্রাপ্য অনুযায়ী টাকাটা ভাগাভাগি করে দেবে। যে ঋণ কি না এতদিন রাজ্যগুলিকেই নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করছিল মহামান্য ভারত সরকার। তাহলে হঠাৎ হলটা কী? জিএসটি কাউন্সিলের একের পর এক বৈঠকে এই একটা বিষয়েই তো সমাধানসূত্র অধরা থেকে যাচ্ছিল। অনড় ছিল মোদি সরকার—রাজ্যের কোষাগার হাল্কা হয়ে থাকলে ঋণ করে নিক! রাজ্যগুলিরও বক্তব্য ছিল সাফ—পারব না। জিএসটির লোকসান যা হবে, সেই মতো ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কাজেই লোন কেন্দ্রকেই করতে হবে। যাই হোক, রামের সুমতি হল... কিন্তু কিছু গুরুতর প্রশ্ন পাতে সাজিয়ে রেখে।
প্রথম প্রশ্নই হল, এতদিন ঝুলিয়ে রাখার খুব কি দরকার ছিল? করোনা মোকাবিলায় যে নামতে হবে, তার বিন্দুমাত্র আভাস বা প্রস্তুতি ছিল না রাজ্যের। বাংলার আবার একটা বিষফোঁড়াও ছিল—উম-পুন। তারপরও টালবাহানা কম করেনি কেন্দ্র! আর রাজ্যগুলি চেয়েছিল তো প্রাপ্যটাই। মানে, জিএসটি আদায়ে লোকসানটুকু। পশ্চিমবঙ্গের না হয় বাড়তি বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। সেই প্রাপ্য ফেরাতেই অনীহা কেন্দ্রের। সবচেয়ে বড় কথা, ঋণ যদি কেন্দ্র নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে সুদের হার অনেক কম হবে। আর প্রত্যেক রাজ্যই একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ কেন্দ্রকে ফেরাতে পারবে। অথচ রাজ্যগুলি ঋণ করতে বাজারে নামলে এক এক রাজ্যের জন্য এক এক রকম সুদ হবে। এবং বিলক্ষণ সেই হার বেশ চড়া।
দ্বিতীয়ত, কেন এক লক্ষ কোটি টাকাই ঋণ নিচ্ছে কেন্দ্র? জিএসটি সংগ্রহে লোকসান তো প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা! এমনও নয়, এই ঋণের জন্য ব্যাপক আর্থিক ঘাটতি হবে। কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছে, তেমন কোনও প্রভাব এই লোনের জন্য পড়বে না। তাহলে কেন পুরো টাকাটাই কেন্দ্র ধার করল না? নাকি কেন্দ্র লোন করে দিলে, রাজ্যগুলি লোকসানের টাকাটা ভবিষ্যতে আর দাবি করবে না? এই পরিমাণ অর্থে বাটিতে সামান্য জল হয়তো পড়বে, কিন্তু চিঁড়ে ভিজবে না। অদূর ভবিষ্যতে দাবি-দাওয়া নিয়ে আবার রাজ্যগুলি হাতা গুটিয়ে নেমে পড়বে আসরে।
এর পরের প্রশ্ন, টাকাটা রাজ্যগুলির হাতে কীভাবে তুলে দেওয়া হবে? পাবলিক অ্যাকাউন্ট অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে? সংবিধানের ২৬৬(২) ধারা অনুযায়ী গঠন করা হয়েছিল পাবলিক অ্যাকাউন্ট। রাজ্যের পিএফের টাকা, রিজার্ভ ফান্ড, আয়কর সংক্রান্ত অর্থ... এই সবই পাবলিক অ্যাকাউন্ট অব ইন্ডিয়ার অন্তর্গত। এই অ্যাকাউন্টের টাকা সরকারের নয়। কাজেই ফেরত করা বাধ্যতামূলক। আবার এই অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ করলে সংসদের অনুমতিও নিতে হয় না। কাজেই কেন্দ্র যে ঋণ করতে চলেছে, তা রাজ্যগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়ার এটা একটা পছন্দসই মাধ্যম হতে পারে। যদিও তেমন কিছু করা হচ্ছে কি না, তা কেন্দ্র এখনও খোলসা করেনি।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর যত দ্রুত মিলবে, ততই ভালো। তা না হলে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির অন্তর্কলহ কিন্তু নিত্য বাড়বে। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সুবিধা একটাই—সামনে বেশ কিছু বিধানসভা ভোট। প্রথমেই বিহার, আর পরের বছর বাংলা। ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সি দখলের পর থেকেই বঙ্গবিজয়ের স্বপ্ন দেখে চলেছে বিজেপি। তার জন্য যদি কিছু নেতা, কিছু আদর্শ ত্যাগ করতে হয়, তাও সই। বাংলার ভোটারদের কাছে কিন্তু বঞ্চনার থিওরিটা রীতিমতো বিশ্বাসযোগ্য। প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র—এই অভিযোগ বারবার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার প্রমাণও মিলেছে। অঙ্কটা ৬০ হাজার কোটির উপর। তাই কেন্দ্র বিরোধী প্রচারে এই ইস্যুতেই বেশ গতি পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এর উপর জিএসটি সংক্রান্ত বঞ্চনার