Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। এবার পুজোয় ঘরে ফেরার সেই তাগিদটাই কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। ফিরতেই চাইছে না কেউ! উধাও হয়ে গিয়েছে পুজোর ছুটির জন্য মন কেমন করাটাও। অবকাশ, আনন্দ আর অনেকটা পথ চলে একটু জিরিয়ে নেওয়ার অনুভূতিটাকেই যেন হত্যা করেছে পৃথিবীর গভীরতম অসুখ। স্কুলই বন্ধ ৬ মাসের উপর। তাই ছুটি পড়েছে, এই আনন্দে বেলুন উড়িয়ে মায়ের হাত ধরে এবার ঘরে ফিরবে না কোনও শিশু। লকডাউনের শুরুতে সেই যে পলাশ চেন্নাই থেকে চলে এসেছে তারপর শুধুই ওয়ার্ক ফ্রম হোম। ওর কাছে আলাদা করে অবকাশ আজ মূল্যহীন। সত্যেনের বহুজাতিক সংস্থা বলে দিয়েছে আপাতত কোনও প্রজেক্ট নেই। আবার হাতে কাজ এলে যোগাযোগ করবে। ততদিন বেতন অর্ধেক। এবার পুজোয় তাই সত্যেনের মনের অন্ধকার হাজার ওয়াটের হ্যালোজেনেও উদ্ভাসিত হওয়া কঠিন!
স্বপন লোকাল ট্রেনে বাদাম আর ঝুরিভাজা বেচত। গত দশ বছর সকাল থেকে সন্ধ্যা তার একটাই ঠিকানা। নৈহাটি থেকে উল্টোডাঙা লোকাল ট্রেনের কামরা। চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মেরে নিমেষে কীভাবে পাশের প্ল্যাটফর্মের ভিড়ে হারিয়ে যেত, সে এক অদ্ভুত বিস্ময়। গলায় ঝোলানো ছোট ছোট বাদামের প্যাকেট। মালার মতো পেঁচিয়ে এক ট্রেন থেকে অন্য ট্রেনে ঘেমে নেয়ে অক্লান্ত ছোটাছুটিই ছিল ওর নিত্যদিনের জীবন যুদ্ধ। গত সাত মাস ট্রেন বন্ধ। স্বপনের সংসারে যেন আচমকা বাজ পড়েছে। রোজগার নেই। থমকে গিয়েছে সবকিছু। আধপেটা খেয়ে চলছে কোনওরকমে। সেদিন দমদম স্টেশনের বাইরে দেখা হতেই অঝোরে কান্না। ‘দাদা যাব কোথায় বলতে পারেন, ট্রেন বন্ধ। সিনেমা হল খুলছে না। পার্কেও আজকাল আর তেমন লোক আসে না। বয়স্করা তো নয়ই। সেদিন রাস্তায় একটা বাচ্চা হাত বাড়াতেই তার মা বলল, ওসব বাইরের জিনিস খেতে নেই বাবা, করোনা হবে! অথচ শপিং মল থেকে তো দিব্যি দামি চিপসের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। করোনা কি শুধু গরিব মানুষের থেকে ছড়ায়!’ ওর প্রশ্নের কোনও উত্তর আমি দিতে পারিনি।
সান্ত্বনা দিতে পারিনি রতনকেও। আগমার্কা স্বার্থপর ভদ্রলোকের মতো এ কথা সে কথার ফাঁকে পালিয়ে এসেছি নিজের নিরাপদ চৌহদ্দিতে। দমদম থেকে শিয়ালদহ ট্রেনে দশ টাকায় পাঁচটা ডট পেন বিক্রি করত রতন। কেউ একসঙ্গে কুড়ি টাকার কিনলে আরও একটা পেন বাড়তি। তাতেই কোনওরকমে চলত মা, স্ত্রী আর তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে রতনের কষ্টের সংসার। ট্রেন বন্ধ দুশো দিনের ওপর।
বন্ধ স্কুলও। কোথায় যাবে রতনরা? তার ওপর পড়াশোনা তো সব অনলাইনে। পরীক্ষাও ট্যাবে-ল্যাপটপে। পেনের প্রয়োজন ফুরোচ্ছে। শশা আর পেয়ারা কেটে নুন মাখিয়ে উল্টোডাঙা প্ল্যাটফর্মের সাবওয়ে দিয়ে নামার মুখে বসত হরিসাধন। এখন
বসে স্টেশনের বাইরে রাস্তায় এককোণে। দিনে বার কয়েক লাঠির ঘা আর তাড়া খেতে হয় পুলিসের। স্টেডিয়ামে খেলা থাকলে ছুটত সেখানে বাড়তি লাভের আশায়। সঙ্গে ছোট ছেলেকে নিত চা বিক্রি করতে। সীমাহীন দারিদ্র্য ওই একরত্তি ছেলেটাকেও কত তাড়াতাড়ি কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। স্কুল, সিনেমা হল, লোকাল ট্রেনের মতো স্টেডিয়ামের খেলাও
