Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে। ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রফুল্লচন্দ্র সেন ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই প্রায় নিত্যদিন আক্ষেপ করতেন, বাংলায় চাল, ডাল, তেল, সবকিছুতেই ঘাটতি।
এই খাদ্য সমস্যা অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বিরোধী বামপন্থীরা প্রচার আন্দোলন তুঙ্গে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক সুফলও পায়। সেই কথাটি মনে রেখেই ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর জ্যোতি বসু সর্বাগ্রে জোর দিয়েছিলেন কৃষিতে। তাঁর সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ভূমি সংস্কার ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উপর। সেই সুফলকেই সঙ্গে নিয়ে ৩৪ বছর ধরে পথ হেঁটেছিল সিপিএম। আর কী আশ্চর্য ঘটনা! ঠিক সেই কৃষির ইস্যুতেই তাদের পতন ঘটল। দুর্নীতি, দাদাগিরি, সিন্ডিকেট, রিগিং, প্রোমোটার-রাজ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে অবহেলা ইত্যাদি তাবৎ বিরুদ্ধ-ইস্যুকে হারিয়ে বারংবার জয়ী হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। কারণ, কৃষি ও ভূমি সংস্কারে গুরুত্ব। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা লাগোয়া একটি ক্ষুদ্র জনপদ সিঙ্গুর আর মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানত কৃষিজমি দখল করা হচ্ছে এই প্রচারটিকেই পাখির চোখ করে এগিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্ময়করভাবে ২০১১ সালে সেই কৃষি ও খাদ্যশস্য ইস্যুতেই সিপিএম হেরে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কংগ্রেসের থেকে বামপন্থীদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া, ক্ষমতায় থেকে যাওয়া এবং আবার বামপন্থীদের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছে কৃষি ও খাদ্যশস্যের মতো স্পর্শকাতর একটি ইস্যু।
এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করার কারণ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিজেপি বহু প্ল্যান প্রোগ্রাম করেও এখনও এমন কোনও পাখির চোখ করার মতো জ্বলন্ত ইস্যু ধরতে পারেনি। একটি নিশ্চিত কোনও ইস্যুতে রাজনৈতিক ডিসকোর্স তৈরি করতে পারেনি। কোনও একটি ইস্যুতে সরকার বিরোধিতাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মুন্সিয়ানা বঙ্গবিজেপি দেখাতে পারেনি। হিন্দুত্ব, সংখ্যালঘু তোষণ, দুর্নীতি ইত্যাদি নানাবিধ বিক্ষিপ্ত ইস্যুতে তারা আটকে রয়েছে। কিন্তু কৃষি, শিল্প, খাদ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদি নিয়ে এখনও ফোকাসড কোনও ইস্যু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিকভাবে তীক্ষ্ণ ব্যক্তিত্বকে পরাস্ত করার জন্য যে সুতীব্র গেমপ্ল্যান দরকার, সেটা এখনও চোখে পড়ছে না বিজেপির রাজনীতিতে। অথচ বিজেপির জনসমর্থন রয়েছে এবং হয়তো বাড়ছেও। সিপিএম সমর্থকদের বড় অংশের ভোট তো থাকবেই তাদের কাছে। কিন্তু ধারাবাহিক জনস্বার্থের রাজনৈতিক ইস্যু ও কর্মসূচি নেই। শুধু নবান্ন অভিযানের রঙিন জলসিক্ত ছবি ভোটে প্রতিফলিত হয় না।
এই সঙ্কটের অন্যতম কারণ হল, বঙ্গবিজেপি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি নির্ভর একটি সংগঠনে পরিণত করে রেখেছে নিজেকে। বস্তুত অতিরিক্ত মোদি নির্ভরতাই বঙ্গবিজেপির অন্যতম প্রধান দুর্বলতা। বুথ স্তরের সংগঠন, বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচন, ব্লকে ব্লকে একাধিক মুখকে পরিচিত নেতা হিসেবে তুলে আনা ইত্যাদি কাজ কিন্তু মোদি করবেন না। এটা করতে হয় রাজ্যের দলটিকেই। কিন্তু সেটা করার মতো রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতাই নেই বঙ্গবিজেপির। তাদের সমস্যা হল, তারা মুখে অভিযোগ করে যে, কংগ্রেস একটি হাইকমান্ড নির্ভর দল, অথচ নিজেরাও সেই হাইকমান্ড নির্ভরই হয়ে গিয়েছে। বিজেপির তরফে বাংলার জন্য যে কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় দিল্লি থেকে। রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণের জন্য এ রাজ্যে মাঝেমধ্যেই আসেন দিল্লির পাঠানো নেতারা। বস্তুত বাংলার দলটির নীতি নির্ধারণ করেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। সেটা হতেই পারে। সর্বভারতীয় দলের নিয়ম। কিন্তু সেই নীতি ও সিদ্ধান্তগুলি প্রয়োগ করতেও পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদেরই। অর্থাৎ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গবিজেপিকে কীভাবে লড়াই করতে হবে, বাংলায় কোন কোন ইস্যুকে টার্গেট করতে হবে এটা যে বিজেপি নেতারা সারাবছর বাংলায় বাস করছেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক অধিকার নেই। হয়তো তাঁরা প্রস্তাব দেন, সুপারিশ করেন, ইস্যুকে আইডেন্টিফাই করেন বিভিন্ন বৈঠকে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আসেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও শীর্ষ নেতারা।
অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় দলনির্ভরতার কুফল হল, একটি কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়। অর্থাৎ বাংলার সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতির যে দৈনন্দিন আটপৌরে একটা ছন্দ আছে, সেটা কখনও বহিরাগত রাজনীতিকদের পক্ষে আত্মস্থ করা সম্ভব হয় না। তাঁরা একটা ফর্মুলা মেনে হয়তো অগ্রসর হন। কিন্তু যে মডেল অসমে সফল হয়েছে, সেই একই মডেল বাংলায় চলবে তার নিশ্চয়তা নেই। আর এভাবে দুটি ক্ষতি হচ্ছে। প্রথমত, বঙ্গবিজেপি নেতাদের নিজস্ব একক ভাবমূর্তি তৈরি হতে পারছে না। আর দ্বিতীয়ত, মোদি বা অমিত শাহদের যে কোনও ব্যর্থতার বোঝাও বহন করতে হচ্ছে। সর্বভারতীয় দলের হয়ে রাজ্যে রাজনীতি করার এটা একটা প্রধান সমস্যা। উত্তরপ্রদেশে দলিত কন্যার ধর্ষণ হয়েছে, সে ব্যাপারে তীব্র নিন্দা না করে সাফাই গাইতে হচ্ছে। কারণ ওই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতাসীন। দেশে অর্থনীতি ডুবে যাচ্ছে। সেটা বুঝতে পেরেও কেন্দ্রের স্বপক্ষে অবান্তর যুক্তি দিতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে। এসব থেকে বাঁচার উপায় ছিল। যদি বঙ্গবিজেপির নেতৃত্ব নিজেরাই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুর নির্মাণ করতে সক্ষম হতেন। সেটাতেই ফোকাস করতেন। রাজ্যবাসী সেই ইস্যুকে আগ্রহ নিয়ে দেখত। কিন্তু সেটা তাঁরা পারছেন না।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বহু স্লোগান, বহু বিবৃতি, বহু চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি যে বাংলার মানুষের কাছে অতটা পরিচিত নয়, সেটা বুঝতে পেরেও বঙ্গবিজেপিকে বাধ্য হয়ে সেই প্রচারই করতে হচ্ছে। একইসঙ্গে বিজেপির অন্যতম সমস্যা হল, নিচুতলায় দলে দলে সিপিএমের আগ্রাসী ক্যাডারবাহিনী চলে এসেছে। তারা বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাত্তাই দেয় না। সুতরাং প্রকৃত পুরনো বিজেপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। আবার উল্টোদিকে উপরতলায় দেখা যাচ্ছে, গুরুত্ব দখল করে নিচ্ছেন তৃণমূল থেকে আসা নেতারা। তাঁদের অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তার জেরে বিজেপির পুরনো নেতারা কোণঠাসা অনুভব করছেন। তৃতীয় সমস্যা হল, বিজেপি যখন শক্তিশালী হয়নি, তখন প্রধানত রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের অনুগামী, শাখায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরই বেশি ভিড় ছিল। কিন্তু যখন বিজেপি রাজ্যে শক্তিশালী হচ্ছে তখন নেতা ও কর্মী হিসেবে এমন একটি শ্রেণী প্রথম সারিতে চলে এসেছে, যাদের সঙ্গে আর এস এসের কোনও সম্পর্কই ছিল না কোনওদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধায়ের এটা সুবিধা। তাঁর কোনও হাইকমান্ড নেই। সিদ্ধান্ত তিনিই গ্রহণ করেন। বিজেপি অথবা কংগ্রেসের এই সমস্যাটি প্রকট। কংগ্রেস আজ যতই বলুক বামেদের সঙ্গে জোট করবে, সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়, যতক্ষণ তাদের হাইকমান্ড সবুজ সংকেত দেবে। কখন যে সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা঩য়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে কোনও একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে আবার বৈঠক ডাকবেন, সেটা বঙ্গ কংগ্রেস নেতৃত্ব জানে না। হয়তো দেখা যাবে অন্য রাজ্য থেকে আসা কোনও পর্যবেক্ষক বঙ্গ কংগ্রেসের প্রার্থী নির্বাচন কিংবা কর্মসূচি গ্রহণের অন্যতম সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হয়ে যাবেন।
বঙ্গবিজেপিরও তাই। নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন তা বঙ্গবিজেপির হাতে পুরোপুরি নেই। সুতরাং বঙ্গবিজেপি এবং বঙ্গ কংগ্রেসের নেতৃত্বের সবথেকে বড় সঙ্কট হল, তারা পরাধীন। সিদ্ধান্তগ্রহণে স্বাধীন নয়। দিল্লি থেকে আসে তাঁদের ভবিষ্যৎ যে কোনও কর্মপন্থার কনফামের্শন। ফলে রাজ্যস্তরে যে কোনও ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারছে না তারা। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেরেছিলেন। কখনও ব্যর্থ হয়েছেন। কখনও সফল হয়েছেন। কিন্তু নিরন্তর একটা ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মধ্যে দিয়েই তিনি এগিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি এই রাজ্যের ভূগোলটি হাতের তালুর মতো চেনেন। প্রতিটি জেলা, ব্লক তাঁর মুখস্থ। এটা রাজনীতিতে প্রচণ্ড প্রয়োজন। গাড়িতে, বাইকে, পদযাত্রায়, মিছিলে গোটা রাজ্যে অবিরত দৌঁড়ে বেড়াচ্ছেন, এরকম বিরোধী নেতা আর দেখা যাচ্ছে না কেন? রাজনীতিতে একটা পরিভাষা আছে। ফেস রেকগনিশন। অর্থাৎ একজন নেতাকে যে কোনও প্রত্যন্ত প্রান্তের মানুষও চিনে গিয়েছেন। নামে ও চেহারায়। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, নরেন্দ্র মোদিরা সেই গোত্রের। এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু বছর আগেই সেই শ্রেণীভুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেতাদের কেউ সাড়ে ৯ কোটি বঙ্গবাসী তথা জাতীয় স্তরে ফেস রেকগনাইজড পার্সোনালিটি হতে পারছেন না। রাজনীতিতে সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু শেষ কথা নয়! 
16th  October, 2020
কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। বিশদ