সম্ভাবনা তৈরি হলে নিশ্চিতভাবে তা ফের প্রচারের হাতিয়ার করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা ভোটের আগে মোটেও বিজেপিকে খুব একটা ডিভিডেন্ড দেবে না। এমনিতেই গত কয়েক বছরের প্রবল প্রতাপের কাঠিন্যে খানিকটা হলেও জং ধরতে শুরু করেছে। নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! সংখ্যার জোর দেখিয়ে একের পর এক বিল সংসদে পাশ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু রাজপথের বিরোধ তাতে এড়ানো যাচ্ছে না। আর সবচেয়ে বড় কথা, নজর ঘোরানোর নানা পন্থা অবলম্বন সত্ত্বেও এবার আর একটি রোগ ফিরে ফিরে আসছে। যার নাম নিরাপত্তাহীনতা। একটি বালাকোট বা পাকিস্তান বিরোধী গরম গরম কথাবার্তা এতদিন ভোটযন্ত্রে ভালোরকম সুবিধা দিয়েছিল বিজেপিকে। এবার হাওয়া ঘুরছে। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত কিংবা করোনা মহামারীও মোদি সরকারের নড়বড়ে ভাবটা আড়াল করতে পারছে না। মাঝে আরও দু’টি ইস্যু উঠে এল... একটি বলিউডে মাদক কাণ্ড এবং দ্বিতীয় হাতরাস। তা সত্ত্বেও এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরেনি। আর তা হল, কৃষি আইন।
চাষবাস চিরকালই দেশের অর্থনীতির ভিত্তি। এর কর্পোরেটাইজেশন যে কখনওই আমাদের সুদূরপ্রসারী লাভের মুখ দেখাবে না, সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই। কাজেই ন্যূনতম যা প্রয়োজন, তার উল্লেখ এই আইনে রাখতেই হবে। এটাই বিরোধীদের তথা আম আদমির একমাত্র দাবি। জিএসটি আদায় সংক্রান্ত লোকসানে কিন্তু ‘অ্যাক্ট অব গড’ তত্ত্বে অনড় থাকতে পারেনি কেন্দ্র। ঈশ্বরের ঘাড়ে সবটা চাপিয়ে দিয়ে দায়মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল মোদি সরকার। সেই অলীক স্বপ্ন ভেঙেছে। এবং এই পদক্ষেপ দেখিয়ে দিয়েছে, চাপ বাড়ালে কাজ হয়। সঠিক এবং যুক্তিসঙ্গত প্রতিবাদের সামনে মাথা নোয়াবে সরকার। অহং এবং একগুঁয়েমির খোলস ছেড়েও বেরতে বাধ্য হবে। এই সরকারের দৌলতে এখনই চাল-ডাল আর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় নেই। অর্থাৎ যে যেমন চাইবে, তেমনই দাম হাঁকতে পারবে। সরকার যদি দাবি করে, এর ফলে কৃষকের লাভ হবে... ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। ন্যায্য দাম তাঁরা পাবেন না। বরং এতে লাভ হবে কর্পোরেট জগতের। লকডাউনের বাজারে কৃষিজাত পণ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা-সরবরাহের অনুপাতই একমাত্র ধাক্কা খায়নি। শুধু তাই নয়, কৃষিপণ্যের রপ্তানিও গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে থাকলে তা মানুষের ঘরে খাবারের অভাব যেমন তৈরি করবে না, ঠিক তেমনই বাজারের সামঞ্জস্যও বজায় থাকবে। সংসদে সংখ্যা থাকলেই বিরোধিতা সম্ভব, নতুবা নয়... এই ফর্মুলা আঁকড়ে কান্নাকাটির সময় এটা নয়। ভোটাররা ভরসা করেছিলেন। তাই মোদি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। নিশ্চিতভাবেই এর ফলে শরিক সমস্যা সরকারে থাকে না। মানে, ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলে তাতে বাগড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কিন্তু উল্টোটাও যে হয়! এবং হচ্ছে। একের পর এক জনবিরোধী কর্মসূচিকে সংস্কারের তকমা দিয়ে কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। অথচ বিরোধীরা সরব হয়েও কিছু করতে পারছে না। লক্ষ লক্ষ কৃষক রাস্তায় নেমেছেন... রাজনৈতিক দল, ব্যানার নির্বিশেষে। তাঁদের কথা ভেবেও কি সরকার কিছু করছে? বলছে, মানুষকে বোঝাতে হবে। সেটা কে বোঝাবে? নিশ্চয়ই কেন্দ্র! এতকিছুর পরও যখন মানুষ, বা আরও স্পষ্টভাবে বললে কৃষক সমাজ বুঝছে না, তাহলে গলদ তো কোথাও আছেই।
শাসক এবং বিরোধী—সুযোগ দু’পক্ষেরই আছে। মানুষের পাশে আসলে কে রয়েছে, সেটা বোঝানোর। যদি বিরোধীরা সঠিক হয়, তাদের লড়াই জনস্বার্থে হয়... মানুষ সঙ্গে থাকবেই। কারণ এই আন্দোলন যতটা রাজনীতির জন্য, তার থেকে অনেক বেশি ভবিষ্যৎ ভারতের স্বার্থে।
20th  October, 2020
কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। বিশদ