তো বন্ধ। চেনা জীবনের ছন্দটাই কখন যেন হারিয়ে গিয়েছে। জিজ্ঞেস করেছিলাম, বিক্রি কিছু হচ্ছে
তো? ফ্যাকাসে মুখটা কোনওরকমে তুলে বলেছিল, বাইশ বছরের অভ্যাস তাই রোজ এসে বসি।
ট্রেন নেই, লোক কোথায়। যা হচ্ছে তা দিয়ে পেট
চলে না দাদা। আর বাড়িতে থেকেই বা কী করব,
তাই সব ভুলে থাকতে এসে বসে থাকি অনেকদিনের চেনা জায়গাটায়!
আগস্টে আবার ট্রেন চলবে শুনে মনের কোণে এক চিলতে আশার আলো জ্বলেছিল বটে। মনে হয়েছিল, পুজোর আগে আবার সব বুঝি ঠিক হয়ে যাবে। আবার গমগম করবে স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম। মানুষের পায়ে পায়ে বিকোবে বাদাম, ডট পেন, লজেন্স, কাটা শসা, পেয়ারা। জীবন আবার চলবে পুরনো গতিতে। এখন ওই আশাটুকুও ক্ষীণ হতে হতে মিলিয়ে গিয়েছে। সবাই বুঝে গিয়েছে এবার পুজোয় লোকাল চলার আশা নেই। তাই শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর, হাওড়া থেকে তারকেশ্বর, উল্টোডাঙা থেকে বনগাঁ একের পর এক স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ঘিরে যে অভাবী মুখগুলো লড়াই করে বেঁচে ছিল, তাদের স্পন্দনটাই কখন যেন থমকে রয়েছে। কে না জানে লোকাল ট্রেন আর প্ল্যাটফর্মগুলিকে আশ্রয় করে যত মানুষ এই বাংলায় বেঁচে থাকেন তা হার মানাতে পারে কয়েকশো বড় কারখানাকেও। ওদের কাছে এবারের পুজোটা তাই অনেক আগেই হারিয়ে গিয়েছে।
ছোটবেলায় আমাদের স্কুলের ঠিক বাইরে সদানন্দ বসত হজমি গুলি আর লাঠি লজেন্স নিয়ে। সঙ্গে ছোট ছোট কুল আর আচার। বিক্রিবাটার ফাঁকে অনেক মজার মজার গল্পও বলত। টিফিনের সময় সে কী ভিড়। সদানন্দকে শেষ দেখেছি কাঠি আইসক্রিম বিক্রি করতে। তারপর ওর ছেলেও কাঠের গাড়ি ঠেলে আইসক্রিম নিয়ে স্কুলের বাইরে বসত। ফুচকা বেচত সজল। অনেক দিন আর ওদের খোঁজ পাইনি। আসা যাওয়ার পথে দেখাও হয়নি। কে জানে এই আকালের সময়ে কেমন রয়েছে ওরা!
যাদের অনেক আছে পুজো মানেই তাদের কাছে নতুন জামা কাপড় জুতো আর রংবাহারি নানা কিসিমের শাড়ি কেনার গল্প। তবু সেই সম্পন্ন ঘরেও ষষ্ঠীতে তাঁত, সপ্তমীতে জামদানি আর অষ্টমীতে বালুচরীর হিসেবনিকেশেও এবার যেন অদ্ভুত ভাটা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের একশো ঘণ্টাও আর বাকি নেই। কিন্তু মনটা আগের মতো আর আনচান
করছে না। খুশির ঝিলিকে উদ্বেল হচ্ছে না। পুজোটা কেমন করে কাটাব, তার বদলে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সুস্থ থাকব তো, আলোচনা তা নিয়েই। মন কেমন করা এক আশ্চর্য বিষণ্ণতা বাসা বেঁধেছে মনের কোণে। বদলে যাওয়া সময়ে নিজেকে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছেটাকেই কখন যেন মেরে ফেলেছে করোনা! মুখ ঢেকেছে মাস্কে। মহামারী মোকাবিলার অস্ত্র বলতে তো ওই মাস্ক আর স্যানিটাইজার। পুজোয় আদৌ ঠাকুর দেখতে বেরবে কি না, বেরনো উচিত কি না, সেই দোলাচলে আজ বাঙালি। তবে এবার বাৎসরিক ঠাকুর দেখার মিছিলে হাঁটা থেকে বিরত থাকাটাই বিবেচকের কাজ হবে। বেঁচে থাকলে আসছে বছর আবার হবে, এই স্লোগানে ভর করেই আপাতত পরের বছর আশ্বিনের শারদ প্রাতের অপেক্ষায় কাটুক দিন। ততদিনে সবার শরীরে ভ্যাকসিনও ঢুকে যাবে। পরাজিত হবে করোনাসুর। আবার আগমনি সুর বাজবে, মা আসবেন ভুবন ভোলানো রূপে। মলো মাসের ভ্রূকুটি নয়, মহালয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রটে যাবে মহাশক্তির আগমন বার্তা।