মূকরাই সরব হবেন যথাসময়ে
পি চিদম্বরম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে পৃথিবী বিপুলভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে সেখানে দরিদ্র বা গরিব রয়ে যাওয়াটা এক দুর্ভাগ্য। একটা দরিদ্র দেশে দরিদ্র থাকাটা গণতন্ত্রের ব্যর্থতা। আর একটা গরিব দেশের গরিব রাজ্যে দরিদ্র থেকে গেলে তাকে রাজনীতির অভিশাপ মানতে হবে।  বিশদ

28th  October, 2020
বিহারের ভোটে অনেক পাখি মারার ছক মোদির
সন্দীপন বিশ্বাস

২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচনের খবর করতে গিয়ে দেখেছিলাম, বিজেপি সেখানে কী পরিমাণ টাকা ঢেলেছিল। সমস্তিপুর, বেগুসরাই, জামুই, ভাগলপুর, মুঙ্গের, খাগাড়িয়া, লক্ষ্মীসরাই ঘুরে দেখেছিলাম, পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স দিয়ে বিজেপি শহর মুড়ে দিয়েছে। বিশদ

28th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, পতিরাম: ১৯৩৩ সালের ২৮ অক্টোবর। অবিভক্ত ভারতের হিলি স্টেশনে দার্জিলিং মেলে লুটপাট চালিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কাজে লেগেছিল সেই ‘লুটের টাকা’।   ...

কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে দুই মুসলিম দেশের কাছে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইরানে কালা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এমনকী, সৌদি আরবের রিয়াধেও সেই ...

‘দরওয়াজা বন্ধ’ করেই অনুশীলন করাতে পছন্দ করেন এটিকে মোহন বাগানের হেডস্যার আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। গতবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের সংলগ্ন প্র্যাকটিস মাঠে এরকমই চিত্র দেখা গিয়েছিল। এবার গোয়াতে আইএসএলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রণয়-প্রবীররা। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ভুয়ো ভাউচার ছাপিয়ে ময়নার শ্রীকণ্ঠা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠল সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ অক্টোবর সমবায় সমিতির সম্পাদক সুবোধচন্দ্র মাইতি ম্যানেজার সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে ময়না থানায় এফআইআর করেছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৪৭ টাকা ৯৭.৮৪ টাকা
ইউরো ৮৫.২৮ টাকা ৮৮.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৮১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৮৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী ২৩/৫২ দিবা ৩/১৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৫/৪১ দিবা ১২/০। সূর্যোদয় ৫/৪৩/১৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী দিবা ৩/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: কর্মরতদের উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। বৃষ: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার ১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: কেকেআর-কে ৬ উইকেটে হারাল সিএসকে 

11:14:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১২১/৩ (১৫ ওভার) 

10:43:26 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৮৮/১ (১১ ওভার) 

10:19:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৩৭/০ (৫ ওভার) 

09:51:13 PM