মূকরাই সরব হবেন যথাসময়ে
পি চিদম্বরম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে পৃথিবী বিপুলভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে সেখানে দরিদ্র বা গরিব রয়ে যাওয়াটা এক দুর্ভাগ্য। একটা দরিদ্র দেশে দরিদ্র থাকাটা গণতন্ত্রের ব্যর্থতা। আর একটা গরিব দেশের গরিব রাজ্যে দরিদ্র থেকে গেলে তাকে রাজনীতির অভিশাপ মানতে হবে।  বিশদ

28th  October, 2020
বিহারের ভোটে অনেক পাখি মারার ছক মোদির
সন্দীপন বিশ্বাস

২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচনের খবর করতে গিয়ে দেখেছিলাম, বিজেপি সেখানে কী পরিমাণ টাকা ঢেলেছিল। সমস্তিপুর, বেগুসরাই, জামুই, ভাগলপুর, মুঙ্গের, খাগাড়িয়া, লক্ষ্মীসরাই ঘুরে দেখেছিলাম, পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স দিয়ে বিজেপি শহর মুড়ে দিয়েছে। বিশদ

28th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
একনজরে
কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে দুই মুসলিম দেশের কাছে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইরানে কালা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এমনকী, সৌদি আরবের রিয়াধেও সেই ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ভুয়ো ভাউচার ছাপিয়ে ময়নার শ্রীকণ্ঠা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠল সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ অক্টোবর সমবায় সমিতির সম্পাদক সুবোধচন্দ্র মাইতি ম্যানেজার সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে ময়না থানায় এফআইআর করেছেন।   ...

বংশপরম্পরায় আজও মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন কুমোরটুলির একটি নির্দিষ্ট শিল্পী পরিবার। পটুয়াপাড়ার ৪০/১, বনমালি সরকার স্ট্রিটে মৃৎশিল্পী জয়ন্ত পালের ঘরে জোরকদমে ...

ট্যুইটারে লাদাখকে চীনের অংশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এনিয়ে ভারতের যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে ট্যুইটার ইন্ডিয়া। তাদের তরফে বিষয়টি নিয়ে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। যার উত্তরে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে ট্যুইটার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা ভারতের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৪৭ টাকা ৯৭.৮৪ টাকা
ইউরো ৮৫.২৮ টাকা ৮৮.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৮১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৮৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী ২৩/৫২ দিবা ৩/১৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৫/৪১ দিবা ১২/০। সূর্যোদয় ৫/৪৩/১৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী দিবা ৩/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: কর্মরতদের উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। বৃষ: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার ১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: কেকেআর-কে ৬ উইকেটে হারাল সিএসকে 

11:14:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১২১/৩ (১৫ ওভার) 

10:43:26 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৮৮/১ (১১ ওভার) 

10:19:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৩৭/০ (৫ ওভার) 

09:51:13 PM