মন্মথ গত দশবছর হকারি করে গড়িয়াহাটে। বলছিল, লকডাউনের ঠেলায় গত ৬ মাস বাজারটা শ্মশান হয়ে গিয়েছিল। অভ্যাসবশত এসে বসতাম। চা মুড়ির পয়সাও উঠত না। গত দু’সপ্তাহ একটু লোকের মুখ দেখতে পাচ্ছি। তবু তা বলার মতো নয়। তাতেই আপনারা বলছেন, ভিড় একদম নয়, করোনা ছড়াবে। তা পেটটা তো মানবে না। ওইটুকু বিক্রিতে গত সাতমাসের লোকসানই মিটবে না। আর তো বাকি কয়েকটা দিন। তারপরই উৎসব মিটে গেলে আবার মুখ থুবড়ে পড়বে কেনাকাটা। মন্মথর আক্ষেপ, করোনা থেকে বাঁচলেও এরকম চললে অনাহার যে মেরে ফেলবে আমাদের!
পুজোর বেশ একমাস আগে থেকে যাঁরা নিত্যনতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। বড় মামার বয়স হয়েছে, কোমরে ব্যথা। তাঁর জন্য একটা লোয়ার বার্থ চাই। হলিডে হোমটা সমুদ্রের কাছে তো। হোটেলের ঘর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা......? এবার সেইসব অন্তহীন কলকাকলি কবেই যেন থামিয়ে দিয়েছে নিষ্ঠুর করোনা দৈত্য। গাড়িতে চেপে ছোটখাটো ট্যুর কিছু হলেও পর্যটন শিল্পটাই ঘুমিয়ে পড়েছে। সেখানেও আয় হারিয়েছে শতশত মানুষ। সংক্রমণ কমছে না বাড়ছে, ভ্যাকসিন কবে আসছে সেই দিকেই তাকিয়ে ওরা।
আর আমি সামান্য কলমচি এই পুজোর ৬ মাস আগেই হারিয়েছি জীবনের শ্রেষ্ঠ আশ্রয় মাকে। লকডাউনের শুরুতে। যত রাতই হোক অফিস থেকে আমার বাড়ি ফেরা পর্যন্ত জেগে থাকত যে দুটো স্নেহভরা সজাগ চোখ, তাঁকে হারানোর চেয়ে বড় ক্ষতি মানবজীবনে আর হয় নাকি? এই পুজো তাই ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অপূরণীয় ক্ষতির। নিজের শিকড় হারানোর। 
18th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
স্বদেশীয়দের চাকরির বাজারকে সুরক্ষিত করতে ভিসা নীতি আরও স্পষ্ট করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ-১বি জন্য দক্ষ বিদেশী কর্মীদের যাতে ব্যবসায়িক ভিসা না দেওয়া হয়, তার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু
১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক আব্বাসউদ্দিনের জন্ম
১৯০৪ – স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্র নাথ দাসের জন্ম
১৯২০ – ভারতীতের ১০ম রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ানানের জন্ম
১৯৭৭: শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার জন্ম
১৯৮৪: ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের জন্ম
১৯৮৬: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  October, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  October, 2020

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
মেষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: কর্মে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: ৮৮ রানে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ 

11:00:00 PM

আইপিএল: দিল্লি ৯৬/৬ (১৫ ওভার) 

10:40:09 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৬/৪ (১১ ওভার) 

10:18:29 PM

আইপিএল: দিল্লি ৩৪/২ (৫ ওভার) 

09:48:54 PM